বিলবোর্ড-সাইনবোর্ড বৈধ হতে দুই দিন সময় দিলাম: মেয়র আতিক
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকার সকল বিলবোর্ড, সাইনবোর্ড কর্তৃপক্ষকে দুই দিন সময় বেঁধে দিয়েছেন মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। তিনি বলেছেন, রোববার ও সোমবার দুই দিন সময় দিলাম। এরমধ্যে আপনার এসে ট্যাক্স দিন, আপনাদের সাইনবোর্ড বিলবোর্ড ভাঙা হবে না। ১৫ তারিখ থেকে কোনো কিছু দেখব না। অনুমোদনহীন যেই সাইনবোর্ড থাকবে যত বড় লোক হোক না কেন, যত ক্ষমতাশালী হোক না কেন তা ভেঙে ফেলা হবে।
শনিবার (১২ সেপ্টেম্বর) গুলশান-২ এর ৮৩ নং রোডে স্থাপিত বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদ পার্কের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে মেয়র একথা বলেন। ডিএনসিসির ১৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. মফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার রীভা গাঙ্গুলী দাশ, বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার, আওয়ামী লীগ দলীয় সংরক্ষিত সংসদ সদস্য নাহিদ ইজহার খান, ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মমকর্তা মো. সেলিম রেজা, স্থপতি ইকবাল হাবিব প্রমুখ।
মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে যত ধরনের সাইনবোর্ড, বিলবোর্ড সিটি করপোরেশনের অনুমতি ছাড়া পাবো ভেঙে দেবো। যারা বিলবোর্ড, সাইনবোর্ড করেছেন আপনাদের বলবো আপনারা রোববার এবং সোমবার এই দুই দিনের মধ্যে এসে ট্যাক্স দিন, আপনাদের সাইনবোর্ড, বিলবোর্ড ভাঙা হবে না। ১৫ তারিখ থেকে কোনো কিছু দেখব না। অনুমোদনহীন যেই সাইনবোর্ড থাকবে, যত বড় লোক হোক না কেন, যত ক্ষমতাশালী হোক না কেন, যত পাওয়ারফুল মাসেলম্যান হোক না কেন সাইনবোর্ড ভেঙে ফেলবো, যদি অনুমতি না থাকে।
মেয়র বলেন, আপনি ব্যবসা করবেন এই সিটির মধ্যে কিন্তু সাইনবোর্ডের জন্য ট্যাক্স দেবেন না, এই ধরনের বাণিজ্য করার দিন শেষ। আপনার ভুলে যান সেই দিনের কথা, কাজ কিন্তু শুরু হয়ে গেছে। ঢাকা শহরকে পরিষ্কার রাখার জন্য কাজ করে যেতে হবে।
ফুটপাত, রাস্তা দখল করে নির্মাণ সামগ্রী রাখলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানিয়ে মেয়র বলেন, ঢাকার কি অবস্থা? ফুটপাতের মধ্যে লোহা, বালু, রড দিয়ে দখল করা হয়। আমরা অভিযান শুরু করেছি, এই অভিযান চলমান থাকবে। যারা রাস্তার মধ্যে নির্মাণ সামগ্রী রেখে দিয়েছেন, আপনারা সরিয়ে নিন কারণ আমরা যখন সরাতে যাই তখন ফোন আসতেই থাকে। এগুলো আর হবে না। এগুলোর দিন শেষ।
ডিএনসিসি এলাকা ঝুলন্ত তারবিহীন করার ঘোষণা পুনর্ব্যক্ত করে মেয়র বলেন, আগামী ১ অক্টোবর গুলশান থেকে শুরু হবে ঝুলন্ত তার কেটে দেওয়ার অভিযান। তখন আপনারা বলতে পারবেন না ঘরে টেলিভিশন দেখতে পারেন না, ইন্টারনেট নাই। সার্ভিস প্রোভাইডারদের কাছে সবকিছু আছে, কিন্তু তারা অতি মুনাফার জন্য ঝুলন্ত তার রেখে দিয়ে শহরকে নোংরা করছে। তাই ১ অক্টোবর থেকে ঝুলন্ত কোনো তার দেখা যাবে না।
তিনি বলেন, আমরা সিটিকে পরিষ্কার করতে চাই। আমাদের আদরের শহর, আমরা থাকতে চাই সুন্দরভাবে। কেউ কেউ নিজের স্বার্থের জন্য আমাদের ঢাকা শহরের জনগণের স্বার্থকে জলাঞ্জলি দিচ্ছেন। অনেকে বড় বড় হাউজিং করছেন ব্যানার দিয়ে লিখে রাখছেন, লিখতে পারেন সেটারও ট্যাক্স দিতে হবে। এই ঢাকা শহরকে পরিষ্কার করব। এই শহরে থাকতে গেলে, শহরের নিয়ম কানুন মেনে চলতে হবে।