ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতায় শুরু হয়নি সার্ভিস লেনের কাজ



অভিজিৎ ঘোষ, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, টাঙ্গাইল
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের চারলেনের কাজ প্রায় শেষের দিকে। কিন্তু স্লো মুভিং ভেহিক্যাল ট্রাফিক (এসএমভিটি) বা সার্ভিস লেনের এক পাশের কাজ শুরু করতে পারলেও আরেক পাশের কাজ শুরুই করতে পারেনি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এতে করে বেড়েছে কাজের সময়সীমা। তাতে হতাশা প্রকাশ করেছে ছোট ছোট পরিবহনের চালকরা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, জয়দেবপুর-চন্দ্রা-টাঙ্গাইল-এলেঙ্গা মহাসড়কে চারলেন উন্নীতকরণ প্রকল্পের কাজ ২০১৬ সালে শুরু হয়েছে। মহাসড়কের চারলেনের কাজ প্রায় শেষের দিকে। শুধু বাকি রয়েছে কয়েকটি ফ্লাইওভার ও আন্ডারপাসের কাজ। এর পাশাপাশি মহাসড়কের এলেঙ্গা হতে টাঙ্গাইলের রাবনা বাইপাস পর্যন্ত পূর্বপাশের এসএমভিটি বা সার্ভিস সড়কের কাজ শেষ হয়েছে কিন্তু পশ্চিম পাশের কাজ এখনো শুরুই করতে পারেনি। হয়নি ওই সড়কের ছোট ছোট কালভার্ট ও ব্রিজের কাজ। একই অবস্থা রাবনা পূর্বপাশের এসএমভিটি সড়কের। তবে রাবনা বাইপাস থেকে পশ্চিমের এসএমভিটি সড়কের কাজ শেষ হয়েছে। সেখান দিয়ে ছোট ছোট যানবাহন চলাচল করছে। কিন্তু অপরপাশের অর্থাৎ পূর্বপাশের ঢাকামুখী সার্ভিস লেনের কাজ শুরুই করতে পারেনি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো। তবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা জানিয়েছে, ভূমি অধিগ্রহণ না হওয়ায় সার্ভিস সড়ক ও আন্ডারপাসের কাজ শেষ করতে দেরি হচ্ছে।

ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক

জানা গেছে, জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের ভূমি অধিগ্রহণ শাখায় একাধিকবার ওই জমির কাগজপত্র যাচাই-বাছাই ও পরিমাপ করলেও এখনও ভূমি অধিগ্রহণের কাজ শেষ করতে পারেনি। এতে চলতি বছরের ২৩ জানুয়ারি ভূমি অধিগ্রহণ না করায় সার্ভিস লেনের (এসএমভিটি) কাজ বন্ধ করে দেয় জমির মালিকরা। পরবর্তীতে পুনরায় মহাসড়কের তারুটিয়া ও নাটিয়াপাড়া এলাকায় কাজ শুরু হলেও বাকি অংশের সার্ভিস সড়কের কাজ শুরু হয়নি।

বাংলাদেশের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ডিয়েনকো লিমিটেডের সঙ্গে বিদেশি কোম্পানি দক্ষিণ কোরিয়ার জিডিসিএল, আব্দুল মোনেম লিমিটেডের সঙ্গে মালয়েশিয়ান কোম্পানি এইচসিএম ইঞ্জিনিয়ারিং এবং দক্ষিণ কোরিয়ার আরেকটি কোম্পানি সামহোয়ানের সঙ্গে মীর আখতার লিমিডেট মহাসড়কের উন্নয়ন কাজ করছে কয়েকটি প্যাকেজে। তবে সরেজমিনে বিদেশি কোম্পানির কোনো লোকজন দেখা যায়নি।

ব্রিজের নির্মাণ কাজ চলছে

টাঙ্গাইল সড়ক ও জনপথ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, জয়দেবপুর-চন্দ্রা-টাঙ্গাইল-এলেঙ্গা মহাসড়কে চারলেন উন্নীতকরণ প্রকল্পের আওতায় সাড়ে পাঁচ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে এর নির্মাণ কাজ করছে সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদফতর। এতে মহাসড়কের ৭০ কিলোমিটারের প্রতি কিলোমিটার সড়কের নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৫৮ কোটি টাকা। এরআগে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক চারলেনের উন্নীতকরণ প্রকল্পটি ২০১৩ সালে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ (একনেক) সভায় অনুমোদিত হওয়ার পর এর কাজ শুরু করা হয় ২০১৬ সালে। মহাসড়কের এলেঙ্গা-টাঙ্গাইলের দরুন পর্যন্ত সড়ক, ফ্লাইওভার, আন্ডারপাস, ব্রিজ ও কালভার্টের কাজ করছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ডিয়েনকো লিমিটেড। একইভাবে টাঙ্গাইলের দরুন থেকে মির্জাপুরের জিরোপয়েন্ট পর্যন্ত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মীর আখতার এবং মির্জাপুর থেকে গোড়াই-চন্দ্রা পর্যন্ত সড়ক উন্নয়নের কাজ করছে আব্দুল মোনেম লিমিটেড। মহাসড়কের ১১টি আন্ডারপাস ও ৫টি ফ্লাইওভার করার সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো গত বছরের জুন থেকে শুরু করে চলতি বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত এগুলোর কাজ শেষ করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

অনেক জায়গায় সার্ভিস লেনের কাজ শুরু হয়েছে।

এলেঙ্গার সিএনজি চালিত অটোরিকশার চালক আব্দুর রহিম বলেন, ছোট পরিবহন চলাচল করার জন্য বিকল্প সড়কের কাজ শেষ না হওয়ায় মহাসড়কের পাশ দিয়ে ছোট গাড়ি চালাতে পারছি না। মহাসড়কে উঠলেই পুলিশ ধরে। এতে আয় রোজগার কমে গেছে।

ছোট ছোট পরিবহন চালকরা জানান, মহাসড়কের এলেঙ্গা হতে টাঙ্গাইল রাবনা বাইপাস পর্যন্ত একপাশের সার্ভিস লেনের কাজ হয়েছে। আবার রাবনা বাইপাস হতেও মহাসড়কের পশ্চিমের সার্ভিস লেনের কাজ হয়েছে। কিন্তু পূর্ব বা ঢাকামুখী সার্ভিস লেনের কাজ শুরুই হয়নি। এতে সিএনজি, ছোট ছোট পরিবহনগুলো বাধ্য হয়েই মহাসড়কে উঠে পড়ছে। এতে করে অনেক সময় দুর্ঘটনা ঘটছে।

ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে ফ্লাইওভার ও আন্ডারপাসের কাজ শেষ না হওয়ায় ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে

মহাসড়কের করটিয়া ইউনিয়নের মাধবধনী এলাকায় সার্ভিস লেনের জন্য ব্রিজের কাজ করছে মীর আখতার লিমিটেড। সেখানকার আবু সাইদ নামের এক শ্রমিক জানান, চারলেনের সড়কের সঙ্গে সার্ভিস লেনের সংযোগের জন্য ব্রিজের নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। তবে মানুষজন জায়গা ছেড়ে না দেওয়ায় সার্ভিস লেনের মূল সড়কের কাজ করা যাচ্ছে না।

মহাসড়কের চারলেন প্রকল্পের প্রজেক্ট ম্যানেজার মো. ইসতিয়াক বলেন, ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতায় সার্ভিস লেন বা এসএমভিটি সড়কের কাজ অনেক জায়গায় আটকে গেছে। নতুন করে ভূমি অধিগ্রহণ করা হচ্ছে। খুব শিগগিরই সার্ভিস লেনের কাজ শুরু করা হবে। করোনা, বন্যা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে কাজ বিলম্বিত হয়েছে।

আরও পড়ুন: ফ্লাইওভার ও আন্ডারপাসের কাজ শেষ না হওয়ায় ভোগান্তি!

   

ভার পেয়ে মওকা খুঁজলেন মাউশির ডিজি, অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে উকিল নোটিশ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: মাউশির ডিজি প্রফেসর শাহেদুল খবির চৌধুরী

ছবি: মাউশির ডিজি প্রফেসর শাহেদুল খবির চৌধুরী

  • Font increase
  • Font Decrease

মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা অধিদফতর (মাউশি)র মহাপরিচালক (ডিজি) হিসেবে ভারপ্রাপ্ত হয়েছিলেন অধিদপ্তরের কলেজ প্রশাসনের পরিচালক প্রফেসর শাহেদুল খবির চৌধুরী। এ সময়ে নিজেকে যোগ্য প্রমাণ করে উচ্চতর পদটি পাওয়ার চেষ্টাই করার কথা ছিলো তার। কিন্তু সেটা না করে মওকা বুঝে অর্থ আত্মসাৎ করে নিয়েছেন এমন অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। এরই মধ্যে পাঠানো হয়েছে উকিল নোটিশ। বলা হচ্ছে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির বড় অংকের টাকা আত্মসাৎ করেছেন এই অধ্যাপক।

বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির বর্তমান সভাপতি ও অর্থনীতি বিভাগের প্রফেসর শাহেদুল খবির ২০১৬ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমানে গত দুই বছর ধরে তিনি সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন।নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, গত ছয় বছরে দুই পদে দায়িত্ব পালনের সময়ে সমিতির সাধারণ তহবিল ও বিশেষ তহবিল খাতের অর্থ জনতা ব্যাংকের দুটি ব্যাংক হিসাব থেকে তুলে বিভিন্ন কাজে ব্যয় করেন। যা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। এছাড়া সারাদেশের বিভিন্ন কলেজ থেকে চাঁদা আদায়সহ সমিতির নানাখাতের আয় ও ব্যয়ের হিসাব নিয়ে সদস্যদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। ফলে অনেকটা চাপের মুখে শাহেদুল খবিরের নিজের লোক হিসেবে পরিচিত প্রফেসর আ ন ম শাহাদাত হোসেনের নেতৃত্বে অডিট কমিটি গঠন করেন। এই কমিটি সমিতির ব্যাংক হিসাব ও আয়-ব্যয়ের অডিট করতে গিয়ে বিপুল পরিমাণ টাকার গড়মিল খুঁজে পায়। 

আর সেই অডিটের সূত্র ধরে শাহেদুল খবিরকে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন সমিতির সাধারণ সদস্য খাগড়াছড়ি জেলার রামগর সরকারি কলেজের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক আব্দুর রাজ্জাক।

এই শিক্ষকের পক্ষে আইনি নোটিশটি পাঠিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট মো. শাহীন আলী।

এই নোটিশে শাহেদুল খবিরের পাশাপাশি তার সঙ্গে আর্থিক অনিয়মে জড়িত জড়িত বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির সাবেক কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর খান রফিকুল ইসলাম, সমিতির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব ও বর্তমানে ওএসডি হয়ে চট্টগ্রাম জেলার স্বন্দীপের হাজী আব্দুল বাতেন কলেজে সংযুক্ত সহযোগী অধ্যাপক মো. শওকত হোসেন মোল্ল্যা, সমিতির কোষাধ্যক্ষ ও বর্তমানে ওএসডি হয়ে একই কলেজে সংযুক্ত ব্যাবস্থাপনা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক কামাল আহমেদকে একই আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। তাদেরকে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে নোটিশে জবাব দিতে বলা হয়েছে।

সমিতির একাধিক সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ২০১৫ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রফেসর নাসরিন বেগম ও আইকে সেমিলউল্লাহ খন্দকার বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির দায়িত্বে ছিলেন। তাদের মেয়াদে এক কোটি ৯ লাখ টাকা পরবর্তী কমিটি অর্থাৎ ২০১৬ সালে নির্বাচিত সভাপতি আই কে সেলেমউল্লাহ খন্দকার ও মহাসচিব প্রফেসর শাহেদুল খবিরের কাছে বুঝিয়ে দিয়ে যান। ২০১৬ সালের সমিতির ১২৩ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির নির্বাচনে দুটি প্যানেল অংশগ্রহণ করে। একটি আই কে সেলেমউল্লাহ খন্দকারের প্যানেল, অন্যটি শাহেদুল খবিরের প্যানেল। এই নির্বাচনে সেলেমউল্লাহ খন্দকার সভাপতি নির্বাচিত হন। তার প্যানেলের আর কেউ নির্বাচিত হতে পারেন নি। বাকি ১২২ পদে শাহেদুল খবিরের প্যানেল নির্বাচিত হয়। ফলে কমিটিতে সেলেমউল্লাহ খন্দকার একা হয়ে যান। এই সুযোগে মহাসচিব হিসেবে শাহেদুল খবির ও তার প্যানেলের কোষাধক্ষ্য মুন্সিগঞ্জ সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ও নায়েমের সাবেক উপ-পরিচালক খান রফিকুল ইসলাম মিলে সভাপতিকে পাশকাটিয়ে সমিতির সকল ব্যাংক একাউন্টের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেন। এই সুযোগে ২০১৬ থেকে ২০১২২ সাল পর্যন্ত দুজনের স্বাক্ষরে ব্যাংক থেকে কয়েক কোটি টাকা উত্তোলন করা হয়। সারাদেশের কলেজগুলো থেকে গত ৬ বছর ধরে তারা চাঁদা তুলেছেন। এই সময়ে কোন কলেজ কতটাকা চাঁদা দিয়েছে। এই টাকা কি ভাবে খরচ করা হয়েছে। পূর্বের হিসাবের সঙ্গে বর্তমান হিসাবের কোনো ধারাবাহিকতা তারা রক্ষা করেন নি। 

এর ফলে সমিতির সাধারণ সদস্যদের মাঝে কমিটির নানা খাতের ব্যয় ও আয়ের বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ নানাভাবে সমিতির ক্ষমতাশীন নেতাদের এমন অন্যায়ের প্রতিবাদ জানালে চলতি বছরের মার্চ মাসের ৭ তারিখ দুটি অডিট কমিটি গঠন করা হয়। এই কমিটি ২৪ দিন পর গত ৩১ মার্চ অডিট প্রতিবেদন জমা দেয়। দুটি কমিটির প্রধান ছিলেন দুজন অধ্যাপক। তারা এই হিসাব ও ব্যাংক বিবারণ দেখে নিজেরাই বিব্রত। ফলে অনেকটা অনিচ্ছা সত্যেও সভাপতির নিজেদের লোকদের করা অডিটেও ২ কোটি ৮৪ লাখ টাকার গরমিল উল্লেখ করা হয়।

সমিতির সদস্যদের আরও অভিযোগ, সাধারণ সদস্যদের ভোটে নির্বাচিত হয়ে নিজেদের ক্ষমতাধর ভেবে কমিটির সভাপতি ও তার নেতৃত্বাধীন নেতারা কোনো নিয়ম মানছেন না। এছাড়া বর্তমান কমিটির ভোটেও নয়-ছয়ের অভিযোগও করছেন অনেকে। 

অডিটে অংশ নেওয়া একাধিকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, অডিট কমিটির কাছে উপস্থাপন করা বেশিরভাগ ভাউচারে কাটাকাটি করা হয়েছে। ব্যয়ের খাত উল্লেখ নেই। এমন কি লাখ লাখ টাকা খরচ করা হলেও তার খাত বা ভাউচার দেখাতে পারেন নি। ফলে বিসিএস ক্যাডারের পেশাজীবি একটি সংগঠনের সদস্যদের কোটি কোটি টাকার ব্যয়ের হিসাব রক্ষায় দায়িত্বপ্রাপ্তদের বড় ধরনের অবহেলার প্রমাণ মিলেছে। এতে অডিট কমিটির প্রধানসহ সবাই হতবাক হয়েছেন।   

এদিকে ২০২৩ সালের অক্টোবর ও সেপ্টেম্বর মাসে বিসিএস ক্যাডার–বৈষম্য, পদোন্নতিসংক্রান্ত সমস্যা সমাধানসহ বিভিন্ন দাবিতে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তারাদের প্রায় ১৫ দিন কর্মবিরতি পালন করেন। এই কর্মবিরতিতে অংশ নেওয়া বেশ কয়েকজন শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পদোন্নতিসহ বিভিন্ন দাবিতে সারাদেশে শিক্ষকদের ১৫ দিন কর্মবিরতির নেপথ্যে ছিলেন শাহেদুল খবির। তিনি পদোন্নতি এনে দেওয়ার নামে অনেকটা চাপ প্রয়োগ করে বর্তমান সরকারের তৃতীয় মেয়াদের শেষ সময়ে নির্বাচনের আগে এই আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন। যদিও পরবর্তীতে তার পদ নিয়ে টানাটানি শুরু হলে তিনি আন্দোলন থেকে সরে আসেন এবং শিক্ষকদের  আন্দোলন থেকে বিরত থাকতে বলেন। সেই সময়ে আন্দোলনের বিষয়ে শাহেদুল খবির গণমাধ্যমে নানা বক্তব্য দিয়েছিলেন। বিভিন্ন পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে খুঁজে যার সত্যতা পাওয়া যায়। 

এছাড়া শাহেদুল খবিরের অন্যতম সহযোগী শওকত হোসেন মোল্যার সন্দ্বীপ হাজী আব্দুল বাতেন কলেজে বদলি হলেও তিনি বিগত তিন বছর কলেজে যান না। কলেজে না যেয়েও কলেজ অধ্যক্ষের সহযোগিতায় বেতন তুলছেন। তিনি শাহেদুল খবির চৌধুরীর নিজের লোক হওয়ায় কর্মস্থলে দীর্ঘদিন না গেলেও তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। এই শাহেদুল খবির চৌধুরীর যোগসাজশে নোয়াখালী সরকারি কলেজের যাবতীয় অনিয়ম দুর্নীতি শিক্ষক হয়রানি হচ্ছে। শিক্ষা সচিব নোয়াখালী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ সালমা আক্তার ও উপাধ্যক্ষ লোকমান ভূঞাঁ এর বিরুদ্ধে পৃথক তদন্তের আদেশ দিলেও তদন্ত আটকে রেখেছেন শাহেদুল খবির চৌধুরী। সারাদেশে শিক্ষায় দুর্নীতিবাজদের গুরু শাহেদুল খবির চৌধুরী। কেউ অনিয়ম করে ধরা পড়লেও তার কারণে কোন তদন্ত হয় না। তদন্ত হলেও সেই প্রতিবেদনের কাগজ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয় না। এমন কি কুমিল্লা বোর্ডের চিঠি জালিয়াতির অভিযোগ রয়েছে এই সিন্ডিকেটের সদস্যদের বিরুদ্ধে। এই ঘটনার তদন্তও আটকে আছে অদৃশ্যের বাধায়।

মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক অধিদফতরে চাকরি করে একই অধিদফতরের মহাপরিচালকের বিরুদ্ধে আইনি নোটিশ পাঠানোর বিষয়ে জানতে চাইলে প্রভাষক আব্দুর রাজ্জাক বার্তা২৪.কমকে বলেন, আমি বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির একজন সাধারণ সদস্য। সে হিসেবে এই সমিতির আর্থিক আয় ও ব্যয়ের হিসাব জানার অধিকার আমার আছে। কারো ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে নয় সমিতির সকল সদস্যদের মতো আমিও সমিতির আর্থিক হিসাব চাইতে পারি। সে জন্যই সম্প্রতি অডিটে উঠে আসা আর্থিক অনিয়মের বিরুদ্ধে জড়িতদের আইনি নোটিশ পাঠিয়েছি। সমিতির কোটি কোটি টাকা ক্ষমতার জোরে তারা আত্মসাৎ করেছেন। এমন কি জোর করে কোষাধ্যক্ষের কাছ থেকে চেকে স্বাক্ষর নেওয়ার কথাও আমরা ফেসবুকে দেখতে পাই। ব্ল্যাংক চেকে স্বাক্ষর নেওয়ার যৌক্তিকতা কোথায় আছে? একজন ক্যাডার সার্ভিসের কর্তকর্তা হিসেবে তারা এই কাজ করতে পারেন না। যদি আমার নোটিশের উপযুক্ত জবাব তারা দিতে না পারেন, বৈধ কাগজ না দেখাতে পারেন তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা হবে। 

অধিদফতেরর মহাপরিচালককে আইনি নোটিশ পাঠানোর কারণে হয়রানির আশঙ্কা করছেন কি না জানতে চাইলে হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের এই শিক্ষক বলেন, আমি ২০১৮ সাল থেকে হয়রানির শিকার। মাউশির ১০ স্কুল প্রকল্পের দূর্নীতি বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় আমাকে নানাভাবে হয়রানি করা হয়। সেই সময়ে আমি অভিযোগ দিয়েছিলাম। সেই অভিযোগে ৯ জনের অপরাধ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ হয়। তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী বিষয়টি জানতেল। কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয় নি। অথচ আমাকে ওএসডি করে রাখা হয় দুই বছর। সেখান থেকে নোয়াখালী সরকারি কলেজে বদলি করা হয়। সেখানেও পরীক্ষা কেন্দ্রে নকল, ফলাফল টেম্পারিং করে টাকা নেওয়া, শিক্ষার্থী ভর্তিতে ব্যাপক দূর্নীতি নিয়ে দুদক ও শিক্ষা সচিবের কাছে অভিযোগ দিয়েছি। সেখানেও দূর্নীতির প্রমাণ পাওয়ার পর তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। বরং আমাকে খাগড়াছড়ি বদলি করা হয়। আমি এতেও ভীত নই। আমি জানি হয়রানির শিকার হবো। তবে আমি যতদিন বেঁচে আছি দূর্নীতির সঙ্গে আপষ করবো না। শুধু তাই নয় আমার এসিআরে বিরূপ মন্তব্য করে আমার পদোন্নতি আটকে দেওয়া হয়েছে। আমার জুনিয়রদের পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। তাই আমি থেমে যাবো না। তাদের বিচার না হলেও বরং মানুষ জানুক তারা কিভাবে শিক্ষা ব্যবস্থাকে নষ্ট করে দিচ্ছে।

এ দিকে যার বিরুদ্ধে এতো অভিযোগ সেই শাহেদুল খবিরের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে পাওয়া যায়নি। টানা দুই দিন তার মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেন নি। হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা পাঠানো হলেও তিনি উত্তর দেন নি।

;

সাজেকে ট্রাক খাদে পড়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৯



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম রাঙামাটি
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রাঙ্গামাটির সাজেকের উদয়পুর সীমান্ত সড়কের ‘নব্বই ডিগ্রি’ এলাকায় সাড়ে ৫ টার দিকে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ডাম্প ট্রাক খাদে পড়ে গেলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৯ জনে দাঁড়িয়েছে। এর আগে ঘটনাস্থলেই ৬ শ্রমিক নিহত হন। এ সময় আহত হয়েছেন ৮ জন। ট্রাকটিতে ১৭ জন শ্রমিক ছিলেন। 

বুধবার (২৪ এপ্রিল) রাতে এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাঘাইছড়ির সহকারী পুলিশ সুপার আব্দুল আওয়াল। তিনি জানান, সীমান্ত সড়কের কাজ শেষে করে শ্রমিক বহনকারী ট্রাকটি মূল স্টেশনে ফেরার পথে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পাহাড়ি খাদে পড়ে যায়। আহত শ্রমিকদের উদ্ধার করে খাগড়াছড়ি হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসক ৩ জনকে মৃত ঘোষণা করেন।

আব্দুল আউয়াল আরও বলেন, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে হতাহতদের উদ্ধার করে। সাজেক থানায় ৫ জনের মরদেহ আছে। খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালের ৪ জনের মরদেহসহ মোট ৯ জন নিহত হয়েছে এ দুর্ঘটনায়। হতাহতদের নাম ও পরিচয় শনাক্তের কাজ চলমান। 

খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. সাগর দেব তপু জানান, সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ১০ জনের মধ্যে ৪ জন হাসপাতালে আনার পথে মারা গেছেন। চিকিৎসাধীন ৬ জনের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শিরিন আক্তার এ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আহতদের উদ্ধার করে খাগড়াছড়ি জেনারেল হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ ও সেনাবাহিনী। তবে তাৎক্ষণিকভাবে কারও নাম-পরিচয় জানা যায়নি।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, হতাহত শ্রমিকদের বাড়ি রংপুর অঞ্চলে। তারা উদয়পুর বাঘাইছড়ি সীমান্ত সড়কের ১৭ কিলোমিটার নামক স্থানে হারিজাপাড়া সেতু নির্মাণ কাজে নিয়োজিত ছিলেন। 

;

ফরিদপুরে দুই সহোদর হত্যা: ঘটনাস্থলে রেল ও মৎস্য মন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজবাড়ী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ফরিদপুরের মধুখালীর ডুমাইন ইউনিয়নের পঞ্চপল্লীতে মন্দিরে আগুন লাগার সহিংস ঘটনার সন্দেহে ১৮ এপ্রিল আপন দুই ভাইকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় বুধবার (২৪ এপ্রিল) ঘটনাস্থল পরিদর্শন করছেন রেলপথ মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. জিল্লুল হাকিম এবং মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান। 

বুধবার রাত ৮ টার দিকে দুই মন্ত্রী ঘটনাস্থলে পৌঁছান। এর আগে সন্ধ্যায় রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার জঙ্গল ইউনিয়নের ধর্মতলা আদর্শ বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত শান্তি ও সম্প্রীতি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন রেলমন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিম। 

শান্তি ও সম্প্রীতি অনুষ্ঠানে রেলমন্ত্রী বলেন, ইসলাম ধর্ম কোন মানুষ হত্যাকে সাপোর্ট করেনা। যারা মানুষ হত্যা করে তারা নিকৃষ্ঠ। পাশের ইউনিয়নে (ডুমাইন) মন্দিরে আগুন ধরিয়ে দেওয়া সন্দেহে যে দুই ভাইকে হত্যা করা হয়েছে তা বর্বরচিত। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ অসাম্প্রদায়িক দেশ হিসেবে স্বীকৃত। একটি গোষ্ঠী সাম্প্রদায়িক ইস্যু বানিয়ে দেশকে অস্থীতিশীল করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। আমরা তা কখনো হতে দেবনা। 

পঞ্চপল্লীর পাশের এলাকা সনাতন ধর্মাম্বলী অধ্যাষুত জঙ্গল ইউনিয়নের বাসিন্দাদের উদ্দেশ্যে রেলমন্ত্রী আরো বলেন, আপনাদের কোন ভয় নেই। আপনাদের পাশে সরকার রয়েছে। কোন ষড়যন্ত্রকারি রক্ষা পাবেনা। যারা প্রকৃত হত্যাকারি তাদের বিচার হবেই। আপনারা নির্ভয়ে চলাফেরা করবেন। কোন গুজবে কান দেবেন না। যে কোন সমস্যা হলে সাথে সাথে প্রশাসন কিংবা আইনশৃঙ্খলাবাহিনীকে জানাবেন। 

উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) হাসিবুল হাসানের সভাপতিত্বে শান্তি সমাবেশে বক্তব্য রাখেন রাজবাড়ীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুকিত সরকার, বালিয়াকান্দি থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আলমগীর হোসেন, জঙ্গল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কল্লোল বসু, সমাধীনগর আর্য সংঘ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নারোদ বাছার প্রমুখ। শান্তি সমাবেশে প্রায় সহস্রাধিক সনাতন ধমাম্বলী নারী-পুরুষ উপস্থিত ছিলেন।

শান্তি ও সম্প্রতী সমাবেশ শেষে রেলমন্ত্রী ঘটনাস্থল ডুমাইনের পঞ্চপল্লী পরিদর্শনে যান। সেখানে মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রী আব্দর রহমানও পরিদর্শনে আসেন। দুই মন্ত্রী ক্ষতিগ্রস্থ মন্দির ও পাশের প্রাথমিক বিদ্যালয় যেখানে দুই ভাইকে হত্যা করা হয় সেখানে পরিদর্শন করেন এবং ঘটনার দিন মন্দিরে সন্ধ্যা প্রদীপ যিনি জ্বালিয়েছিলেন সেই তপতী রাণীর সাথে কথা বলেন।

পরিদর্শন শেষে মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রী আব্দুর রহমান সাংবাকিদের উদ্দেশ্যে বলেন, এ ঘটনায় কাউকে ছাড় দেওয়া হবেনা। সঠিক তদন্ত করে প্রকৃত দোষীদের আইনের আওতায় আনা হবে। প্রতিটি মোড়ে পুলিশ যে পাহাড়া দিচ্ছে এটা কতদিন চলবে- এমন প্রশ্নের জবাবে মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রী বলেন, যতদিন এলাকা স্বাভাবিক হয়েছে বলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মনে না করবে ততদিন পর্যন্ত পুলিশ পাহাড়া দিবে।

;

আরও ৩ দিনের হিট অ্যালার্ট জারি, বৃষ্টির পূর্বাভাস



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তীব্র তাপপ্রবাহ। দিনদিন বাড়ছে তাপমাত্রা। গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন। এমন পরিস্থিতিতে আরও তিনদিন হিট অ্যালার্টের (তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা) পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। একই সঙ্গে মে মাসের প্রথম সপ্তাহে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টি হতে পারে বলেও জানানো হয়েছে।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) সন্ধ্যায় পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার দেওয়া পূর্বাভাসে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক মো. আজিজুর রহমান এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, আমরা এর আগে তিন দিনের যে হিট অ্যালার্ট জারি করেছিলাম, তার মেয়াদ আজ শেষ হচ্ছে। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) থেকে আরও তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি করা হবে। কারণ, আপাতত বড় পরিসরে বৃষ্টি হয়ে তাপপ্রবাহ দূর হওয়ার সম্ভাবনা নেই। আমরা হিট অ্যালার্ট জারি করে সরকারকে জানিয়ে দিই। সরকার সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে। সংশ্লিষ্টরা তাদের করণীয় যা সেটা করবে।

তিনি বলেন, সারা দেশের তাপমাত্রা গতকালের থেকে আজ কিছুটা বেড়েছে। চলতি এপ্রিল মাসে তাপপ্রবাহ পুরোপুরি দূর হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। আমরা দেখছি যে, এটা মে মাসের ২ থেকে ৩ তারিখ পর্যন্ত চলবে। এরপর হয়তো বিভিন্ন অঞ্চলে কিছু বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। এর আগে পর্যন্ত বড় পরিসরে বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। স্থানীয়ভাবে বিচ্ছিন্নভাবে কোথাও কোথাও বৃষ্টি হতে পারে।

এদিকে বুধবার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে এবং সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

আবহাওয়া অফিস জানায়, খুলনা বিভাগসহ দিনাজপুর, নীলফামারী, রাজশাহী, পাবনা, ফরিদপুর ও গোপালগঞ্জ জেলাসমূহের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। ময়মনসিংহ, মৌলভীবাজার, রাঙ্গামাটি, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী ও বান্দরবান জেলাসহ বরিশাল বিভাগ এবং রংপুর, রাজশাহী ও ঢাকা বিভাগের অবশিষ্টাংশের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। সারা দেশে দিনের এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। বিরাজমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বিরাজ করতে পারে।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে এবং সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। বিরাজমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বিরাজ করতে পারে।

আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, বর্ধিত ৫ (পাঁচ) দিনের আবহাওয়ার অবস্থায় উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই।

;