সেনাবাহিনীকে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারে সদা প্রস্তুত থাকতে হবে: সেনাপ্রধান
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ বলেছেন, দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার পাশাপাশি প্রাকৃতিক ও মানবসৃষ্ট দুর্যোগ মোকাবিলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে। দেশের আর্থসামাজিক এবং অবকাঠামোগত উন্নয়নেও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। ভবিষ্যতেও জাতীয় যেকোনো প্রয়োজনে সেনাবাহিনীকে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারে সদা প্রস্তুত থাকতে হবে। সেনাবাহিনীর সকলকে সম্মিলিত প্রচেষ্টায় দেশমাতৃকার যেকোনো প্রয়োজনে এগিয়ে আসতে হবে।
বুধবার (৭ অক্টোবর) দুপুরে কুমিল্লা সেনানিবাসের এমআর চৌধুরী প্যারেড গ্রাউন্ডে রেজিমেন্টাল কালার প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন সেনাপ্রধান।
বুধবার বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৬টি ইউনিটের রেজিমেন্টাল কালার প্রদান অনুষ্ঠান ৩৩ পদাতিক ডিভিশন কুমিল্লায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। এদিন কুমিল্লা সেনানিবাসের এমআর চৌধুরী প্যারেড গ্রাউন্ডে সেনাপ্রধান উপস্থিত হলে ৩৩ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল আহম্মেদ তাবরেজ শামস চৌধুরী তাকে অভ্যর্থনা জানান। এরপর প্যারেড কমান্ডার লে.কর্ণেল আসিফ আজমিনের নেতৃত্বে ৩৩ পদাতিক ডিভিশনের একটি সম্মিলিত চৌকস দল কুচকাওয়াজ প্রদর্শন এবং সেনাপ্রধানকে জেনারেল সালাম প্রদান করেন। অনুষ্ঠানে ঊর্ধ্বতন সেনাকর্মকর্তা ও বিভিন্ন পদবীর সেনাসদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ অবদান, পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি প্রতিষ্ঠায় নিরলস প্রচেষ্টা, দেশ ও জাতি গঠনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান এবং বিবিধ প্রশিক্ষণ ও অপারেশনাল কর্মকাণ্ডে সাফল্যের স্বীকৃতিস্বরূপ একটি ইউনিট বা রেজিমেন্টকে রেজিমেন্টাল কালার প্রদান করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১৬ ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারি, ২৮ মিডিয়াম রেজিমেন্ট আর্টিলারি, ২ ইঞ্জিনিয়ার ব্যাটালিয়ন, ১২ ইঞ্জিনিয়ার ব্যাটালিয়ন, ১০ আরই ব্যাটালিয়ন এবং ৫ সিগন্যাল ব্যাটালিয়ন এই কালার প্যারেডে অংশগ্রহণ করে। পরে তারা প্রধান অতিথির কাছ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে রেজিমেন্টাল পতাকা গ্রহণ করে।
এসময় সেনাপ্রধান রেজিমেন্টাল কালারপ্রাপ্ত ইউনিটগুলোকে অভিনন্দন জানিয়ে আরও বলেন, রেজিমেন্টাল কালার প্রাপ্তি যেকোনো ইউনিটের জন্য একটি বিরল সম্মান এবং পবিত্র আমানত। এ সময় কর্মদতা, কঠোর পরিশ্রম ও কর্তব্যনিষ্ঠার স্বীকৃতিস্বরূপ প্রাপ্ত পতাকার মর্যাদা রা এবং দেশ মাতৃকার যেকোনো প্রয়োজনে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারে ইউনিটগুলোকে প্রস্তুত থাকতে নির্দেশনা প্রদান করেন তিনি।