মাস্ক ব্যবহারের বালাই নেই, তাগিদ বিশেষজ্ঞদের



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, টাঙ্গাইল
মাস্ক নেই কারো মুখে। ছবি: বার্তা২৪.কম

মাস্ক নেই কারো মুখে। ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

টাঙ্গাইলে প্রথম দিকে করোনাভাইরাসের কারণে মানুষের মধ্যে সচেতনতা দেখা গেলেও বর্তমানে সেটা দেখা যাচ্ছে না। সরকার বাধ্যতামূলক মুখে মাস্ক ব্যবহারে নির্দেশনা দিলেও মাঠ পর্যায়ে এর ব্যবহার দেখা যাচ্ছে। জেলার অধিকাংশ মানুষ মাস্ক ব্যবহার করছেন না।

ব্যস্ততম টাঙ্গাইল পৌর শহরের ক্যাপসুল মার্কেটের পিছনের দোকানপাটগুলোতে মানুষের ভীর লেগেই থাকে। সেখানে অনেকের মুখে মাস্ক নেই। এছাড়া উপজেলা পর্যায়ের হাট-বাজারগুলোতে একই চিত্র। শীতে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ নিয়ে তাদের মধ্যে নেই তেমন কোন সচেতনতা। সরেজমিনে জেলার বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

মুখে মাস্ক না থাকায় অনেককে জিজ্ঞাসা করলে তারা বলেন, কেউ ভুলে বাড়িতে রেখে এসেছেন। আবার কেউ বাজার এসে কিনবেন, কেউবা মুখের থুতনিতে লাগিয়ে রেখেছেন আবার কেউ পকেটে রেখেছেন কোন ঝামেলা এড়াতে।

ভূঞাপুর পৌর এলাকার ভ্যান চালক শুকুর আলী বলেন, গরীবের করোনা আইবো না। এরআগেওতো করোনা আইছিল তখনতো হয় নাই আমগো। এখনও হইবো না ইনশাআল্লাহ।

এদিকে টাঙ্গাইলে প্রতিদিনই করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছে কেউ না কেউ। তারপরও মাস্ক ব্যবহারে আগ্রহ দেখা যায়নি রাস্তায় চলাচলরত বেশির ভাগ মানুষের। শারীরিক দূরত্বও মানা হচ্ছে না। বিভিন্ন দোকান, চা স্টলে যে লোক সমাগম হচ্ছে-তাদের মধ্যে নেই করোনা সচেতনতা।

জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এ পর্যন্ত জেলায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ৩ হাজার ৪’শ ৩৩জন। আর মৃত্যুবরণ করেছেন ৫৯ জন। বাড়িতে ও টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের ট্রমা সেন্টারে চিকিৎসাধীন রয়েছে ১৭৬ জন। সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৩ হাজার ২’শ ৫৭ জন। শীতে করোনা ভাইরাস বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে বিভিন্ন গবেষণা সংস্থা। একই আশঙ্কায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের জনগণকে মাস্ক পরিধানসহ আগাম সতর্ক বার্তা জানিয়ে দিয়েছেন।

বাজারে নেই কারো মুখে মাস্ক। ছবি: বার্তা২৪.কম

সরেজমিনে দেখা যায়, টাঙ্গাইল শহরের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট ক্যাপসুল মার্কেট ও মাহমুদুর হাসান মার্কেটের রাস্তাগুলোতে জনগণের ভিড়ে। সামাজিক দূরত্ব তাদের মধ্যে একদম নেই। একজন আরেকজনের সাথে প্রায় লাগালাগি হয়ে চলাচল করছেন। তাদের বেশির ভাগই মাস্ক ছাড়া। আবার কারো মুখে মাস্ক থাকলেও তা ঝুলে আছে মুখের নিচে থুতনিতে।

টাঙ্গাইলের সবচেয়ে বড় বাজার পার্ক বাজার। সেখানেও ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের অধিকাংশই পরছেন না মাস্ক। কাঁচা বাজারে দেখা যায়, কারো কারো মুখে মাস্ক থাকলেও নাক ও মুখ না ঢেকে নিচে নামিয়ে রেখেছেন। আর অধিকাংশ ব্যবসায়ীদের মুখে একদমই মাস্ক নেই।

শহরের অনেক জায়গায় মাস্ক বিক্রেতা ও ব্যবসায়ীদের ঠিকমত মাস্ক ব্যবহার করতে দেখা যায়নি। নিরালা মোড়ের মাস্ক ব্যবসায়ী মিয়া চান জানান, মাস্কতো করোনার জন্য পরে না। ধুলাবালির জন্য পরে। এজন্য আমি মাস্ক মুখের নিচে রাখছি।

রহিমা ফার্মেসির স্বত্বাধিকারী রাকিবুল ইসলাম বলেন, করোনার প্রথম দিকে প্রতিটি মাস্ক বিক্রি করেছি ২০ টাকা থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত এখন সেটা প্রতি পিস ৫ টাকা। তাও মানুষ মাস্ক ব্যবহার করে না। যদিও করোনার প্রাদুর্ভাব বেড়েছে সারা দেশে।

ওষুধ ব্যবসায়ীরা জানান, মাস্ক ব্যবহারে জনসচেতনতার পাশাপাশি মানুষকে মাস্ক ব্যবহারে বাধ্য করতে প্রয়োজনবোধে মোবাইল কোর্ট বসাতে হবে। এতে মাস্ক ব্যবহারের চাহিদা বাড়বে।

টাঙ্গাইলে হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. রাজিব পাল চৌধুরী বলেন, করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হয়েছে। এক্ষেত্রে করোনা সচেতনতায় অবশ্যই সবাইকে মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। যাদের ঠান্ডা বা শ্বাসকষ্ট জনিত রোগ রয়েছে তাদের মুখে মাস্ক ব্যবহার করা বেশি প্রয়োজন। এতে করোনার পাশাপাশি ধুলোবালির হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে। এক্ষেত্রে সরকারি নির্দেশনা মানতে হবে।

টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ওয়াহীদুজ্জামান বলেন, শীতে করোনার প্রভাব বৃদ্ধি পাবে। তাই আক্রান্ত হওয়ার আগেই আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। মাস্ক পরিধান না করলে অবশ্যই করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়বে। শহরের অনেক লোকই মাস্ক ব্যবহার করছে না।

তিনি আরো জানান, সিভিল সার্জন অফিস ৪টি বিষয় নিয়ে কাজ করছে। সেগুলো হলো ঘরের বাইরে গেলে মাস্ক পরিধান করতেই হবে, কিছুক্ষণ পর পর হাত ধোয়া, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং জ্বর ও ঠান্ডা কাশি হলে অবশ্যই করোনা পরীক্ষা করা।

   

গাজীপুরে ফ্ল্যাট থেকে স্বামী-স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম,গাজীপুর
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গাজীপুরের শ্রীপুরের মাওনা এলাকার একটি ফ্ল্যাট বাসা থেকে স্বামী-স্ত্রী মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সকালে উপজেলার মুলাইদ গ্রামের মো. ফারুক খানের বহুতল ভবনের নিচ তলার এক কক্ষ থেকে মরদেহগুলো উদ্ধার করা হয়।

নিহত মো. ইসরাফিল (১৭) শেরপুরের ঝিনাইগাতি থানার হলদি গ্রামের মো. মফিজুল হকের ছেলে ও মোছা. রোকেয়া খাতুন (১৫) ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ থানার পস্তারি গ্রামের আবুল কাশেমের মেয়ে। প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে গত ৭/৮ মাস আগে পরিবারের অমতে তারা বিয়ে করেছেন বলে স্বজনরা জানায়। ইসরাফিল স্থানীয় একটি ওয়ার্কসপে ও রোকেয়া স্থানীয় একটি কারখানায় কাজ করতেন।

মরদেহ উদ্ধারের সময় একটি চিরকুট উদ্ধার করা হয়। চিরকুটে লেখা ছিল, ‘মা-বাবা আমাকে মাফ করে দিও, আমি তোমাদের সাথে থাকতে পারলাম না। আমার জান আমার জন্য ফাঁসিতে ঝুলেছে। তাই আমি থাকতে পারলাম না। আমি কাউকে দোষারোপ করি না। কারও কোনো দোষ নাই। আমার জান আমার জন্য অপেক্ষা করতাছে। সবাই ভালো থাকবা। মো. ইসরাফিল।

নিহত রোকেয়ার ভাই মো. বোরহান উদ্দিন বলেন, ৭-৮ মাস আগে পরিবারের অমতে তারা বিয়ে করে। তাদের সম্পর্ক ভালোই চলছিল। সম্প্রতি ইসরাফিল তার বাবা-মায়ের সঙ্গে ঝগড়া করে বাড়ি থেকে চলে গিয়েছিল। পরে বৃহস্পতিবার তাদের বুঝিয়ে বাসায় আনা হয়েছিল। সকালে তাদের মৃত্যুর খবর পাই।

শ্রীপুর থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) মো. সাখাওয়াত হোসেন জানান, খবর পেয়ে স্বামী-স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, প্রথমে স্ত্রী আত্মহত্যা করে। স্ত্রীর আত্মহত্যার বিষয়টি স্বামী সইতে না পেরে তিনিও আত্মহত্যা করেন। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

মা আমার পাশে রোকেয়ার কবর দিও মা। মা আমি জানি না আমার জান কেন ফাঁস দিল। তার জন্য সম্পন্ন আমি দায়ী। এতে কারও কোনো দোষ নাই।’

;

ঘোড়াঘাটে দুই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ২



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, দিনাজপুর
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার অ্যান্ডটি মোড়ে ভুট্টা বোঝাই ট্রাকের সঙ্গে সার বোঝাই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে দুজন নিহত হয়েছেন।

নিহতরা হলেন ভুট্টার ট্রাকের চালক জয়পুরহাট সদর উপজেলার চৌমিহনী গ্রামের বাসিন্দা গোলাম রাব্বী (৩৮) ও তার সহকারী (হেলপার) একই এলাকার রেজওয়ান হোসেন (৩২)।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) ভোর ৬টার দিকে ঘোড়াঘাট উপজেলার টিঅ্যান্ডটি মোড়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ঘোড়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান জানান, টিঅ্যান্ডটি মোড়ে দুই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই এক ট্রাকের চালক-হেলপার নিহত হন। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে দুজনের মরদেহ উদ্ধার করে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

;

মানিকগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, মানিকগঞ্জ
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার গোলড়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় দুই সবজি বিক্রেতা নিহত হয়েছে। নিহতরা হলেন, আব্দুস সালাম (৫০) এবং অপরজন হলেন ছানোয়ার হোসেন (৪৫)।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ওই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত সবজি বিক্রেতাদের বাড়ী মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার কাটিগ্রাম এলাকায়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে গোলড়া হাইওয়ে থানার উপ-পরিদর্শক মো: শাহ আলম বলেন, সকালে মানিকগঞ্জের জাগীর সবজি আড়ত থেকে সবজি ক্রয় করে কাটিগ্রাম এলাকার মৃত সাইজুদ্দিনের ছেলে আব্দুস সালাম এবং আব্দুস সামাদের ছেলে ছানোয়ার হোসেন নিজ এলাকায় যাচ্ছিলো।

যাত্রাপথে তাদের বহন করা ভ্যানটিকে অজ্ঞাত একটি গাড়ি চাপা দিয়ে চলে যায়। এসময় ভ্যান চালক রাস্তার পাশে পড়ে গেলেও ওই দুই সবজি বিক্রেতা মারা যায় বলে জানান তিনি।

গোলড়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুখেন্দু বসু বলেন, দুর্ঘটনায় নিহত এক জনের মরদেহ জেলা হাসপাতালে এবং একজনের মরদেহ থানায় রাখা হয়েছে। নিহতদের পরিবারে খবর দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান তিনি।

;

সিলেটে যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিলেট
সিলেটে যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু

সিলেটে যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু

  • Font increase
  • Font Decrease

সিলেটের স্থানীয় দৈনিক উত্তরপূর্ব পত্রিকার কম্পিউটার অপারেটর অমিত দাস শিবুর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৬ এপ্রিল) মধ্যরাতে নগরীর হাজারিবাগ এলাকার পেছনের মাঠে তার মরদেহ পড়েছিল। খবর পেয়ে সিলেট মেট্রোপলিটনের (এসএমপির) বিমানবন্দর থানা পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ পুলিশ কমিশনার (ডিসি উত্তর) আজবাহার আলী শেখ।

নিহত অমিত দাস শিবু গৌর চাঁদ দাসের ছেলে। তার গ্রামের বাড়ি সুনামগঞ্জে। তিনি নগরীর বাগবাড়ি নরসিং টিলা এলাকায় সপরিবারে বসবাস করতেন।

জানা যায়, অমিত দাস শিবু প্রতিদিনের মতো আজ রাতেও উত্তরপূর্ব পত্রিকা অফিসে কাজ করে বাসায় ফিরছিলেন। রাত পৌনে ২টার দিকে স্থানীয় লোকজন মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশকে জানায়।

এব্যাপারে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ পুলিশ কমিশনার (ডিসি উত্তর) আজবাহার আলী শেখ বলেন, আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসি। তার মরদেহের পাশে মোটরসাইকেলটি চাবি লাগানো অবস্থায় রাখা ছিল। তবে মোবাইল ফোন পাওয়া যায়নি। কিন্তু মোবাইলের শেষ লোকেশন ঘটনাস্থলেই দেখাচ্ছে। তার দেহে কোনো আঘাতের চিহ্ন মিলেনি। এরপরও ঘটনাটিকে রহস্যজনক ধরে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ।

;