করোনার দ্বিতীয় ঢেউ: গণপরিবহনে উপেক্ষিত স্বাস্থ্যবিধি, বাড়াচ্ছে ঝুঁকি



তৌফিকুল ইসলাম, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
করোনার দ্বিতীয় ঢেউ: গণপরিবহনে উপেক্ষিত স্বাস্থ্যবিধি, বাড়াচ্ছে ঝুঁকিকরোনার দ্বিতীয় ঢেউ: গণপরিবহনে উপেক্ষিত স্বাস্থ্যবিধি, বাড়াচ্ছে ঝুঁকি

করোনার দ্বিতীয় ঢেউ: গণপরিবহনে উপেক্ষিত স্বাস্থ্যবিধি, বাড়াচ্ছে ঝুঁকিকরোনার দ্বিতীয় ঢেউ: গণপরিবহনে উপেক্ষিত স্বাস্থ্যবিধি, বাড়াচ্ছে ঝুঁকি

  • Font increase
  • Font Decrease

সারাবিশ্বে শুরু হয়েছে করোনা মহামারি দ্বিতীয় ঢেউ। ইতিমধ্যে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা আভাস দিয়েছেন শীতকালে করোনার সংক্রমণ আরও বাড়বে। বাংলাদেশও করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে প্রস্তুতির নির্দেশ দিয়েছে। তবে সরকার ও বিআরটি’র নির্দেশনা পরও স্বাস্থ্যবিধি মানতে অনীহা দেখা গেছে গণপরিবহনে।

শীতে করোনাভাইরাসের প্রকোপ আরো বাড়তে পারে এমন আশঙ্কা থেকে মন্ত্রিপরিষদ থেকে দেয়া হয়েছে কঠোর নির্দেশনা। গণপরিবহনসহ সবখানে মাস্ক পরতে হবে। মানতে হবে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি। তবে সরকারের এই কঠোরতাকে বৃদ্ধাঙ্গালি দেখিয়েছে রাজধানীর গণপরিবহনগুলো। অনেক যাত্রী যেমন স্বাস্থ্যবিধি মানতে চাইছেন না, তেমনি পরিবহন শ্রমিকদের মধ্যেও দেখা গেছে স্বাস্থ্যবিধি মানতে অনীহা।

এদিকে গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি না মানার কারণে করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি আরো বাড়ছে বলে অভিমত সংশ্লিষ্টদের।

গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি না মানার কারণে করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি আরো বাড়ছে বলে অভিমত সংশ্লিষ্টদের

সরেজমিনে দেখা গেছে, রাজধানীর বিভিন্ন রুটে চলাচলকারী গণপরিবহনের যাত্রীদের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মানার বালাই নেই। বেশিরভাগ যাত্রী পরছেন না মাস্ক। তাছাড়া গাড়ির চালক সুপারভাইজার তারাও মাস্ক ব্যবহারে উদাসীন। গণপরিবহনের নির্ধারিত সিটের অধিক দাঁড়িয়ে যাত্রী নেওয়া নিষেধাজ্ঞা থাকলেও মানা হচ্ছে না সে নির্দেশনা। বেশিরভাগ গণপরিবহনে গাদাগাদি করে যাত্রী তোলা হচ্ছে। আর এই ব্যাপারে যাত্রীদেরও কোন মাথাব্যথা নেয়।

করোনা শুরুর দিকে গণপরিবহনে সুপারভাইজার যাত্রীদের হাতে হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিতে দেখা গেলেও এখন আর তা কেউ মানছেন না। মানুষ কিছুটা সতর্ক হলেও এখন মাস্ক ব্যাবহার, শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা ইত্যাদি ব্যাপারে চরম উদাসীনতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে।

গণপরিবহনের সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্ল্যাহ বার্তা২৪.কমকে বলেন,'দাঁড়িয়ে যাত্রী নেওয়ার অভিযোগ এটা আসলে রাজধানীর বাহিরে দূরপাল্লার কোনো বাসে হচ্ছে না। রাজধানীর ভিতরেই গুটিকয়েক বাসে এমনটি হচ্ছে। সেটাও অফিস টাইমের দিকে হচ্ছে। তবে আমরা দাঁড়িয়ে যাত্রী নেওয়ার ব্যাপারে নিরুৎসাহিত করি। আমরা বিআরটিএকে বলেছি এই ধরনের কাজ কোন গণপরিবহন করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে। বিআরটিএ এসব পরিবহনের বিরুদ্ধে মামলাও দিচ্ছে'।

বাসে ওঠা যাত্রীদের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মানার বালাই নেই

তিনি আরও বলেন, 'সংগঠনের পক্ষ থেকে আমাদের পরিবহন মালিকদের বলা আছে স্বাস্থ্যবিধি মেনে গণপরিবহন চলানোর জন্য। একই সাথে যাত্রীদের অনুরোধ করবো বাসে উঠবার সময় নিজ দায়িত্বে মাস্ক ব্যবহার করবেন।নিজেদের সুরক্ষা নিজেদের কাছে তাই সবাই স্বাস্থ্যবিধি মানে চলুন'।

গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি মেলে চলাচলের জন্য বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) কিছু নির্দেশনা দিয়েছে। এসব নির্দেশনা মেনে গণপরিবহন চালাতে হবে। তাদের নির্দেশনাগুলো হলো- গণপরিবহনে আসন সংখ্যার অতিরিক্ত কোনো যাত্রী পরিবহন করা যাবে না। গণপরিবহনে যাত্রী, চালক, সুপারভাইজার/ কন্ডাক্টার, হেল্পার এবং টিকিট বিক্রয় কেন্দ্রের দায়িত্বে নিয়োজিত ব্যক্তিগণের মাস্ক পরিধান/ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে এবং তাদের হাত ধোয়ার জন্য পর্যাপ্ত সাবান পানি হ্যান্ড স্যানিটাইজার এর ব্যবস্থা রাখতে হবে।

গণপরিবহন সমূহ জ্বালানি সংগ্রহ ও জরুরি প্রয়োজন ছাড়া পথের মাঝখানে কোন যাত্রাবিরতি করতে পারবে না এবং মধ্যবর্তী স্থানে যাত্রী ওঠানোর জন্য থামানো যাবে না। যাত্রার শুরু এবং শেষে যানবাহন পরিষ্কার- পরিচ্ছন্ন জীবাণুনাশক দিয়ে জীবাণুমুক্ত করতে হবে। এছাড়াও যানবাহনের মালিকগণকে যাত্রীগণের হাতব্যাগ মালপত্র জীবাণুনাশক ছিটিয়ে জীবাণুমুক্ত করার ব্যবস্থা করতে হবে। বাসে ওঠার ক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।

গণপরিবহনসহ ঘরে-বাইরে মাস্কের ব্যবহার নিশ্চিতে মাঠে নেমেছে সরকারের বিভিন্ন সংস্থা। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী করোনার দ্বিতীয় ঢেউ রুখতে জনসাধারণকে মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত করতে ও জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে অভিযান চালানো হচ্ছে। প্রায় দীর্ঘ নয় মাস অতিক্রম করেছে এই করোনা মহামারি এখন কিছু মানুষ সচেতন হয়েছে। তবে তার পরেও যারা সচেতন হচ্ছেন না। তাদেরকে জরিমানার আওতায় এনে মাস্ক ব্যবহারের উৎসাহিত করা হচ্ছে।

   

তীব্র গরমে কদর বেড়েছে হাতপাখার, ব্যস্ত কারিগররা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

তীব্র তাপপ্রবাহে অতিষ্ঠ জনজীবন। লোডশেডিংয়ের ভয়াবহতা ও তীব্র গরমে মানুষের ঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে এখন শোভা পাচ্ছে হাতপাখা। বিদ্যুৎ চলে যাওয়ার পর হাতপাখা নাড়িয়ে কিছুটা প্রশান্তি খুঁজছেন মানুষ। আর সেজন্যই কদর বেড়েছে হাতপাখার। আর এই চাহিদা মেটাতে পাখা তৈরির ধুম পড়েছে পাখাপল্লিতে। পাখার চাহিদা মেটাতে কারিগরেরা সারা দিন কঠোর পরিশ্রম করে চলেছেন।

কয়েক বছর আগেও গরমের দিনে হাতপাখাই ছিল সহায়। ঘরে ঘরে ছিল এর কদর। এখন বৈদ্যুতিক পাখা আর এয়ার কন্ডিশনের দাপটে কমেছে হাতপাখার ব্যবহার। তবে এবারের টানা তাপপ্রবাহ আর ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে চাহিদা বেড়েছে হাতে তৈরি পাখার। ব্যস্ততাও বেড়েছে ঠাকুরগাঁও জেলার হাতপাখা শিল্পীদের।

ঠাকুরগাঁওয়ের সদর উপজেলার গড়েয়া ইউনিয়নের লস্করা গ্রামটি হাতপাখার গ্রাম বলে পরিচিত। গ্রামের প্রতিটি বাড়ির ছোট বড় সকলেই এ পেশার সাথে জড়িত। লস্করা গ্রামে এখন হাতপাখা তৈরির মহাকর্মযজ্ঞ। কেউ বাঁশ আনছেন, কেউ বুনছেন, কেউ করছেন রং, আর নারীরা তাতে ফুটিয়ে তুলছেন বাহারি রকমের ডিজাইন। তালপাখা, বাঁশের পাখা ও সুতার পাখা তৈরি করেন তারা।

হাতপাখা তৈরি করেই স্বাবলম্বী গ্রামটির অধিকাংশ পরিবার। বাড়ির কাজের পাশাপাশি হাতপাখা তৈরি করে থাকেন গ্রামের নারীরা। স্কুলের অবসরে শিশু-কিশোররাও কাজ করে। বাজারে নিয়ে বিক্রি করেন পুরুষরা। পাইকারি দরে একটি পাখা বিক্রি হয় ২৫ থেকে ৩০ টাকায়। গরমের দিনে অল্প দামের এই পাখাতেই গ্রামীণ মানুষের আস্থা।

তবে বাঁশ, সুতাসহ প্রয়োজনীয় উপকরণের দাম বেড়ে যাওয়ায় তেমন লাভের মুখ দেখছে না পাখা তৈরির কারিগরেরা।


মুদি দোকানি রেজাউল বলেন, একদিকে গরম অন্যদিকে ঘন ঘন লোডশেডিং জীবন অতিষ্ঠ। হাতপাখার দাম কিছুটা বেড়েছে। আগে ৩০ থেকে ৪০ টাকায় পাওয়া যেত। এখন ৮০ থেকে ১০০ টাকায় কিনতে হয়। তবে হাতপাখায় স্বস্তি পাওয়া যায়।

সফিকুল ইসলাম বলেন, গরম আর লোডশেডিং দুটোতেই মানুষ অতিষ্ঠ। লোডশেডিং এ চার্জার ফ্যানও কাজ করে না। সেজন্য হাতপাখাই এখন ভরসা। হাতপাখার বাতাস অনেক ঠান্ডা।

স্কুল শিক্ষার্থী নরেন চন্দ্র বলেন, আমরা পড়াশোনার পাশাপাশি পাখা তৈরির কাজ করি। গরমে স্কুল বন্ধ, খেলাধুলা করা যায় না। সেজন্য বসে বসে আমরা পাখা বানাই। যা আয় হয় তা দিয়ে আমাদের হাত খরচের টাকা হয়ে যায়।

হাতপাখা কারিগর লক্ষ্মী রাণী বলেন, আমরা সংসারের কাজের পাশাপাশি এই হাত পাখা তৈরি করি। এভাবে আমাদের কিছু আয়। এতে সংসারে উন্নতি হয়েছে। আমরা মহিলারা পাখা বানাই আর পুরুষেরা সেই পাখা বিক্রয় করে। আমরা এ গ্রামের সবাই এই পেশার সাথে জড়িত।

দিল মোহাম্মদ বলেন, আমরা বাপ-দাদার আমল থেকে হাতপাখা তৈরির কাজ করছি। গরম কম হোক আর বেশি হোক এটা আমাদের পেশা।

ব্যবসা আর টুকটাক কৃষির পাশাপাশি আমাদের গ্রামের সবাই এ পেশার সাথে জড়িত। সকলে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হয়েছেন। দেশের বিভিন্ন জায়গায় আমরা পাখাগুলো পাঠাই। তবে আমাদের স্বল্প সুদে ঋণের ব্যবস্থা করে দিলে এর পরিধি আরো বাড়ানো যাবে।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন বলেন, তাপপ্রবাহ বেশি হওয়ায় হাতপাখার চাহিদা বেড়েছে। এ শিল্পকে ধরে রাখতে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহযোগিতা করা হবে।

;

বনানীতে কারখানা বন্ধের প্রতিবাদে শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর বনানীতে নেপারেল গার্মেন্টস লিমিটেড নামের একটি কারখানা বন্ধের প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন পোশাক শ্রমিকরা। শনিবার (৪ মে) সকাল সাড়ে ৮টা থেকে এই বিক্ষোভ শুরু করেন তারা।

শ্রমিকদের সড়ক অবরোধের কারণে মহাখালী থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত প্রায় সব সড়কে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।
বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী সাহান হক বলেন, শ্রমিকরা নেপারেল গার্মেন্টস লিমিটেড নামের একটি কারখানা বন্ধের প্রতিবাদ করছেন। সকাল সাড়ে ৮টা থেকে সৈনিক ক্লাবের সামনের সড়ক অবরোধ করেন তারা। বোঝানোর পরেও তারা সড়ক থেকে সরে যাচ্ছেন না। পরিস্থিতি মোকাবিলায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়েছে।

;

রাজধানীতে মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেফতার ২৬



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
রাজধানীতে মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেফতার ২৬

রাজধানীতে মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেফতার ২৬

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযান চালিয়ে ২৬ জনকে আটক করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অপরাধ ও গোয়েন্দা বিভাগ। মাদক বিক্রি ও সেবনের অভিযোগে তাদের আটক করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।

শুক্রবার (৩মে) সকাল ছয়টা থেকে শনিবার (৪মে) সকাল ছয়টা পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে মাদকদ্রব্য উদ্ধারসহ তাদেরকে আটক করা হয়।

এ সময় তাদের কাছ থেকে ১৩০০ পিস ইয়াবা, ৬২ গ্রাম হেরোইন ও ২ কেজি ৯০০ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করা হয়েছে বলে জা‌নিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অপরাধ ও গোয়েন্দা বিভাগ।

ডিএমপির নিয়মিত মাদকবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে এ অ‌ভিযান প‌রিচালনা করা হয়েছে বলে জানানো হয়। সেই সঙ্গে আটককৃতদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ১৭টি মামলা রুজু হয়েছে বলেও জানানো হয়।

;

আরও দু’দিন তাপপ্রবাহ থাকতে পারে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চলমান তাপপ্রবাহ আরও দু’দিন অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

যদিও বৃহস্পতিবার (২ মে) রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় বৃষ্টি হয়েছে। তবে আজ দেশের কোথাও কোথাও ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কিছু জেলায় শিলাবৃষ্টিও হতে পারে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস বলছে, শনিবার (৪ মে) দেশের বেশির ভাগ এলাকায় তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। গতকালের মতোই দিনের তাপমাত্রা উষ্ণ থাকতে পারে। তবে রাতের তাপমাত্রা বৃদ্ধির আশঙ্কা আছে। এছাড়া দেশের কোথাও কোথাও ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কিছু জেলায় শিলাবৃষ্টিও হতে পারে। ঝড়ো হাওয়া ও বৃষ্টি হলে তাৎক্ষণিকভাবে সংশ্লিষ্ট এলাকায় তাপমাত্রা কমতে পারে। তবে তা বেশি সময় স্থায়ী হবে না।

আবহাওয়াবিদেরা বলছেন, আগামী দুই দিন অন্তত তাপপ্রবাহের মধ্য দিয়ে যাবে। বিশেষ করে চুয়াডাঙ্গা, যশোরসহ দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলীয় এলাকায় প্রচণ্ড গরমের কষ্ট আবারও ফিরে এসেছে। দিনের বেলায় তাপপ্রবাহ থাকছেই, রাতের বেলায় তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে।

শুক্রবার (৩ মে) দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল যশোরে ৪১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাজধানীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৮ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

;