জুয়েল হত্যা: আসামি হেলাল ৫ দিনের রিমান্ডে
লালমনিরহাটের বুড়িমারীতে পিটিয়ে-পুড়িয়ে সহিদুন্নবী জুয়েলকে হত্যার দায়ের করা মামলায় গ্রেফতারকৃত হেলাল উদ্দিনের (৩২) ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
সোমবার (১৬ নভেম্বর) দুপুরে আমলী আদালত ৩ এর বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফেরদৌসী বেগম এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
হেলাল উদ্দিন পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী ইউনিয়নের উফারমারা গুড়িয়াটারী গ্রামের মফিজ উদ্দিনের ছেলে। তিনি জুয়েল হত্যা ও পুলিশের ওপর হামলা দুই মামলার এজাহারনামীয় আসামি।
এর আগে রোববার (১৫ নভেম্বর) দুপুরে তাকে আদালতে সোপর্দ করে ৫ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের পরিদর্শক মাহমুদুন্নবী। আমলী আদালত ৩ এর বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফেরদৌসী বেগম সোমবার শুনানির দিন ধার্য করেন।
সোমবার (১৬ নভেম্বর) আসামি হেলাল উদ্দিনের উপস্থিতিতে রিমান্ডের শুনানী অনুষ্ঠিত হয়। শুনানি শেষে আলোচিত জুয়েল হত্যার রহস্য উদঘাটনে আসামিদের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
এ নিয়ে আলোচিত এই তিন মামলায় পুলিশ ৩৪ জনকে গ্রেফতার করে। এর মধ্যে ১২ জনকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
উল্লেখ্য, গত ২৯ অক্টোবর বিকেলে পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে কোরআন অবমাননার গুজব ছড়িয়ে সহিদুন্নবী জুয়েলকে পিটিয়ে ও পুড়িয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের চাচাত ভাই সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে শনিবার (৩১ অক্টোবর) একটি মামলা দায়ের করেন।
নিহত যুবক সহিদুন্নবী জুয়েল রংপুর শহরের শালবন মিস্ত্রীপাড়া এলাকার আব্দুল ওয়াজেদ মিয়ার ছেলে। গত ২৯ অক্টোবর বিকেলে সুলতান রুবায়াত সুমন নামে এক সঙ্গীসহ বুড়িমারী বেড়াতে আসেন তিনি। ওই দিন বুড়িমারী বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে কোরআন অবমাননার গুজব ছড়িয়ে সহিদুন্নবী জুয়েলকে পিটিয়ে ও পুড়িয়ে হত্যা করা হয়।