অফিস করেন না চিকিৎসকরা, তাগাদা দেয়ায় স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে ‘মারধর’
নিয়মিত হাসপাতালে এসে চিকিৎসা সেবা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়ায় রাজশাহীর দুর্গাপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. আসাদুজ্জামানকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেছেন দুই চিকিৎসক।
মঙ্গলবার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পরপরই ওই দুই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও দুর্গাপুর থানায় অভিযোগ করেছেন স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আসাদুজ্জামান।
অভিযুক্ত দুই চিকিৎসক হলেন- দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক ডা. আসফাক আলী ও অর্থোপেডিক কনসালটেন্ট ডা. মো. আবদুল্লাহ।
স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. আসাদুজ্জামান অভিযোগ করেন, দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই তিনি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা ব্যবস্থায় গতি আনার জন্য চেষ্টা করছেন। তবে অধিকাংশ চিকিৎসকরা করোনাভাইরাস পরিস্থিতির দোহাই দিয়ে নিয়মিত অফিস করেন না। প্রায়ই দিনই তারা হাসপাতালে অনুপস্থিত থাকেন।
তিনি জানান, গত ১৫ ও ১৭ সেপ্টেম্বর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. আসফাক ও অর্থোপেডিক কনসালটেন্ট ডা. মো. আবদুল্লাহ কোনো প্রকার ছুটি ছাড়াই অফিস করেন নি। ফলে নিয়ম অনুযায়ী ওই দুই দিন তাদের হাজিরা খাতায় অনুপস্থিত দেখানো হয়। কিন্তু অফিস না করা ওই দু’দিনও তাদেরকে উপস্থিত দেখানোর দাবি করেন তারা।
স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আসাদুজ্জামান বলেন, বিষয়টিতে রাজি না হওয়ায় মঙ্গলবার (২২ সেপ্টেম্বর) ডা. আসফাক ও ডা. আবদুল্লাহ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এসে অনুমতি ছাড়াই আমার দফতরে প্রবেশ করে দরজা বন্ধ করে দেয়। কোনো কথাবার্তা ছাড়াই তারা আমাকে অশ্লীল-অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করতে শুরু করে। আমি তাদেরকে বেরিয়ে যেতে বললে তারা আমাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে। বিষয়টি আমি ইউএনও ও থানা পুলিশকে অবহিত করেছি।
অভিযোগ বিষয়ে ডা. আসফাক ও ডা. আবদুল্লাহ’র সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা গণমাধ্যমে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
জানতে চাইলে দুর্গাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মহসীন মৃধা বলেন, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসকদের মধ্যে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে। এ বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।