ভারত মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের ২১ কোটি টাকা স্কলারশিপ দিয়েছে



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের স্কলারশিপের চেক প্রদান অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন হর্ষবর্ধন শ্রিংলা, ছবি: বার্তা২৪

মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের স্কলারশিপের চেক প্রদান অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন হর্ষবর্ধন শ্রিংলা, ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

মুক্তিযোদ্ধা স্কলারশিপ প্রকল্পের আওতায় ১২ হাজারের বেশি ছাত্র-ছাত্রীকে ২১ কোটি টাকার স্কলারশিপ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ভারতীয় হাইকমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলা। ২০০৬ সাল থেকে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা এই সুবিধা পাচ্ছেন বলে জানান তিনি।

বৃহস্পতিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সিলেটে ভারতীয় হাইকমিশনের উদ্যোগে সিলেট বিভাগ ও কিশোরগঞ্জ জেলার ২ হাজার ১৬ জন মুক্তিযোদ্ধা সন্তানের হাতে স্কলারশিপের চেক প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ তথ্য জানান।

হর্ষবর্ধন শ্রিংলা বলেন, মুক্তিযোদ্ধা বৃত্তি প্রকল্পের চেক বিতরণ অনুষ্ঠান আয়োজন করতে পেরে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। সিলেট হযরত শাহজালালের পবিত্র ভূমি। এই সুন্দর সিলেট অঞ্চলে আমি অনেকবার ভ্রমণ করেছি। সিলেটের চা বাগান আমার নিজ শহর দার্জিলিংয়ের কথা মনে করিয়ে দেয়।

তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা আমাদের দুই দেশের এক পবিত্র বন্ধন। এই মহান জাতির পরবর্তী প্রজন্মের জন্য একটি সুন্দর ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করার জন্য তারা মুক্তিযুদ্ধের সময় চরম কষ্ট সহ্য করেছেন। বর্তমান ও পরবর্তী প্রজন্ম তাদের অবদানের প্রতি চিরঋণী।

ভারত সরকার এই ভূমির বীর ‘পুত্র-কন্যাদের’ আত্মদানকে স্বীকৃতি দেয়। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা স্মরণে এবং দেশের একটি উন্নত ভবিষ্যতের লক্ষে মুক্তিযোদ্ধাদের অমূল্য অবদানকে সম্মান জানাতে কয়েকটি কল্যাণমূলক উদ্যোগ এবং প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে।

প্রকল্পগুলো উল্লেখ করে তিনি বলেন, সকল মুক্তিযোদ্ধার জন্য পাঁচ বছরের মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা, অসুস্থ মুক্তিযোদ্ধাদের ভারতে সশস্ত্র বাহিনীর হাসপাতালে বিনামূল্যে চিকিৎসা, নতুন মুক্তিযোদ্ধা সন্তান বৃত্তি প্রকল্প। এসব প্রকল্পের পাশাপাশি ভারতীয় সেনাবাহিনীর ইস্টার্ন কমান্ড আয়োজিত বিজয় দিবস উদযাপনে অংশগ্রহণের জন্য প্রত্যেক বছর মুক্তিযোদ্ধাদের একটি প্রতিনিধিদলকে কলকাতায় আমন্ত্রণ জানানো হয়।

তিনি বলেন, ভারত সরকার ২০০৬ সালে প্রথম মুক্তিযোদ্ধা বৃত্তি প্রকল্পটি চালু করেছিল এবং ২০১৭ সালে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নতুন প্রকল্পের ঘোষণা দেন। এই প্রকল্পগুলো একত্রিত হলে, ভারত সরকারের মোট ৫৬ কোটি টাকা ব্যয় করবে। ভারত সরকার স্নাতক এবং উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে অধ্যয়নরত মুক্তিযোদ্ধা উত্তরাধিকারীদের শিক্ষা সহায়তা হিসেবে বৃত্তি প্রদান করে। এ বৃত্তি প্রকল্প থেকে ২১ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী সরাসরি উপকৃত হয়েছে।

তিনি বলেন, আমি অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি যে, ভারতের সরকারের ‘ডিরেক্ট বেনিফিট ট্রান্সফার’ এবং 'প্রধানমন্ত্রী জন ধন যোজনা' ও ‘ডিজিটাল ভারত’-এর মতো কিছু ফ্ল্যাগশিপ প্রকল্প অনুযায়ী এই বৃত্তি প্রকল্প বাস্তবায়িত হবে। ভারতের সরকারের এই প্রকল্পগুলোর মতো পরের বছর হতে বৃত্তির পরিমাণ শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত ব্যাংক অ্যাকাউন্টে সরাসরি হস্তান্তর করা হবে। এই প্রকল্পসমূহের লক্ষ্য সুবিধাভোগীদের শ্রম লাঘব ও এ প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা।

বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে ভারত সরকার সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়। গত কয়েক বছরে আমাদের দুই মহান দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছেছে।

২০১৫ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাংলাদেশ সফরের পর যে উন্নয়ন হয়েছে সেগুলো উল্লেখ করে তিনি বলেন, ছিটমহল সমস্যাসহ দীর্ঘদিন ধরে অমীমাংসিত স্থল ও সমুদ্রসীমা নিষ্পত্তি, মহাকাশ, তথ্য প্রযুক্তি, ইলেকট্রনিক্স, সাইবার নিরাপত্তা এবং বেসামরিক পারমাণবিক শক্তির মতো উচ্চতর প্রযুক্তি ক্ষেত্রসহ ৯০টিরও বেশি চুক্তি সম্পাদন, ভারত-বাংলাদেশ বাণিজ্য ৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে ২৮.৫% বৃদ্ধি পেয়ে ৯ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত, ভারতে বাংলাদেশি পণ্যের শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার, গত বছর বাংলাদেশ থেকে ভারতে তৈরি পোশাক রপ্তানির পরিমাণ ১৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে ১১৫% বৃদ্ধি পেয়ে ২৮০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত, ভারতীয় বিনিয়োগ ৩ বিলিয়ন থেকে ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার পর্যন্ত বৃদ্ধি (আসন্ন বিনিয়োগসহ), বর্তমানে ৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণচুক্তি বাস্তবায়ন) ভারত ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ভৈরব ও তিতাস সেতু নির্মাণ, অতিরিক্ত ৬৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ, আখাউড়া-আগরতলা রেললাইনসহ ১৬টি উন্নয়ন সহযোগিতা প্রকল্পের উদ্বোধন, নির্মাণাধীন ১৩২০ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্প, ২০১৫ সাল থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ৪ হাজার বাংলাদেশি কর্মকর্তার ভারতে প্রশিক্ষণ, ১ হাজার ৫শ’ বাংলাদেশি বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ, বাংলাদেশি নাগরিকদের ভিসা প্রদান তিনগুণ বৃদ্ধি (২০১৫ সালে ৫ লাখ থেকে ২০১৭ সালে ১৪ লাখে উন্নীত) মুক্তিযোদ্ধা, জ্যেষ্ঠ নাগরিক ও মহিলা আবেদনকারীদের জন্য বিশেষ সুবিধা, ২০১৭ সালে ঢাকা-খুলনা-কলকাতা বাস সার্ভিস ও খুলনা-কলকাতা বন্ধন এক্সপ্রেস চালু, ঢাকা-কলকাতা মৈত্রী এক্সপ্রেস-এর প্রান্তিক কাস্টমস এবং ইমিগ্রেশন সেবা।

ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দু’দেশের সম্পর্কের বর্তমান সময়কে ‘সোনালী অধ্যায়’ বলে অভিহিত করেছেন বলে জানান তিনি।

ভারত ও বাংলাদেশ যৌথভাবে যে অবকাঠামোগত উন্নয়ন প্রকল্পগুলো নিয়েছে সেগুলো তুলে ধরে তিনি বলেন, এর আগে এই সপ্তাহের ১০ সেপ্টেম্বর, ভারত ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী যৌথভাবে কুলাউড়া-শাহবাজপুর বিভাগের রেলপথের পুনঃনির্মাণে কাজের উদ্বোধন করেন। এই রেলপথ পুনঃস্থাপনে আসামের করিমগঞ্জ জেলার সঙ্গে এবং ভারতের অন্যান্য উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোকে সরাসরি সংযুক্ত করবে।

এসময় তিনি সিলেটে সহকারী হাইকমিশন অফিস চালুর কথা উল্লেখ করে বলেন,  আগামী ৩ থেকে ৪ দিনের মধ্যে সহকারী হাইকমিশনের কাজ শুরু হবে। এতে সিলেটবাসীকে দ্রুত ভিসা প্রদান করা সম্ভব হবে।

এসময় তিনি বৃত্তিপ্রাপ্তদেরকে অভিনন্দন জানিয়ে তাদের সফল শিক্ষাজীবন এবং উজ্জ্বল ভবিষ্যতের কামনা করেন।

   

শ্রমিক সঙ্কটে শেষ মুহুর্তে বিপাকে নরসিংদীর কৃষকরা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, নরসিংদী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নরসিংদী জেলা কৃষি নির্ভর এলাকা। এখানকার মাটি আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় দিন দিন কৃষিতে ঝুঁকছেন চাষিরা। এখন বোরো ধান কাটার মৌসুম চলছে। তাই প্রতিদিন ভোর থেকে রাত পর্যন্ত পুরোদমে চলে ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজ। ধান ঘরে তোলার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন এখানকার চাষিরা।

তবে গত বছরের তুলনায় এ বছর বোরো ধানের বাম্পার ফলনেও শ্রমিক সঙ্কট ও তাদের উচ্চ মজুরীতে বিপাকে চাষীরা। জেলার রায়পুরা উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ভোরে সূর্য ওঠার আগেই কাস্তে হাতে শ্রম বিক্রির হাট থেকে শ্রমিক নিয়ে মাঠে ছুটছেন কৃষক। মাঠে মাঠে ধান মাড়াই ও শুকানো হচ্ছে।

ধানের শ্রমিকরা জানান, ময়মনসিংহ নেত্রকোনা কিশোরগঞ্জ জেলা থেকে দৈনিক মজুরিতে কাজ করতে এ এলাকায় আসেন। এলাকায় ধান কাটা থাকায় অনেকেই আসতে পারেননি।
যার জন্য এই মুহুর্তে ধান কাটার শ্রমিকের সঙ্কট রয়েছে।

স্থানীয় কৃষকরা জানান, বাম্পার ফলনেও শ্রমিকের মজুরি বেশি শ্রমে-ঘামে ফলানো ধান নিয়ে বাজারে ন্যায্যমূল্য না পাওয়ায় কৃষকের হাসি মলিন হচ্ছে। ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা ও কিশোরগঞ্জের শ্রমিকরা এখনো পুরোদমে না আসার কারণে শ্রমিকের সংকটে তীব্র। ফলে বেশি মজুরি দিয়েই ধান কাটতে হচ্ছে কৃষকদের।

রায়পুরার কৃষক আব্দুল করিম জানান, 'আগে দৈনিক ৬০০ টাকা থেকে ৭০০ টাকা মজুরিতে শ্রমিক নিতাম। এবার তারা এক দিনের জন্য ৮ শ থেকে ১ হাজার টাকা নিচ্ছে।

একই কথা বলছেন কৃষক মো. সোহেল মিয়া, তিনি জানান, ধান কাটার মৌসুমে জেলার আশপাশের বিভিন্ন অঞ্চলের শ্রমিকরা কাজ করতে আসে। এ বছর তারা যে পরিমাণ মজুরি চাচ্ছে তাতে লাভ দূরের কথা ফসল ফলানোর খরচ তোলা যাবে না। আড়াই বিঘা জমিতে বোরো ধান চাষ করেছেন। ফলন ভালো হলেও লাভ নেই বলে জানান তিনি।

রায়পুরা উপজেলার নলবাটা গ্রামের কৃষক শরিফুল ইসলাম জানান, 'চলতি মৌসুমে বড় কোনো ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ হয়নি। ২বিঘা জমিতে ধান চাষ করে ইতিমধ্যে ধান ঘরে তুলেছেন। ২ বিঘা জমিতে ৬০ মণ ধান পেয়েছেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় বাম্পার ফলন হয়েছে। শ্রমিক, সেচ, সার কীটনাশকের যে দাম সেই তুলনায় ধানের দাম কম। ধার দেনা দিতেই ধান বিক্রি করতে হবে। খরচ তুলতেই হিমশিম খেতে হচ্ছে। ফলে অনেকেই ধান চাষে মুখ ফিরিয়ে নেবে।

নরসিংদী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে জেলায় ৫৬ হাজার ৫৪২ হেক্টর জমিতে ধানের ফলন হয়েছে। উফশী জাতের ধান ৫১ হাজার ৪৬৩ হেক্টর, হাইব্রিড ৫ হাজার ও স্থানীয় জাত ৫০ হেক্টর চাষাবাদ করা হয়। উৎপাদনের সম্ভাব্য লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২ লাখ ৪৪ হাজার ৮০৫ মেট্রিক টন। বিঘা প্রতি ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা খরচে ২২ থেকে ২৪ মণ ধান পাবে বলে আশা করছে সংশ্লিষ্ট কৃষি বিভাগ।

নরসিংদী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো.আজিজুর রহমান বলেন, সারাদেশে একযোগে ধান কাটা চলছে যার ফলে শ্রমিক কিছু সংকট থাকতে পারে। যার জন্য শ্রমিকের মজুরি একটু বেশি। এছাড়া কম্ভাইন্ড হারভেস্টার দিয়েও ধান কাটা হচ্ছে। ইতিমধ্যে ৭৫ শতাংশ জমির ধান কাটা হয়েছে। এর আগে কৃষকের বিনামূল্যে বীজ ও সারসহ বিভিন্ন উপকরণ বিতরণ করা হয়।

;

প্রয়োজনের তুলনায় সাড়ে চার হাজার মেট্রিক টন পাট বীজ কম উৎপাদন হয়



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
প্রয়োজনের তুলনায় সাড়ে চার হাজার মেট্রিক টন পাট বীজ কম উৎপাদন হয়

প্রয়োজনের তুলনায় সাড়ে চার হাজার মেট্রিক টন পাট বীজ কম উৎপাদন হয়

  • Font increase
  • Font Decrease

বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, দেশে ছয় হাজার মেট্রিক টন পাট বীজ প্রয়োজন, অথচ উৎপাদন হয় মাত্র এক হাজার পাঁচশত মেট্রিক টন। বাকী সাড়ে চার হাজার মেট্রিক টন বীজ ভারত থেকে আমদানি করতে হয়। কাজেই ব্যাপকভাবে পাট বীজ উৎপাদনে কৃষকদের উৎসাহিত করতে হবে। 

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার পাটের গৌরবময় সোনালী ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে নিরলসভাবে কাজ করছে। এজন্য পাট বীজের আমদানি নির্ভরতা কমিয়ে আনতে হবে।

শনিবার (১৮ মে) দুপুরে খুলনা মহানগরীর একটি হোটেলে বাংলাদেশ জুট এসোসিয়েশন (বিজেএ)’র সঙ্গে কাঁচাপাট রপ্তানি সংশ্লিষ্টদের নিয়ে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, বিজেএ দেশব্যাপী কৃষকদের পাট বীজ উৎপাদনে উৎসাহিত করার জন্য কর্মশালার আয়োজন করছে। এ ধরনের কার্যক্রমে আমিও শামিল হবো।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, আমি দায়িত্ব নেয়ার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হস্তশিল্প মেলায় অংশ নিতে আমাকে জার্মানীর ফ্রাস্কফুর্টে পাঠান। সেখানে আমাদের দেশের পাটপণ্যের ৫০টি স্টল ছিলো। বিদেশি ক্রেতারা সেখানে ক্রয় আদেশ দিচ্ছে। বিদেশে পাটপণ্যের বিপুল চাহিদা রয়েছে।

কাঁচাপাট রপ্তানি যেন বাধাগ্রস্ত করা না হয়- ব্যবসায়ীদের এরকম আবেদনের প্রেক্ষিতে মন্ত্রী বলেন, বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের কথা বিবেচনা করে কাঁচাপাট রপ্তানি অব্যাহত রাখা হবে এবং তাদের সমস্যাসমূহ সমাধানে সাহায্য করা হবে।

তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী চান সোনালী আঁশের আভিজাত্য ফিরিয়ে আনতে। সেজন্য আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।

বিজেএর চেয়ারম্যান মো. ফরহাদ আহমেদ আকন্দের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন- খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক ও খুলনা-৩ আসনের সংসদ সদস্য এসএম কামাল হোসেন প্রমুখ।

;

মারামারি-চাঁদাবাজি: চট্টগ্রাম কলেজ শাখা ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম ব্যুরো
মারামারি-চাঁদাবাজি: চট্টগ্রাম কলেজ শাখা ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত

মারামারি-চাঁদাবাজি: চট্টগ্রাম কলেজ শাখা ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত

  • Font increase
  • Font Decrease

চাঁদাবাজির অভিযোগ তুলে সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে ‘বিদ্রোহ’ ঘোষণা ও আধিপত্য নিয়ে মারামারির পর চট্টগ্রাম কলেজ শাখা ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছে।

শনিবার (১৮) রাতে চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি ইমরান আহমেদ ইমু ও সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া দস্তগীরের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে কমিটি বিলুপ্তের বিষয়টি জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ‘চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের কার্যনির্বাহী কমিটির জরুরি সিদ্ধান্ত মোতাবেক জানানো যাচ্ছে যে, সাংগঠনিক অনিয়ম এবং বিশৃঙ্খলার কারণে বিগত ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮ সালে মাহমুদুল করিমকে সভাপতি এবং সুভাষ মল্লিক সবুজকে সাধারণ সম্পাদক করে ঘোষিত বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, চট্টগ্রাম কলেজ শাখা কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হল।’

বেশ কিছুদিন ধরে চট্টগ্রাম কলেজে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে অস্থিরতা চলছিল। এক পক্ষের তোপের মুখে পড়ে কয়েক মাস আগেই ক্যাম্পাস থেকে বিতাড়িত হন শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মাহমুদুল করিম। তার এক সময়ের অনুসারীরা শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি মনিরুল ইসলামের নেতৃত্বে ক্যাম্পাসে নতুন করে সংঘবদ্ধ হয়ে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছিলেন। তবে মনিরের সঙ্গে মিলে রাজনীতি করতে অস্বীকৃতি জানান সাধারণ সম্পাদক সুভাষ মল্লিক সবুজ। এই নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বেশ কয়েকবার মারামারির পর মনিরের অনুসারীরা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক দুজনকেই ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন। এই সময়ে ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের বিভিন্ন কুর্কীতির ভিডিও ফাঁস হয়। বিশেষ করে চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানানোয় এক তরুণকে স্ত্রীর সামনে মারধর, কলেজের প্রধান সহকারীকে থাপ্পড় দেওয়ার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক সমালোচনা হয়। এমন উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যেই কলেজ শাখা ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্তের ঘোষণা আসল।

কমিটি বিলুপ্ত করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া দস্তগীর। তিনি বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘চট্টগ্রাম কলেজে সাম্প্রতিককালে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া এই কমিটির মেয়াদও ছিল না। তাদের এমন কর্মকাণ্ডের কারণে সংগঠনের ইমেজ নষ্ট হচ্ছিল। সবকিছু বিবেচনা করে কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে। এখন নতুন কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হবে।’

;

কিরগিজস্তানে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের ঘরে থাকার পরামর্শ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কিরগিজস্তানে বিদেশি শিক্ষার্থীদের হোস্টেলে হামলার ঘটনায় দেশটিতে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের বাইরে বের না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

শনিবার (১৮ মে) রাতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে এ পরামর্শ দেওয়া হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, উজবেকিস্তানে বাংলাদেশের দূতাবাস কিরগিজ প্রজাতন্ত্রের সঙ্গে একযোগে কাজ করে। সেখান থেকে বিশকেকের সহিংসতার ঘটনায় বর্তমানে কিরগিস্তানে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। এ বিষয়ে কিরগিজ প্রজাতন্ত্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গেও দূতাবাস যোগাযোগ করছে। কিরগিজ প্রজাতন্ত্রের প্রাসঙ্গিক কর্তৃপক্ষের প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, পরিস্থিতি আইন প্রয়োগকারী সংস্থার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

শিক্ষার্থীদের পরামর্শ দিয়ে বলা হয়, শিক্ষার্থীদের এই মুহূর্তের জন্য বাড়ির ভেতরে থাকার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে এবং এ বিষয়ে যেকোনো সমস্যায় ২৪ ঘণ্টা উজবেকিস্তানে বাংলাদেশ দূতাবাসের মিনিস্টার মো. নাজমুল আলমের সঙ্গে (+998930009780) যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলো।

জানা গেছে, গত ১৩ মে একদল মিশরীয় শিক্ষার্থীর সঙ্গে কিরগিজ শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। তবে কী নিয়ে তাদের মধ্যে এই বিরোধ বেঁধেছিল তা নিশ্চিত নয়। তবে ওই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে শুক্রবার রাতে কিরগিজ রাজধানীতে বেশকিছু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের হোস্টেল ও বেসরকারি আবাসনে হামলা চালায় স্থানীয়রা। এসব হোস্টেল ও ভবনে মূলত বিদেশি শিক্ষার্থীরা বসবাস করেন।

;