বরিশালে ধর্ষণের অভিযোগের মামলায় চার শিশুর জামিন
বরিশালের বাকেরগঞ্জে ধর্ষণের অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায় আটককৃত চার নাবালক শিশু আসামি কে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।
শুক্রবার (০৯ অক্টোবর) সকালে শিশুদের যার যার বাড়িতে পৌঁছে দিয়েছেন স্থানীয় প্রশাসন। এসময় সন্তানদের কাছে পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়ে পরিবার ও আত্মীয়-স্বজনরা।
বাকেরগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, হাইকোর্টের আদেশ অনুযায়ী বৃহস্পতিবার (০৮ অক্টোবর) দিবাগত রাতে বরিশালের শিশু আদালত আটককৃত নাবালক চার শিশুকে জামিন দেন।
এরপরে শুক্রবার (০৯ অক্টোবর) সকাল ৭টা ৫০ মিনিটে যশোর কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্র থেকে আসা মাইক্রোবাসটি চার শিশুকে নিয়ে তাদের নিজ গ্রাম বাকেরগঞ্জের রুনশী গ্রামে আসেন প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
শিশুদের তার পরিবারে কাছে বুঝিয়ে দেওয়ার সময় বাকেরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাধবী রায়, জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের প্রবেশন অফিসার সাজ্জাদ পারভেজ ও বাকেরগঞ্জ থানা পুলিশের ওসি আবুল কালামসহ স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাধবী রায় বলেন, আমরা উচ্চ আদালতের নির্দেশনা পালন করেছি। আর পুরো বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে । দ্রুত তদন্ত শেষে ঘটনার মূল্য রহস্য উদঘাটন হবে বলেও জানান তিনি।
জামিনের বিষয়টি বার্তা২৪.কম’কে নিশ্চিত করে বরিশালের নারী ও শিশু নির্যাতন অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট ফয়জুল হক ফয়েজ জানান, বাকেরগঞ্জে শিশু ধর্ষণ মামলায় বয়স বিবেচনায় এনে চার শিশুকে উচ্চ আদালতের নির্দেশে বৃহস্পতিবার রাতে জামিন দিয়েছেন নারী ও শিশু নির্যাতন অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক।
এরপর রাতেই বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার যশোর কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রের সহকারি পরিচালককে তাদের মুক্তির জন্য মেইলে বার্তা পাঠান। সেই বার্তা অনুযায়ী বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে মাইক্রোবাস যোগে চার শিশুকে নিয়ে বাকেরগঞ্জের উদ্দেশে যাত্রা করেন প্রশাসনের কর্মকর্তারা। শুক্রবার সকালে এসে পৌঁছে চার শিশু কে তাদের কে বুঝিয়ে দেওয়া হয় বলেও জানান এই আইনজীবী ।
উল্লেখ্য, গত ৪ অক্টোবর বরিশালের বাকেরগঞ্জের রঙ্গশ্রী ইউনিয়নে এক কন্যা শিশু চার ছেলে শিশুর সাথে খেলাধুলা করছিল। এরপর কন্যা শিশুর বাবা গত ৬ অক্টোবর বাকেরগঞ্জ থানায় ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় চার নাবালক শিশুকে গ্রেফতার করে ৭ অক্টোবর আদালতে সোপর্দ করে থানা পুলিশ । পড়ে আদালতের মাধ্যমে শিশুদের যশোর কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানো হয়।