আরও ১৯ জোড়া যাত্রীবাহী ট্রেন চলছে

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শর্তসাপেক্ষে পর্যায়ক্রমে চালু করা হয়েছে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল। তারই ধারাবাহিকতায় নতুন করে শনিবার (৫ সেপ্টেম্বর) আরও ১৯ জোড়া আন্তঃনগর, লোকাল, কমিউটার ট্রেন পরিচালনা করছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।

শনিবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে ঢাকা এবং ঢাকার বাইরে বিভিন্ন রুটে এই ১৯ জোড়া যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল করা শুরু হয়েছে। কমমলাপুর স্টেশন থেকে এখন পর্যন্ত ৭টি আন্তঃনগর এবং ২টি কমিউটারসহ মোট ৯টি ট্রেন ছেড়ে গেছে।

বিজ্ঞাপন

এদিকে, শনিবার যে ১৯ জোড়া ট্রেন চলাচল করছে সেগুলো হলো: চট্টগ্রাম-ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে মহানগর গোধুলী/ প্রভাতী এক্সপ্রেস, ঢাকা-সিলেট-ঢাকা রুটে জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস, ঢাকা-সিলেট-ঢাকা রুটে উপবন এক্সপ্রেস, চট্টগ্রাম-ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে তৃণা এক্সপ্রেস, ঢাকা-মোহনগঞ্জ-ঢাকা রুটে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস, ঢাকা-জামালপুর-ঢাকা রুটে জামালপুর এক্সপ্রেস, ঢাকা- বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম-ঢাকা রুটে দ্রুতযান এক্সপ্রেস, রাজশাহী-ঢাকা-রাজশাহী রুটে ধুমকেতু এক্সপ্রেস, ঢাকা-রংপুর-ঢাকা রুটে রংপুর এক্সপ্রেস, সিরাজগঞ্জ বাজার-ঢাকা-সিরাজগঞ্জ রুটে সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেস।

এছাড়াও খুলনা- চাঁপাইনবাবগঞ্জ রুটে মহানন্দা এক্সপ্রেস, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-রহনপুর রুটে লোকাল, খুলনা-গোলালন্দঘাট-খুলনা রুটে নাকশিকাথা এক্সপ্রেস, সান্তাহার-লালমনিরহাট-সান্তাহার রুটে পদ্মরাগ কমিউটার, চট্টগ্রাম-চাঁদপুর-চট্টগ্রাম রুটে সাগরিকা কমিউটার, রাজশাহী-পার্বতীপুর-রাজশাহী রুটে উত্তরা এক্সপ্রেস, ঢাকা-মোহনগঞ্জ-ঢাকা রুটে মহুয়া কমিউটার, খুলনা-বেনাপোল-খুলনা রুটে বেতানা এক্সপ্রেস।

বিজ্ঞাপন

বরাবরের মতই রেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট আগের মতো একসাথে অনলাইনে ও মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে বিক্রয় করা হবে। বিক্রিত টিকিট রিফান্ড করা যাবে না/বা ফেরত নেওয়া হবে না। যাত্রার দিনসহ ১০ দিন পূর্বে আন্তঃনগর ট্রেনসমূহের অগ্রিম টিকিট ইস্যু করা যাবে।

যাত্রীদের সামাজিক ও শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কোচের ধারণক্ষমতার শতকরা ৫০ ভাগ টিকিট বিক্রি করা হবে। আন্তঃনগর ট্রেনে সকল প্রকার স্ট্যান্ডিং টিকিট বন্ধ থাকছে।

করোনাভাইরাসের কারণে গত ২৫ মার্চ সন্ধ্যা থেকে অভ্যন্তরীণ রুটে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিলো। তবে মালবাহী ট্রেন চলাচল অব্যাহত ছিল। তাছাড়া কৃষকের পণ্য পরিবহনে গত পহেলা মে থেকে বিভিন্ন রুটে চালু হয় পার্সেল স্পেশাল ট্রেন।

গত ৩১ মে প্রথম দফায় আট জোড়া আন্তনগর ট্রেন চালু করা হয়। ৩ জুন দ্বিতীয় দফায় আরও ১১ জোড়া আন্তনগর ট্রেন বাড়ানো হয়। তবে কিছুদিন পর যাত্রী সংকটে দুই জোড়া ট্রেন বন্ধ হয়ে যায়। তারপর তৃতীয় দফায় ১৬ আগস্ট চালু হয় আরো ১৩ জোড়া ট্রেন। ২৭ আগস্ট থেকে চতুর্থ দফায় ১৯ জোড়া ট্রেন চালু হয়েছে এবং সর্বশেষ আজ আরও ১৯ জোড়া ট্রেন যুক্ত হলো এই বহরে।

উল্লেখ, বর্তমানের এখন সব মিলিয়ে মোট ৬৭ জোড়া,অর্থাৎ ১৩৪ টি ট্রেন যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল করছে বিভিন্ন রুটে।