‘শেখ হাসিনা বেঁচে থাকতে কোনো যুদ্ধাপরাধীর ঠাঁই এদেশে হবে না’



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বেঁচে থাকতে কোনো যুদ্ধাপরাধীর ঠাঁই এ দেশে হবে না বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ।

সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীর ধানমন্ডির রবীন্দ্র সরোবরে প্রধানমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ৭৪তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোকচিত্র প্রদর্শনীর সমাপনী দিনের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

হানিফ বলেন, শেখ হাসিনা একটি নাম। শুধু এই বাংলাদেশে নয়, এই উপমহাদেশে এক উজ্জ্বল নক্ষত্র শেখ হাসিনা। জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের সন্তান শেখ হাসিনা। বাংলাদেশের গরিব-দুঃখী মানুষের আশ্রয়স্থল জননেত্রী শেখ হাসিনা। এ দেশের অর্থনীতির মুক্তি ও জাতির আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণের একটি নাম শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনা এক সাথে ১৬ জন স্বজনকে হারিয়েছিলেন। তিনি বিদেশে থেকে বাবা, মা, ভাই-বোন হারানোর খবর পেয়েছিলেন। আজকে যারা গণতন্ত্রের সবক দেন, সেইদিন গণতন্ত্র কোথায় ছিল ? আইন করে একটি পরিবারের সকল সদস্যকে হত্যা করার পরও বিচার করার পথ বন্ধ করে দিয়েছিলো। অনেক সময় দেখা যায় ক্ষমতা পালাবদলের সময় দুই একটা নিহতের ঘটনা ঘটে। কিন্তু পরিবারের সকল সদস্যকে হত্যার নজির পৃথিবীর কোথাও নেই। এটা ছিলো ৭১ সালের প্রতিশোধ। তার প্রমাণ পরবর্তীতে ক্ষমতায় এসে খুনি জিয়াউর রহমান রেখেছিলেন।

আওয়ামী লীগের এই নেতা আরও বলেন, শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে আসতে দেয়নি জিয়াউর রহমান। কিন্তু ১৯৮১ সালে আন্তর্জাতিক চাপের কারণে শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে আসতে দিতে বাধ্য হয়েছিল। এক পর্যায়ে স্বজন হারানো ব্যথা নিয়ে বাংলাদেশে আসলেন শেখ হাসিনা। সেই দিন তিনি বলেছিলেন, আমি এসেছি এদেশে আমার বাবা হত্যার বিচার চাইতে।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, কোনো বাঁধাই শেখ হাসিনাকে থামাতে পারেনি। তিনি বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচার করেছেন। বাকিদের দেশে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া শুরু করেছেন। একইভাবে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কোনো বাঁধাই ঠেকাতে পারে নি। বিচার হয়েছে। যুদ্ধাপরাধীদের অনেকেরই ফাঁসি হয়েছে। এখনো বিচার কার্যক্রম চলছে। বাকিদেরও বিচার হচ্ছে। শেখ হাসিনা যত দিন বেঁচে থাকবেন ততদিন এ দেশে কোনো যুদ্ধাপরাধীদের ঠাঁই হবে না।

তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার দেশটাকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে গিয়েছিল। ওই রাষ্ট্রকে শেখ হাসিনা উন্নয়নশীল রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্বের কাছে রোল মডেল হিসেবে দাঁড় করিয়েছেন। করোনার মধ্যে শেখ হাসিনা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দুযোর্গ মোকাবিলা করেছেন। আজকে বাংলাদেশকে ডিজিটাল আধুনিক দেশ গড়ে তুলেছেন।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল কুদ্দুস এমপি বলেন, আজ একটি ঐতিহাসিক মুহূর্তে আমরা সবাই এখানে উপস্থিত হয়েছি। আজ এক অপরাজেয় নেত্রীর শুভ জন্মদিন। তিনি ইতিহাসের মহানায়ক জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর কন্যা। বাংলার বীর কন্যা। তার আজ ৭৪তম জন্মদিন। আজকে এই দিনে চলনবিলের ৫০ লাখ মানুষের পক্ষ থেকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য সানজিদা খানম বলেন, একজন সৎ ও দক্ষ মানুষের আজকের এই দিনে জন্ম হয়েছিল। সেই মানুষটি হলেন জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে যেমন আমাদের দেশ স্বাধীন হতো না, তেমনি শেখ হাসিনার জন্ম না হলে আজকে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সেই সোনার বাংলাদেশ আমরা পেতাম না।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম বলেন, আমি অনেক গর্বিত। কারণ প্রধানমন্ত্রী আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলেন। দেশে ফিরে গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার করতে গিয়ে যা যা করতে হয় তিনি তা করেছিলেন। এছাড়াও শিক্ষার বিষয়টিও তিনি খুব গুরুত্ব দিয়ে দেখেছেন। নারীর ক্ষমতায়ন সহ অনেক যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত তার হাত ধরে এসেছে।

প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে সাবেক আইজিপি এ কে এম শহীদুল হক বলেন, বহু গুণের অধিকারী বঙ্গবন্ধুর কন্যা। উনার মধ্যে বঙ্গবন্ধুর প্রতিচ্ছবি আমরা দেখতে পাই। বঙ্গবন্ধুর অনেক গুণ উনার মধ্যে রয়েছে এবং সেই ভাবেই তিনি দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। রাজনৈতিক প্রজ্ঞা থাকার কারণে প্রত্যেকটি ক্ষেত্রেই দেশ এগিয়ে গেছে।

গৌরব’৭১ আয়োজিত ‘প্রজন্মের প্রার্থনা, শতায়ু হোক শেখ হাসিনা’ স্লোগানে আলোকচিত্র প্রদর্শনীর আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি এসএম মনিরুল ইসলাম মনি।

সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এফ এম শাহীনের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।

এছাড়াও রাতে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। আজ রাত সাড়ে ১১টায় বাংলাদেশ সরকারের ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং গৌরব’৭১ এর যৌথ উদ্যোগে ডিজিটাল প্ল্যাটফরমে যাত্রা শুরু করবে এই আলোকচিত্র প্রদর্শনীটি।

   

ধোবাউড়ায় টানা ২য় বার নির্বাচিত হলেন ডেভিড রানা চিসিম 



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ময়মনসিংহ
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ময়মনসিংহের ধোবাউড়ায় টানা দ্বিতীয় বার উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছে উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ডেভিড রানা চিসিম। 

বুধবার (৮ মে) সকাল ৮ থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে উপজেলার ৫৪ টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ কর হয়েছে। ভোট গণনার পর ফলাফল ঘোষণা করেন সহকারী রির্টানিং কর্মকর্তা রেজাউল করিম। 

উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদে আনারস প্রতীকে  ২৮ হাজার ৬৩৫ ভোট পেয়ে  নির্বাচিত হয়েছেন ডেভিড রানা চিসিম। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ডা. আসাদুজ্জামান আকন্দ সাগর ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ২১ হাজার ৩৪৮ ভোট। 

এছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন জাহাঙ্গীর আলম মাইক প্রতীকে পেয়েছেন ২৫ হাজার ৩৭৩ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আজহারুল ইসলাম খায়রুল পেয়েছেন ২০ হাজার ২৩৫ ভোট।

নারী ভাইস চেয়ারম্যান স্বপ্না আক্তার ফুটবল প্রতীকে পেয়েছেন ৩৬ হাজার ১০২ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বিলকিস আক্তার হাঁস প্রতীকে পেয়েছেন ২৬ হাজার ২১৬ ভোট।

;

মানিকগঞ্জের ২ উপজেলা পরিষদে বিজয়ী যারা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, মানিকগঞ্জ
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই সুষ্ঠ পরিবেশে সম্পন্ন হয়েছে মানিকগঞ্জের সিংগাইর ও হরিরামপুর উপজেলা পরিষদের ভোটগ্রহণ। এই দুই উপজেলায় সকালের দিকে ভোটার উপস্থিতি কিছুটা কম থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটার উপস্থিতি বাড়তে থাকে। সিংগাইরে ৩০ শতাংশের কিছুটা বেশি ভোট পড়লেও হরিরামপুরে ভোট পড়েছে ৪৪ দশমিক ৪৫ শতাংশ ভোট।

সিংগাইরে বেসরকারি ফলাফলে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন কাপ পিরিচ প্রতিকের সায়েদুল ইসলাম। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল আনারস প্রতীকের আব্দুল মাজেদ খান। এছাড়া তালা প্রতীক নিয়ে ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন মো. রমিজ উদ্দিন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হয়েছেন হাঁস প্রতীকের আনোয়ারা খাতুন।

হরিরামপুরে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন মোটরসাইকেল প্রতিকের দেওয়ান সাইদুর রহমান এবং ভাইস-চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন বই প্রতীকের মো. বিল্লাল হোসেন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হয়েছেন ফুটবল প্রতীকের শামিমা আক্তার চায়না।

;

কুষ্টিয়ায় আবারও আতাউর রহমান ও খোকসায় মাসুম নির্বাচিত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার সদর উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন বর্তমান চেয়ারম্যান শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান আতা এবং খোকসা উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন আল মাসুম মোর্শেদ শান্ত।

বুধবার (৮ মে) বেসরকারি ফলাফলে এ তথ্য জানা যায়।

জানা গেছে,সদর উপজেলায় আতাউর রহমান আতা ৬৭ হাজার ৬ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন  (আওয়ামী লীগ)। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আবু আহাদ আল মামুন (বাংলাদেশ জনতা পার্টি) প্রাপ্ত ভোট ৩ হাজার ৪৮৬ ভোট।

ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন আবু তৈয়ব বাদশা। তার প্রাপ্ত ভোট ৪৭ হাজার ২৮৯ ভোট। নারী ভাইস চেয়ারম্যান বিজয়ী লতা খাতুনের প্রাপ্ত ভোট ৪২ হাজার ৮৭৯ টি।

খোকসা উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন আল মাসুম মোর্শেদ শান্ত প্রাপ্ত (আওয়ামী লীগ) প্রাপ্ত ভোট ২৫ হাজার ১০১ ভোট। নিকটতম প্রার্থী বাবুল আকতার পেয়েছেন ১৯ হাজার ৬৩৯ টি।

এদিকে আবারও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আতাউর রহমান আতা বিজয়ী হওয়ায় নেতাকর্মীরা ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। রাতে বিজয়ী হওয়ার পর আতাউর রহমান আতাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান জেলা তাতী লীগের সভাপতি রুহুল আমিন ও সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশীদ। 

;

বাকেরগঞ্জে রাজিব-সাইফুর-জাহানারা নির্বাচিত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বরিশাল
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বাকেরগঞ্জ উপজেলায় চেয়াম্যান নির্বাচিত হয়েছেন রাজিব আহম্মেদ। এছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান মো. সাইফুর রহমান ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে জাহানারা বেগম নির্বাচিত হয়েছে।

উপজেলার ২৪ দশমিক ৬ ভাগ ভোট দিয়েছে। চেয়ারম্যান পদে কাপ-পিরিচ প্রতীক নিয়ে রাজিব আহম্মেদ তালুকদার পেয়েছেন ৩৭ হাজার ৫৪৯ ভোট। 

তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিশ্বাস মুতিউর রহমান আনারস প্রতীক নিয়ে পান ৩৫ হাজার ১৫৪ ভোট। এ উপজেলায় কামরুল ইসলাম খান মোটর সাইকেল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২৮৩ ও ফিরোজ আলম খান দোয়াত কলম প্রতীক নিয়ে পান এক হাজার ৫১ ভোট।

;