স্ট্যাম্প-ব্যান্ডরোলের অবৈধ ব্যবহার, সরকারের ক্ষতি ৮শ কোটি টাকা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

তামাক কর আদায়ে স্ট্যাম্প ও ব্যান্ডরোল ব্যবহারের বর্তমান দুর্বল পদ্ধতি। নানা সীমাবদ্ধতা ও অবৈধভাবে ব্যবহারের কারণে সরকার প্রতিবছর প্রায় ৮০০ কোটি টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে। যা তামাক খাত থেকে আয়কৃত রাজস্বের প্রায় ৪ শতাংশের সমান।

তামাক কোম্পানিগুলো একই ব্যান্ডরোল ও স্ট্যাম্প দ্বিতীয়বার ব্যবহার করে কর ফাঁকি দিচ্ছে। তাই এ পদ্ধতিতে তামাক কোম্পানি যাতে আর কর ফাঁকি দিতে না পারে সেজন্য স্ট্যাম্প ও ব্যান্ডরোল ট্র্যাকিং এবং ট্রেসিংয়ের জন্য ডিজিটাল কর আদায় পদ্ধতি গড়ে তুলতে হবে।

রোববার (২৯ নভেম্বর) বিকেলে বাংলাদেশ নেটওয়ার্ক ফর টোব্যাকো ট্যাক্স পলিসি (বিএনটিটিপি) ও ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির টোব্যাকো কন্ট্রোল অ্যান্ড রিসার্চ সেল কর্তৃক আয়োজিত ‘তামাক কর আদায়ে স্ট্যাম্প ও ব্যান্ডরোল ব্যবহারের বর্তমান পদ্ধতির সীমাবদ্ধতা ও সময়োপযোগী প্রস্তাব’ শীর্ষক একটি ওয়েবিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন।

বক্তারা আরো বলেন, রাজস্ব ফাঁকি বন্ধে এনবিআরকে এমনভাবে প্যাকেটে স্ট্যাম্প ও ব্যান্ডরোল বসাতে হবে যাতে কোম্পানি সেগুলো দ্বিতীয়বার ব্যবহার করতে না পারে। একইসঙ্গে মনিটরিং ও ট্রেসিংয়ের মাধ্যমে রাজস্ব বোর্ড যাতে এগুলো ভালোভাবে নজরদারি করতে পারে সেজন্য তাদের আরো আধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করতে হবে। ইতিমধ্যে কেনিয়া, আরব আমিরাত ও জর্জিয়া ডিজিটাল কর ব্যবস্থা চালু করে অনেক লাভবান হয়েছে। ফলে নিজের জন্য নয়, বরং দেশের উন্নয়নের স্বার্থে এনবিআরকে অখ্যাত যতো তামাক কোম্পানি আছে তাদের তথ্য সংগ্রহ করে করের আওতায় নিয়ে আসতে হবে।

বক্তারা আরো বলেন, স্ট্যাম্প ও ব্যান্ডরোলের মাধ্যমে কেবল বিড়ি ও সিগারেট কোম্পানি কর ফাঁকি দেয় না। সবধরনের সাদাপাতা, জর্দা ও গুল কোম্পানিও একই উপায়ে কর ফাঁকি দেয়। সুতরাং তাদেরকেও একইভাবে করের আওতায় নিয়ে আসতে হবে।

ওয়েবিনারে তামাক বিরোধী বিভিন্ন সংগঠনের প্রায় ৫০ জন নেতাকর্মী অংশ নেন। এ সময় তারা তামাক কর আদায়ে স্ট্যাম্প ও ব্যান্ডরোল ব্যবহারের বর্তমান পদ্ধতির সীমাবদ্ধতা এবং এ থেকে উত্তরণের উপায় নিয়ে উন্মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন।

ওয়েবিনারে বিএনটিটিপি’র টেকনিক্যাল কমিটির আহ্বায়ক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. রুমানা হকের সভাপতিত্বে মূল বিষয়বস্তু উপস্থাপন করেন বিএনটিটিপি’র গবেষণা সহকারী আদিবা কারিন।

উপস্থাপিত বিষয়ের ওপর আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আন্তর্জাতিক সংস্থা দি ইউনিয়নের কারিগরি পরামর্শক অ্যাডভোকেট সৈয়দ মাহবুবুল আলম, প্রত্যাশা মাদক বিরোধী সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক হেলাল আহমেদ, এইড ফাউন্ডেশনের প্রকল্প পরিচালক সাগুফতা সুলতানা, ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির টোব্যাকো কন্ট্রোল অ্যান্ড রিসার্চ সেলের সদস্য সচিব সহযোগী অধ্যাপক মো. বজলুর রহমান এবং বাংলাদেশ সেন্টার ফর কমিউনিকেশন প্রোগ্রামসের টোব্যাকো কন্ট্রোল প্রোগ্রামের টিম লিডার মোহাম্মদ শামিম। ওয়েবিনারটি সঞ্চালন করেন বিএনটিটিপি’র প্রকল্প ব্যবস্থাপক হামিদুল ইসলাম হিল্লোল।

   

দুপুরের মধ্যে ৮০ কিমি. বেগে বৃষ্টির আভাস



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ওপর দিয়ে তীব্র বেগে ঝড় বয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছে আবহাওয়া অফিস। সেই সঙ্গে বজ্রসহ বৃষ্টিও হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

সোমবার (৬ মে) সকালে দেশের নদীবন্দরগুলোর জন্য দেওয়া আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ময়মনসিংহ এবং সিলেট অঞ্চলসমূহের ওপর দিয়ে পশ্চিম/উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০-৮০ কি.মি. বেগে বৃষ্টি/বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ২ নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এছাড়া রংপুর এবং কক্সবাজার অঞ্চলসমূহের ওপর দিয়ে পশ্চিম/উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কি.মি. বেগে বৃষ্টি/বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এদিকে, আবহাওয়া অফিসের অপর এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায়, ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও শিলাবৃষ্টিও হতে পারে। আগামী ৬ এবং ৭ মে এই বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে।

;

কৌশলে অপহরণকারীদের হাত থেকে বেঁচে ফিরল ১২ বছরের সাজিদ



স্পেশাল ককরেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম ব্যুরো
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

অপহরণের ১৩ ঘণ্টা পর উদ্ধার হয়েছে স্কুলছাত্র মো.সাজিদুল ইসলাম সাজিদ (১২)। রোববার (৫ মে) দুপুরে স্কুল শেষে বাড়ি ফেরার পথে চট্টগ্রামের রাউজানের পাহাড়তলী চৌমুহনী থেকে তাকে অপহরণ করে সংঘবদ্ধ একটি চত্রু। ঘটনাস্থল থেকে ১৩ কিলোমিটার দূরে রাউজান মুন্সির ঘাটা এলাকা থেকে একইদিন রাত ২টায় তাকে উদ্ধার করা হয়েছে। সাজিদ রাউজানের চুয়েট স্কুল অ্যান্ড কলেজের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র।

উদ্ধারের পর পুরো ঘটনা পরিবারের সদস্যদের খুলে বলেছে সাজিদ। সে জানায়, স্কুল থেকে বাসায় ফেরার পথে একজন নারী তাকে একটি কাগজ দিয়ে সেখানে লেখা ঠিকানাটি কোথায় জানতে চায়। কাগজের লেখাটি ছিল খুবই ছোট অক্ষরে। সাজিদ লেখাটি ভালোভাবে দেখতে কাগজটি চোখের কাছাকাছি নিয়ে আসলে তাৎক্ষণিকভাবে সে অজ্ঞান হয়ে পড়ে। পরে তার জ্ঞান ফিরলে নিজেকে একটি বেড়ার ঘরে দেখতে পায়। সেখানে তিন যুবক তাকে মায়ের মোবাইল নম্বর দিতে বলে। তবে সাজিদ মোবাইল নম্বর জানে না বললে যুবকেরা তাকে মারধর করে।

এদিকে সাজিদ নিখোঁজ হওয়ার পর পরিবারের সদস্যরাসহ এলাকাবাসী ব্যাপক খোঁজাখুজি শুরু করলে অপহরণকারীরা তাকে সেখান থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশা করে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় অটোরিকশাটি মুন্সির ঘাটা এলাকায় পৌঁছলে সাজিদ কৌশলে লাফ দেয়। এরপর ওখানে একটি দোকানে গিয়ে তার মায়ের মোবাইলে ফোন দেয়। পরিবারের লোকজন গিয়ে তাকে রাত দুইটায় বাড়িতে নিয়ে আসে।

সাজিদ চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ আলীর ভাগ্নে। সাংবাদিক মোহাম্মদ আলী সাজিদের অপহরণ ও খুঁজে পাওয়ার বিষয়টি বার্তা২৪.কমকে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, 'অবশেষে আমাদের উৎকণ্ঠা কমল। ভাগ্নেকে উদ্ধার তৎপরতায় অংশ নিয়েছেন এলাকার অসংখ্য মানুষ। হাজারো মানুষ ফেসবুকে বিষয়টি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিয়েছেন। এসব কারণে অপহরণকারীরা চাপে পড়ে। পরে অন্য জায়গায় সরিয়ে নেওয়ার সময় ভাগ্নে কৌশলে লাফ দেয়। ভাগ্নে নিঁখোজ হওয়ার পর প্রতিনিয়ত খবরাখবর নিয়েছেন অসংখ্য মানবিক মানুষ। সহযোগিতা দিয়েছেন জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক ও বিভিন্ন শ্রেণির মানুষ। তাদের কাছে আজীবন ঋণী হয়ে গেলাম।'

;

দেশি পেঁয়াজের মূল্য বৃদ্ধির পাঁয়তারা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম ঢাকা
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার পরও এক শ্রেণির অসাধু চক্র পণ্যটি নিয়ে কারসাজি করেছে। আমদানির পর সরবরাহ বাড়লে সব ধরনের পেঁয়াজের দাম কমার কথা।

কিন্তু, দেশির দাম কেজিপ্রতি ১০০ টাকা বিক্রির টার্গেট করা হচ্ছে। যা বর্তমানে কেজিপ্রতি ৬০-৭০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। মাসখানেক আগে বিক্রি হয়েছে ৪৫-৫০ টাকা।

বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, পেঁয়াজের দাম যাতে অযৌক্তিকভাবে বাড়াতে না পারে সেজন্য কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। তা না হয় পণ্যটি কিনে প্রতারিত হবেন ভোক্তা।

এদিকে আমদানিকারকরা বলছেন, ভারত থেকে প্রতি টন পেঁয়াজের রপ্তানি মূল্য ৫৫০ ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে। যে কারণে দেশি টাকায় প্রতি কেজির দাম ৭০ টাকা পড়তে পারে। পাইকারিতে ৭৫-৮০ টাকা ও খুচরায় মূল্য কিছুটা বেড়ে ৮৫-৯০ টাকায় বিক্রি হবে। তাই ভারতের পক্ষ থেকে রপ্তানি মূল্য আরও কমানো দরকার ছিল। কারণ ভারতে এবার অনেক পেঁয়াজ আবাদ হয়েছে।

রবিবার (৫ মে) রাজধানীর কাওরান বাজার, নয়াবাজার, শান্তিনগর কাঁচা বাজারসহ একাধিক খুচরা বাজার ঘুরে বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এদিন প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০-৭০ টাকা। যা ভারত পেঁয়াজ রপ্তানির খবরের আগে আগে (দুদিন আগে) ৬৫-৭৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

আর এক সপ্তাহ আগে বিক্রি হয়েছে ৫৮-৬০ টাকা। যা এক মাস আগে বিক্রি হয়েছে ৪৫-৫০ টাকায়।

নয়াবাজারের পেঁয়াজ বিক্রেতা মো. ইসমাইল বলেন, পাইকারি বাজারে বড় বড় ব্যবসায়ীরা পেঁয়াজের দাম নিয়ে ফের কারসাজি করছে। ভারত থেকে রপ্তানির খবরে দাম কেজিপ্রতি পাঁচ টাকা কমায় খুচরা পর্যায়ে ৫ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে। কিন্তু, তারা যখন হিসাব করে দেখেছে প্রতি কেজি ভারতের পেঁয়াজ আমদানি খরচ ৭০ টাকা।

আর পাইকারি বাজার হয়ে খুচরা বাজারে আসতে সেই পেঁয়াজের দাম প্রায় ৯০ টাকার মতো হয়, ঠিক তখন থেকে দেশি পেঁয়াজের মূল্য বৃদ্ধি করতে উঠে পড়ে লেগেছে। তারা এখন থেকেই বলছে দেশি পেঁয়াজের দাম বেড়ে যাবে। তাই মোকাম থেকে এখন থেকেই বেশি করে কিনতে বলছে।

তারা এটাও বলছে, পরে দেশি জাতের দাম পাইকারি পর্যায়ে দাম ৮০-৮৫ টাকার উপরে হয়ে যাবে। যা রোববারও ৫৫-৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

তিনি জানান, ভারতের পেঁয়াজ আমদানি করতে যদি বেশি টাকা লাগে, তবে সেই পেঁয়াজ পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে বেশি দামে বিক্রি হবে। এটাই হওয়ার কথা। কিন্তু, বর্তমানে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ পাইকারিতে ৫৫-৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সেই পেঁয়াজ কী করে পাইকারি বাজারে ৮০-৮৫ টাকা বিক্রি করবে? একই পেঁয়াজের দাম কী করে কেজিপ্রতি ৩০ টাকা বেশি হয়ে যাবে? সব তাদের কারসাজি। আমদানি পেঁয়াজের সঙ্গে মার্কেট প্রাইজ ধরে রেখতে তারা দেশি পেঁয়াজের দাম বাড়িয়ে বাড়তি মুনাফা করতে ছক তৈরি করেছে। পাইকরি পর্যায়ে ৮০-৮৫ টাকায় পেঁয়াজ বিক্রি হলে খুচরা পর্যায়ে দেশি পেঁয়াজের দাম ১০০ টাকার উপরে বিক্রি হবে। মনে হচ্ছে এটাই তারা টার্গেট করেছে। যা অযৌক্তিক। প্রশাসনের নজর দিতে হবে।

রাজধানীর কাওরান বাজারের পাইকারি পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা জানান, ভারত থেকে এতদিন বৈধ পথে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ ছিল। তাই দেশি পেঁয়াজ দিয়ে সরবরাহ ঠিক রাখতে হয়েছে। তবে ভারতের পেঁয়াজের দাম বেশি।

প্রতি টন ৫৫০ ডলার রপ্তানি মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। ফলে সেই পেঁয়াজ দেশের পাইকারি বাজারে ৭৫-৮০ ও খুচরা পর্যায়ে ৮০-৯০ টাকা বিক্রি হওয়ার কথা। তাই মনে হচ্ছে ভারতের পেঁয়াজের সঙ্গে দেশি পেঁয়াজের দামও বাড়বে।

কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, যে পণ্যের যে দাম সেভাবেই বিক্রি হওয়ার কথা। তবে দেশে ভিন্ন চিত্র। কোনো পণ্যের আমদানি মূল্য বেশি থাকলে সঙ্গে সঙ্গে দেশে বাড়তি মুনাফা করতে উৎপাদিত পণ্যের দামও বাড়িয়ে বিক্রি করা হয়। পেঁয়াজের ক্ষেত্রে যেন এমনটা না হয় সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে। মনিটরিং জোরদারের পাশাপাশি কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে।

এদিকে শনিবার (৪ মে) কুমিল্লা নগরীর রাজগঞ্জ বাজারে পরিদর্শন শেষে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এএইচএম সফিকুজ্জামান বলেন, আগামী ঈদুল আজহার আগেই পেঁয়াজের দাম কেজিপ্রতি ৫০ টাকার মধ্যে চলে আসতে পারে। ভারত পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা তুলে দেওয়ায় এ সম্ভাবনার সৃষ্টি হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, লোকবল বৃদ্ধি ও আইনের সংস্কার হলে ভোক্তা অধিদপ্তর জনগণের উপকারে আরও নিবিড়ভাবে কাজ করতে পারবে।

প্রসঙ্গত, গত ৮ ডিসেম্বর থেকে ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে। সেই সময়ের ঘোষণা অনুযায়ী ৩১ মার্চ পর্যন্ত রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা ছিল। তবে মেয়াদ শেষের আগেই গত ২৩ মার্চ পেঁয়াজ রপ্তানি অনির্দিষ্টকাল বন্ধের ঘোষণা দেয় ভারত। তখন দেশে খুচরা বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম ১০০ ছাড়িয়ে বিক্রি হয়।

তবে এই নিষেধাজ্ঞার মধ্যেও ভারত গত ফেব্র“য়ারিতে বাংলাদেশ, শ্রীলংকা ও সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ কয়েক দেশে সীমিত পরিসরে পেঁয়াজ বিক্রির অনুমোদন দেয়। এছাড়া দেশীয় উৎপাদিত পেঁয়াজ বাজারে আসতে শুরু করলে দাম কেজিপ্রতি ৪০-৫০ টাকায় নেমে যায়। পরে সরবরাহে ঘাটতির অজুহাতে ফের খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম বাড়তে থাকে।

;

সুন্দরবনের আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে : পরিবেশ মন্ত্রণালয়



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম ঢাকা
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের আমোরবুনিয়ায় আগুন এখন নিয়ন্ত্রণে আছে। আগুন গাছের ওপরে বা ডালপালায় বিস্তৃত হয়নি, শুধু মাটির ওপরে বিক্ষিপ্তভাবে বিস্তৃত হয়েছে।

ঘটনাস্থলে বন বিভাগের পাশাপাশি ফায়ার সার্ভিসের কয়েকটি ইউনিট, নৌবাহিনী, পুলিশ, জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি, সিপিজি, স্বেচ্ছাসেবক ও স্থানীয় জনগণ অগ্নিনির্বাপণে কাজ করছেন।

এ ছাড়া বিমানবাহিনীর একটি হেলিকপ্টারও অগ্নিনির্বাপণে ওপর থেকে পানি ছিটিয়ে সহায়তা করেছে।

সুন্দরবনের আগুনের বিষয়ে রবিবার (৫ মে) পাঠানো এক বিবৃতিতে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এসব কথা জানিয়েছে।

বন বিভাগের কর্মীরা স্থানীয় কমিউনিটি প্যাট্রোলিং গ্রুপ, ভিলেজ টাইগার রেসপনস টিম এবং স্থানীয় জনগণের সহায়তায় আগুন লাগার চারপাশে ‘ফায়ার লাইন’ (আগুন নির্দিষ্ট এলাকায় সীমাবদ্ধ রাখতে চারদিকে নির্দিষ্ট গভীরতায় ভূমি খনন) কাটার কাজ শুরু করেন।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, আগুন লাগার স্থানের চারদিকে প্রায় পাঁচ একর জায়গাজুড়ে ফায়ার লাইন কেটে আগুন নেভানোর কাজ চলছে। তবে যেহেতু গাছের শিকড়ের মধ্য দিয়ে বিস্তৃতি লাভ করছে, কাজেই সতর্কতার সঙ্গে আগুন নেভাতে হচ্ছে।

আগুন নিয়ন্ত্রণে থাকলেও আগামী কয়েক দিন এখানে অগ্নিনির্বাপণ-সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম চলমান রাখা হবে। কেননা, আগুন আপাতত নিভে গেছে বা নিয়ন্ত্রিত হয়েছে মনে হলেও আবার যেকোনো সময় এটি নতুনভাবে সৃষ্টি ও বিস্তৃতি লাভ করতে পারে।

আগুন লাগার সুনির্দিষ্ট কারণ নির্ণয়ে তদন্তের জন্য বন বিভাগের পক্ষ থেকে তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী এবং মন্ত্রণালয়ের সচিব ফারহিনা আহমেদ সুন্দরবনের অগ্নিনির্বাপণ কর্মকাণ্ড সার্বক্ষণিকভাবে তদারকি ও সমন্বয় করছেন। প্রধানমন্ত্রী বিষয়টি অবহিত আছেন এবং তিনি নিয়মিত খোঁজখবর রাখছেন।

;