সিলেটে গণধর্ষণ ও নাগরিক নিরাপত্তা



খালেদ উদ-দীন
ঐতিহ্যবাহী সিলেট

ঐতিহ্যবাহী সিলেট

  • Font increase
  • Font Decrease

সিলেটে যেখানে গৃহবধূকে গণধর্ষণ করা হয়েছে, সে জায়গাটি আমার বাড়ি থেকে সন্নিকটে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই অপরাধের বিষয়টি আমাদের ভাবিয়ে তুলেছে। শুধু আমাদেরই নয়, সমগ্র সিলেট তথা দেশবাসীই এই জঘন্যতম নারী নির্যাতনের ঘটনায় ক্ষুব্ধ ও উদ্বিগ্ন।

অথচ ঐতিহ্যবাহী সিলেট পূণ্যভূমি বা আধ্যাত্মিক শহর বলে পরিচিত। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে অপরূপ এই অঞ্চল ছোটো ছোটো টিলা বেষ্টিত চা বাগান ও পীর আউলিয়ার মাজরের জন্য বিখ্যাত। এই জনপদের মানুষের আত্মীয়তা ও সহাবস্থান গৌরবের বিষয়। কিন্তু গত ২৫ সেপ্টেম্বরে গণধর্ষণ জনমনে আতঙ্কের কারণ হয়ে ওঠেছে। শুক্রবার রাতে নগরীর টিলাগড় এলাকায় এমসি কলেজ ছাত্রাবাসের ৭ নম্বর ব্লকের একটি কক্ষের সামনে তরুণীকে গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এক তরুণী স্বামীর সঙ্গে নিজেদের গাড়িতে করে শুক্রবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে এমসি কলেজ এলাকায় বেড়াতে যান। গাড়িটি চালাচ্ছিলেন তার স্বামী। সন্ধ্যার পর কলেজের প্রধান ফটকের সামনে গাড়িটি রেখে একটি দোকান থেকে তারা কেনাকাটা করেন। পরে ফিরে গাড়িতে বসে গল্প করছিলেন তারা। রাত ৮টার দিকে পাঁচজন যুবক তাদের গাড়িটি ঘিরে ধরে স্বামী ও স্ত্রীকে জোর করে গাড়ি থেকে নামান। তিনজন যুবক তরুণীকে টেনে ছাত্রাবাসের ৭ নম্বর ব্লকের একটি কক্ষের সামনে নিয়ে যান। স্বামীকে তখন গাড়িতে আটকে রেখেছিলেন দুজন যুবক। ঘণ্টাখানেক পর তাকে ছেড়ে দেওয়া হলে তিনি এমসি কলেজ ছাত্রাবাসের ৭ নম্বর ব্লকের একটি কক্ষের সামনে গিয়ে স্ত্রীকে বিধ্বস্ত অবস্থায় দেখতে পান।

বিভিন্ন মাধ্যমে জানা যাচ্ছে এর সঙ্গে কলেজের বর্তমান ও প্রাক্তন ছাত্ররাও জড়িত এবং জানা যাচ্ছে এরা ছাত্রলীগের কর্মীও। অনাকাঙ্ক্ষিত এই ঘটনা সামগ্রিক বিচার বিশ্লেষণের দাবি রাখে। কারণ এই গণধর্ষণসহ সামাজিক অপরাধ প্রবণতা বেড়ে যাওয়ায় নাগরিক নিরাপত্তার বিষয়টি প্রশ্নের মুখে পড়েছে।

খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, চলতি বছরের প্রথম চার মাসে সিলেট জেলা ও মহানগর এলাকায় ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে ৭৬টি! এর মধ্যে জেলা পুলিশের আওতাধীন ১৩টি থানায় ৫০টি এবং মহানগর পুলিশের আওতাধীন ৬টি থানায় ২৬টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। করোনাকালের বিভীষিকার মধ্যেও এহেন নারকীয় অপরাধ সবাইকে চিন্তিত করেছে।

সিলেট জেলা পুলিশের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যানুসারে, চলতি বছরের প্রথম মাস তথা জানুয়ারিতে ৪ জন নারী ও ৬ শিশু ধর্ষিত হয়েছে। ফেব্রুয়ারিতে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে ১৪টি। এর মধ্যে ধর্ষিতার তালিকায় রয়েছে ৭ শিশু। এ বছর এখনও পর্যন্ত সিলেট জেলায় সবচেয়ে বেশি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে মার্চ মাসে। এ মাসে ৯ জন নারী আর ১০ শিশু লাম্পট্যের কবলে পড়েন।

সিলেট মহানগর পুলিশের (এসএমপি) কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্য বলছে, জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত সময়ে এসএমপির ৬টি থানা এলাকায় ২৬টি ধর্ষণ সংঘটিত হয়েছে। এর মধ্যে ২১টি ধর্ষণের ঘটনাই জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে ঘটেছে। এরপর এ ধরনের ঘটনা কমে আসে। মার্চে ৪টি ও এপ্রিলে ১টি ধর্ষণের ঘটনা লিপিবদ্ধ হয়েছে পুলিশের খাতায়। আমরা যখন এসব অপরাধ প্রসঙ্গে পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ে কথা বলি, তখন তারা অবশ্য একই কথা বলেন। আর তা হলো, ‘যতোগুলো ঘটনা ঘটে, পুলিশ প্রত্যেকটি ঘটনায় যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। মামলা হয়েছে, অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হয়েছে।

কিন্তু বাস্তবে নগরের অপরাধ প্রবণতা কমার আলামত দেখা যায় না। আর অপরাধীরাও থেমে নেই। তাদের চলাফেরা ও কর্মকাণ্ড দেখে মনে হয় না পুলিশের তৎপরতা বা সামাজিক প্রতিরোধের কোনও সুফল পাওয়া যাচ্ছে। করোনার কারণে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দীর্ঘদিন থেকে বন্ধ হলেও বেরিয়ে পড়েছে শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ। এমন অবস্থায় সামাজিক নিরাপত্তায় অধিকতর গুরুত্ব দেওয়া দরকার।

আরেকটি সমস্যা হলো, সিলেটের বিনোদন কেন্দ্রের অপ্রতুলতা। সিলেট শহরে বা আশপাশে বেড়ানোর স্থান নেই বললেই চলে। বিকেল হলেই মানুষ ঘর থেকে বেরিয়ে পরে। ফলে দেখা যায়, নির্দিষ্ট কিছু স্থানে মানুষের উপচে পড়া ভিড়। সম্প্রতি বাইশটিলা, গোয়াবাড়ি ওয়াকিং ব্রিজ এমনকি ক্রিন ব্রিজের পাশেও যে হারে মানুষ যাচ্ছে তাতে সহজেই বুঝা যায় একটি বিভাগীয় শহরের অপর্যাপ্ত বিনোদন কেন্দ্রের সংকটের চিত্র।

১৮৯২ সালে প্রতিষ্ঠিত এমসি কলেজ বাংলাদেশের অন্যতম প্রাচীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। নগরের টিলাগড় এলাকায় ৬০০ শতক জায়গার ওপর ১৯২০ সালে ব্রিটিশ আমলে আসাম ঘরানার স্থাপত্যরীতির ছাত্রাবাস ও আশপাশের পরিবেশ বেশ মনোরম। কলেজ ক্যাম্পাসে সারাদিনই দর্শনার্থীদের আনাগোনা থাকে। বিকেল হলেই স্থানীয় লোকজন এবং শহরের অনেকেই এখানে হাঁটতে আসেন। এমন স্থানে বহিরাগত বখাটেদের কঠোরভাবে দমন করে রাখতে হয়। কিন্তু সেটা করা হয়নি। ফলে ভয়াবহ গণধর্ষণের ঘটনা ঘটলো।

পরিকল্পিত নগর পরিকল্পনা নিয়ে অবকাঠামোর পাশাপাশি বিনোদন বা অবসর যাপন কেন্দ্র স্থাপন করা এখন সময়ের দাবি। সিলেটে সাধারণ নাগরিকের অবাধ চলাফেরা করার যে পরিবেশ দীর্ঘদিন থেকে বিদ্যমান তা কোনও ভাবে নষ্ট হোক, এটা কখনও কাম্য নয়। অথচ সেটা ক্রমশ বিনষ্ট হচ্ছে। এর জন্য বারবার প্রশ্ন ওঠেছে রাজনৈতিক আশ্রয় প্রশ্রয়ের। সবাই কিন্তু বিশ্বাস করি অপরাধীর কোনো দল থাকতে পারে না। তাকে আইনের হাতে তুলে দিতে হবে। প্রশাসনকে কঠোর হতে হবে। সিলেট জনপদের ঐতিহ্য ও সুনাম এভাবে দেশের কাছে কলঙ্কিত হোক তা কারও কাম্য হতে পারে না।

লেখক অধ্যাপক ও সাহিত্যিক

   

সকাল ৯টার মধ্যে ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের পূর্বাভাস



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ওপর দিয়ে বইছে তীব্র তাপপ্রবাহ। গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন। হাসপাতালে বাড়ছে রোগীর সংখ্যা। এর মধ্যে সিলেটের ওপর দিয়ে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়সহ বজ্রবৃষ্টি হওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। 

আবহাওয়া দফতরের নদীবন্দরের জন্য দেয়া সতর্কবার্তা অনুযায়ী শনিবার (২৭ এপ্রিল) সকাল ৯টার মধ্যে এই ঝড় বয়ে যাওয়ার কথা।

সতর্কবার্তায় বলা হয়, সকাল ৯টার মধ্যে সিলেটের বিভিন্ন এলাকার ওপর দিয়ে পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে দমকা ও ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

এসব এলাকার নদীবন্দর সমূহকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এদিকে মধ্যরাতে ঘণ্টার বেশি সময়ে বৃষ্টিতে সিলেট নগরীসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলা ভিজেছে। রাত আটটার পর থেকে নগরে বইতে শুরু করে বাতাস। পরে রাত ১১টার দিকে নামে ঝুম বৃষ্টি।

এছাড়া মে মাসের শুরুতে দেশে বৃষ্টিপাত বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ। 

আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক সময় সংবাদকে জানান, এপ্রিল জুড়েই থাকবে তাপপ্রবাহ। তবে মে মাসের শুরুতেই সারাদেশে বৃষ্টিপাত হতে পারে। এরপরই গরম কমে আসবে।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সন্ধ্যায় আবহাওয়া বার্তায় জানানো হয়, বর্ধিত পাঁচ দিনের শেষের দিকে দেশের উত্তরপূর্বাঞ্চল ও দক্ষিণপূর্বাঞ্চলে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বাড়তে পারে। 

;

ধানমন্ডির সীমান্ত স্কয়ারে আগুন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকার শপিং মল সীমান্ত স্কয়ারে আগুনের ঘটনা ঘটেছে। পরে ফায়ার সার্ভিসের ৫টি ইউনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

শুক্রবার (২৭ এপ্রিল) রাত ১টার দিকে আগুনের সূত্রপাত হয়। 

ফায়ার সার্ভিস সূত্র জানায়, রাত ১টা ১৫ মিনিটের দিকে আগুনের তথ্য পাওয়া যায়। ৬তলা শপিং মলের তৃতীয় তলার আর কে ইলেকট্রনিকস নামের একটি মোবাইলের দোকানে আগুন লাগে। আগুনে দোকানটি পুড়ে গেছে। তবে অন্যকোনো দোকানের ক্ষতি হয়নি। ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা ২টা ১৬ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। আর ৩টা ২২ মিনিটে আগুন সম্পূর্ণ নির্বাপণ করা হয়।

মোহাম্মদপুর ও পলাশী স্টেশনের ৫টি ইউনিট আগুন নেভাতে কাজ করে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক গোলযোগ থেকে আগুনের সূত্রপাত। তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তদন্ত সাপেক্ষে বলা যাবে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। 

;

ভালুকায় ছেলের হাতে বাবা খুন



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ময়মনসিংহ
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ময়মনসিংহের ভালুকায় ছেলের হাতে মজিবুর রহমান পান্না (৫৫) নামে এক শিক্ষক খুন হয়েছে। এ ঘটনা ছেলে মারুফ আহমেদ রাব্বীকে (১৮) আটক করছে ভালুকা মডেল থানা পুলিশ।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) রাতে উপজেলার পূর্ব ভালুকা কোনাপাড়া এলাকায় এ ঘটনায় ঘটে। 

নিহত মজিবুর রহমান পান্না ওই এলাকার মৃত সালামত সরকারের ছেলে এবং সে একই এলাকার মিরকা হাসিনা বানু উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র সহকারী শিক্ষক।

ভালুকা মডেল থানা ইনচার্জ (ওসি) শাহ কামাল আকন্দ ঘটনাটির সত্যতা নিশ্চিত করেন।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানায়, নিহত মজিবুর রহমান পান্না পরিবারকে না জানিয়ে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। কিন্তু পারিবারিক অশান্তি কারণে কিছুদিন পূর্বে তালাক দেন। এর পর থেকেই পরিবারে কলহ বাঁধে। এ ঘটনায় প্রথম স্ত্রীর ছেলে কলেজ পড়ুয়া মারুফ আহমেদ রাব্বির সাথে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে হাতে থাকা কলম দিয়ে এলোপাথাড়ি আঘাত করে, এতে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে স্থানীয়রা আহত অবস্থায় ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক মজিবুর রহমান পান্নাকে মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে ভালুকা মডেল থানার পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে এবং ঘাতক ছেলে রাব্বীকে আটক করেন।

ভালুকা মডেল থানার ইনচার্জ (ওসি) শাহ কামাল আকন্দ জানান, নিহতের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে এবং এ ঘটনার পর ছেলে রাব্বিকে আটক করা হয়েছে। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে ।

;

তাপদাহে পুড়ছে দেশ, সিলেটে মুষলধারে বৃষ্টি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিলেট
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সারাদেশে যখন তীব্র তাপদাহ চলছে তখন সিলেটে বারবার দেখা যাচ্ছে ব্যতিক্রম চিত্র। টানা কয়েকদিন গরমের কারণে হাঁসফাঁস করছিল লোকজন। এর মধ্যে মুষলধারে বৃষ্টিতে ভিজলো সিলেট।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) দিবাগত রাত ১১টা থেকে সিলেটে শুরু হয় মুষলধারে বৃষ্টিপাত। রাত সোয়া ১টায় পর্যন্ত বৃষ্টি অব্যাহত ছিল। বৃষ্টির সাথে ছিল ঝড়ো হাওয়া। এতে কমে গরমের অস্বস্তি ভাব।

সিলেট নগরীর শেখঘাট এলাকার গৃহবধূ ঝর্ণা আক্তার বলেন, সারাদিন অনেক গরম ছিল।বাচ্চাদের নিয়ে অনেক কষ্টে দিন পার করতে হয়েছে। রাতের বৃষ্টি হওয়া শীতল হাওয়া লাগছে।

গোলাপগঞ্জের সাকিব আল-মামুন বলেন, ছুটির দিন হওয়াতে অনেকেই বাইরে ঘুরতে বের হন।কিন্তু প্রচুর গরম হওয়ার কারণে অনেকেই অস্বস্তি বোধ করতে দেখা যায়।আমাদের এখানে দেশের অন্যান্য স্থান থেকে গরম অনেক কম।

এর আগে গত ২১ এপ্রিলও সারাদেশে তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যে সিলেটে স্বস্তির বৃষ্টি দেখা মিলে।

এদিকে আবহাওয়া সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সারাদেশে একই তাপমাত্রা থাকলেও বিপরীত চিত্র সিলেটে। সিলেটের তাপমাত্রা দেশের অন্যান্য অঞ্চল থেকে একটু সহনশীল। যার কারণে নাগরিক জীবনে কোনো অস্বস্তিকর প্রভাব পড়েনি। মেঘালয়ের পাদদেশে অবস্থান ও বৃষ্টি প্রবণ এলাকা হওয়ায় সিলেটে এখনো তাপমাত্রা কম রয়েছে।

সিলেট আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা শাহ মোহাম্মদ সজিব হোসেন বলেন, ‘কালবৈশাখি মৌসুমে আবহাওয়া এমনই থাকবে। কখনো বৃষ্টি হবে, কখনো ঝড় হবে আবার কখনো তীব্র তাপপ্রবাহ হবে। বৃষ্টি হবে যে সেটার পূর্বাভাস আগেই ছিল। তবে ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে সিলেটে দেশের অন্যান্য জায়গার চেয়ে গরম অনেক কম অনুভূত হচ্ছে।’ 

;