নভেম্বরে ফিলিপ কটলারের ই-ওয়ার্ল্ড মার্কেটিং সামিট



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
নভেম্বরে ফিলিপ কটলারের ই-ওয়ার্ল্ড মার্কেটিং সামিট

নভেম্বরে ফিলিপ কটলারের ই-ওয়ার্ল্ড মার্কেটিং সামিট

  • Font increase
  • Font Decrease

বিশ্বব্যাপী আধুনিক মার্কেটিংয়ের জনক ও মার্কেটিং গুরু হিসেবে খ্যাত প্রফেসর ফিলিপ কটলারের ই-ওয়ার্ল্ড মার্কেটিং সামিট ২০২০ আগামী ৬ ও ৭ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। তবে এবারের সামিট অন্যান্য বছরের চেয়ে সম্পূর্ণ ভিন্ন ও ব্যতিক্রমী। প্রতিটি ধাপে রয়েছে নতুনত্ব ও আকর্ষণ। বিশ্বব্যাপী কোভিড-১৯ পরিস্থিতি বিবেচনায় ‘ওয়ার্ল্ড মার্কেটিং সামিট ২০২০’-কে এবার ‘ইলেকট্রনিক ওয়ার্ল্ড মার্কেটিং সামিট ২০২০’ ঘোষণা করা হয়েছে। তাই এ সামিট অনুষ্ঠিত হবে অনলাইনে। ভার্চুয়াল জগতের শতভাগ প্রয়োগ হবে এখানে, যা বর্তমান বিশ্বে সবচেয়ে জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম। এ সামিটে ফিলিপ কটলার ও তার দল, বিশ্বের মার্কেটিং নেতৃবৃন্দ, ইন্ডাস্ট্রি এক্সপার্ট, মার্কেটিং দুনিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা ব্যক্তি, সফল উদ্যোক্তা, নিউরোমার্কেটার, সামাজিক উদ্যোক্তা, ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের গুরুরা বক্তব্য দেবেন।

ইতিহাসের পাতায় এই প্রথম এত বড় ওয়ার্ল্ড মার্কেটিং সামিট ২০২০ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এই সামিটে একই সময়ে, একই মঞ্চে ১০৪ দেশের সম্মানিত অতিথিরা যুক্ত থাকবেন। শুধু তা-ই নয়, যেখানে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সব মিলিয়ে ৮৪ জন বক্তা থাকবেন, যাঁরা কথা বলবেন মার্কেটিংয়ের বিভিন্ন দিক নিয়ে, করবেন চুলচেরা বিশ্লেষণ। এই সামিটের অন্যতম লক্ষ্য হলো কোটি কোটি ভিউয়ার্সকে একত্র করা ও জ্ঞানের সাগরে ভ্রমণ করানো। আরও আকর্ষণীয় বিষয় হলো এই আন্তর্জাতিক সামিটে একাধিক রাষ্ট্রের রাষ্ট্রপ্রধানেরা উপস্থিত থাকবেন, দেবেন তাঁদের মূল্যবান বক্তব্য।

ইতিমধ্যে বাংলাদেশের প্রায় ৬০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও ক্লাব, সেই সঙ্গে দেশের সেরা মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানি ও করপোরেট কোম্পানিগুলো অংশ নিচ্ছে। এ ছাড়া ফিলিপ কটলারের লেখা ‘এসেনশিয়ালস অব মার্কেটিং: বাংলাদেশ এডিশন’ বইয়ে নিজেদের সাফল্য ও কোস স্টাডি মনোনয়নের জন্য জমা দেওয়া যাবে, যা বিশ্বের সেরা একাডেমিশিয়ানদের প্যানেলের মাধ্যমে বইয়ে স্থান পেতে পারে।

যেসব বিষয়ের উপর আলোচনা ও বিশ্লেষণ করা হবে এই সামিটে: নিউ প্রোডাক্ট ডেভেলোপমেন্ট, পণ্যের মূল্য নির্ধারণ, বিজ্ঞাপন, ডিজিটাল মার্কেটিং, বি টু বি মার্কেটিং, বিক্রিতে অনিশ্চয়তা, বাধা, কনজুমার প্যাকেজ গুডস, মার্কেটিং, সামাজিক উদ্যোক্তা, ই-কমার্স, ডাটা ম্যানেজমেন্ট, সেবা মাকের্টিং, ছোট ব্যবসায় খুচরা বিক্রয়, বিলাসবহুল পণ্যের মার্কেটিং, হাই টেক মার্কেটিং, ভ্যালু ক্রিয়েশন, অনলাইনে বিক্রয়, স্টার্টআপ ফান্ড রাইজিং, স্টার্টআপ মার্কেটিং এন্ড সেলিং, ই-রিটেইলিং, ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন, উদ্যোক্তা, ম্যানেজমেন্ট অব টেকনোলজি, ইনোভেশন, জিআইজি ইকোনমিক, ডিজাইন থিংকিং এন্ড মডেলিং, রোবটিক্স প্রোসেস অটোমেশন, কৃত্রিম বৃদ্ধিমত্তা, ব্লকচেইন, সোস্যাল মার্কেটিং, হেলথ কেয়ার মার্কেটিং, কনসেপ্ট মার্কেটিং, টার্গেটিং এন্ড পজিশনিং, কনসেপ্ট ডেভেলোপমেন্ট, কাস্টমার ডাটা ম্যানেজমেন্ট, পাবলিক রিলেশন্স ও আচরণগত বিশ্লেষণ ইত্যাদি।

যারা নিজের ক্যারিয়ার বা ব্যবসাকে আন্তর্জাতিকভাবে পরিচিত করাতে চান, মার্কেটিং এর মাধ্যমে প্রতিষ্ঠান ও দেশের ভাবমূর্তি গোটা দুনিয়ায় জানান দিতে চান, তাদের জন্য দারুণ সুযোগ হাতছানি দিচ্ছে। এমন অনেক অজানা তথ্য-উপাত্ত নিয়ে আলোচনা করা হবে এই সামিটে যা আগে অনেকেই জানেনি বা শোনেনি। ছোট ছোট কিছু টিপস ও উপদেশ যা বদলে দিতে পারে আপনার চিন্তা জগৎকে।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের বিশিষ্ট বিপণন নেতারা, ব্যবস্থাপক, পরিচালক, শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও বিপণন পেশাজীবীরা অনলাইনের মাধ্যমে নিবন্ধন করে অংশহগ্রহণ করতে পারবেন। তিন ক্যাটাগরিতে টিকেট বিক্রি করা হবে।

প্রথম ক্যাটাগরি: অ্যাডভান্স লারনারদের (শিক্ষার্থী) জন্য টিকিটের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ হাজার ৮০০ টাকা। দুদিন ব্যাপী এই সামিটের পূর্ণ এক্সেস এবং অধ্যাপক কটলার স্বাক্ষরিত ই-সার্টিফিকেট পাবেন তাঁরা।

দ্বিতীয় ক্যাটাগরি: করপোরেট ব্যক্তিদের জন্য ৬ হাজার ৫০০ টাকা ধরা হয়েছে। যেসব সুবিধা তারা পাবেন- সামিটের পূর্ণ এক্সেস, প্রফেসর কটলার স্বাক্ষরিত ই-সার্টিফিকেট, এক সপ্তাহের জন্য ভিডিওর মাধ্যমে সব স্পিকারের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ।

তৃতীয় ক্যাটাগরি: ভিআইপি ব্যক্তিদের জন্য ৮ হাজার ৫০০ টাকা ধরা হয়েছে। যেসব সুবিধা তারা পাবেন—সামিটের পূর্ণ এক্সেস, ই-সার্টিফিকেট, এক মাসের জন্য ভিডিওর মাধ্যমে সব স্পিকারের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ, মাস্টার ক্লাসে (অধিবেশন) অংশগ্রহণ, কটলার ইমপ্যাক্ট মাস্টার ক্লাসে অংশ নেওয়ায় প্রফেসর কটলার স্বাক্ষরিত ই-সার্টিফিকেট ও বিগব্যাং বুক–২০২০–এর পক্ষ থেকে স্পেশাল গিফট।

সবার জন্য থাকছে অংশগ্রহণ শেষে ওয়ার্ল্ড মার্কেটিং সামিট অ্যালামনাই হওয়ার সুযোগ, যা বিশ্বব্যাপী নিজের নেটওয়ার্ক তৈরির এক সুবর্ণ সুযোগ। শিক্ষক, গবেষক, করপোরেট ব্যক্তিত্বরা যারা উচ্চশিক্ষা, এমফিল বা পিএইচডি করবেন, তারা বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল হায়ার স্টাডিজ (বিআইআইএইচএস) থেকে বিশ্বের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় ভর্তির সুযোগ পাবেন।

উল্লেখ্য, এবারের সামিটি যৌথভাবে আয়োজন করেছে নর্দান ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ ও কটলার ইমপ্যাকট, ইনকরপোরেটেড। নিবন্ধনের শেষ তারিখ ২৫ অক্টোবর ২০২০। সামিটের বিস্তারিত জানা যাবে https://wmsbangladesh.com/–এ

   

তাপদাহে পুড়ছে দেশ, সিলেটে মুষলধারে বৃষ্টি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিলেট
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সারাদেশে যখন তীব্র তাপদাহ চলছে তখন সিলেটে বারবার দেখা যাচ্ছে ব্যতিক্রম চিত্র। টানা কয়েকদিন গরমের কারণে হাঁসফাঁস করছিল লোকজন। এর মধ্যে মুষলধারে বৃষ্টিতে ভিজলো সিলেট।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) দিবাগত রাত ১১টা থেকে সিলেটে শুরু হয় মুষলধারে বৃষ্টিপাত। রাত সোয়া ১টায় পর্যন্ত বৃষ্টি অব্যাহত ছিল। বৃষ্টির সাথে ছিল ঝড়ো হাওয়া। এতে কমে গরমের অস্বস্তি ভাব।

সিলেট নগরীর শেখঘাট এলাকার গৃহবধূ ঝর্ণা আক্তার বলেন, সারাদিন অনেক গরম ছিল।বাচ্চাদের নিয়ে অনেক কষ্টে দিন পার করতে হয়েছে। রাতের বৃষ্টি হওয়া শীতল হাওয়া লাগছে।

গোলাপগঞ্জের সাকিব আল-মামুন বলেন, ছুটির দিন হওয়াতে অনেকেই বাইরে ঘুরতে বের হন।কিন্তু প্রচুর গরম হওয়ার কারণে অনেকেই অস্বস্তি বোধ করতে দেখা যায়।আমাদের এখানে দেশের অন্যান্য স্থান থেকে গরম অনেক কম।

এর আগে গত ২১ এপ্রিলও সারাদেশে তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যে সিলেটে স্বস্তির বৃষ্টি দেখা মিলে।

এদিকে আবহাওয়া সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সারাদেশে একই তাপমাত্রা থাকলেও বিপরীত চিত্র সিলেটে। সিলেটের তাপমাত্রা দেশের অন্যান্য অঞ্চল থেকে একটু সহনশীল। যার কারণে নাগরিক জীবনে কোনো অস্বস্তিকর প্রভাব পড়েনি। মেঘালয়ের পাদদেশে অবস্থান ও বৃষ্টি প্রবণ এলাকা হওয়ায় সিলেটে এখনো তাপমাত্রা কম রয়েছে।

সিলেট আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা শাহ মোহাম্মদ সজিব হোসেন বলেন, ‘কালবৈশাখি মৌসুমে আবহাওয়া এমনই থাকবে। কখনো বৃষ্টি হবে, কখনো ঝড় হবে আবার কখনো তীব্র তাপপ্রবাহ হবে। বৃষ্টি হবে যে সেটার পূর্বাভাস আগেই ছিল। তবে ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে সিলেটে দেশের অন্যান্য জায়গার চেয়ে গরম অনেক কম অনুভূত হচ্ছে।’ 

;

অস্থির রাখাইনের উত্তাপ বাংলাদেশ সীমান্তে: ঢাকায় সিবিআইএফের আন্তর্জাতিক সংলাপ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কক্সবাজার
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মিয়ানমারের রাখাইনে চলমান গৃহযুদ্ধের উত্তাপ ছড়িয়েছে বাংলাদেশের সীমান্ত এলাকায়। এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের নিরাপত্তা সংকট ও প্রতিবেশী রাষ্ট্রে অস্থিতিশীলতার প্রভাব নিয়ে ঢাকায় বিভিন্ন দেশের বিশ্লেষকদের অংশগ্রহণে আয়োজন করা হচ্ছে আন্তর্জাতিক সংলাপ।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) সকালে কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ফোরাম (সিবিআইএফ) এর উদ্যোগে বাংলাদেশ সেন্টার ফর ইন্দো-প্যাসিফিক অ্যাফেয়ার্স’ (বিসিআইপিএ) এর সহযোগিতায় রাজধানীর ইএমকে সেন্টারে অনুষ্ঠিত হবে এই আয়োজন।

"সম্প্রীতির সেতু নির্মাণ: গৃহযুদ্ধ পরবর্তী আরাকান/রাখাইনে সামাজিক সংহতি, শান্তি এবং স্থিতিশীলতার জন্য সামগ্রিক কৌশল" শিরোনামে অনুষ্ঠাতব্য এই সংলাপে মডারেটর ও আলোচক হিসেবে বাংলাদেশ, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, নেদারল্যান্ডস, জাপান ও মিয়ানমারের অভিজ্ঞ এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিশেষজ্ঞ ব্যক্তিবর্গ অংশ নিচ্ছেন।

আলোচনায় বাংলাদেশ থেকে রয়েছেন, আর্মড ফোর্সেস ডিভিশনের সাবেক প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মাহফুজুর রহমান, সাবেক রাষ্ট্রদূত ও প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞ মেজর জেনারেল (অব.) শাহিদুল হক, সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাখাওয়াত হোসেন, বিসিআইপিএ এর নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক শাহাব ইনাম খান, গবেষক ও লেখক আলতাফ পারভেজ সহ অনেকে।

মিয়ানমার থেকে ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্ট- এনইউজির ফেডারেল ইউনিয়ন বিষয়কমন্ত্রী

লিয়াং মং সাখং, মানবাধিকার বিষয়ক উপমন্ত্রী অং ক্য ম, পররাষ্ট্র বিষয়ক উপমন্ত্রী মু জৌ উ, এনইউজি প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ের মুখপাত্র জ ক্য, সাবেক সংসদ সদস্য ইউ সুয়ে মং, আরাকান রোহিঙ্গা ন্যাশনাল এল্যায়েন্স এর চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম প্রমুখ বক্তা হিসেবে থাকছেন।

এছাড়াও জাতিসংঘ, বিভিন্ন দেশের দূতাবাস থেকে আসা প্রতিনিধি, আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের প্রতিনিধিসহ অনেকেই বক্তব্য রাখবেন আলোচনায়।

সংলাপে বাংলাদেশ সীমান্তের পরিস্থিতি নিয়ে অভিজ্ঞতা তুলে ধরবেন কক্সবাজারের স্থানীয়রা বলে জানান সিবিআইএফ এর যুগ্ম আহ্বায়ক সুজন শর্মা।

সিবিআইএফ এর যুগ্ম আহ্বায়ক মোহিব্বুল মোক্তাদীর তানিম বলেন, "কক্সবাজারের বিভিন্ন সম্প্রদায়কে অন্তর্ভুক্ত করে বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের নিমিত্তে ও টেকসই এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক ভবিষ্যতের জন্য কাজ করে থাকে সিবিআইএফ, যার অংশ হিসেবে আন্তর্জাতিক এই সংলাপের আয়োজন।"

এর আগে গত বছরের ডিসেম্বরে আনুষ্ঠানিক আত্মপ্রকাশের পর "নেভিগেটিং দ্য রিপল অ্যাফেক্ট : এক্সামিনিং দ্য ইম্প্যাক্ট অব দ্য রোহিঙ্গা ক্রাইসিস অন হোস্ট কমিউনিটি অ্যান্ড চার্টিং পাথস টু ডিউরেবল সলিউশনস" শিরোনামে ওয়েবিনারের আয়োজন করে কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ফোরাম। 

;

ফেনীতে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে কিশোর গ্যাংয়ের ৬ সদস্য অস্ত্রসহ আটক



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ফেনী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ফেনীতে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে কিশোর গ্যাংয়ের প্রধানসহ ৬ সদস্যকে দেশীয় অস্ত্রসহ আটক করেছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)। কিশোর গ্যাংটি ‘এসডব্লিউএজি ৪৭’ নামে পরিচিত।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় র‍্যাব। এর আগে বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দিবাগত রাতে শহরের রামপুর এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।

আটককৃতরা হলো- ফেনী সদর উপজেলার সুন্দরপুর এলাকার মাইনুদ্দিনের ছেলে মো. সৈকত (১৭), বারাই গনি এলাকার মৃত আবুল হোসেনের ছেলে মো. বাবু (১৯), সোনাগাজী উপজেলার বাদাদিয়া এলাকার মাইনুদ্দিন মানিকের ছেলে মো. মাহি (২২), গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার জরম নদী এলাকার মো. রফিকুল ইসলামের ছেলে মো. মানিক (১৮),পাঁচগাছিয়া এলাকার রাজিবের ছেলে মো. আরমান (১৯) এবং মিয়াজী রোডস্থ মৃত স্বপনের ছেলে মো. আসিফ (১৮)।

র‍্যাব সূত্র জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শহরের রামপুর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে র‍্যাব। রামপুর পাকা রাস্তার ওপর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন এ কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা। সেখান থেকে দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় ধাওয়া করে তাদের আটক করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে স্টিলের চাকু ও ফোল্ডিং চাকু উদ্ধার করা হয়।

ফেনীস্থ র‍্যাব-৭ এর কোম্পানি অধিনায়ক মোহাম্মদ সাদেকুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘদিন ধরে তারা শহরে বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিল। র‍্যাব গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাদের ডাকাতির প্রস্তুতিকালে আটক করে। পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়ার জন্য আটককৃত আসামিদের ফেনী মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

ফেনী মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহিদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, আসামিদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

 

;

পঞ্চগড়ে নদীতে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, পঞ্চগড়
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পঞ্চগড় সদর উপজেলায় চাওয়াই নদীতে গোসল করতে নেমে পানিতে ডুবে আলমি আক্তার (১২) ও ইসরাত জাহান সিফাত (৯) নামে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে জেলার সদর উপজেলার অমরখানা ইউনিয়নেট চাওয়াই নদীর চৈতন্যপাড়া এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, নিহত আলমি ওই এলাকার আব্দুল আজিজের মেয়ে এবং সিফাত সাইফুল ইসলামের মেয়ে। তারা দুজনে সম্পর্কে ফুফু-ভাতিজি।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার দুপুরে আলমি ও সিফাত বাড়ির পাশে চাওয়াই নদীতে গোসল করতে যায়৷ নদীতে গোসল করতে গিয়ে সিফাত পানিতে ডুবে যেতে থাকলে তাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসে আলমি৷ পরে দুজনে পানিতে ডুবে যায়। এসময় নদীর পাড়ে থাকা অন্য আরেক শিশু বিষয়টি দেখে দৌড়ে তাদের পরিবারের লোকজনকে জানালে তারা দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে মৃত অবস্থায় পানির নিচ থেকে তাদের দুজনের মরদেহ উদ্ধার করে।

খবর পেয়ে পুলিশ মৃত দুই শিশুদের মরদেহের সুরতহাল করে।

পঞ্চগড় সদর থানার উপপরিদর্শক পলাশ চন্দ্র রায় বলেন, দুই শিশুর মধ্যে একজন সাঁতার জানতো, আরেকজন জানতো না। একজন আরেকজনকে বাঁচাতে গিয়ে দুজনেই একসাথে ডুবে মৃত্যু হয়েছে বলে জানান স্থানীয়রা। ইউপি চেয়ারম্যানের মাধ্যমে মরদেহ সুরতহাল শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। 

;