এখনো সবজি বিক্রি করতে হয় সিরাজুলকে



হাসান মাহমুদ শাকিল, ডিস্ট্রিক করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
সবজি বিক্রেতা সিরাজুল হক। ছবি: বার্তা২৪.কম

সবজি বিক্রেতা সিরাজুল হক। ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

লক্ষ্মীপুর: ভ্রাম্যমাণ সবজি বিক্রেতা সিরাজুল হক। প্রায় ৭২ বছর বয়সেও ভ্যানে করে সবজি বিক্রি করে সংসারের ঘানি টানছেন তিনি। ঢাকা, চট্টগ্রাম শেষে এখন নিজ জেলা লক্ষ্মীপুরে সবজি বিক্রি করছেন। প্রায় ২১ বছর ধরে তিনি এ ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। যেখানে তার বিশ্রামের কথা ছিল সেখানে এখনো তাকে সবজি বিক্রি করতে হয়।

সংসারের হাল ধরার মতো তার তেমন কেউ নেই। সংসারে তিনিই একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। অসুস্থ হলে সবজি নিয়ে আর বের হতে পারেন না। উপার্জনের বিকল্প কোনো ব্যবস্থাও নেই। একটি ছেলে সন্তানও নেই যে সংসারের হাল ধরবে। ৪ মেয়ের মধ্যে তিন মেয়েকে বিয়ে দিয়েছেন। বাকি এক মেয়ে ও স্ত্রীকে নিয়ে কোনো রকমে তার সংসার চলছে।

সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ ও পিয়ারপুর বাজার থেকে প্রতিদিন তিনি সবজিগুলো কিনে থাকেন। এরপর দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত জেলা শহরের কলেজ রোড থেকে তমিজ মার্কেট এলাকায় ভ্যানে করে এসব সবজি বিক্রি করেন তিনি। প্রতিদিনই দুপুর ২টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত তিনি সবজি বিক্রির কাজে ব্যস্ত থাকেন।

রোববার (১৬ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় শহরের চক বাজার এলাকায় সিরাজুল হকের সঙ্গে দেখা হয় বার্তা২৪.কমের। তখন তার ভ্যানে লাউ, কুমড়া, বেগুন, বরবটি, শসা, কাঁচা মরিচের পসরা সাজানো ছিল। এ সময় সবজি বিক্রি নিয়ে বেশকিছু সময় তার সঙ্গে কথা হয়। সবজি বিক্রি করে তার ভালোই লাভ হয়। তবে তা সঞ্চয় করার মতো নয়। প্রতিদিনের লাভের টাকা দিয়ে কোনো মতে সংসার চলে।

জানা গেছে, সিরাজুল হক সদর উপজেলার টুমচর ইউনিয়নের পূর্ব টুমচর গ্রামের মৃত এবায়েদ উল্যার ছেলে। অভাবের সংসারে পড়ালেখা করা হয়নি তার। খুব কম বয়সে ঢাকা চলে যান। সেখানে গার্মেন্ট ও নির্মাণ শ্রমিকসহ বিভিন্ন ধরনের কাজ করতেন। পরে এসব কাজ ছেড়ে ঢাকাতেই তিনি সবজি বিক্রির ব্যবসা শুরু করেন। তবে স্থায়ী নয়, ভ্রাম্যমাণ সবজির দোকান ছিল। এরপর চট্টগ্রামেও তিনি একই কাজ করেন। ব্যবসাটি সেখানে খুব ভালো চলত। কিন্তু কোনো সঞ্চয় করতে পারেননি। সবশেষ নিজের আবাসস্থল লক্ষ্মীপুরে এসেও জীবিকার তাগিদে সেই সবজিই বিক্রি করছেন তিনি।

সিরাজুল হক জানান, প্রায় ২১ বছর আগে ঢাকার মিরপুরে তিনি ভ্রাম্যমাণ ভাবে সবজি বিক্রি শুরু করেন। মিরপুরের ওলিতে গলিতে তিনি প্রায় ৭ বছর সবজি বিক্রি করেছেন। এরপর তিনি চট্টগ্রাম চলে যান। সেখানে হাটহাজারি, নাজিরহাটসহ বিভিন্ন এলাকায় প্রায় ৮ বছর সবজি বিক্রি করেন। ধীরে ধীরে বয়স বেড়ে যাওয়ায় ৬ বছর আগে ফিরে আসেন লক্ষ্মীপুরে। এলাকায় ফিরে আসার পর একটি ভ্যান কিনে ফের সবজির ব্যবসা শুরু করেন। তাও প্রায় ৬ বছর হয়ে গেল। ৭২ বছর বয়সেও তিনি থেমে যাননি। সংসারের ঘানি টানতে এখনো প্রতিদিন সবজি নিয়ে রাস্তায় বের হন সিরাজুল।

   

বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ, ১ নম্বর সতর্কসংকেত



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দক্ষিণপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও এ সংলগ্ন পশ্চিমমধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। আগামী ৭২ ঘণ্টায় এটি আরও ঘনীভূত হতে পারে। এর প্রভাবে আগামী পাঁচ দিন বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বাড়তে পারে। তবে এ কয়েকদিন চলমান মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে।

বুধবার (২২ মে) আবহাওয়া অধিদপ্তর প্রকাশিত ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে। আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদের সই করা ওই পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের অনেক জায়গায়, ঢাকা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দু-একটি জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা, ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি-বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

আর ঢাকা, নেত্রকোণা, চট্টগ্রাম, রাঙামাটি, ফেনী, কক্সবাজার, বাগেরহাট, যশোর এবং চুয়াডাঙ্গা জেলাসহ সিলেট বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।

এছাড়া উপকূলীয় এলাকার নদীবন্দরসমূহকে ১ নম্বর (পুনঃ) ১ নম্বর সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

;

মানুষের দোষ না দেখে ভালো কাজ করার আহ্বান এলজিআরডি মন্ত্রীর



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম

পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম

  • Font increase
  • Font Decrease

অন্য মানুষের দোষ ত্রুটি না দেখে নিজের ভালো কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।

বুধবার (২২মে) রাজধানীর একটি পাঁচজন তারকা হোটেলে আয়োজিত একটি কর্মশালায় (Resilient Rural transport Asset Management workshop) তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আরেকজনের দোষ ত্রুটি দেখে আমিও তার সঙ্গে চলে যাই। এটা আমাদের জন্য আসলে কল্যাণকর নয়। যিনি ভুল পথে গেছেন তার পরিণতি ভালো হবে এটা তো ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় না। তাই আমরা ওগুলোকে বিবেচনায় না রাখি। কে খারাপ কাজ করেছে সেটা না দেখে, আমি অন্তত ভালো কাজ করি।

তাজুল ইসলাম বলেন, আমরা বিভিন্নভাবে কাজ করি। সারা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ আমাদের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য যে কর্মসূচি আছে, এগুলোতে তারা অংশগ্রহণ করে। এখানে একটা বিষয় হলো তারা আমাদের লোন দেয়। ব্যাংক যেমন একটা কাস্টমারকে লোন দেয়। ওয়ার্ল্ড ব্যাংক, এশিয়ান ডাবলু ওয়ান ব্যাংক, জাইকা, কেএফডাব্লিউ, এ এফ পি অথবা যারাই থাকুক না কেন তারা সবাই লোন দেয়। তারা লোন দেয় তখনই যখন দেখে যে এখানে টাকা দিলে ওই টাকাটা আবার ফেরত আসবে। ব্যাংক যেমন কাস্টমারকে টাকা দেয়ার জন্য পার্সোন করে, কেননা ব্যাংক দেখে যে ওই কাস্টমারের ইনকাম জেনারেশনের একটা স্ট্যান্ডার্ড আছে। ইন্টারনাল গভর্নমেন্ট সিস্টেম অ্যান্ড ইকনোমিকটা এমন আছে। সুতরাং সে তার ব্যাংকের টাকাটা ফেরত দিতে পারবে লাভসহ। তখন তারা তাদেরকে লোন দেয়।

তিনি বলেন, একই বিষয় বাংলাদেশ একসময় লোন পেতো না। আমাদের মহসিন সাহেব একবার আমাকে বলেছিল স্যার আমাদের ১১ বিলিয়ন ডলারের অফার আছে। কিন্তু আমরা এই লোনটা বুঝে শুনে নেই যেটা আমাদের দেশের জন্য লাভজনক হবে। আপনি যখন ব্যাংক থেকে টাকাটা নেন তখন ব্যাংকের সঙ্গে একটা বার্গেনিং করেন তো রেটে ইন্টারেস্টটা নিব। কত দিনে পরিশোধ করব। যেটা আপনার ইনকাম আছে সেটা সঙ্গে সামঞ্জস্য করে।

বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা সবাই মিলে আন্তরিকভাবে কাজ করি। আমরা কারও মনের ভেতর ভিজিট করি না। কিন্তু আমার মনের ভেতরের ভিজিটিং তো আমার আছে। সে কারণে আমি বিশ্বাস করি এই দেশ আমাদের প্রিয় দেশ। ১৭ কোটি মানুষের দেশ। বঙ্গবন্ধু কত স্বপ্ন আশা নিয়ে দেশ স্বাধীন করেছে। আমরা একটা গর্বিত জাতি। পৃথিবীতে আমাদের সমসাময়িক দেশ অনেকের পরিবর্তন হয়েছে। আমাদের পরিবর্তন না হওয়ার কোনো কারণ নেই। আমাদের মনের ভেতর অঙ্গীকার থাকতে হবে। যে দেশ জাতি মানবতার বিরুদ্ধে কাজ করেছেন তারা কিন্তু পৃথিবীতে কোথাও লং টাইম সাসটেন্ড করে নাই। তাই আমরা ওগুলোকে বিবেচনায় না রাখি কে খারাপ কাজ করেছে, আমি অন্তত ভালো কাজ করি। অসুবিধার কি আছে।

;

সাতক্ষীরায় জলাধার ও পাখির অভয়াশ্রম রক্ষার দাবি



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাতক্ষীরা
মানববন্ধন

মানববন্ধন

  • Font increase
  • Font Decrease

সাতক্ষীরায় আন্তর্জাতিক প্রাণবৈচিত্র্য দিবস উপলক্ষে জলাধার ও পাখির অভয়াশ্রম রক্ষার দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার (২২ মে) সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সামনে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান বারসিক এবং শিক্ষা, সংস্কৃতি ও বৈচিত্র্য রক্ষা টিম এই মানববন্ধনের আয়োজন করে।

মানববন্ধনে বক্তারা সাতক্ষীরা শহরের প্রাণসায়ের খালকে দখল ও দূষণমুক্ত করে প্রবাহমান করা, সরকারি উদ্যোগে পতিত জায়গায় স্থানীয় জাতের বৃক্ষ রোপণ, পাখির অভয়াশ্রম তৈরি, রক্ষাণাবেক্ষণ এবং পাখি শিকার বন্ধে উদ্যোগ গ্রহণ, সকল প্রাণের জন্য পরিকল্পিত ও বাসযোগ্য শহর তৈরির লক্ষ্যে অন্তত ২০ ভাগ বনভূমি এবং ১৫ ভাগ জলাভূমি নিশ্চিতকরণ, নগর উন্নয়ন পরিকল্পনায় সকল শ্রেণি পেশার মানুষের মতামত গ্রহণ ও পরিবেশকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব প্রদান, প্রাণ-প্রকৃতির প্রতি সদয় আচরণ করার জন্য জনসচেতনতা বৃদ্ধি ও মাটির স্বাস্থ্য সুরক্ষায় উদ্যোগ নেওয়ার আহবান জানানো হয়।

তারা বলেন, মানবসভ্যতা রক্ষা করতে হলে প্রাণ বৈচিত্র্য রক্ষার বিকল্প নেই। আর প্রাণ বৈচিত্র্য রক্ষায় জলাধার ও বনায়নের গুরুত্ব সর্বাধিক।

আরও বলেন, বাংলাদেশ প্রাণবৈচিত্র্য সমৃদ্ধ একটি দেশ। দেশে এক সময় ২০ হাজার স্থানীয় জাতের ধান, ৩৬৫ জাতের স্বাদু পানির মাছ, বিস্তীর্ণ হাওর, সর্ববৃহৎ ম্যানগ্রেভ ফরেস্ট সুন্দরবন, পৃথিবীর বৃহৎ সমুদ্র উপকূল, ৩০টি কৃষি প্রতিবেশ অঞ্চল ও ১৭টি হাইড্রোলজিক্যাল অঞ্চল রয়েছে। কিন্তু সচেতনতার অভাবে ও অপরিকল্পিত উন্নয়নের ফলে সবকিছু ধ্বংসের মুখে পতিত হচ্ছে। তাই প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষায় প্রাণ বৈচিত্র্য রক্ষার গুরুত্ব সর্বাধিক।

মানববন্ধনে সাতক্ষীরা জেলা নাগরিক কমিটির আহবায়ক আজাদ হোসেন বেলালের সভাপতিত্বে সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন সিনিয়র সাংবাদিক কল্যাণ ব্যানার্জি, মানবাধিকার কর্মী মাধব চন্দ্র দত্ত, অধ্যাপক ইদ্রিস আলী, নাগরিক নেতা আলী নুর খান বাবুল, শিক্ষক শহীদুল ইসলাম, ল’ স্টুডেন্ট ফোরামের বিপ্লব হোসেন, শিক্ষা সংস্কৃতি ও বৈচিত্র্য রক্ষা টিমের মুশফিকুর রহিম, বারসিক কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম, শিক্ষার্থী তামান্না খাতুন, বৈশাখী খাতুন প্রমুখ।

;

১২ বছর বিনা টিকেটে রেল ভ্রমণ, অনুশোচনায় বকেয়া পরিশোধ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম,বগুড়া
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিনা টিকেটে ১২ বছর ট্রেন ভ্রমণ করে অনুশোচনা থেকে অবসর জীবনে বকেয়া সাত হাজার টাকা পরিশোধ করেছেন বেলাল উদ্দিন নামে একজন প্রকৌশলী। তিনি উপসহকারি প্রকৌশলী হিসেবে ২০২০ সালে এলজিইডি থেকে অবসর নিয়েছেন। বর্তমানে বসবাস করেন বগুড়া শহরের জহুরুল নগরে।

বগুড়া রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন মাস্টার সাজেদুর রহমান সাজু এতথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, মঙ্গলবার (২১ মে বিকেলে) বেলাল উদ্দিন বগুড়া রেলস্টেশনে উপস্থিত হয়ে বিনা টিকেটে ১২ বছর সপ্তাহে কমপক্ষে দুই দিন রেল ভ্রমণের বিষয়টি জানান স্টেশন মাস্টারকে। অবসর জীবনে অনুশোচনা থেকে তিনি বকেয়া ভাড়া রেলের কোষাগারে জমা দিতে আগ্রহ প্রকাশ করে। পরে হিসেব করে প্রায় সাত হাজার টাকা বকেয়া নির্ধারণ করা হয়। বেলাল উদ্দিন নগদ সাত হাজার টাকা রেলওয়ে কোষাগারে জমা দিয়ে রশিদ গ্রহণ করেন।

বকেয়া ভাড়া পরিশোধ প্রসঙ্গে বেলাল উদ্দিন বলেন, আমি সোনাতলা উপজেলার সুজায়েতপুর গ্রামের বাসিন্দা। আমি ১৯৮৩ সালে ডিপ্লোমা পাশ করে চাকরি জীবনে প্রবেশ করি। ছাত্র জীবনে ট্রেনযোগে অসংখ্য বার বগুড়া যাতায়াত করেছি। কিন্তু সেই সময় কোনদিন টিকেট সংগ্রহ করা হয় নি। চাকরি জীবনে ট্রেন ভ্রমণ করলেও সেসময় বিনা টিকেটে ভ্রমণ করেন নি। চাকরি থেকে অবসর নেয়ার পর তিনি ছাত্র জীবনে বিনা টিকেটে ট্রেন ভ্রমণ করে সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দিয়েছেন। সেই অনুশোচনা থেকেই তিনি বকেয়া ভাড়া পরিশোধ করেন।

বগুড়া রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার সাজেদুর রহমান সাজু বলেন, এটা নিঃসন্দেহে ভাল খবর। বেলাল উদ্দিন বকেয়া টাকা জমা দিয়েছেন। সেই টাকা সরকারি কোষাগারে জমা করা হয়েছে।

;