নগরে স্বাস্থ্যকর খাদ্য গ্রহণে উৎসাহিত করতে নগর কৃষি নিশ্চিত করতে হবে

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবিঃ সংগৃহীত

ছবিঃ সংগৃহীত

 

বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম শাক-সবজি ও ফলমূল উৎপাদনকারী দেশ হলেও এখানকার জনগোষ্ঠী সারা পৃথিবীর মধ্যে অগ্রবর্তী অবস্থানে রয়েছে। কিন্তু দেশের শহরে বাসকারী মানুষেরা প্রয়োজনের তুলনায় কম তাজা ফল ও শাক-সবজি গ্রহণ করছে। এই ঘাটতি পূরণে নানা নীতিগত পদক্ষেপের পাশাপাশি নগর এলাকায় স্বাস্থ্যকর খাদ্য গ্রহণে উৎসাহিত করতে নগর কৃষি নিশ্চিত করতে হবে।

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ সময় বিকেল ৩টায় আর্ক ফাউন্ডেশন, সেন্টার ফর ল অ্যান্ড পলিসি এফেয়ার্স (সিএলপিএ) ও আইপিএস আয়োজিত ফিসকেল অ্যান্ড রেগুলেটরি ম্যাকানিজম ফর প্রোমটিং হেলদি ডায়েট (Fiscal and regulatory mechanisms for promoting healthy diet) শীর্ষক একটি আন্তর্জাতিক ওয়েবিনারে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত একটি গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে একথা বলেন বক্তারা। প্রবন্ধটি উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ও আর্ক ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ড. রুমানা হক ও নীতি বিশ্লেষক অ্যাডভোকেট সৈয়দ মাহবুবুল আলম।

প্রবন্ধে তারা আরো বলেন, স্বাস্থ্যকর খাদ্য গ্রহণে উৎসাহিত করতে এর উৎপাদন ও বাজারজাতকরণসহ পুরো ব্যবস্থাটির সাথে সংশ্লিষ্ট খাতগুলোতে কর হ্রাস এবং ভর্তুকি প্রদান করতে হবে। বক্তব্যে তারা সবার জন্য নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে নগর কৃষি নীতি প্রণয়নসহ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আইন ও নীতি প্রণয়ন ও বিদ্যমান আইন ও নীতি উন্নয়নের সুপারিশ করেন।

বিজ্ঞাপন

ওয়েবিনারে বাংলাদেশ ছাড়াও শ্রীলংকা, কেনিয়া ও পূ্র্ব আফ্রিকার নিরাপদ খাদ্য পরিস্থিতির ওপর ভিন্ন ভিন্ন প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হয়। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন যথাক্রমে পলিসি স্টাডিজ ইনস্টিটিউট, শ্রীলংকার পরিচালক নিশা অরুণাতিলকে; ইন্টারন্যাশনাল ইন্সটিটিউট ফর লেজিসলেটিভ অ্যাফেয়ার্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ক্যালিন আউওর এবং ইন্টারন্যাশনাল ডেভলপমেন্ট ল অর্গানাইজেশনের এর লিগ্যাল অ্যাডভাইজার (স্বাস্থ্য) বেলিস ওডামনা।

ওয়েবিনারে বিশেষজ্ঞ আলোচক হিসেবে বক্তব্য দেন ইন্টারন্যাশনাল ডেভলপমেন্ট ল অর্গানাইজেশনের সিনিয়র আইন বিশেষজ্ঞ ডেভিড প্যাটারসন; বাংলাদেশ ক্যান্সার সোসাইটির হেলথ ইকোনোমিস্ট অধ্যাপক ড. গোলাম মহিউদ্দিন ফারুক; ইন্টারন্যাশনাল ডেভলপমেন্ট ল অর্গানাইজেশনের প্রোগ্রাম লিড ডা. মারিয়া চিয়ারা ক্যাম্পিসি; যুক্তরাজ্যের ইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. হেলেন এলসি এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জাতীয় স্বাস্থ্য কর্মকর্তা (বাংলাদেশ) ড. ফারজানা আক্তার ডরিন।

আলোচকরা বলেন, সারাবিশ্বে অসংক্রামণ রোগে আশঙ্কাজনক হারে মৃত্যুর উপাত্ত তুলে ধরে তারা বলেন, এর প্রধান কারণ অস্বাস্থ্যকর খাদ্য। তাই জীবন রক্ষায় স্বাস্থ্যকর খাদ্য নিশ্চিত করার পাশাপাশি অস্বাস্থ্যকর খাবার নিয়ন্ত্রণে উচ্চ করারোপ করা প্রয়োজন। স্বাস্থ্যকর খাদ্য নিশ্চিত করতে আইন প্রণেতা, নীতি নির্ধারক, সুশীল সমাজ, শিক্ষাবিদ, পোজীবিসহ সকল স্তরের মানুষকে একসাথে কাজ করতে হবে।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক এসএম আবদুল্লাহ্।