‘কোথাও পুলিশ ধর্ষক, কোথাও সহযোগী’
দেশের সব প্রান্তে নারী শিশু নিপীড়নের ঘটনায় পুলিশ প্রশাসনের ব্যর্থতা স্পষ্টভাবে উঠে আসছে বলে অভিযোগ করেছেন রংপুরের বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। তাদের অভিযোগ, ‘নারী নিপীড়ন-নির্যাতন বন্ধে পুলিশ প্রশাসন ব্যর্থ। পুলিশদের দ্বারাই এখন নারী ধর্ষণ-নির্যাতনের মতো ঘটনা ঘটছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে কোথাও পুলিশ ধর্ষক, আবার কোথাও নিপীড়কের সহযোগী।’
মঙ্গলবার (২৭ অক্টোবর) দুপুরে রংপুর প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত ধর্ষণ বিরোধী সমাবেশ থেকে বক্তারা এই অভিযোগ করেন।
রংপুর নগরীর হারাগাছে রায়হানুল ইসলাম ওরফে রাজু নামে এক ডিবি পুলিশ কর্মকর্তার নেতৃত্বে স্কুল শিক্ষার্থীকে গণধর্ষণের প্রতিবাদে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। ধর্ষণ ও বিচারহীনতার বিরুদ্ধে বাংলাদেশ রংপুর জেলা কমিটি এর আয়োজন করে।
প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা বলেন, ‘হারাগাছে গণধর্ষণের শিকার স্কুল শিক্ষার্থীর পরিবারকে নানাভাবে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে স্থানীয় প্রশাসন। এতে করে মামলার আসামিরা প্রকৃত শাস্তি পাবে না। বিচার কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হবে। এজন্য হুমকি প্রদানকারী প্রশাসনের সদস্যদেরকেও বিচারের আওতায় আনতে হবে। ধর্ষক এএসআই রায়হানুল ও তার সহযোগীদের দ্রুত বিচার সম্পন্ন করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। নইলে ধর্ষণ নির্যাতনের মতো অপরাধ দমন হবে না।’
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- বাসদ (মার্কসবাদী) রংপুর জেলার সমন্বয়ক আনোয়ার হোসেন বাবলু, সদস্য আহসানুল আরেফিন তিতু, বাসদ রংপুর জেলার সদস্য সচিব মমিনুল ইসলাম, সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরামের জেলা সভাপতি গোলাপি বেগম, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট রংপুর মহানগরের আহবায়ক সাজু রায়, রংপুর জেলা সভাপতি জুগেশ ত্রিপুরা, সহ-সভাপতি প্রল্লাদ রায়, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন রংপুর ইউনিট সভাপতি জিয়াউর রহমান জিয়া প্রমুখ।
এসময় বক্তারা অবিলম্বে নির্যাতিতার পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাসহ গণধর্ষণের ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানান।