জামালপুরে সন্তান হত্যার দায়ে পিতার মৃত্যুদণ্ড



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, জামালপুর
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জামালপুরে স্ত্রীর সাথে কথা কাটাকাটির জেরে শিশুপুত্রকে হত্যার দায়ে পিতাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন জেলা ও দায়রা জজ আদালত।

রোববার (২৯ নভেম্বর) দুপুরে বিচারক মো. জুলফিকার আলী খাঁন এই রায় ঘোষণা করেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নির্মল কান্তি ভদ্র জানান, ২০১১ সালের ২০ মে বকশীগঞ্জ উপজেলার টুপকারচর গ্রামে স্ত্রী রোজিনা বেগমের সাথে মোবাইল ফোন কেনা নিয়ে স্বামী মোস্তফার কথা কাটাকাটি হয়। তর্ক বিতর্কের এক পর্যায়ে স্ত্রীর প্রতি রাগান্বিত হয়ে মোস্তফা তার পাঁচ মাস বয়সী শিশুপুত্র আসিককে ঢেঁকির সাথে মাথায় আঘাত করলে কিছুক্ষণের মধ্যেই তার মৃত্যু হয়। পরে স্থানীয়রা মোস্তফাকে আটক করে পুলিশে খবর দিলে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলা হাজতে প্রেরণ করা হয়।

তদন্ত শেষে ১৪ জনের মধ্যে ৯ জনের সাক্ষ্যের ভিত্তিতে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. জুলফিকার আলী খাঁন মোস্তফাকে মৃত্যুদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডের আদেশ দেন। আসামি মোস্তফা জামিন নিয়ে বর্তমানে পলাতক রয়েছে।

   

চট্টগ্রামের পথে এমভি আবদুল্লাহ: 'জিম্মি হওয়ার পর শুধু এই দিনটার অপেক্ষা করতাম'



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম ব্যুরো
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাত থেকে মুক্তির প্রায় ২০ দিন পর ২৩ নাবিককে নিয়ে দেশের উদ্দেশে রওনা হলো এমভি আবদুল্লাহ। আরব আমিরাতের ফুজাইরা বন্দর থেকে জ্বালানি নিয়ে শুক্রবার (৩ মে) সকালে জাহাজটি চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা হয়েছে। আগামী ১৩ অথবা ১৪ মে জাহাজটি কুতুবদিয়ার গভীর সমুদ্রে পৌঁছাতে পারে।

জাহাজের মালিকপক্ষ কেএসআরএমের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম ও জাহাজের প্রধান কর্মকর্তা আতিক উল্লাহ খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

অনেক অপেক্ষা, নির্ঘুম রাত্রীর পর স্বজনদের কাছে ফেরার যাত্রা শুরু হতেই জাহাজের নাবিকেরা উত্তেজনা আর উচ্ছ্বাসে ভাসছেন। সেই আকুলতা ধরা পড়েছে জাহাজের প্রধান কর্মকর্তা মো. আতিক উল্লাহ খানের কথায়। জাহাজের চট্টগ্রাম-যাত্রা শুরু হতেই তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নাতিদীর্ঘ স্ট্যাটাস দিয়েছেন। সেখানে আতিক উল্লাহ খান লিখেছেন, 'হ্যালো কাছের মানুষজন, আল্লাহর রহমতে ,অবশেষে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছি এমভি আবদুল্লাহসহ আমরা ২৩ নাবিক। সব ঠিক থাকলে ইনশাআল্লাহ আগামী ১৩-১৪ই মে চট্টগ্রাম পৌঁছাবো। জিম্মি হওয়ার পর শুধু এই দিনটার জন্য অপেক্ষা করতাম, আর এই দিনের কথা ভেবেই মনকে শান্ত রাখার চেষ্টা করতাম। ইনশাআল্লাহ, আর কিছু দিন পরেই আসছে সেই কাঙ্ক্ষিত মূহুর্ত।'

দেশে ফেরার এই আবেগ কোনো শব্দ দিয়েই প্রকাশ করতে পারছেন না বলে জানান আতিক উল্লাহ খান। তিনি লেখেন, 'সত্যিই, আমি এই এক্সটাইটমেন্ট (উত্তেজনা) কখনো ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না। প্রিয় মুখগুলো আবার দেখব ,তাদের সঙ্গে আবার কথা বলব, সুখ-দূঃখের অনুভূতি ভাগাভাগি করব।'

শেষে সৃষ্টিকর্তার কাছে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে আতিক উল্লাহ খান লিখেছেন, 'আল্লাহর কাছে শুকরিয়া, তিনি আবার আমাকে সুযোগ দিয়েছেন।'

গত ১২ মার্চ ভারত মহাসাগর থেকে জাহাজটি ছিনতাই করেছিল দস্যুরা। ছিনতাইয়ের ৯ দিনের মাথায় দস্যুরা প্রথম মালিকপক্ষের কাছে মুক্তিপণের দাবি জানায়। এরপরই শুরু হয় দর-কষাকষি। দর-কষাকষি চূড়ান্ত হওয়ার পর ১৩ এপ্রিল সন্ধ্যার আগে মুক্তিপণের অর্থ দেওয়া হয়। এরপর ওইদিন রাত ৩টা ৮ মিনিটে এমভি আবদুল্লাহ এবং জাহাজে থাকা ২৩ নাবিক জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্তি পান। এরপর জাহাজটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের আল হামরিয়া বন্দরের উদ্দেশে রওনা হয়। ২২ এপ্রিল সেটি আল হামরিয়া বন্দরের জেটিতে ভেড়ে। পরে সেখানে পণ্য খালাস শেষে ২৭ এপ্রিল দেশটির মিনা সাকার বন্দরে যায় জাহাজটি। সেখান থেকে পাথর বোঝাই করার পর ৩০ এপ্রিল ফুজাইরা বন্দরে যায় জ্বালানি সংগ্রহ করতে। সবশেষ জ্বালানি নিয়ে আজ দেশের পথে রওনা হলো।

;

চট্টগ্রামে দুই দলের সংঘর্ষে কাউন্সিলর সহকারী আহত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালী থানার আলকরণ এলাকায় দুই কিশোর গ্যাং দলের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় আহত হয়েছেন স্থানীয় কাউন্সিলরের সহকারী। ভাঙচুর করা হয়েছে একাধিক দোকানপাট।

বৃহস্পতিবার (২ মে) রাত সাড়ে ৯টার দিকে আলকরণ দুই নম্বর গলিতে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ঘটনার পরপরই কোতোয়ালী ও সদরঘাট থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

জানা গেছে, আহত ওই ব্যক্তির নাম মো. সালাউদ্দিন। তিনি চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) ৩৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাসান মুরাদ বিপ্লবের সহকারী হিসেবে কাজ করেন। বর্তমানে তিনি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের ২৮ নম্বর নিউরোসার্জারি ওয়ার্ডে ভর্তি আছেন। 

সূত্র বলছে, মূলত জাহাজের স্ক্র‍্যাপ বিক্রি নিয়ে আলকরণ ওয়ার্ডের ৩ নম্বর গলির অভির সাথে ২ নম্বর গলির আকাশের দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছিলো দ্বন্দ্ব।  সবশেষ, বুধবার (১ মে) বিকেলে অভির সাথে আকাশের কথা-কাটাকাটি হয়৷ অভির বন্ধু ফিরিঙ্গিবাজারের চেয়ারম্যান ঘাট এলাকার কিশোর গ্যাং নেতা আসিফ। অভির পক্ষ হয়েই একইদিন আসিফ তার গ্যাং সদস্যদের নিয়ে তাণ্ডব চালিয়েছেন আলকরণে।

স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার (২ মে) রাত সাড়ে ৯টার দিকে আবারও আসিফ গ্যাং আলকরণ এলাকায় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তাণ্ডব চালায়। তারা আনসার গলির সামনের কয়েকটি দোকানেও ভাঙচুর চালায়৷ খবর পেয়ে ৩৩ নম্বর ফিরিঙ্গিবাজার ওয়ার্ড কাউন্সিলর এবং ৩১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবদুস সালাম মাসুম উপস্থিত হন ঘটনাস্থলে। তাদেরকে নিবৃত্ত করার চেষ্টা চালালে গ্যাং সদস্যরা হামলা চালায় কাউন্সিলর হাসান মুরাদের সহকারী সালাউদ্দিনের ওপর। এতে তিনি মাথায় গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হন।

চসিকের ৩১ নম্বর আলকরণ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আবদুস সালাম মাসুম বলেন, ‘আজ দুই-তিন ধরে এই ঘটনা নিয়ে আমরা খুব বিরক্ত। যতটুকু জেনেছি, আলকরণ ৩ নম্বর গলির একটি ছেলের সাথে ২ নম্বর গলির একটি ছেলের অনেকদিন ধরে রেশারেশি হচ্ছে। ঘটনার সূত্রপাত অভয়মিত্র ঘাট এবং চেয়ারম্যান ঘাটে জাহাজের মালামাল চুরি বা বেচাবিক্রি সংক্রান্ত ঘটনা। এগুলো নিয়ে আসিফ নামে একটা ছেলে তার গ্যাং নিয়ে ফিরিঙ্গিবাজার এলাকা থেকে আমার এলাকায় (আলকরণ) চলে আসছে। এই ঘটনার সাথে আমার এলাকারও আকাশ নামে একটি ছেলে জড়িত আছে।’

জানতে চাইলে ৩৩ নং ফিরিঙ্গিবাজার ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হাসান মুরাদ বিপ্লব বলেন, ‘গত পরশু থেকে ঘটনার সূত্রপাত ব্রিজঘাট এলাকায়। বুধবার (১ মে) বহিরাগত সন্ত্রাসীরা এসে কিরিচসহ ধারালো অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে দৌঁড়ঝাপ করছে। আজকেও একই ঘটনা। ঘটনা শুনে আমরা ছুটে আসছি আলকরণে। আমার সাথে সবসময় সালাউদ্দিন নামে একজন থাকে। তাকে মারধর করে গুরুতর আহত করেছে। মাথায় আঘাত পেয়ে সে এখন চমেক হাসপাতালে ভর্তি আছে।’

সদরঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ফেরদৌস জাহান বলেন, ‘ঘটনাটি মূলত কোতোয়ালী থানার অংশে ঘটেছে। যেহেতু রাস্তার একপাশ যেহেতু সদরঘাট থানার অধীনে তাই সেখানে ফোর্স পাঠানো হয়েছে। যাতে ওই ঘটনার কোনো প্রভাব আমার থানা এলাকায় না পড়ে।’ 

জানতে চাইলে কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস.এম. ওবায়েদুল হক বলেন, ‘ওখানে দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। আমরা আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে পর্যাপ্ত ব্যবস্থাও নিয়েছি সেখানে। আমরা কঠিন অ্যাকশনে যাচ্ছি।’

;

সিরাজগঞ্জে বয়লার বিস্ফোরণে শ্রমিক নিহত, আহত ২



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম,সিরাজগঞ্জ
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

সিরাজগঞ্জে চালকলে ধান সিদ্ধ করার সময় বয়লার বিস্ফোরণে ফজল আলী (২৬) নামে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (৩ মে) ভোর সাড়ে ৪টার দিকে জেলার কামারখন্দ উপজেলার জামতৈল পশ্চিম পাড়ার মেসার্স আজাহার চালকলে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত ফজল উপজেলার জামতৈল পশ্চিম পাড়ার রবিয়াল হোসেনের ছেলে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরও দুই শ্রমিক।

আহত শ্রমিকরা হলেন, উপজেলার জামতৈল পশ্চিম পাড়ার মৃত পলান শেখের ছেলে জহুরুল শেখ (২৬) এবং কর্ণসূতি পশ্চিম পাড়ার মৃত সুরুত মন্ডলের ছেলে জিন্নাহ মন্ডল (৩০)।

আহত শ্রমিক জহুরুল শেখ জানান, ধান সিদ্ধ করার এক পর্যায়ে ভোর সাড়ে ৪টার দিকে বিকট শব্দে বয়লার বিস্ফোরণ হয়। এতে আমিসহ ফজল ও জিন্নাহ আহত হই। আমি আর জিন্নাহ হাসপাতালে চিকিৎসা নেই। পরে বাড়িতে চলে এসেছি। আর ফজলের অবস্থা খুবই খারাপ হওয়ায় তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়।

জহুরুল আরও জানান, আমি গত এক বছরের বেশি সময় ধরে এই চালকলে কাজ করছি। এর মধ্যে বয়লারের পাইপ পরিবর্তন করা হলেও বয়লার পরিবর্তন করা হয়নি।

নিহত ফজলের ভাই আসলাম হোসেন জানান, মেসার্স আজাহার চালকলে ধান সিদ্ধ করার এক পর্যায়ে বয়লার বিস্ফোরণে ফজল গুরুতর আহত হয়। প্রথমে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানকার চিকিৎসক তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর সেখানকার চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ বিষয়ে মেসার্স আজাহার চালকলের স্বত্বাধিকারী আজাহার আলী রাজা বলেন, গত ছয় মাস আগে বয়লার ও কয়েক দিন আগে বয়লারের পাইপ পরিবর্তন করা হয়েছে। বয়লার কেন বিস্ফোরণ হলো বুঝতে পারছি না।

কামারখন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. সুমনুল হক জানান, বয়লার বিস্ফোরণে আহত তিনজন শ্রমিককে হাসপাতালে আনা হয়েছিল। দুইজনকে সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়ে। এদের মধ্যে ফজল নামে একজন শ্রমিকের মুখের অনেকাংশ থেতলে গেছে। তার অবস্থা খুবই গুরুতর।

কামারখন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহীন সুলতানা জানান, মেসার্স আজাহার চালকলে বয়লার বিস্ফোরণের খবর পেয়েছি। ঘটনাস্থলে যাচ্ছি, এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে।

;

জামিনে মুক্তি পেলেন মামুনুল হক



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গাজীপুর
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন হেফাজতে ইসলামের সাবেক কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক।তার বিরুদ্ধে প্রায় ৪২টি মামলা ছিল। সর্বশেষ গত রোববার খুলনা ও চট্টগ্রামের দুই মামলা তিনি জামিন পান।

শুক্রবার (৩ মে) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন তিনি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা। এ সময় জেলগেটে ছিলেন, অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান চৌধুরি, বড় ভাই মুফতি মাহফুজুল হক, ছেলে যিমামুল হক, ভাগিনা এহসানুল হক।

এর আগে গত ১১ মার্চ মামুনুল হকের মুক্তির বিষয়ে আলোচনা করতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে বৈঠক করেন হেফাজত নেতারা। ধর্মমন্ত্রী ফরিদুল হক খানসহ সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা বৈঠকে অংশ নেন। বৈঠক শেষে গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সংগঠনটির মহাসচিব মাওলানা সাজিদুর রহমান দাবি করেন, মামুনুল হকের মুক্তির বিষয়ে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

বৃহস্পতিবার (২ মে) বিকেলে তার জামিনের কাগজ কারাগারে এসে পৌঁছায়। তবে তার বিরুদ্ধে কয়েকটি মামলা থাকায় তা যাচাই-বাছাই করতে অনেক সময় লাগে। যার কারণে গতকাল তাকে মুক্তি দেওয়া সম্ভব হয়নি। পরবর্তীতে তার সব কাগজপত্র যাচাই-বাছাই শেষে শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তার বড় ভাই এর জিম্মায় তাকে মুক্তি দেয়া হয়।

এর আগে তার মুক্তির খবরে রাতভর গাজীপুরের কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাফটকে অপেক্ষা করেছেন হেফাজত ইসলামের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা।

প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের রয়েল রিসোর্টে এক নারীর সঙ্গে হেফাজত নেতা মাওলানা মামুনুল হককে অবরুদ্ধ করেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। খবর পেয়ে হেফাজতের স্থানীয় নেতাকর্মীরা রিসোর্টে গিয়ে ভাঙচুর চালিয়ে তাকে ছিনিয়ে নিয়ে যান। ঘটনার পর থেকে ঢাকার মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসায় অবস্থান করেন মামুনুল হক।

এর পরপরই ওই মাদ্রাসা থেকে মাওলানা মামুনুল হককে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে ৩০ এপ্রিল সোনারগাঁ থানায় তার বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের মামলা করেন তার সঙ্গে রিসোর্টে অবরুদ্ধ হওয়া নারী। এরপর ওই মাসেই দেশের বিভিন্ন স্থানে তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহসহ অর্ধশতাধিক মামলা হয়। পরে সেসব মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখান পুলিশ। গ্রেফতারের পর থেকে এসব মামলায় তিনি কারাভোগ করছেন।

;