সাংবাদিকদের ওপর সশস্ত্র হামলার ৩ দিনেও মামলা রেকর্ড করেনি পুলিশ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কক্সবাজার
তিন সাংবাদিকের উপর সশস্ত্র হামলা। বার্তা২৪.কম

তিন সাংবাদিকের উপর সশস্ত্র হামলা। বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

কক্সবাজার শহরের কলাতলী বাইপাস এলাকায় পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে নিয়ে সাংবাদিকদের ওপর সশস্ত্র সন্ত্রাসী হামলার ঘটনার তিন দিনেও মামলা রেকর্ড করেনি পুলিশ। বরং স্থানীয় প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় বীরদর্পে ঘুরে বেড়াচ্ছে হামলাকারিরা। ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে নানামুখি তদবির করছে একটি চক্র। প্রকাশ্যে একটি হামলার ঘটনা এখনো ‘তদন্তে’ সীমাবদ্ধ।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে কক্সবাজার সদর মডেল থানার ইন্সপেক্টর (অপারেশন) সেলিম উদ্দিন বলেন, ঘটনার বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। একজন অফিসার তদন্ত করছেন। প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আহত সাংবাদিক আমান উল্লাহ অভিযোগ করে বলেন, পেশাগত দায়িত্ব পালনে গিয়ে তিনজন সংবাদকর্মীকে মেরে রক্তাক্ত করলো; আর পুলিশ তিনদিনেও মামলা রেকর্ড করলো না, তা খুবই দুঃখজনক বিষয়। এতে অপরাধীদের সঙ্গে পুলিশের আঁতাতের ইঙ্গিত বহন করে। এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন ভিকটিম সাংবাদিকেরা।

সুত্র জানায়, গত শুক্রবার (৩০ অক্টোবর) রাত আনুমানিক পৌনে ১২টার দিকে কক্সবাজার শহরের কলাতলীস্থ উদ্বাস্তু বসতিতে সশস্ত্র হামলা চালায় স্থানীয় একটি দখলবাজচক্র। খবর পেয়ে সংবাদ সংগ্রহে ছুটে যান টেলিভিশন ও পত্রিকার ৫/৬ জন সাংবাদিক।

এ সময় স্বশস্ত্র সন্ত্রাসীদের হামলায় গুরুতর আহত হন দৈনিক গণসংযোগ পত্রিকার সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) আমান উল্লাহ, বিজয় টিভির কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি এম শাহ আলম, দৈনিক গণসংযোগ পত্রিকার সাংবাদিক মো: আয়াজ। ঘটনার পর থেকে আহতরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

এঘটনায় পরের দিন (৩১ অক্টোবর) কক্সবাজার সদর মডেল থানায় পৃথক দুটি এজাহার দায়ের করা হয়েছে। কিন্তু ঘটনার তিন দিন পার হলেও মামলা রেকর্ড হয়নি থানায়। বরং অভিযুক্ত কাউকে আটক না করায় সাংবাদিক ও সচেতন মহল উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

অনুসন্ধানে জানা যায়, বিগত প্রায় তিন মাস ধরে কক্সবাজারের কলাতলী বাইপাস রোডস্থ উদ্বাস্তু পল্লীর বসত-ভিটা দখলে নিতে চিহ্নিত ভূমিদস্যু ও মাদক কারবারী মনির উদ্দিন আরিফের নেতৃত্বে একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী প্রকাশ্যে অস্ত্রের মহড়াসহ একাধিকবার হামলার চেষ্টা চালায়। এই ঘটনায় কক্সবাজার সদর মডেল থানায় একাধিক ডায়েরি, এজাহার ও অভিযোগ দায়ের করেছে ভুক্তভোগী উদ্বাস্তু পরিবার।

শুধু তাই নয়; কক্সবাজারের চিহ্নিত কয়েকটি সন্ত্রাসী গ্রুপকে ভাড়া করে উদ্বাস্তু পল্লির বসত-ভিটাগুলো কেড়ে নেয়ার অপচেষ্টা চালানো হয়েছে বলেও অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা। তারই ধারাবাহিকতায় গত ৩০ অক্টোবর রাত আনুমানিক রাত পৌনে ১২টার দিকে কলাতলীস্থ উদ্বাস্তু বসতি দখলে নিতে চিহ্নিত ভুমিদস্যুরা স্বশস্ত্র হামলা ও গুলিবর্ষণ করা হচ্ছে, এমন খবর পেয়ে সংবাদ সংগ্রহে ছুটে যায় টেলিভিশন ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকরা। এসময় ঘটনাস্থলে সাংবাদিকদের উপস্থিতি টের পেয়ে অতর্কিত হামলা চালায় সশস্ত্র হামলাকারীরা।

কলাতলীর বাইপাস রোডস্থ উদ্বাস্তু পল্লীতে যাওয়ার প্রবেশ মুখে পৌঁছতেই চিহ্নিত সন্ত্রাসী পেকুয়ার মনির উদ্দিন আরিফ, আব্দুল কাদের, কলাতলীর ঝরঝরি কুয়া’র সাইফুল, বাংলাবাজার এলাকার জাহেদ এবং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা জাফর আলম, হোছন আহম্মদ ও চট্টগ্রামের ভুমিদস্যু হারুনুর রশীদসহ ১৫/২০ জনের একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী সাংবাদিকদের উপর হামলা চালায়। স্থানীয়রা এগিয়ে গেেল সন্ত্রাসীরা ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে পালিয়ে যায়। এই খবর পেয়ে কক্সবাজার সদর মডেল থানার দায়িত্বরত অফিসার দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহত সাংবাদিকদের মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন।

জলবায়ু উদ্বাস্তু পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, মগনামা এলাকার বাসিন্দা ও কলাতলী সী-সাইন হোটেলের ভাড়াটিয়া মালিক আরিফ, কাদের, জাহেদ, সাইফুল ও চট্টগ্রামের ভূমিদস্যু হারুনের নেতৃত্ব এ হামলার ঘটনা ঘটেছে।

বসবাসরত স্থানীয়রা জানিয়েছে, বিগত প্রায় দুই যুগ ধরে উক্ত জমিতে বসবাস করে আসছেন জেলার বিভিন্ন স্থানের জলবায়ু উদ্বাস্তু অর্ধশতাধিক পরিবার। বিগত কয়েক বছর আগে উক্ত জমির লিজ চেয়ে কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের নিকট আবেদন করেন এসব পরিবার। আবেদনটি দীঘদিন ফাইল বন্দী থাকায় উচ্চ আদালতে রিট করেন তারা। যার রিট পিটিশন নং-১০৩৫৪/১৮। রিট মামলাটির শুনানিকালে মহামান্য সুপ্রীম কোর্ট (হাইকোর্ট বিভাগ) আবেদনকৃত ২০ পরিবারকে ৫ শতক করে মোট এক একর জমি লিজ বন্দোবস্ত দিতে কক্সবাজার জেলা প্রশাসককে দেয়ার নির্দেশ দেয়।

আদেশটি বাস্তবায়ন করতে কক্সবাজার সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কে নির্দেশ দেন জেলা প্রশাসক। কিন্তু তৎকালীন সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নানা অজুহাতে সময় ক্ষেপন করতে থাকলে এবং একই সময় কক্সবাজারের বিভিন্ন স্থাানে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হওয়ায় বসত ভিটা রক্ষায় পুনরায় মহামান্য সুপ্রীম কোর্টে কনটেম্পট পিটিশন দায়ের করেন ভুক্তভোগী পরিবার। কনটেম্পট পিটিশন নং-৬৫/২০। এই পিটিশনের প্রেক্ষিতে উচ্চ আদালত ২০ পরিবারকে কোন প্রকার উচ্ছেদ না করার জন্য এবং বন্দোবস্ত প্রদান পূর্বক উচ্চ আদালতে ফিরতি রিপোর্ট দাখিলের নির্দেশ দেন কক্সবাজার জেলা প্রশাসক, সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি), তহশীলদার (সদর)সহ সংশ্লিষ্ট সকলকে। যার কার্যক্রম বর্তমানে চলমান রয়েছে।

জানা যায়, একাধিকবার এসব পরিবারকে উচ্ছেদের চেষ্টা করায় কক্সবাজার মডেল থানা ও কক্সবাজার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতেও মামলা বিচারাধীন আছে। গত ৬ অক্টোবর একটি অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কারণ দর্শানোর আদেশও জারি করে আদালত। কিন্তু একটি প্রভাবশালী মহল বসতবাড়িগুলো দখলে নিতে টাকার জোরে একেরপর এক সন্ত্রাসী হামলার চেষ্টা, প্রকাশ্য অস্ত্রের মহড়া ও হুমকি-ধমকী প্রদর্শন অব্যাহত রেখেছে। যার ধারাবাহিকতায় এই সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসীরা সাংবাদিকদের উপর হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তারা।

   

বৃষ্টি আর গরম নিয়ে সুখবর দিল আবহাওয়া অফিস



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশজুড়ে বইছে তীব্র তাপপ্রবাহ। এর মধ্যে গত বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীতে স্বস্তির বৃষ্টি ঝড়লেও তারপর থেকে আবার বাড়ছে গরম। এমন অবস্থায় সুখবর দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। 

সংস্থাটি জানায়, আগামীকাল রোববার (৫ মে) থেকে তাপমাত্রা কিছুটা কমতে পারে। পাশাপাশি আগামী ৫ দিনে বাড়তে পারে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা।

শনিবার (৪ মে) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, বর্তমানে পাবনা, যশোর, চুয়াডাঙ্গা ও বাগেরহাট জেলাসমূহের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। সেই সঙ্গে চাঁদপুর ও মৌলভীবাজার জেলাসহ ঢাকা, ময়মনসিংহ, রাজশাহী, রংপুর ও বরিশাল বিভাগ এবং খুলনা বিভাগের অবশিষ্টাংশের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায়ও তাপপ্রবাহের এমন দাপট অব্যাহত থাকতে পারে।

এই অবস্থায় আগামীকাল রোববার সকাল ৯টা পর্যন্ত সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, ঢাকা, ময়মনসিংহ, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। তবে এই সময়ে সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

উল্লেখ্য, গত ২৪ ঘণ্টায় কুমিল্লায় সর্বোচ্চ ৩৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। পাশাপাশি এই সময় ভোলায় ৩২, চট্টগ্রাম ও কুতুবদিয়ায় ২৭, টেকনাফে ২০, শ্রীমঙ্গলে ১২, বান্দরবানে ৬ মিলিমিটারসহ সিলেট, রাঙামাটি, মোংলা ও সন্দ্বীপে সামান্য থেকে ৪ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এছাড়া গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে যশোরে, ৪১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। 

 

;

কাপ্তাই লেকের হারানো যৌবন ফিরিয়ে আনা হবে: প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কাপ্তাই লেকের হারানো যৌবন ফিরিয়ে আনতে সব ধরণের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান।

শনিবার (৪ মে) দুপুরে রাঙামাটির কাপ্তাই লেকে মাছের পোনা অবমুক্তকরণ ও মৎস্যজীবীদের মাঝে ভিজিএফ চাল বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, কাপ্তাই লেক তার সেই আগের সৌন্দর্য রূপে নেই। এটি যেন নুইয়ে পড়েছে। তবে সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা কাপ্তাই লেকের আগের সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনতে চাই। তবে এই সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনতে হলে শুধু মৎস্যজীবীদেরই নয়, এলাকার সর্ব সাধারণের সহযোগিতা প্রয়োজন।

জেলেদের উদ্দেশ্যে করে প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, আগামী তিন মাস আপনারা লেকে মাছ ধরবেন না। এছাড়া নিষিদ্ধ ঘোষিত মশারি জাল, বেহুন্দী জাল, কারেন্ট জাল এগুলো ব্যবহার করবেন না। জাটকাসহ ছোট মাছ ধরবেন না। আপনারা নিজ সন্তানকে যেমন পরিপূর্ণ করে গড়ে তোলেন তেমনি মাছকেও বড় হতে দিতে হবে। শুধু মন্ত্রী হিসেবেই নয় একজন নাগরিক হিসেবেও কাপ্তাই লেকের সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনতে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে যা যা করা দরকার সবকিছুই করা হবে।

তিনি বলেন, আপনাদের লেকের মাছ আপনারাই ধরবেন। অন্য এলাকা থেকে কেউ এসে এই মাছ ধরবে না। সুতরাং এই লেকের ব্যবস্থাপনায় আপনাদেরই এগিয়ে আসতে হবে।

পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে কাপ্তাই লেক নিয়ে প্রকল্প গ্রহণের বিষয়ে উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, রাঙামাটির বর্তমান ফিস ল্যান্ডিং সেন্টারটি সংস্কার করে আধুনিক ও উন্নত মানের ফিস ল্যান্ডিং স্টেশন হিসেবে গড়ে তোলার উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। আপনারা যাতে বংশ পরম্পরায় কাপ্তাই লেকের মাধ্যমে জীবন জীবিকা নির্বাহ করতে পারেন সে বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সকল ধরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

কৃষি জমিতে ব্যবহার করা কীটনাশকের ফলে মাছের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ফসলের জমিতে কীটনাশকের ব্যবহারে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। তবে কেউ যদি আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়ে কিছু করে তবে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এসময় তিনি কাপ্তাই লেকে পোনা অবমুক্ত করেন এবং জেলেদের মাঝে ভিজিএফ চাল বিতরণ করেন।

;

চামড়াশিল্পে ন্যূনতম মজুরি ২২৭৭৬ টাকার প্রস্তাব সিপিডি’র



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মূল্যস্ফীতি বিবেচনায় দেশের চামড়াশিল্প খাতের শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ২২ হাজার ৭৭৬ টাকা প্রস্তাব করেছে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। একইসঙ্গে মজুরি দেওয়ার ক্ষেত্রে গ্রেডিং সিস্টেম যথাযথ করার প্রস্তাব দিয়েছে সংস্থাটি।

শনিবার (৪ মে) রাজধানীর ধানমন্ডিতে সিপিডি কার্যালয়ে ‘ট্যানারি শিল্পে ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ ও বাস্তবায়নে চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক আয়োজিত আলোচনা সভায় ট্যানারি শ্রমিকদের জন্য ন্যূনতম এ মজুরি প্রস্তাব করে প্রতিষ্ঠানটি।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন সিপিডির গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যূনতম মজুরি বোর্ডের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী মোল্লা।

সিপিডির গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন মজুরি বোর্ডের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী মোল্লা, ট্যানারি মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএ) সভাপতি শাহীন আহমেদ, ভাইস-চেয়ারম্যান মো. মিজানুর রহমান, ট্যানারি ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ ও সাধারণ সম্পাদক মো. আবদুল মালেক, অশি ফাউন্ডেশনের ভাইস-চেয়ারম্যান এস এম মোরশেদ প্রমুখ।

গবেষণা প্রতিবেদন তুলে ধরে সিপিডির সিনিয়র গবেষক তামিম আহমেদ জানান, বর্তমান বাজারে সবকিছুর দাম ঊর্ধ্বমুখী। এমন পরিস্থিতিতে ট্যানারি বা চামড়াখাতের একজন শ্রমিকের পরিবারের জন্য প্রয়োজনীয় খাবারের খরচ মাসে ২০ হাজার ৫৬৪ টাকা। আর খাদ্যবহির্ভূত খরচ ১২ হাজার ৯১৪ টাকা। প্রত্যেক শ্রমিক পরিবারের গড়ে সদস্যসংখ্যা ৪ দশমিক ৬ জন। এর মধ্যে উপার্জনক্ষম সদস্য ১ দশমিক ৫ জন। সেই হিসেবে শ্রমিকের মাসিক ন্যূনতম মজুরি ২২ হাজার ৭৭৬ টাকা হওয়া উচিত।

সিপিডির গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, নানা সময়ে চামড়া খাতের পরিবেশ নিয়ে অনেক আলোচনা হয়। কিন্তু এ খাতের মজুরি নিয়ে আলোচনা কম হয়। সুতরাং মজুরি বাড়লে এই খাতে ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে বলে মনে করেন তিনি।

ন্যূনতম মজুরি নিয়ে সিপিডির প্রস্তাবের বিষয়ে ট্যানারি ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. আবদুল মালেক বলেন, সিপিডির প্রস্তাবটি তাদের আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে মেলেনি। তবে সংস্থাটির প্রতিবেদনে এ খাতের সার্বিক অবস্থা উঠে এসেছে। আমরা নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ২৫ হাজার টাকা ন্যূনতম মজুরি বিষয়ে একটি প্রস্তাবনা তৈরি করেছি। ইতোমধ্যে প্রস্তাবটি মালিকপক্ষ ও মজুরি বোর্ডের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শাহীন আহমেদ বলেন, চামড়া খাতের বর্তমান পরিস্থিতিতে সিপিডির এমন প্রস্তাবনা কোনোভাবেই বাস্তবায়ন করা সম্ভব না। কারণ, ডলারের দাম বাড়ার কারণে আগের তুলনায় উৎপাদন খরচ বেড়েছে। বিপরীতে রফতানিতে চামড়ার ইউনিট মূল্য কমেছে। তবে সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে গ্রহণযোগ্য একটি মজুরি নির্ধারণ করা হলে সেটি বিবেচনায় নেওয়ার চেষ্টা করবেন বলে জানান তিনি।

ন্যূনতম মজুরি বোর্ডের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী মোল্লা বলেন, বোর্ডে আলোচনা করে দেখা হবে মজুরি কতটা বাড়ানো সম্ভব। যাতে চামড়া শিল্প টিকিয়ে শ্রমিকেরাও বেঁচে থাকতে পারেন এমন একটি বেতন কাঠামো দেওয়ার চেষ্টা করা হবে।

;

২ মাসের মধ্যে ঢাকা-যশোর রেললাইন উদ্বোধন: রেলমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আগামী দুই মাসের মধ্যে নবনির্মিত ঢাকা-যশোর রেললাইন উদ্বোধন করা হবে বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী জিল্লুল হাকিম। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এটি উদ্বোধন করবেন বলে জানান তিনি।

শনিবার (৪ মে) ঢাকা-ভাঙ্গা-রাজবাড়ী রুটে নতুন ট্রেনের উদ্বোধন উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে রেলমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, সবচেয়ে সস্তা পরিবহন ব্যবস্থা হলো রেল। এটি মানুষের দ্বারে দ্বারে পৌঁছে দে্য়ারর জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরিকল্পনা অনুযায়ী ফরিদপুরের ভাঙ্গা থেকে খুলনা হয়ে যশোরের বেনাপোল পর্যন্ত নতুন ট্রেনলাইন চালু হচ্ছে আগামী দুই মাসের মধ্যে।

তিনি বলেন, এই দুটো লাইন চালু হয়ে গেলে ভাঙ্গা, শিবচর- এসব অঞ্চলের গুরুত্ব অনেক বেড়ে যাবে। এছাড়া আমরা ডিভিশনগুলো একপেশে করতে চাই না। সমন্বিতভাবে, সব অঞ্চলের লোকজন যাতে পায় সেভাবে আমরা কাজ করার চেষ্টা করছি।

;