তরুণরাই ডিজিটাল বিপ্লবের যোদ্ধা: টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

তরুণরাই ডিজিটাল বিপ্লবের যোদ্ধা, তাদেরকে দক্ষ মানব সম্পদ হিসেবে গড়ে তুলতে পারলে তাদের হাত ধরেই বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।

তিনি বলেছেন, তরুণরা অত্যন্ত মেধাবী। তাদেরকে দক্ষ মানবসম্পদে রূপান্তরে শিক্ষায় ডিজিলাইজেশন যাত্রা আমরা শুরু করেছি। গ্রাম ও শহরের মধ্যে ডিজিটাল ডিভাইড দূর করার মাধ্যমে সকলের জন্য সমান সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে কাজ শুরু হয়েছে। তিনি তরুণ সমাজকে ডিজিটাল যুগের যোগ্য সৈনিক হিসেবে গড়ে তুলতে সরকারের পাশাপাশি শিক্ষক-অভিভাবকসহ সংশ্লিষ্ট বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাতে ঢাকায় ওয়েবিনারে ইয়ুথ এমপাওয়ারমেন্ট ফেসিলিটেশন- গ্লোবাল আয়োজিত দক্ষতা উন্নয়ন বিষয়ক প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারী সফল প্রশিক্ষণার্থীদের মধ্যে সার্টিফিকেট প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী প্রচলিত প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার সাথে বিদ্যমান কর্মক্ষেত্রের বাস্তবতা তুলে ধরে বলেন, শিক্ষার্থীদের আজকের বৈশ্বিক ডিজিটাল জীবনধারার সাথে তাদের শিক্ষাজীবনের সামঞ্জস্যহীনতার কারণে কর্মক্ষেত্রে তারা বাস্তবতার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার দক্ষতা পায় না। তবে তাদেরকে একটু গাইড করতে পারলে, প্রশিক্ষণের মাধ্যমে একটু দক্ষ করতে পারলে তারা অসম্ভবকে সম্ভব করতে সক্ষম। এর বাইরে শিক্ষার্থীরাও ইন্টারনেট থেকে নিজে নিজেই দক্ষতা অর্জন করতে পারে। ইন্টারনেট হচ্ছে জ্ঞান ভাণ্ডার।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, পৃথিবীতে ডিজিটাল যুগ এসে গেছে। করোনা বিষয়টি আরও স্পষ্ট করেছে, মানুষের মধ্যে ডিজিটাল সংযোগ স্থাপনের এখন হিড়িক পড়ে গেছে। প্রত্যন্ত গ্রামের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর চাহিদা এখন ডিজিটাল ডিভাইস ও দ্রুতগতির ইন্টারনেট। ২০০৮ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টি সম্পন্ন ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচির সফল বাস্তবায়নের ফলে আমরা মানুষের জীবনযাত্রাকে পাল্টে দিতে অনেকাংশেই সফল হয়েছি। প্রত্যন্ত গ্রামে বসেও ইন্টারনেটের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারছে। আমরা যদি আমাদের পপুলেশন ডিভিডেন্টের সুযোগটা যথাযথভাবে কাজে লাগাতে পারি আমাদের অগ্রগতির অগ্রযাত্রা অনিবার্য।

মন্ত্রী আরও বলেন, অগ্রগতির এই অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে ২০৪১ সালের আগেই জ্ঞানভিত্তিক ডিজিটাল সাম্য সমাজ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর লালিত স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠিত হবে। অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হাফিজ মোহাম্মদ হাসান বাবু, সিটিও ফোরাম বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি তপন কান্তি সরকার, ইয়ুথ এমপাওয়ারমেন্ট ফেসিলিটেশন এর সভাপতি কাজী হাসান রবিন এবং শিক্ষার্থী ফাতিমা নাহিদ বক্তৃতা করেন।

বক্তারা, প্রচলিত শিক্ষায় শিক্ষিত তরুণদেরকে মানব সম্পদ হিসেবে তৈরি করার জন্য প্রযুক্তি বিষয়ক জ্ঞানের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তারা বলেন, গ্রামের সুবিধা বঞ্চিত তরুণদেরকেও গুরুত্ব দিয়ে দেখতে হবে। তাদেরকে উপযুক্ত প্রশিক্ষণ দিয়ে ছেড়ে দিলে তারাই তাদের পথ চিনে নিতে সক্ষম হবে।