ডাকাতিতে শেষে আলামত নষ্ট করত দলটি

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

উদ্ধারকৃত অস্ত্র

উদ্ধারকৃত অস্ত্র

সাভারের আমিনবাজারে এক ইতালি প্রবাসীকে এলোপাতাড়ি গুলি করে অর্থলুটের ঘটনায় ডাকাত দলের তিন সদস্যকে আটক করেছে র্যাপিড অ্যাকশান ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব-৪)।

আটকৃতরা হলেন-মোস্তাফিজুর রহমান (৩৮), নাসির (৩৮) ও আবদুল বারেক সিকদার (৪৫)।

বিজ্ঞাপন

এ সময় তাদের কাছে থেকে একটি প্রাইভেট কার, দুইটি বিদেশি পিস্তল, একটি রিভলবার, ১২ রাউন্ড গুলি, একটি ছুরি, দুইটি লোহার পাইপ ও নগদ ৫০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।

র‍্যাব জানায়, ডাকাতির সময় ওই দলটি নির্দিষ্ট মোবাইল ফোন ও নম্বর ব্যবহার করতো। ডাকাতি শেষে তাদের মোবাইল-সিম ও ব্যবহৃত জামা-কাপড়সহ সকল আলামত পুড়িয়ে ফেলতো দলটি।

বিজ্ঞাপন
মোটরসাইকেল ও প্রাইভেট কারে করে ডাকাত দল, ইতালি প্রবাসীর কাছ থেকে অর্থ লুট করে- সিসি টিভির ফুটেজ

শনিবার (৭ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজার র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান র্যাব-৪ এর অধিনায়ক (সিও) অতিরিক্ত ডিআইজি মো. মোজাম্মেল হক।

তিনি বলেন, গত ২৮ অক্টোবর সকালে ইতালি প্রবাসী মো. আমানুল্লাহ (৪০) সস্ত্রীক আমিনবাজারে একটি ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন করে বাড়ি ফেরার পথে ভাকুর্তা লোহারব্রিজের কাছে ৩টি মোটরসাইকেল ও প্রাইভেট কারযোগে একটি ডাকাত দল ঘিরে ধরে। এ সময় ভুক্তভোগীর গাড়ি গতিরোধ করে এলোপাতাড়ি গুলি করে ৫ লাখ ৭০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়।

ক্লুলেস ঘটনায় সংঘবদ্ধ ডাকাত চক্রটি গ্রেফতারে মাঠে নামে র‍্যাব-৪। তদন্তের শুরু থেকেই ব্যাংকের সিসিটিভি ফুটেজ থেকে ক্যাপ পড়া এক ব্যক্তিকে শনাক্ত করে৷ এরই সূত্র ধরে শুক্রবার (৭ নভেম্বর) মধ্য রাতে ডাকাত দলের তিনজনকে আটক করা হয়। তবে এ সময় আরও ৬/৭ জন ডাকাত পালিয়ে যায়।

সাদা ক্যাপ পরা ডাকাত দলের এক সদস্য- সিসি টিভির ফুটেজ

র‍্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, ডাকাত দলের প্রত্যেক সদস্যের একটি করে ছদ্মনাম থাকে। এ দলের অন্যতম সদস্য ব্যাংকে সেদিন ক্যাপ পরা অবস্থায় ছিল। আটক বারেক সিকদার মূলত ছিলেন ডাকাতদের অস্ত্র ও ছিনতাইকৃত টাকা বহন করার কাজে ব্যবহৃত প্রাইভেট গাড়ি চালক। তারা ডাকাতির সময় নির্দিষ্ট মোবাইল ফোন নম্বর ব্যবহার করতো। ডাকাতি শেষে তাদের মোবাইল-সিম ও ব্যবহৃত জামা-কাপড় পুড়িয়ে ফেলতো।

ডাকাতি শেষে ডাকাত দলের প্রতিটি সদস্য আগে থেকে নির্জন স্থানে মিলিত হয় এবং সেখানে তাদের মোবাইল, সিমও জামা-কাপড় পুড়িয়ে ফেলতো। পরবর্তীতে তারা কয়েকদিনের জন্য গা ঢাকা দিয়ে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে এবং কোনো এক সময় আবারো তাদের মূল হোতার নতুন পরিকল্পনা অনুযায়ী একইভাবে ডাকাতি কর্মকাণ্ড চালায়৷

আটকদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে ও ডাকাতির প্রস্তুতি ধারায় দুটি মামলা প্রক্রিয়াধীন। ডাকাত চক্রের সাথে জড়িত অন্যন্য আসামিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান তিনি।