স্ট্যাম্প-ব্যান্ডরোলের অবৈধ ব্যবহার, সরকারের ক্ষতি ৮শ কোটি টাকা

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

তামাক কর আদায়ে স্ট্যাম্প ও ব্যান্ডরোল ব্যবহারের বর্তমান দুর্বল পদ্ধতি। নানা সীমাবদ্ধতা ও অবৈধভাবে ব্যবহারের কারণে সরকার প্রতিবছর প্রায় ৮০০ কোটি টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে। যা তামাক খাত থেকে আয়কৃত রাজস্বের প্রায় ৪ শতাংশের সমান।

তামাক কোম্পানিগুলো একই ব্যান্ডরোল ও স্ট্যাম্প দ্বিতীয়বার ব্যবহার করে কর ফাঁকি দিচ্ছে। তাই এ পদ্ধতিতে তামাক কোম্পানি যাতে আর কর ফাঁকি দিতে না পারে সেজন্য স্ট্যাম্প ও ব্যান্ডরোল ট্র্যাকিং এবং ট্রেসিংয়ের জন্য ডিজিটাল কর আদায় পদ্ধতি গড়ে তুলতে হবে।

বিজ্ঞাপন

রোববার (২৯ নভেম্বর) বিকেলে বাংলাদেশ নেটওয়ার্ক ফর টোব্যাকো ট্যাক্স পলিসি (বিএনটিটিপি) ও ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির টোব্যাকো কন্ট্রোল অ্যান্ড রিসার্চ সেল কর্তৃক আয়োজিত ‘তামাক কর আদায়ে স্ট্যাম্প ও ব্যান্ডরোল ব্যবহারের বর্তমান পদ্ধতির সীমাবদ্ধতা ও সময়োপযোগী প্রস্তাব’ শীর্ষক একটি ওয়েবিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন।

বক্তারা আরো বলেন, রাজস্ব ফাঁকি বন্ধে এনবিআরকে এমনভাবে প্যাকেটে স্ট্যাম্প ও ব্যান্ডরোল বসাতে হবে যাতে কোম্পানি সেগুলো দ্বিতীয়বার ব্যবহার করতে না পারে। একইসঙ্গে মনিটরিং ও ট্রেসিংয়ের মাধ্যমে রাজস্ব বোর্ড যাতে এগুলো ভালোভাবে নজরদারি করতে পারে সেজন্য তাদের আরো আধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করতে হবে। ইতিমধ্যে কেনিয়া, আরব আমিরাত ও জর্জিয়া ডিজিটাল কর ব্যবস্থা চালু করে অনেক লাভবান হয়েছে। ফলে নিজের জন্য নয়, বরং দেশের উন্নয়নের স্বার্থে এনবিআরকে অখ্যাত যতো তামাক কোম্পানি আছে তাদের তথ্য সংগ্রহ করে করের আওতায় নিয়ে আসতে হবে।

বিজ্ঞাপন

বক্তারা আরো বলেন, স্ট্যাম্প ও ব্যান্ডরোলের মাধ্যমে কেবল বিড়ি ও সিগারেট কোম্পানি কর ফাঁকি দেয় না। সবধরনের সাদাপাতা, জর্দা ও গুল কোম্পানিও একই উপায়ে কর ফাঁকি দেয়। সুতরাং তাদেরকেও একইভাবে করের আওতায় নিয়ে আসতে হবে।

ওয়েবিনারে তামাক বিরোধী বিভিন্ন সংগঠনের প্রায় ৫০ জন নেতাকর্মী অংশ নেন। এ সময় তারা তামাক কর আদায়ে স্ট্যাম্প ও ব্যান্ডরোল ব্যবহারের বর্তমান পদ্ধতির সীমাবদ্ধতা এবং এ থেকে উত্তরণের উপায় নিয়ে উন্মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন।

ওয়েবিনারে বিএনটিটিপি’র টেকনিক্যাল কমিটির আহ্বায়ক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. রুমানা হকের সভাপতিত্বে মূল বিষয়বস্তু উপস্থাপন করেন বিএনটিটিপি’র গবেষণা সহকারী আদিবা কারিন।

উপস্থাপিত বিষয়ের ওপর আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আন্তর্জাতিক সংস্থা দি ইউনিয়নের কারিগরি পরামর্শক অ্যাডভোকেট সৈয়দ মাহবুবুল আলম, প্রত্যাশা মাদক বিরোধী সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক হেলাল আহমেদ, এইড ফাউন্ডেশনের প্রকল্প পরিচালক সাগুফতা সুলতানা, ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির টোব্যাকো কন্ট্রোল অ্যান্ড রিসার্চ সেলের সদস্য সচিব সহযোগী অধ্যাপক মো. বজলুর রহমান এবং বাংলাদেশ সেন্টার ফর কমিউনিকেশন প্রোগ্রামসের টোব্যাকো কন্ট্রোল প্রোগ্রামের টিম লিডার মোহাম্মদ শামিম। ওয়েবিনারটি সঞ্চালন করেন বিএনটিটিপি’র প্রকল্প ব্যবস্থাপক হামিদুল ইসলাম হিল্লোল।