‘করোনায় বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর প্রচার কার্যক্রমে আসছে ভিন্নমাত্রা’
করোনা পরিস্থিতিতে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর প্রচার কার্যক্রমে ভিন্নমাত্রা যোগ হবে বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
মঙ্গলবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন সংক্রান্ত মিডিয়া, প্রচার ও ডকুমেন্টেশন উপকমিটির সভায় সভাপতিত্বকালে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।
তথ্যমন্ত্রীর সভাপতিত্বে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম, তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান, তথ্য কমিশনার ড. আবদুল মালেক, তথ্যসচিব কামরুন নাহার এসময় সভাকক্ষে উপস্থিত ছিলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে যে সমস্ত কর্মসূচি আমরা গ্রহণ করেছিলাম তার অনেকগুলোই করোনার কারণে বছরের প্রায় সাত মাস স্থগিত ছিল। সুতরাং বাকি সময়টুকুর মধ্যে দেশ ও বিশ্ব প্রেক্ষাপটে আমরা বাস্তবসম্মতভাবে কি কি করতে পারি সেটি বিশদ পর্যালোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।
আগামী বছরের ১৭ মার্চ মুজিব বর্ষ শেষ হতে যাচ্ছে, আবার আগামী বছর হচ্ছে আমাদের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী অর্থাৎ ৫০তম বার্ষিকী -এই প্রেক্ষাপট নিয়েও আমরা আলোচনা শুরু করেছি, জানান ড. হাছান। তিনি বলেন, বিশ্ব মহামারি পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে যে সমস্ত অনুষ্ঠান জনসমাগম না করেও করা যায় এবং অনলাইনভিত্তিক কার্যক্রমের মাধ্যমে বাস্তবায়ন সম্ভব, সেগুলো পর্যালোচনা করা হচ্ছে।
উদাহরণ দিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, যেমন আমরা অনেকগুলো প্রামাণ্য ও স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের পরিকল্পনা করেছিলাম। সেগুলোর নির্মাণ কাজ অনেক দূর এগিয়েছে। কিন্তু করোনার কারণে নির্মাণ কাজে বাধাগ্রস্ত হয়েছে। বাকি সময়ের মধ্যে আমরা সেগুলো কিভাবে সম্পন্ন করতে পারি, তা নিয়ে আলোচনা চলছে।
তথ্যমন্ত্রী এসময় উল্লেখ করেন, করোনাভাইরাসের কারণে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা মুজিব বর্ষের অনেক প্রোগ্রাম সীমিত ও স্থগিত করেছেন। বহুদিন ধরে মুজিব বর্ষের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানসহ নানা অনুষ্ঠানমালার প্রস্তুতি গ্রহণ করা হলেও করোনার হাত থেকে দেশের মানুষকে যথা সম্ভব মুক্ত রাখার চেষ্টায় প্রধানমন্ত্রী মুজিব বর্ষের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান বাতিল করেছিলেন, অন্যান্য অনেক অনুষ্ঠানও বাতিল হয়েছে। এতে দেখা গেছে, করোনাভাইরাস মোকাবিলায় বাংলাদেশ অনেক দেশের তুলনায় ভালো অবস্থানে আছে। করোনা আক্রান্তদের মধ্যে মৃত্যুর হার পৃথিবীর যে ক’টি দেশে সবচেয়ে কম বাংলাদেশ তার মধ্যে একটি। প্রধানমন্ত্রীর সময়োচিত পদক্ষেপের কারণেই এটি সম্ভব পর হয়েছে।
জীবন এবং জীবিকার মধ্যে সমন্বয় ঘটিয়ে প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের অর্থনীতিকে সচল রেখেছেন এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনের ক্ষেত্রেও বাংলাদেশ এশিয়ার প্রায় সবদেশকে পেছনে ফেলেছে উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের প্রক্ষেপণ অনুযায়ী এ বছর করোনার মধ্যে পৃথিবী যখন স্তব্ধ যেখানে বেশিরভাগ দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ঋণাত্বক, তখন বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হবে ৫.২ শতাংশ।
প্রধানমন্ত্রীর সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কালাম আজাদ,বাংলাদেশ টেলিভিশনের মহাপরিচালক এস এম হারুন অর রশীদ, বাংলাদেশ বেতারের মহাপরিচালক হোসনে আরা তালুকদার, বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ, গণযোগাযোগ অধিদফতরের মহাপরিচালক আকতার হোসেন,পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বহিঃপ্রচার অনুবিভাগের মহাপরিচালক সামিয়া হালিম,একাত্তর টেলিভিশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোজ্জাম্মেল বাবু, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন, সাংবাদিক নাঈমুল ইসলাম খানসহ উপকমিটির সদস্যরা সভায় অনলাইনে সংযুক্ত হন।