বদলি আতংকে ইইডির আওয়ামীপন্থী প্রকৌশলী-কর্মকর্তারা



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

স্বাধীনতার নেতৃত্বদানকারী রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায়। তাদের অনুসারীদেরই এখন সর্বত্র ভাল থাকার কথা। কিন্তু শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর চলছে ব্যাক গিয়ারে। সেখানে কোণঠাসা আওয়ামী লীগপন্থী প্রকৌশলী ও কর্মকর্তারা। সুবিধার বদলে তাদের ভেতরে বদলির আতঙ্ক।

শুধু তাই নয় শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ের প্রায় ৬০ শতাংশ প্রকল্পের কাজই দুর্নীতিবাজ এবং বিএনপি-জামায়াতপন্থী প্রকৌশলীদের নিয়ন্ত্রণে। বিতর্কিত প্রকৌশলীরাও রয়েছে সুবিধাজনক স্থানে। সংস্থার প্রধান কার্যালয়ের ৩৮টি বিলাসবহুল গাড়ির ২৮টি বেহাত রয়েছে। ডিপ্লোমা প্রকৌশল সমিতির একজন বিতর্কিত নেতা চড়ছেন পাজেরো ব্র্যান্ডের গাড়িতে। অথচ মাঠ পর্যায়ের নির্বাহী প্রকৌশলীরা চড়ছেন লক্কড়-ঝক্কর গাড়িতে। এ নিয়ে ডিপ্লোমা ও ডিগ্রিধারী সিভিল ইঞ্জিনিয়ারদের মধ্যে বিরোধ চরমে। প্রধান প্রকৌশলী (চলতি দায়িত্ব) বুলবুল আখতার কমিশন বাণিজ্য ও আধিপত্য টিকিয়ে রাখতে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের পক্ষ নিয়েছেন। ইইডির এই অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের কারণে সংস্থার নিজস্বসহ মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) ১৪টি প্রকল্পের বাস্তবায়ন অগ্রগতি খুবই কম। প্রকল্পের বাস্তবায়ন নিয়ে দু:চিন্তায় পরেছে মাউশি।

জানা গেছে, চলতি বছরের প্রথম দিকে একজন বিতর্কিত ও দু’জন বিএনপিপন্থী প্রকৌশলীকে ইইডি’র প্রধান কার্যালয়ে পদায়ন করা হয়েছে। আওয়ামীপন্থী একজনকে শাস্তিমূলকভাবে বদলি করা হয়েছে সিলেটে। ঠিকাদারদের পরামর্শের ভিত্তিতে পঞ্চগড় থেকে বিএনপিন্থী একজনকে এবং ঝিনাইদহ থেকে অপর একজন প্রকৌশলীকে ঢাকায় পদায়ন করা হয়েছে। আর অবসরপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ওবায়দুল ইসলামকে প্রায় কয়েকজন ঠিকাদারকে সঙ্গে নিয়ে ইইডিতে বৈঠক করতে দেখা যায়। তিনি নিজেকে প্রধান প্রকৌশলীর উপদেষ্টা পরিচয় দিচ্ছেন। বিএনপি-জামায়াতপন্থী এই তিন প্রকৌশলীর বেপরোয়া কর্মকাণ্ডে অস্থির সময় পাড় করছেন আওয়ামী পন্থী প্রকৌশলীরা।

বিএনপি-জামায়াতপন্থীদের দাপটে কোণঠাসা আওয়ামী লীগপন্থীরা এর পরিত্রাণ চেয়ে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের কর্মকর্তা কর্মচারী পরিষদ শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বরাবর একটি লিখিত আবেদন করেছেন। শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর কর্মকর্তা-কর্মচারী পরিষদের পক্ষে মো. খাদেমুল হক স্বাক্ষরিত ওই আবেদনে বলা হয় শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের বর্তমান প্রধান প্রকৌশলী বুলবুল আখতারের নানাবিধ অপকর্ম এবং চরম দুর্নীতির কারণে অত্র দপ্তরের ভাবমূর্তির ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে।

আবেদনে আরো উল্লেখ করা হয় ইঞ্জিনিয়ার বুলবুল আখতারের আপন ছোট ভাই শাখাওয়াত হোসেন মানিক ১৯৯৪ সালে রাজশাহী সিটি কমিটি ইসলামী ছাত্রশিবিরের প্রাক্তন বায়তুল মাল সম্পাদক, বর্তমানে রাজশাহী জামায়াত ইসলামের রোকন রাজশাহীতে শিক্ষা বিভাগে সহকারি পরিদর্শক হিসেবে কর্মরত।

এসব বিষয়ে জানতে ইইডির প্রধান প্রকৌশলী বুলবুল আখতারের ফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

পছন্দের তিন প্রকৌশলীর কাছেই ৬০ শতাংশ উন্নয়ন কাজ:

ইইডির প্রতিবেদন অনুযায়ী, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আরিফুর রহমান সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ২২টি উন্নয়ন প্রকল্পের দায়িত্বে আছেন। প্রকল্পগুলো হলো- ‘সুনামগঞ্জ জেলায় ৩টি বেসরকারি কলেজ উন্নয়ন’, ‘বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফ পাবলিক কলেজ’, ‘গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর ও রাজবাড়ী জেলায় ৩টি বেসরকারি কলেজের অবকাঠামো উন্নয়ন’, ‘মিলিটারি কলেজিয়েট স্কুল, খুলনার অবকাঠামো উন্নয়ন’, ‘নোয়াখালী ও ফেনী জেলার ২টি সরকারি ও ১টি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামো উন্নয়ন’, ‘শেখ রাসেল উচ্চ বিদ্যালয়, সদর, গোপালগঞ্জ ও শেরে বাংলা বালিকা মহাবিদ্যালয়’, ‘সূত্রাপুর, ঢাকা-এর অবকাঠামো উন্নয়ন’, ‘রাজস্ব খাতের অধীনে সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংস্কার (৪৯৩১)’, ‘রাজস্ব খাতের অধীনে সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংস্কার (৭০১৬)’, ‘রাজস্ব খাতের অধীনে সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আসবাবপত্র সরবরাহ’, ‘সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলার ৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামো উন্নয়ন’, ‘তিন পার্বত্য জেলায় বিদ্যমান মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে আবাসিক ভবন নির্মাণ ও নতুন আবাসিক বিদ্যালয় স্থাপন’, ‘কলেজবিহীন ৫ উপজেলায় সরকারি কলেজ স্থাপন’, ‘১শটি উপজেলায় একটি করে টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ (টিএসসি) স্থাপন’, ‘নির্বাচিত মাদ্রাসাসমূহের উন্নয়ন (১৮০০টি)’, ‘নির্বাচিত বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়সমূহের উন্নয়ন’, ‘ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন’, ‘ঢাকা, মাদারীপুর ও রংপুর জেলায় ৩টি কলেজের উন্নয়ন’, ‘সরকারি কলেজ সমূহের বিজ্ঞান শিক্ষার সুযোগ সম্প্রসারণ (২শটি)’, ‘নির্বাচিত বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়সমূহের উর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ’, ‘সদর দফতর ও জেলা কার্যালয় স্থাপনের মাধ্যমে ইইডি শক্তিশালীকরণ’, ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামো উন্নয়ন’ এবং ‘উপজেলা পর্যায়ে ৩২৯টি টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ স্থাপন (২য় পর্যায়)’ প্রকল্প।

অপর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সমীর কুমার রজক দাসের কাছে কব্জায় রয়েছে ২৭টি প্রকল্প। এই প্রকল্পগুলো হলো- ‘কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরাধীন ৬৪টি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের সক্ষমতা বৃদ্ধি’, ‘সিলেট, বরিশাল, রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগে ৪টি মহিলা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট স্থাপন’, ‘বাংলাদেশ ভূমি জরিপ শিক্ষার উন্নয়ন’, ‘কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ উপজেলার লালমাই ডিগ্রি কলেজের অবকাঠামো উন্নয়ন’, ‘৯টি সরকারি কলেজ স্থাপন’, ‘অধিক সংখ্যক শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে বিদ্যমান পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট সমূহের অবকাঠামো উন্নয়ন’, ‘উপকূলীয় এলাকায় ভোলা জেলার তজুমউদ্দিন উপজেলায় নির্বাচিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জলবায়ু প্রভাব সহিঞ্চু অবকাঠামো নির্মাণ’, ‘ময়মনসিংহ জেলার হালুয়াঘাট উপজেলাধীন কুতিকুড়া টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজে জলবায়ু প্রভাব সহিঞ্চু অবকাঠামো নির্মাণ’, ‘সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়সমূহের উন্নয়ন’, ‘পাইকগাছা কৃষি কলেজ স্থাপন’, ‘নির্বাচিত বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়সমূহের ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন’, ‘তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় শিক্ষার মানোন্নয়নের লক্ষ্যে নির্বাচিত বেসরকারি কলেজসমূহের উন্নয়ন’, ‘শিক্ষার মানোন্নয়নের লক্ষ্যে জেলা সদরে অবস্থিত সরকারি পোস্টগ্রাজুয়েট কলেজসমূহের উন্নয়ন’, ‘বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ^বিদ্যালয় স্থাপন’, ‘জাতীয় বিশ^বিদ্যালয়ের ৩টি আঞ্চলিক অফিস স্থাপন’, ‘মালিগাঁও আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়, দাউদকান্দি, কুমিল্লার উন্নয়ন’, ‘কিশোরগঞ্জ জেলার হাওর এলাকার নির্বাচিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহের উন্নয়ন’, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়ের অধিকতর উন্নয়ন’, ‘হাওর এলাকার নির্বাচিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহের উন্নয়ন’, ‘ঢাকা শহরের সন্নিকটবর্তী ১০টি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় স্থাপন’, ‘নির্বাচিত ৯টি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় স্থাপন’, ‘সেকেন্ডারি এডুকেশন সেক্টর ইম্প্রুভমেন্ট প্রোগ্রাম’, ‘ন্যাশনাল একাডেমিক ফর অটিজম অ্যান্ড নিওরো ডেভেলপমেন্ট ডিসএ্যাবিলিটি’, ‘২৩টি জেলায় পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট স্থাপন’, ‘চট্টগ্রাম, খুলনা, রাজশাহী ও রংপুর বিভাগে ১টি করে ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ স্থাপন’ এবং ‘টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুর উপজেলায় কুমুদিনী ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট লি. এর আওতাধীন ভারতেশ্বরী হোমসের উন্নয়ন’ প্রকল্প।

নির্বাহী প্রকৌশলী রফিকুল ইসলামের তত্ত্বাবধানে রয়েছে ছয়টি প্রকল্প ও একটি সংস্থা। এই ছয় প্রকল্প হলো- ‘২৩টি জেলায় পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট স্থাপন’, ‘চট্টগ্রাম, খুলনা, রাজশাহী ও রংপুর বিভাগে ১টি করে ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ স্থাপন’, ‘টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুর উপজেলায় কুমুদিনী ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট লি. এর আওতাধীন ভারতেশ্বরী হোমসের প্রকল্প’, ‘মাদারীপুর জেলার সদর উপজেলার সৈয়দ আবুল হোসেন কলেজের অবকাঠামো উন্নয়ন’ এবং ‘নির্বাচিত বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়সমূহের ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ’ প্রকল্প। পাশাপাশি আইএমইডি’র ইইডি’র কার্যক্রম সমন্বয় করেন রফিকুল ইসলাম।

ইইডি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন একটি প্রতিষ্ঠান। এর প্রধান কার্যালয় ঢাকায় শিক্ষা ভবনে [২য় ব্লক (৯ম তলা), ১৬, আব্দুল গণি রোড] অবস্থিত। সারাদেশে ইইডি’র ৬৫টি জোনাল অফিস রয়েছে। প্রতিটি জোনে একজন নির্বাহী প্রকৌশলী অফিস প্রধানের দায়িত্ব পালন করেন। প্রধান কার্যালয়সহ জোনাল অফিসগুলোতে (আঞ্চলিক কার্যালয়) একজন প্রধান প্রকৌশলীর নেতৃত্বে বর্তমানে মোট ১০ জন তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী, ৩৯ জন নির্বাহী প্রকৌশলী এবং চার শতাধিক ডিপ্লোমা প্রকৌশলী রয়েছেন।

   

বরগুনায় বাড়ছে ডায়রিয়া রোগী, জায়গা নেই হাসপাতালের মেঝেতেও



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, বরগুনা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সারাদেশে তীব্র গরমে হাঁসফাঁস জনজীবন। এরই মধ্যে গরমজনিত নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। তীব্র গরমের মাঝে বরগুনায় বৃদ্ধি পেয়েছে ডায়রিয়ার প্রকোপ। সর্দি-জ্বর, শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন রোগীরা। হাসপাতালগুলোতে যেন তিল ধারণের ঠাঁই নেই। তার ওপর নানা অব্যবস্থাপনায় বেড়েছে ভোগান্তি। হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডে জায়গা না পেয়ে অনেকেই চিকিৎসা নিচ্ছেন হাসপাতালের বারান্দার মেঝেতে।

সিভিল সার্জন অফিসের তথ্যমতে, প্রতিদিন শতাধিক ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী চিকিৎসা নিতে বরগুনা সদর হাসপাতালে আসছেন। এপ্রিলের শুরু থেকে এ পর্যন্ত বরগুনা জেলায় আক্রান্ত প্রায় ৪ হাজার মানুষ ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন।

এদিকে, চিকিৎসক সংকটে চিকিৎসা সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ২৫০ শয্যার হাসপাতালে ৫৬ জন চিকিৎসক থাকার কথা থাকলেও রয়েছেন মাত্র ১৭ জন

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, গত এক সপ্তাতে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ৩৮২ জন ভর্তি হন। আর ভর্তি হওয়া এসব রোগীদের মধ্যে অধিকাংশই শিশু ও বয়স্ক। তবে হঠাৎ করে এভাবে ডায়রিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার শয্যা সংকট দেখা গেছে। বাধ্য হয়ে হাসপাতালের মেঝে ও করিডোরে বিছানা পেতে চিকিৎসা নিচ্ছেন রোগীরা। বরগুনা জেনারেল হাসপাতালসহ অন্যান্য স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ঘুরে এমনই দেখা গেছে।

বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে মেয়েকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসা মোসা. তামান্না নামে এক অভিভাবক বলেন, জ্বর ও ডায়রিয়া নিয়ে গত শনিবার তালতলী থেকে জেনারেল হাসপাতালে আমার মেয়েকে ভর্তি করাই। হাসপাতালে কোনো শয্যা না থাকায় মেঝেতে বিছানা পেতে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে। ভর্তির পর থেকে এখানে শুধু আইভি স্যালাইন দিচ্ছে। বাকি ওষুধপত্র বাইরে থেকে কিনতে হচ্ছে।

ডায়রিয়া আক্রান্ত আ. ছত্তার (৫০) বলেন, হাসপাতালে এসেছি সুস্থ হওয়ার জন্য। কিন্তু এখানের যেই অবস্থা এতে আরও বেশি দুর্বল হয়ে পড়েছি। অনেক রোগী সিট পাইনি, তাই মেঝেতে ঠাই হয়েছে।

হাসপাতালটির তত্ত্বাবধায়ক ডা. একেএম নজমুল আহসান বার্তা২৪.কমকে বলেন, হঠাৎ করে ডায়রিয়ার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ার কারণে একসঙ্গে অনেক রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এজন্য আমাদের চিকিৎসকরা সেবা দিতে কিছুটা হিমশিম খাচ্ছেন।

বরগুনা সিভিল সার্জন প্রদীপ চন্দ্র মন্ডল বলেন, গরমের এ সময় ডায়রিয়া বেড়ে যায়। আবহাওয়া পরিবর্তন ও ময়লাযুক্ত পানি পান করাসহ বিভিন্ন কারণে জেলায় ডায়রিয়ার প্রকোপ বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে এ পরিস্থিতি মোকাবিলায় স্টোরে পর্যাপ্ত ওষুধ মজুদসহ আমাদের সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে। এছাড়াও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে আমাদের নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে।

;

হাটহাজারীতে ট্রেনে কাটা পড়ে এক ব্যক্তির মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
হাটহাজারীতে ট্রেনে কাটা পড়ে এক ব্যক্তির মৃত্যু

হাটহাজারীতে ট্রেনে কাটা পড়ে এক ব্যক্তির মৃত্যু

  • Font increase
  • Font Decrease

 

চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে তেলবাহী ট্রেনে কাটা পড়ে অজ্ঞাত এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) বিকেলে উপজেলার হাটহাজারী পৌরসভার আবুল কালামের মাদ্রাসার সামনে রেললাইনে এ ঘটনা ঘটে।

বিষয়টি বার্তা২৪.কমকে নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম।

স্থানীয়রা জানান, হাটহাজারীর ১১ মাইল এলাকায় ১০০ মেগাওয়ার্ড পিকিং পাওয়ার পয়েন্টের জন্য ফার্নেশ ওয়েল বহনকারী একটি ট্রেনে কাটা পড়ে লোকটি। এসময় তার শরীর থেকে পুরো মাথা বিছিন্ন হয়ে যায়। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করেছে। নিহত ওই ব্যক্তির পরিচয় পাওয়া যায়নি।

ওসি শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা খবর পাওয়ার পর একটি টিম পাঠিয়েছি। এখনো ওই ব্যক্তির পরিচয় পাওয়া যায়নি।’

;

কালীগঞ্জে হিট স্ট্রোকে অটোচালকের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, লালমনিরহাট
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কালীগঞ্জে হিট স্ট্রোকে রাশেদুল ইসলাম (৫৪) নামে এক অটোচালকের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে কালিগঞ্জ উপজেলার উপজেলার মদাতী ইউনিয়নের চামটার হাট বাজারে তার মৃত্যু হয়। 

মৃত রাশেদুল ইসলাম লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার ডাউয়াবাড়ী ইউনিয়নের খোর্দ্দ বিছনদই গ্রামের মৃত বদর উদ্দিনের ছেলে। তিনি আগে পেপার বিক্রেতা ছিলেন। 

স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার সকালে অটোরিক্সা নিয়ে ভোটমারী গোলাম মৃর্তজা ক্লিনিকের মাইকিং করতে করতে চামটার হাট বাজারে যান। সেখানে একটি হোটেলে খাবার খেয়ে বের হওয়ার সময় অসুস্থা হয়ে পড়েন। পরে অসুস্থ হওয়ার পর স্থানীয়রা উদ্ধার করার সময় ঘটনাস্থলে তিনি মারা যান। 

ডাউয়াবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভেকেট মশিউর রহমান বার্তা ২৪ কমকে জানান, প্রচণ্ড গরমের কারণে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। পরে সেখানে তিনি হিট স্ট্রোক করে মারা যান।



;

প্রতিবন্ধীদের মূল ধারায় আনার জন্য সরকারের প্রচেষ্টা আছে: দীপু মনি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনি বলেছেন, সকল প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের মূল ধারায় আনার জন্য একটা বড় প্রচেষ্টা রয়েছে। সেই প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে নীতিমালা তৈরি করা ও আইন তৈরি করা হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) বিকালে শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালায় প্রথম আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী শিল্প উৎসব ঢাকা-২৪ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

তিনি বলেন, যারা প্রতিবন্ধীতায় আক্রান্ত তারা শারীরিক মানসিক নানা ধরনের শিকার হলেও বুদ্ধি ও মননশীলতায় স্বাভাবিক মানু্ষদের মত যে তাই নয়, বরং সৃজনশীলতায় অনেক ক্ষেত্রে বেশিও। তিনি বলেন, আমরা সবসময় কথা বলি বৈষম্য হীনতার সেই স্বপ্নের কথা, সেই সমাজ তৈর করার কথা বলি। আমরা যখন জাতির পিতার কথা বলি তখনো বলি তার বৈষম্যহীনতার জন্য সংগ্রাম করেছিলেন সে কথা।

আমরা অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের নীতি অনুসরণ করছি উল্লেখ করে সমাজকল্যাণ মন্ত্রী বলেন, আইসিটি, অর্থনীতি থেকে শুরু করে সকল পর্যায়ে আমরা অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের নীতি অনুসরণ করছি। আমাদের অনেক কিছু আছে আবার অনেক কিছু নেই সেটাও সত্যি। তবে যেটা সবচেয়ে বেশি যেটা দরকার রাজনৈতিক সদিচ্ছা সেটা আছে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে। সেটা অনেক জায়গায় থাকে না। আমার সর্বস্তরে সচেতনতা তৈরি করাটা এখন প্রয়োজন। আমাদের সরকারি ভবন, কর্মস্থল, পাবলিক স্পেস সব পর্যায়ে আমরা যেন অভিগমনতা নিশ্চিত করতে পারি এটা করা আমাদের জন্য জরুরি।

দীপু মনি বলেন, আমরা চাই বিভিন্নভাবে প্রতিবন্ধকতার শিকার যে শিশুরা রয়েছে তারা যেন সাধারণ সবার সাথে শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে সে ব্যবস্থা তৈরি করা। আর যাদের পক্ষে একেবারেই সম্ভব নয় তাদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করার চেষ্টা করবো। সবার মতই তাদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশের জন্য ক্রীড়া চর্চা, সাংস্কৃতিক চর্চা ব্যবস্থা করা। এটা সবার মতই তাদের জন্যও অপরিহার্য। 

;