পুলিশের কাছে ছিনতাই নাটক সাজাতে গিয়ে খুনি গ্রেফতার
বগুড়ার শেরপুরে অটোরিকশা চালক মিনহাজকে (২২) খুনের পর মরদেহ গুম করে খুনি নিজেই থানায় হাজির হয়ে পুলিশের কাছে ছিনতাই নাটক সাজাতে গিয়ে ধরা পড়েছে। খুনির স্বীকারোক্তি অনুযায়ী পুলিশ মরদেহ উদ্ধারের জন্য এলাকায় তল্লাশি শুরু করেছে।
বৃহস্পতিবার (১ অক্টোবর) বেলা ১১টা থেকে শেরপুর উপজেলার সুঘাট ইউনিয়নের জোড়গাছা গ্রামের একটি মাঠে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।
নিহত অটোরিকশা চালক মিনহাজ ধুনট উপজেলার বিশ্ব হরিগাছা গ্রামের মোজদার হোসেনের ছেলে। আর ছিনতাই নাটক সাজাতে গিয়ে পুলিশের হাতে গ্রেফতার ফজলে রাব্বী (২৪) ধুনটের বোয়াল গাছা গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে।
জানা গেছে, গত ২৯ সেপ্টেম্বর সকালে ফজলে রাব্বী শেরপুর যাওয়ার কথা বলে ধুনট থেকে মিনহাজের অটোরিকশা ভাড়া করেন। এরপর থেকে মিনহাজ নিখোঁজ হয়। ৩০ সেপ্টেম্বর সকালে শেরপুর উপজেলার সুঘাট ইউনিয়নের আওলাকান্দি গ্রামের রাস্তায় একটি অটোরিকশা পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান থানায় খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ অটোরিকশাটি থানায় নিয়ে আসে। ওই দিন বিকেলে ফজলে রাব্বী শেরপুর থানায় হাজির হয়ে পুলিশকে জানায় তিনি মিনহাজের অটোরিকশা ভাড়া করেছিলেন। রাতে জোরগাছা গ্রামে ছিনতাইকারীরা তাকে ছুরিকাঘাত করে অটোরিকশাসহ চালক মিনহাজকে নিয়ে যায়। ফজলে রাব্বীর পায়ের তালুতে ছুরিকাঘাতের চিহ্ন দেখে পুলিশের সন্দেহ হয়। পরে তাকে আটক করে রাতে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করলে মিনহাজকে হত্যার কথা স্বীকার করেন। ফজলে রাব্বী পুলিশকে জানান মিনহাজের মরদেহ জোড়গাছা গ্রামের মাঠে ফেলে দেয়া হয়। পরে বৃহস্পতিবার পুলিশ তাকে নিয়ে জোড়গাছা গ্রামে ধান ক্ষেতের মাঠ তল্লাশি করে মরদেহের সন্ধান পায়নি।
শেরপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ বার্তা২৪.কমকে বলেন, গ্রেফতারকৃত ফজলে রাব্বীর স্বীকারোক্তি অনুযায়ী তল্লাশি চলছে। গুম করা মরদেহ উদ্ধার করা হবে।