কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কে দুর্ভোগের শেষ কবে?



আব্দুর রহমান, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কে দুর্ভোগের শেষ কবে?

কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কে দুর্ভোগের শেষ কবে?

  • Font increase
  • Font Decrease

* মহাসড়কটি বর্তমানে ফোরলেনে উন্নীতকরণের কাজ চলছে, তবে শম্ভুক গতিতে

* নির্দিষ্ট সময়ে কাজ শেষ হয়নি, বেড়েছে সময়

* গত ৪ বছর ধরে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন চালক-যাত্রীরা


গত প্রায় চার বছর ধরে কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কটি নিয়ে মহাদুর্ভোগে রয়েছেন যানবাহনের চালক ও যাত্রীরা। দীর্ঘ সময় ধরে দুর্ভোগ পোহাতে পোহাতে সড়কটি এখন চালক ও যাত্রীদের কাছে বিষফোঁড়া হয়ে দাঁড়িয়েছে। দেশের ব্যস্ততম এই আঞ্চলিক মহাসড়কটি দিয়ে চলাচল করতেও এখন ভয় পান যাত্রীরা। বেহাল সড়ক আর অসহনীয় যানজটের কারণে দেড় ঘণ্টার পথ যেতে সময় লাগে ৪ থেকে ৬ ঘণ্টা। গত কয়েক বছর ধরে অবস্থাটা এমন হয়ে দাঁড়িয়েছে যে, কোন সুস্থ মানুষ এই সড়ক দিয়ে যাতায়াত করলেই যেন অসুস্থ হয়ে পড়বেন। মহাসড়কটির বেশিরভাগ স্থানেই অসংখ্য খানাখন্দ ও বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। বেহাল এই মহাসড়কে যাতায়াতে মানুষের দুর্ভোগ চরম আকারে পৌঁছেছে।

এদিকে, কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কটি বর্তমানে ফোরলেনে উন্নীতকরণের কাজ চলছে। তবে কাজটি চলছে শম্ভুক গতিতে। যার কারণে নির্দিষ্ট সময় পার হলেও শেষ হয়নি সড়কের কাজ। বেড়েছে কাজের মেয়াদকাল।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, মহাসড়কটির বিজয়পুর থেকে লালমাই এলাকার বিভিন্ন স্থানে একেবারেই নাজুক অবস্থা। আর লালমাই বাজারের দণি পাশ থেকে শুরু হয়ে বাগমারা বাজার পর্যন্ত তিন কিলোমিটার সড়কে রয়েছে বড় বড় গর্ত। দুই-তিন ফুট গভীরতার এমন গর্ত রয়েছে কয়েক’শ। সড়কটির কুমিল্লা অংশের সবচেয়ে খারাপ অবস্থা বাগমারা এলাকা, লাকসামের মিশ্রি, জংশন ও বাইপাস হাউজিং এলাকা, মনোহরগঞ্জের নাথেরপেটুয়া, বিপুলাসার এলাকা, নোয়খালীর সোনাইমুড়ি ও বেগমগঞ্জ এলাকা। এসব এলাকায় ঝুঁকি নিয়ে আস্তে আস্তে হেলে-দুলে গাড়ি চলে। ভয়ংকর এই সড়কটিতে প্রায়ই বিভিন্ন যানবাহন বিকল হয়ে পড়ছে। আর এতে সৃষ্টি হচ্ছে তীব্র যানজটের।

কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কের বিজয়পুর-লালমাই এলাকার দৃশ্য

সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ কুমিল্লা ও অন্যান্য সূত্র জানায়, কুমিল্লা নগরীর টমছমব্রিজ থেকে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ পর্যন্ত ৫৯ কিলোমিটার দীর্ঘ কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কটি ফোরলেনে উন্নীতকরণের কাজ চলছে। সড়কটির নির্মাণ কাজ শেষ হলে দেশের দণিাঞ্চলের কুমিল্লা, চাঁদপুর, নোয়াখালী, লীপুর জেলাসহ সারা দেশের মানুষ উপকৃত হবেন। ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে শুরু হওয়া এই ফোরলেনের কাজ চলতি বছরের জুনে শেষ হওয়ার কথা ছিল। তবে ধীর গতির কারণে কাজের মেয়াদকাল বেড়েছে ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত। এই ফোরলেনের প্রকল্প ব্যয় ধরা হয়েছে দুই হাজার ১৭০ কোটি টাকা।

লাকসাম বাইপাসের কয়েকজন ব্যবসায়ী বলেন, অপরিকল্পিত উন্নয়নের ফলে জনভোগান্তি বেড়েছে। দীর্ঘ প্রতিার পর গত প্রায় ৫ মাস আগে লাকসাম অংশে দুই লেনের কাজ শুরু হয়েছে। তবে ধীরগতি এবং সড়ক খোড়া হলেও ড্রেন নির্মাণ প্রক্রিয়া বিলম্বিত হওয়ার কারণে এখানে সারাদিনই যানজট লেগে থাকে। বাধ্য হয়ে একদিকের গাড়ি এখন বাজারের ভিতরের বিকল্প পথ দিয়ে চলাচল করে। এরপরও ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষের দুর্ভোগের শেষ নেই।

এই সড়কে চলাচলকারী উপকূল বাসের চালক সামছুল আলম বলেন, সড়কটিতে বড় বড় গর্ত আর ভাঙা থাকায় ঘন ঘন গাড়ি বিকল হচ্ছে। গত প্রায় ৪ বছর ধরে এমন বেহাল অবস্থা চললেও এটি সংস্কারে স্থায়ী কোন উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।

লাকসাম থেকে ঢাকাগামী তিশা বাসের চালক আবুল কাসেম বলেন, এই সড়ক দিয়ে গাড়ি চালাতে আর ভালো লাগে না। আমরা দীর্ঘদিন ধরে সড়কটি নিয়ে মহাদুর্ভোগে রয়েছি। আর কতদিন এভাবে কষ্ট করবো তাও জানি না।

কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কের বিজয়পুর-লালমাই এলাকার দৃশ্য

লাকসাম ও নোয়াখালী থেকে ঢাকাগামী কয়েকটি বাসের অন্তত ৫ জন চালক জানান, ওই সড়কের যেসব অংশে বেশি ভাঙা, সেসব অংশ এলে যাত্রীরা ঝাঁকুনির ভয়ে বাস থেকে নেমে যেতে চায়। এছাড়া বড় বড় গর্তগুলোতে আটকে পড়ার কারণে অনেক সময় গাড়ি বিকল হয়ে যায়। তখন যাত্রীরা আমাদের সাথে খারাপ ব্যবহার করে থাকেন।

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের শিক্ষার্থী জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, এই সড়কটি দিয়ে চলাচলের সময় আতংকে থাকি। দোয়া-দরুদ পড়ে গাড়িতে উঠি। সড়কে বড় বড় গর্ত থাকায় গাড়ি চলে হেলে-দুলে। তখন ময়ে হয় এই বুঝি খাদে গিয়ে পড়লাম।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ, কুমিল্লার নির্বাহী প্রকৌশলী ড.মো.আহাদ উল্লাহ বলেন, কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়ক ফোরলেন প্রকল্পের মেয়াদকাল বেড়েছে ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত। ওই সময়ের মধ্যেই আশা করছি কাজ শেষ করতে পারবো। আর বর্তমানে দ্রুত গতিতে ফোরলেনের কাজ চলছে। এছাড়া যেখানে সড়ককের অবস্থা খারাপ, সেখানে সংস্কার করে দেওয়া হচ্ছে। আর যেকোন উন্নয়নের স্বার্থে মানুষকে কিছুটা কষ্ট মেনে নিতে হবে।

   

মানিকগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, মানিকগঞ্জ
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার গোলড়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় দুই সবজি বিক্রেতা নিহত হয়েছে। নিহতরা হলেন, আব্দুস সালাম (৫০) এবং অপরজন হলেন ছানোয়ার হোসেন (৪৫)।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ওই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত সবজি বিক্রেতাদের বাড়ী মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার কাটিগ্রাম এলাকায়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে গোলড়া হাইওয়ে থানার উপ-পরিদর্শক মো: শাহ আলম বলেন, সকালে মানিকগঞ্জের জাগীর সবজি আড়ত থেকে সবজি ক্রয় করে কাটিগ্রাম এলাকার মৃত সাইজুদ্দিনের ছেলে আব্দুস সালাম এবং আব্দুস সামাদের ছেলে ছানোয়ার হোসেন নিজ এলাকায় যাচ্ছিলো।

যাত্রাপথে তাদের বহন করা ভ্যানটিকে অজ্ঞাত একটি গাড়ি চাপা দিয়ে চলে যায়। এসময় ভ্যান চালক রাস্তার পাশে পড়ে গেলেও ওই দুই সবজি বিক্রেতা মারা যায় বলে জানান তিনি।

গোলড়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুখেন্দু বসু বলেন, দুর্ঘটনায় নিহত এক জনের মরদেহ জেলা হাসপাতালে এবং একজনের মরদেহ থানায় রাখা হয়েছে। নিহতদের পরিবারে খবর দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান তিনি।

;

সিলেটে যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিলেট
সিলেটে যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু

সিলেটে যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু

  • Font increase
  • Font Decrease

সিলেটের স্থানীয় দৈনিক উত্তরপূর্ব পত্রিকার কম্পিউটার অপারেটর অমিত দাস শিবুর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৬ এপ্রিল) মধ্যরাতে নগরীর হাজারিবাগ এলাকার পেছনের মাঠে তার মরদেহ পড়েছিল। খবর পেয়ে সিলেট মেট্রোপলিটনের (এসএমপির) বিমানবন্দর থানা পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ পুলিশ কমিশনার (ডিসি উত্তর) আজবাহার আলী শেখ।

নিহত অমিত দাস শিবু গৌর চাঁদ দাসের ছেলে। তার গ্রামের বাড়ি সুনামগঞ্জে। তিনি নগরীর বাগবাড়ি নরসিং টিলা এলাকায় সপরিবারে বসবাস করতেন।

জানা যায়, অমিত দাস শিবু প্রতিদিনের মতো আজ রাতেও উত্তরপূর্ব পত্রিকা অফিসে কাজ করে বাসায় ফিরছিলেন। রাত পৌনে ২টার দিকে স্থানীয় লোকজন মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশকে জানায়।

এব্যাপারে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ পুলিশ কমিশনার (ডিসি উত্তর) আজবাহার আলী শেখ বলেন, আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসি। তার মরদেহের পাশে মোটরসাইকেলটি চাবি লাগানো অবস্থায় রাখা ছিল। তবে মোবাইল ফোন পাওয়া যায়নি। কিন্তু মোবাইলের শেষ লোকেশন ঘটনাস্থলেই দেখাচ্ছে। তার দেহে কোনো আঘাতের চিহ্ন মিলেনি। এরপরও ঘটনাটিকে রহস্যজনক ধরে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ।

;

গ্যাস-বিদ্যুৎ-সারের দাম বাড়ানোর সুপারিশ আইএমএফ’র



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটের ভারসাম্য ঠিক রাখতে ও ভর্তুকি সহনীয় পর্যায়ে রেখে সার, বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম সমন্বয়ের (বাড়ানো) সুপারিশ করেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) প্রতিনিধিদল।

অর্থবিভাগের বাজেট অনুবিভাগের সঙ্গে এক বৈঠকে বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) এ সুপারিশ করেছে ঋণ কর্মসূচির আওতায় শর্ত বাস্তবায়ন পর্যবেক্ষণে আসা আইএমএফ’র প্রতিনিধিদল।

প্রতিনিধিদলটি ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপিদের বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে তাও জানতে চেয়েছে। এছাড়া লক্ষ্যভিত্তিক খেলাপিঋণ কমানো বিশেষ করে সরকারি মালিকানার ব্যাংকগুলোর খেলাপিঋণ কমিয়ে আনা এবং প্রক্রিয়াধীন থাকা ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান সংক্রান্ত আইনগুলোর দ্রুত বাস্তবায়নের তাগিদ দিয়েছে।

অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, অর্থবিভাগের বাজেট অনুবিভাগের সঙ্গে ভর্তুকি নিয়ে বৈঠক করে মিশনের একটি অংশ, ভর্তুকি কমিয়ে আনেত পেট্রোলিয়াম পণ্যের জন্য একটি পর্যায়ক্রমিক সূত্র-ভিত্তিক মূল্য সমন্বয় ব্যবস্থা গ্রহণ করায় সরকারকে স্বাগত জানায়।

তবে সার্বিক বাজেট ব্যবস্থাপনার উন্নয়নে অন্যান্য খাতে ভর্তুকি কমিয়ে আনার জন্য বিদ্যুৎ, গ্যাস ও সারের দাম বাড়ানোর সুপারিশ করেছে। এ প্রসঙ্গে অর্থ বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, খাদ্য নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রেখে আপাতত কৃষিতে পর্যাপ্ত ভর্তুকি দিয়ে যাবে সরকার। তবে বিদ্যুৎ ও গ্যাসে ভর্তুকি কমাতে পর্যায়ক্রমে এসবের দাম বাড়ানো হবে।

আইএমএফের ডেভেলপমেন্ট মাইক্রোইকোমিক্স ডিভিশনের প্রধান ক্রিস পাপাগেওর্জিউ–এর নেতৃত্বে প্রতিনিধিদলটি অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সঙ্গে বৈঠক করে এসব পর্যবেক্ষণ তুলে ধরে।

বৈঠকে সরকারের পক্ষে নেতৃত্ব দেন আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব শেখ মোহাম্মদ সলীম উল্লাহ। এ সময় আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের কর্মকর্তারাসহ সোনালী ব্যাংকের এমডি মো. আফজাল করিমসহ জনতা, অগ্রণী ও রূপালী ব্যাংকের এমডিরাও উপস্থিত ছিলেন।

;

রাতের আঁধারে শিক্ষার্থীদের ক্লাস, অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ৬



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গাজীপুর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

গাজীপুরের কালিয়াকৈরে আফাজ উদ্দিন মেমোরিয়াল স্কুল ও কলেজ নামে বেসরকারি একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে রাতের আঁধারে ক্লাস করাতে গিয়ে ছয় শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছে। বিষয়টি গোপন রেখে অসুস্থ ওই শিক্ষার্থীদের কালিয়াকৈর সদরের রুমাইসা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পরে তাদের পরিবারের সদস্যরা খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে আসেন।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার টান কালিয়াকৈর এলাকার আফাজ উদ্দিন মেমোরিয়াল স্কুল ও কলেজের একটি ক্লাস কক্ষে এ ঘটনা ঘটে।

তবে তাৎক্ষণিকভাবে অসুস্থ শিক্ষার্থীদের নাম পরিচয় জানা যায়নি।

স্থানীয় ও শিক্ষার্থীদের পরিবার সূত্র জানায়, সারাদেশে তীব্র তাপদাহের কারণে স্কুল কলেজ বন্ধ থাকলেও বৃহস্পতিবার রাতে এইচএসসি পরিক্ষার্থীদের রাতের আঁধারে ক্লাস করানো হচ্ছিল। এসময় তীব্র গরমে ৬ শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে তাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নিজস্ব মাইক্রোবাসে করে হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে কয়েকজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন ছুটে এসে তাদের চিকিৎসা দিয়ে বাড়ি নিয়ে যায়।

অন্যদিকে কিছু শিক্ষার্থীর অবস্থা বেশি খারাপ থাকায় তাদের পার্শ্ববর্তী জেলা টাঙ্গাইলের মির্জাপুর কুমুদিনী সরকারি কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয় বলে জানা যায়।

এ বিষয়ে জানতে আফাজ উদ্দিন মেমোরিয়াল স্কুল ও কলেজের পরিচালক মো. সোহাগ রহমানের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে কল করলে তাকে পাওয়া যায়নি।

তবে ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নৈশপ্রহরী নাম প্রকাশ না করে বলেন, ভেতরে ক্লাস চলছিল। কিছুক্ষণ পর গরমে অনেকেই ক্লান্ত হয়ে যায়। পরে তাদের হাসপাতালে নেওয়া হয়।

;