‘৬৪ জেলায় একটি করে মডেল পুকুর তৈরি করা হবে’
মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্পের পরিচালক মো. আলীমুজ্জামান চৌধুরী বলেছেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে আমরা মৎস্য অধিদপ্তরের জলাশয় সংস্কারের মাধ্যমে ৬৪টি জেলায় একটি করে আধুনিক মডেল পুকুর তৈরি করবো। যে পুকুরগুলোতে সর্বাধিক আধুনিক প্রযুক্তি ও উপকরণ ব্যবহার করা হবে।
শনিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে করোনাভাইরাস মহামারিতে ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনের অংশ হিসেবে জলাশয় সংস্কারের মাধ্যমে মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্পের আওতায় রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দির সদর ইউনিয়নের ইকরচর গ্রামের মরা চন্দনা নদীতে ১৫০ কেজি বিভিন্ন প্রজাতির মাছের পোনা অবমুক্তকরণ অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।
এসময় তিনি আরও বলেন, করোনার প্রভাবে আজ সারা বিশ্ব বড় ধরনের আর্থিক সংকটে পড়েছে। বাংলাদেশেও আর্থিক খাতে বড় একটা ঝাঁকুনি দিয়েছে। কিন্তু বর্তমান সরকারের সঠিক সিদ্ধান্ত ও পরিকল্পনার কারণে আস্তে আস্তে দেশ ঘুরে দাঁড়াচ্ছে।
মাছের পোনা অবমুক্তকরণ শেষে তিনি ২৫ জন সুফলভোগীদের মাঝে মাছের খাদ্য সামগ্রী বিতরণ, বৃক্ষরোপণ এবং তাদের দিনব্যাপী প্রশিক্ষণের উদ্বোধন করেন।
বালিয়াকান্দি উপজেলা মৎস্য দপ্তরের বাস্তবায়নে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আবদুল মান্নাফের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা কৃষিবিদ জয়দেব পাল, সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নায়েব আলী শেখ, মৎস্য সম্প্রসারণ কর্মকর্তা শাহাদত ইসলাম, সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মো. রবিউল হক প্রমুখ।
উল্লেখ্য, জলাশয় সংস্কারের মাধ্যমে মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্পে বর্তমান ৬৪টি জেলার ৩৬৯টি উপজেলায় এই প্রকল্প চালু রয়েছে। দুই বছর মেয়াদে এই প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৪০৯ কোটি টাকা এবং এই প্রকল্পের আওতায় ২৬ হাজার হেক্টর জলায়শকে মৎস্য উৎপাদনের আওতায় আনা হবে। ইতিমধ্যে ১৪ হাজার হেক্টর জলাশয়কে মৎস্য উৎপাদনের আওতায় আনা হয়েছে।