টাঙ্গাইলে একটি মোরগের দাম ২০ হাজার টাকা!
টাঙ্গাইলের নাগরপুরে একটি মোরগ জবাই করার অপরাধে গ্রাম্য সালিশে জরিমানা স্বরূপ এর দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ২০ হাজার টাকা। এর আগে মোরগটি ঘরের পড়ার টেবিলে মলত্যাগ করায় সেটিকে জবাই করে মালিককে বুঝিয়ে দেয়া হয়। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার দপ্তিয়ার ইউনিয়নের ভুগোলহাট গ্রামে।
জানা গেছে, উপজেলার ভুগোলহাট গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক বাবুর একটি মোরগ প্রতিবেশী আব্দুল হালিমের ঘরে ঢুকে তার কলেজ পড়ুয়া ছেলে রাকিবের পড়ার টেবিলে মলত্যাগ করে। এ সময় রাকিব মোরগটির উপর ঢিল ছুড়লে মোরগটি আহত হয়। পরে মোরগটি মরে যেতে পারে ভেবে সেটি জবাই করে মালিক আব্দুর রাজ্জাক বাবুকে দিয়ে দেন। পরে মোরগ জবাই নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এরপরও মোরগটি আব্দুর রাজ্জাক বুঝে নিয়ে রান্না করে খান।
পরে স্থানীয় মাতব্বরদের কাছে মোরগ মারার বিচার চান রাজ্জাক।গত ২৮ আগস্ট স্থানীয় মাতাব্বর আব্দুল কুদ্দুস মিয়ার সভাপতিত্বে শালিসি বৈঠকে মোরগের দাম ধার্য করা হয় ২০ হাজার টাকা। এছাড়া কলেজ পড়ুয়া রাকিবকে দেওয়া হয় শারীরিক শাস্তি। বাধ্য হয়ে রাকিবের বাবা আব্দুল হালিম দুইবারে জরিমানার ২০ হাজার টাকার মধ্যে ৮ হাজার টাকা পরিশোধ করে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। বাকী ১২ হাজার টাকার জন্য হালিমের পরিবারকে চাপ প্রয়োগ ও ভয়ভীতি দেখায় রাজ্জাক ও স্থানীয় মাতব্বররা।
এদিকে স্থানীয়দের চাপের কারণে কোনো উপায় না পেয়ে আব্দুল হালিম গত ২১ সেপ্টেম্বর টাঙ্গাইল আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন।
মোরগের মালিক আব্দুর রাজ্জাক বাবু জানান, দুই দফায় জরিমানার আট হাজার টাকা পেয়েছি এখনও ১২ হাজার টাকা পাবো।
ভুক্তভোগী আব্দুল হালিম জানান, ছেলে ভুল করে প্রতিবেশীর একটি মোরগকে আঘাত করেছে। মালিককে ডেকে এনে তার মোরগটি বুঝিয়ে দেয়া হয়েছিল। দুই দফায় ৮ হাজার টাকা দিয়ে ক্ষমা চেয়েও রেহাই পায়নি। বাকি ১২ হাজার টাকার জন্য তাকে বিভিন্ন ভাবে চাপ দেয়া হচ্ছে।