এনএসআই'য়ের তথ্যে নকল মাস্ক ও শিশুখাদ্যে ভেজাল বিরোধী অভিযান, জরিমানা
রাজধানীর কামরাঙ্গীর চর এলাকার তিনটি স্থানে নকল ও অনুমোদনহীন সার্জিক্যাল মাস্ক এবং ভেজাল শিশুখাদ্যের চারটি কারখানায় অভিযান চালিয়েছেন র্যাব ও এনএসআই সদস্যরা। এ অভিযানে দু'টি প্রতিষ্ঠানকে সাত লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
সোমবার (৫ অক্টোবর)র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।
এনএসআই সূত্র জানায়, কামরাঙ্গীর চর এলাকার তিনটি স্থানে নকল ও অনুমোদনহীন সার্জিক্যাল মাস্ক উৎপাদন ও বিপণনের বিষয়টি তারা দীর্ঘদিন ধরে নজর রেখে আসছিলেন। সোমবার নকল ও অনুমোদনহীন সার্জিক্যাল মাস্ক উৎপাদন করে এরকম তিনটি প্রতিষ্ঠানে র্যাব-১০ ও এনএসআই যৌথ অভিযান চালায়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলমের ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযানে দেখেন, দু'টি কারখানায় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে সার্জিক্যাল মাস্ক তৈরি ও কারখানার অনুমতি বিষয়ক কাগজপত্র না থাকার পরও চীন থেকে মাস্ক তৈরির মেশিন আনা হয়েছে। এ সময় কারখানার পরিবেশ স্বাস্থ্যসম্মত করতে ও বৈধ কাগজপত্র তৈরি করে মাস্ক তৈরির নির্দেশ প্রদান করেন আদালত। অপর একটি কারখানার পরিবেশ অস্বাস্থ্যকর হওয়ায় ও ব্যাগ তৈরির মেশিন দিয়ে মাস্ক তৈরি করার অপরাধে দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
এ সময় এনএসআই'র তথ্যের ভিত্তিতে কামরাঙ্গীরচরের মোমিনবাগ এলাকায় আমু ফুড অ্যান্ড বেভারেজের কারখানায় অভিযান চালানো হয়। অভিযানে কারখানাটি থেকে শিশুদের জন্য উৎপাদিত প্রায় ৬০০ কার্টুন কেমিক্যালযুক্ত আমের জুস ও আইস ললি জব্দ এবং কারখানাটিকে ৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এসব শিশুখাদ্য বিভিন্ন কেমিক্যাল ও রং দ্বারা তৈরি, যা খেলে শিশুদের কিডনির রোগ ও ক্যানসার হতে পারে বলে ভ্রাম্যমাণ আদালত উল্লেখ করেন।