লালমনিরহাটে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত



নিয়াজ আহমেদ সিপন, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লালমনিরহাট
তিস্তা ব্যারাজ

তিস্তা ব্যারাজ

  • Font increase
  • Font Decrease

গত ২৪ ঘণ্টার টানা বর্ষণে তিস্তা ও ধরলার তীরবর্তী নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। পানি বৃদ্ধির কারণে প্লাবিত হয়েছে নিম্নাঞ্চলসহ চরাঞ্চলগুলো। ক্ষতির মুখে পড়েছেন তীরবর্তী কৃষকরা।

বৃহস্পতিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বেলা ১২টার দিকে ধরলা নদীর পানি লালমনিরহাটে বিপৎসীমার ২৫ সেন্টিমিটার ওপরে। তবে তিস্তা ব্যারেজ পয়েন্টে বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটার নিচে প্রবাহিত হচ্ছে।

তিস্তা ও ধরলায় পানি কম থাকলেও বেড়েছে নদ-নদীতে

স্থানীয়রা জানান, উজানের পাহাড়ি ঢল ও গেল ২৪ ঘণ্টার বৃষ্টিতে তিস্তা ও ধরলা নদীর পানি কম থাকলেও বেড়েছে নদ-নদীর পানি। তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল। বন্যার পানিতে ডুবে আছে আবাদি ক্ষেত। গেল বন্যার ধকল না কাটতে ফের বন্যার আশঙ্কায় শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন তিস্তা ও ধরলার তীরবর্তী কৃষকরা।

মফিজুল ইসলাম জানান, গতরাত থেকেই একটানা বৃষ্টি চলছে। যার কারণে পানি বেড়ে ফসলি জমি ডুবে গেছে। এভাবে প্রতি বছর ক্ষতি হতে থাকলে আমাদের বেঁচে থাকা মুশকিল।

তীরবর্তী কৃষক লিটন মিয়া বলেন, শাক-সবজিসহ বিভিন্ন ফসল চাষ করেছি। কিন্তু এক রাতে সব ডুবে গেছে পানিতে। এখন আমাদের সংসার চলা দুষ্কর হয়ে যাবে।

এক রাতে সব ডুবে গেছে পানিতে

দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়ার নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম বলেন, উজানের পাহাড়ি ঢলে তিস্তার পানি প্রবাহ বেলা ১২টায় বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আপাতত সবগুলো জলকপাট খুলে দেওয়া হয়েছে। ভারত ও দেশের এ অঞ্চলে বৃষ্টিপাতের কারণে পানি প্রবাহ ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে বড় ধরনের বন্যার কোনো সতর্কবাণীনেই বলে জানান তিনি।

লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান বলেন, টানা বৃষ্টির কারণে ছোট ছোট নদ-নদীর পানি বেড়ে যায়। এভাবে অনবরত বৃষ্টিপাত হলে বন্যা পরিস্থিতি অবনতির দিকে যেতে পারে।

দেশে খাদ্যের অভাব নেই: শিক্ষামন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশে খাদ্যের অভাব নেই বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

চাঁদপুর সদর উপজেলা অডিটোরিয়ামে শুক্রবার সকালে অবাঙালি বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর শিক্ষার্থীদের মধ্যে শিক্ষাবৃত্তি বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

মন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্বের বহু দেশ যেখানে খাদ্য আমদানিতে হিমশিম খাচ্ছে, সেখানে বাংলাদেশে খাদ্যের অভাব নেই। যুদ্ধাবস্থার কারণে বাংলাদেশে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, কিন্তু এটা সাময়িক; বেশি দিন থাকবে না।’

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমরা পিছনে ফিরে যেতে চাই না। মানুষ এখন আর একই দিন ৫০০ জায়গায় বোমা-গ্রেনেড দেখতে চায় না, মানুষ এখন একই দিনে ৫০০ জায়গায় ব্রিজ আর সড়ক উদ্বোধন হচ্ছে, তা দেখতে চায়।

‘আজকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সারা দেশে দারিদ্র্যসীমা ১৪ ভাগে নেমে এসেছে। হতদরিদ্র নেমে এসেছে ৭ ভাগে। পৃথিবীর কোথাও এত দ্রুত দারিদ্র্য কমে না।’

ওই সময় উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ নুরুল ইসলাম নাজিম দেওয়ান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সানজিদা শাহনাজ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইয়াসির আরাফাত, ভাইস চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী বেপারী, চাঁদপুর প্রেস ক্লাবের সভাপতি এএইচএম আহসান উল্লাহ।

;

উত্তরা থেকে আগারগাঁওয়ে মেট্রোরেলের ৯ স্টেশনই চালু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকাবাসীর স্বপ্নের মেট্রোরেলের উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত সবগুলো স্টেশনে ট্রেন থামা ও যাত্রী উঠা-নামা শুরু হয়েছে।

শুক্রবার (৩১ মার্চ) সকাল ৮টায় মেট্রোরেলের উত্তরা দক্ষিণ ও শেওড়াপাড়া স্টেশন জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে। উত্তরা-আগারগাঁও রুটের নয়টি স্টেশনের মধ্যে ৭টি স্টেশনে এতোদিন ট্রেন থামতো। এখন বাকি দুটি স্টেশনও চালু হওয়ায় এই রুটের সবগুলো স্টেশনেই ট্রেন থামছে।

ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের ম্যানেজার মাহফুজুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, সকাল ৮টায় দুটি স্টেশন যাত্রীদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। এখন যাত্রীরা স্টেশনে প্রবেশ করছে এবং মেট্রোরেলও থামছে।

মেট্রোরেলের উত্তরা থেকে আগারগাঁও অংশে মোট ৯টি স্টেশন রয়েছে। এর আগে পর্যাক্রমে উত্তরা উত্তর (দিয়াবাড়ি), উত্তরা সেন্টার, পল্লবী, মিরপুর-১১, মিরপুর-১০, কাজীপাড়া, ও আগারগাঁও- এই সাতটি স্টেশন খুলে দেওয়া হয়েছিল।

উল্লেখ্য, গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের প্রথম এলিভেটেড মেট্রোরেলের উদ্বোধন করেন। বর্তমানে সকাল সাড়ে ৮টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত যাত্রীসেবা কার্যক্রম পরিচালনা করছে মেট্রোরেল।

;

জলবায়ুর বিষয়ে ন্যায়বিচার এগিয়ে নিতে জাতিসংঘে প্রস্তাব গৃহীত



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাবের ক্ষেত্রে দায়ী রাষ্ট্রগুলোর আইনগত বাধ্যবাধকতার বিষয়ে পরামর্শমূলক মতামত দেওয়ার জন্য আন্তর্জাতিক বিচার আদালতকে অনুরোধ করে একটি সর্বসম্মত প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) ঢাকায় এক সরকারি তথ্য বিবরণীতে এ তথ্য জানানো হয়।

বাংলাদেশসহ ১৭ সদস্যের কোর গ্রুপ এই প্রস্তাবটি উত্থাপন করে। জলবায়ুর বিষয়ে ন্যায়বিচার ও ন্যায্যতার পক্ষে সমর্থনকারী দেশগুলোর জন্য এটি একটি যুগান্তকারী অর্জন।

কোর গ্রুপের পক্ষে রেজুলেশনটি সাধারণ পরিষদে উত্থাপন করেন ভানুয়াতুর প্রধানমন্ত্রী। বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব থেকে রক্ষা করার জন্যে এই রেজুল্যুশনে মানবাধিকার আইনসহ বিদ্যমান আন্তর্জাতিক সব আইন ও স্বীকৃত নীতিমালার ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট দায়ী দেশগুলোর আইনি বাধ্যবাধকতার ওপর পরামর্শমূলক মতামত দেওয়ার জন্য আন্তর্জাতিক বিচার আদালতকে অনুরোধ করা হয়। কার্বন নিঃসরণের ফলে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব থেকে বিশেষ করে ঝুঁকিপূর্ণ বা ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর সুরক্ষার জন্য সংশ্লিষ্ট আইনি পরিণতি সম্পর্কে পরামর্শ দেওয়ার জন্যও এই রেজুলেশনে অনুরোধ করা হয়েছে।

আদালতের পরামর্শমূলক মতামতের গুরুত্বের কথা উল্লেখ করে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘এই ধরনের পরামর্শমূলক মতামত জাতিসংঘ সদস্য দেশগুলোকে জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব মোকাবিলায় আরও সাহসী ও শক্তিশালী ব্যবস্থা নিতে সহায়তা করবে।’

তথ্য বিবরণীতে বলা হয়, সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মাসুদ বিন মোমেন। তিনি বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের ধ্বংসাত্মক ও অপরিবর্তনীয় হুমকির বিষয়ে স্পষ্ট সতর্কতা সত্ত্বেও মানবতার বেঁচে থাকার জন্য যে মাত্রায় বৈশ্বিক উদ্যোগ প্রয়োজন, তার ধারে-কাছেও নেই বিশ্ব সম্প্রদায়। এই রেজুলেশন এবং এর ফলে আন্তর্জাতিক বিচার আদালত থেকে পরামর্শমূলক মতামত দায়ী দেশগুলোর আইনি বাধ্যবাধকতা, ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর অধিকার এবং জলবায়ু পরিবর্তন থেকে মানবজাতিকে রক্ষা করার জন্য সচেতনতা বৃদ্ধিতে কার্যকর ভূমিকা রাখবে।

;

কোম্পানীগঞ্জে আগুনে পুড়ল ১০ দোকান



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নোয়াখালী
কোম্পানীগঞ্জে আগুনে পুড়ল ১০ দোকান

কোম্পানীগঞ্জে আগুনে পুড়ল ১০ দোকান

  • Font increase
  • Font Decrease

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটের আগুনে দশটি দোকান আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। খবর পেয়ে কোম্পানীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট এক ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলার চরএলাহী ইউনিয়নের চরএলাহী বাজারে এ ঘটনা ঘটে। এতে কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে দোকান মালিকরা। তবে এ ঘটনায় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

শুক্রবার (৩১ মার্চ) সকালে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন চরএলাহী বাজার পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো.মিজানুর রহমান মিজান। তিনি বলেন, চরএলাহী বাজারে প্রায় শতাধিক দোকান রয়েছে। রাতে হৃদয়ের ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা গ্যারেজ থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। এ সময় আগুন চারিদিকে ছড়িয়ে পড়লে মুদি দোকান, মোটরসাইকেল গ্যারেজ, ব্যাটারিচালিত অটোেরিকশা গ্যারেজ, কসমেটিকস দোকানসহ ১০টি দোকান পুড়ে যায়।

তিনি আরও জানান, খবর পেয়ে কোম্পানীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে এক ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নেভাতে সক্ষম হয়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, হৃদয়ের ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা গ্যারেজে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে এ আগুনের সূত্রপাত হয়।

কোম্পানীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার মো. জামিল মিয়া বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনো জানা যায়নি। অগ্নিকাণ্ডে কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। তবে দশটি দোকান পুড়ে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা এক ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তদন্ত শেষে জানা যাবে।

;