সিলেটের ঘটনায় পিবিআই দায়ীদের চিহ্নিত করবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল

  • Font increase
  • Font Decrease

‘চাঁদা না পেয়ে’ সিলেটের বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে রায়হান নামে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় তদন্তকারী সংস্থা পিবিআই দায়ীদের চিহ্নিত করবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

বুধবার (১৪ অক্টোবর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নিজ দফতরে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান।

সিলেটে পুলিশি নির্যাতনে রায়হানের মৃত্যুর বিষয়ে তিনি বলেন, সিলেটের ঘটনাটি তদন্তে রয়েছে। হাসপাতালে তার যে ময়নাতদন্ত হচ্ছে বা হবে এবং তার স্ত্রীর মামলা আমলে নিয়ে সুষ্ঠু তদন্ত হবে। তদন্ত অনুযায়ী অবশ্যই যে দায়ী তাকে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। পিবিআইকে এর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তারা সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করবে।

ঢাকার নবাবগঞ্জ থানা হাজতে ‘গলায় ফাঁস দিয়ে’ আত্মহত্যার ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, হাজতখানার বাথরুমে নিজের লুঙ্গি দিয়ে মৃত্যুবরণ করেছে। এটা আমরা তদন্ত করে দেখব। হাজতখানায় কিভাবে সে মারা গেলো সেটা আমাদের দেখার বিষয়। কেন সে আত্মহত্যা করলো, তাকে কেউ প্ররোচনা করেছে কিনা, সেটিও দেখব। এখানে পারিবারিক কলহ থাকতে পারে, তবে কিছু বলার আগে তদন্ত শেষ হলে বলতে পারব।

নারী নির্যাতনের ঘটনায় বিচারের দীর্ঘসূত্রিতার কারণে ১৮০ দিনের মধ্যে বিচার কার্যক্রম শেষ হয় না, এ বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সর্বশেষ কেবিনেট বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে নারী নির্যাতন আইনে আরও কঠোর অবস্থানে যাচ্ছি। নারী নির্যাতনের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডাদেশের জন্য অধ্যাদেশ জারি করা হয়েছে। আপনারা জানেন সাম্প্রতিক সময়ে নারী নির্যাতন বেড়ে যচ্ছে, কয়েকটি ঘটনা সবার চোখে পড়ছে। সেজন্য প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডাদেশের সিদ্ধান্তটি এসেছে।

তিনি বলেন, বিচারের বিষয়টি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নয়। আমাদের বিচার বিভাগ স্বাধীন। বিচার সুষ্ঠু হওয়ার জন্য যা করা প্রয়োজন করছি। পুলিশি তদন্তসহ সকল বিষয়ে নজর রাখছি। প্রয়োজনে পিবিআইকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে। তদন্ত নিরপেক্ষ করতে যা দরকার করছি, করব। বিচার তো আমাদের হাতে নয়, আদালত বিচারের সিদ্ধান্ত নেবে। তারাও কিন্তু দ্রুত বিচারের বিষয়টি বলেছেন।

মন্ত্রী বলেন, এসিড নিক্ষেপ নিয়মিত ঘটনা হয়ে গিয়েছিলো। কিন্তু যখন এর সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হলো এবং তার কয়েকটি রায় কার্যকর হওয়ার পর এটি কমে গেছে। এখন নারী নির্যাতনের সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসি করা হয়েছে। আমরা আশা করি এটিও কমে যাবে। তবে কোনো অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্ত না হলে খবর পেলে ব্যবস্থা নিচ্ছি। পুলিশের দক্ষতা সক্ষমতা বাড়াতে পিবিআই, সিআইডি তৈরি করেছি। পুলিশ না পারলে তাদের তদন্তের দায়িত্ব দিচ্ছি। ৩০ বছর আগে এক ধরনের তদন্ত হয়েছে, পিবিআই তদন্ত করে আবার নতুন করে তথ্য বের করেছে। মানুষ যাতে সঠিক বিচার পান সেজন্য উন্নত দেশের সাথে সুশাসন নিশ্চিত করার কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।

   

বিদেশি প্রভুদের কথায় বিএনপি নির্বাচন বর্জন করেছে: মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, বিদেশি প্রভুদের কথায় বিএনপি নির্বাচন বর্জন করেছে৷ তাদের উদ্দেশ্য একটাই অগণতান্ত্রিক পন্থায় তারা ক্ষমতায় আসতে চায়৷ পেছনের দরজা দিয়ে বিকল্প রাস্তায় তারা ক্ষমতায় আসতে চায়৷

সোমবার (৬ মে) প্রেসক্লাবে শহীদ আহসান উল্লাহ্ মাস্টারের ২০ তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে 'গণতন্ত্র ও সন্ত্রাসমুক্ত সমাজ গঠনে শান্তি এবং ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় জনপ্রতিনিধিদের ভূমিকা' শীর্ষক আলোচনা ও স্মরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন তিনি৷ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে শহীদ আহসান উল্লাহ্ মাস্টার এমপি স্মৃতি পরিষদ।

মন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগের আমলে কোনো রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড হয়নি, ভবিষ্যতেও হবে না৷ গুম, খুনের রাজনীতি জিয়াউর রহমান শুরু করেছিলেন৷ তারাই বলে এই দেশে আজ গণতন্ত্র নেই, মানুষের মৌলিক অধিকার নেই৷

তিনি বলেন, বিএনপি এবং স্বাধীনতা বিরোধী শক্তিরা বুঝতে পেরেছিল যে গাজীপুরে তাদের অবস্থা দিন দিন খুবই নাজুক হয়ে যাচ্ছে৷ এজন্যই আহসান্ উল্লাহ্ মাস্টারকে একটা ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগে সম্মেলন থেকে হত্যা করা হয়েছিল৷ আর আজকে হত্যাকারীরা বলে এই দেশে গণতন্ত্র নেই৷ আমাদের নেতাদের প্রকাশ্যে হত্যা করেছে তারা৷

তিনি বলেন, শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের একটাই দোষ ছিল যে তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে প্রতিষ্ঠা করতে কাজ করেছেন৷ মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে প্রতিষ্ঠা করতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করেছেন৷ সংসদ সদস্য থাকা অবস্থায় রাজপথে তাকে পেটানো হয়েছিল৷ এর ধারাবাহিকতায় তাকে হত্যা করা হয়েছিল৷

;

ট্রেনের ১৯ টিকিটসহ কালোবাজারী চক্রের সদস্য গ্রেফতার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ট্রেনের বিভিন্ন গন্তব্যের ৩৩টি আসনের মোট ১৯টি টিকিটসহ কালোবাজারী চক্রের এক সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ভৈরব রেলওয়ে পুলিশ। এ সময় তার কাছে একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করেছে রেলওয়ে পুলিশ।

সোমবার (৬ মে ) দুপুরে দুপুরে কুলিয়ারচর রেল স্টেশনে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে মো. আরমানকে (৩৫) গ্রেফতার করা হয়।

এ তথ্য নিশ্চিত করে রেলওয়ে পুলিশের ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) আনোয়ার হোসেন বলেন, ভৈরব রেলওয়ে পুলিশ কর্তৃক গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সোমবার দুপুরে কুলিয়ারচর রেল স্টেশনে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় টিকিট কালোবাজারী মো. আরমানকে (৩৫) ভিন্ন ভিন্ন ট্রেনের বিভিন্ন গন্তব্যের ৩৩টি আসনের ১৯টি টিকিট এবং অনলাইনে টিকিট ক্রয়কৃত মোবাইল ফোনসহ হাতেনাতে গ্রেফতার করা হয়।

তিনি বলেন, গ্রেফতারকৃত আসামি অবৈধ পন্থায় তার নিজ, স্ত্রীর ও আত্মীয়-স্বজনের আইডি ব্যবহার করে অনলাইনের মাধ্যমে টিকেটগুলো সংগ্রহ করে। সেই টিকিট বেশি দামে প্লাটফর্মে অপেক্ষারত যাত্রীদের কাছে কালোবাজারে বিক্রয় করে।

আসামি আরমান কুলিয়ারচর রেলস্টেশনের খালাসী পদে কর্মরত বলেও জানান তিনি।

তিনি আরও বলেন, ভৈরব রেলওয়ে থানায় তার বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু প্রক্রিয়াধীন।

রেলওয়ে পুলিশের টিকেট কালোবাজারি বিরোধী সাঁড়াশি অভিযান অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।

;

ফিলিস্তিনের পক্ষে সংহতি জানাতে গিয়ে সংঘর্ষে জড়াল ছাত্রলীগ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রামের হাজি মুহাম্মদ মহসিন কলেজ ও চকবাজার থানা ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১৩ জন আহত হয়েছেন।

সোমবার (৬ মে) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে চকবাজার থানাধীন মহসিন কলেজের প্রধান ফটকের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

এতে মহসিন কলেজ ছাত্রলীগের ১০ জন ও চকবাজার থানা ছাত্রলীগের তিনজন নেতাকর্মী আহত হয়েছে বলে উভয় পক্ষ দাবি করছে। এরমধ্যে মহসিন কলেজ ছাত্রলীগের আহবায়ক কাজী নাঈম, মফিজুর রহমান (বিএসএস ফাইনাল), আরমান হোসাইন (বিবিএস তৃতীয় বর্ষ), মোহাম্মদ তাকিব (বিবিএস ৪র্থ বর্ষ), আরবিন আরমান (২য় বর্ষ), সাইদুল (বিএসএস ৩য় বর্ষ), নাফিস (বিবিএস ২য় বর্ষ), শিহাব (বিএসএস ২য় বর্ষ), রিমনও অন্তর (এইচএসসি ২য় বর্ষ) আহত হয়েছে। বিপরীতে চকবাজার থানা ছাত্রলীগের সভাপতি জাহেদুল ইসলামসহ ইমরান খান ইমন ও আশিকুল ইসলাম রবিন নামে আরও দুজন আহত হয়।

মহসিন কলেজে ছাত্রলীগের আহবায়ক কাজী নাঈম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ছাত্রলীগের কেন্দ্রঘোষিত ফিলিস্তিনের ইস্যুতে একটি প্রোগ্রাম ছিল। সেই কর্মসূচির আলোকে কলেজে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করি। এরপর কলেজ থেকে পদযাত্রা নিয়ে বের হয়ে ঘুরে এসে পুনরায় কলেজের প্রধান ফটকে দাঁড়াই। তাৎক্ষণিক চকবাজার থানা ছাত্রলীগের সভাপতি জাহেদের নেতৃত্বে এলাকার লোকজন আমাদের ওপর হামলা করে। এতে আমিসহ ১০ জন নেতা কর্মী আহত হয়েছে। পরে পুলিশ আসলে তারা দৌড়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় আমরা মামলা করব।

হামলার কারণ জানতে চাইলে ছাত্রলীগের এই নেতা বলেন, কেন হামলা করছে সেটা তো বুঝতেছি না। তবে কয়েকদিন আগে চকবাজার থানা ছাত্রলীগের একটা ছেলে কলেজে এসে মাদক সেবন করেছিল। পরে আমরা তাকে নিষেধ করেছিলাম। ওই ছেলেকে পুলিশ নিয়ে গেছে শুনেছি। ধারণা করা হচ্ছে সেই ইস্যুকে কেন্দ্র করে আজকে আমাদের ওপর হামলা করা হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে চকবাজার থানা ছাত্রলীগের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, আজকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ঘোষিত ফিলিস্তিনের প্রোগ্রামে আমরা সিআরবিতে যাচ্ছিলাম। সিআরবিতে যাওয়ার পথে আমরা টেম্পো ভাড়া করতেছিলাম। আমরা দুইটা টেম্পো ভাড়া করেছি, সেই দুইটাতে আমাদের কর্মীরা বসা ছিল। পরে আরেকটা টেম্পো ভাড়া করলে আমাদের ছেলেরা ওইটাতে ওঠে বসে। এ সময় মহসিন কলেজের মাঠের পাশ দিয়ে তারাও টেম্পো ভাড়া করতে আসে। আমরা তাদের বলেছি এ টেম্পো আমরা ভাড়া করেছি। তোমরা অন্য একটি ভাড়া করো। কিন্তু তাদের কথা হচ্ছে এই টেম্পু তারা নিয়ে যাবে। এ সময় ছাত্রলীগের নাঈম ও মিজানের নেতৃত্বে আমাদের ছেলেদের ওপর হামলা করা হয়। এতে আমাদের দুই কর্মীর মাথা ফেটে গেছে। তারা বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেলে ভর্তি আছে। আমি নিজেও আহত হয়েছি। এঘটনায় আমরা মামলা করবো।

এবিষয়ে জানতে চকবাজার থানার ওসিকে ফোন দিলে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। তবে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম কলেজ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপপরিদর্শক সারোয়ার বার্তা২৪.কমকে বলেন, তেমন হতাহতের কিছু আমরা দেখিনি। তাদের মধ্যে সামান্য হাতাহাতি হয়েছে। খবর শুনে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে উভয়পক্ষকে দুইদিকে সরিয়ে দিয়েছে, তারাও চলে গেছে। এখন সবকিছু স্বাভাবিক রয়েছে। এঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ কোনো অভিযোগ করেনি।

;

পুলিশের এসবি পরিচয়ে পাসপোর্টকারীদের সঙ্গে প্রতারণা, গ্রেফতার ৯



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের (এসবি) অফিসার পরিচয় দিয়ে পাসপোর্ট এর বিভিন্ন আবেদনকারীর কাছ থেকে প্রতারণা করে অর্থ আত্মসাৎকারী প্রতারক চক্রের ৯ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

ডিবি জানায়, এই চক্রের সঙ্গে জড়িত রয়েছে পাসপোর্ট অফিসের আনসার সদস্যরা ও পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তারা। চক্রটি পুলিশ পরিচয়ে ট্রুকলারে নম্বর সেইভ করে পাসপোর্টের আবেদনকারীদের তথ্য নিয়ে মোবাইলে ফোন দিয়ে টাকা প্রতারণা করে আসছিলেন।

সোমবার (৬ মে) রাজধানীর মিন্টু রোডের ডিবি কার্যালয়ের কম্পাউন্ডে এক সংবাদ সম্মেলনে এবিষয়ে বিস্তারিত জানান ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি প্রধান) হারুন আর রশীদ।

তিনি বলেন, এই প্রতারক চক্র পাসপোর্ট অফিসের অসাধু কর্মকর্তা, কর্মচারীর, পিয়ন ও আনসার সদস্যের যোগসাজসে পাসপোর্ট অফিস হতে তথ্য সংগ্রহ করে পাসপোর্ট আবেদনকারীদের ডেলিভারী এবং আবেদন ফরমে দেওয়া মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে বাংলাদেশ পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের পুলিশ অফিসার পরিচয় দিয়ে উক্ত নম্বরসমূহে ফোন করে প্রথমে আবেদনকারীকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র (এনআইডি, বিদ্যুৎ বিলের কপি) হোয়াটসঅ্যাপে প্রেরণ করার জন্য বলে এবং পরে প্রতারণা করে মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ করে।

ডিবি প্রধান বলেন, এবিষয়ে বাংলাদেশ পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চ এর পাসপোর্ট ভেরিফিকেশন শাখা সবুজবাগ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পরে ডিবি সাইবার এন্ড স্পেশাল ক্রাইম (দক্ষিণ) বিভাগ অভিযান চালিয়ে ৯ জনকে গ্রেফতার করেছেন।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- কাজী মো. বেলাল হোসেন (৩৫), মো. জসিম উদ্দিন (৩৩), মো. আল-আমিন গাজী (২৭), হাসান আহম্মেদ (২৯), মো. সোহাগ আলম, মো. হোসাইন মোল্লা, নুরুজ্জামান মিয়া, মামুনুর রহমান ও মো. রাসেল ইসলাম।

হারুন আর রশীদ বলেন, গ্রেফতারকৃত আসামিরা পাসপোর্ট অফিসে অসাধু কর্মচারী, পিয়ন, আনসার সদস্য, কর্মকর্তার মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করে। পরে পাসপোর্ট আবেদনকারীদের গোপন তথ্য হাতিয়ে নেয়। পুলিশের মিথ্যা পরিচয় দিয়ে ভেরিফিকেশনের কথা বলে পাসপোর্ট আবেদনকারীদের নিকট থেকে অর্থ আত্মসাৎ করেন। পুলিশের ছবি ও নাম ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহ করে প্রতারণার কাজে বিভিন্ন এ্যাপ ব্যবহার করে ভুয়া নামে রেজিষ্ট্রেশনকৃত মোবাইল সিম সংগ্রহ করে নিজেরা প্রতারণার কাজে ব্যবহার করেন। অন্যের নামে বিকাশ/নগদ মোবাইল ব্যাংকিং একাউন্ট যুক্ত সিম সংগ্রহ করে প্রতারণার অর্থ লেনদেন করেন।

গ্রেফতারকৃত আসামি বেলাল হোসেনের নামে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন এবং মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ৩টিমামলা রয়েছে। গ্রেফতারকৃত আসামি মো. জসিম উদ্দিনের নামে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা রয়েছে।

যেভাবে অপরাধ করে চক্রটি:

গ্রেফতারকৃত আসামি বেলাল, জসিম, হাসান, আল-আমিন ভেরিফিকেশন এর নামে মিথ্যা পুলিশ পরিচয়ে প্রতারণা চক্রের সাথে সরাসরি জড়িত। গ্রেফতারকৃত আসামিরা ঘটনা চক্রের মূল এজেন্ট হিসেবে কাজ করে। এই চক্রের সঙ্গে পাসপোর্ট অফিসের কর্মচারী, পিয়ন, আনসারসহ নানান লোকজন জড়িত। এই চক্রটি পাসপোর্ট আবেদনকারীদের কাছ থেকে কৌশলে তথ্য সংগ্রহ করে পরবর্তীতে পুলিশ পরিচয়ে ভেরিফিকেশন নামে প্রতারণা করে অর্থ আত্মসাৎ করে। তারা ভুয়া নামে সিম রেজিস্ট্রেশন ফিঙ্গারপ্রিন্ট কৌশলের সংগ্রহকারী অপর গ্রুপের নিকট থেকে অন্যের নামে রেজিস্ট্রেশনকৃত এবং বিকাশ-নগদ একাউন্ট করা সিম সংগ্রহ করে। সেই নম্বরগুলো থেকে পাসপোর্ট আবেদনকারীদের কল করে পুলিশ পরিচয় দিয়ে ভেরিফিকেশনের নামে টাকা দাবি করে। এরপর সেই টাকা এই সকল বেনামী সিমের বিকাশ-নগদ একাউন্ট এর মাধ্যমে হাতিয়ে নেয়। বেশি লাভের আশায় বিভিন্ন কম্পিউটার দোকানের কর্মচারী, পাসপোর্ট অফিসের আনসার সদস্য, পিয়ন, অফিসের কর্মচারীসহ নানান লোকজন এই চক্রের সঙ্গে জড়িত। চক্রটির মূল হোতা বেলাল ও জসিম।

;