বিশ্বের ১৩০ কোটি স্কুলশিক্ষার্থীর বাড়িতে নেই ইন্টারনেট



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিশ্বের শুধু স্কুলবয়সী দুই-তৃতীয়াংশ শিক্ষার্থীর বাড়িতে ইন্টারনেট নেই বলে জানানো হয়েছে জাতিসংঘের শিশু তহবিল ইউনিসেফ এবং আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ইউনিয়নের (আইটিইউ) নতুন এক প্রতিবেদনে।

মঙ্গলবার (১ ডিসেম্বর) ইউনিসেফের ওয়েবসাইটে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে প্রতিবেদনটি প্রকাশের তথ্য জানানো হয়েছে।

‘কতসংখ্যক শিশু ও তরুণের ঘরে ইন্টারনেট সুবিধা আছে?’ শীর্ষক ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বব্যাপী স্কুলবয়সী ৩ থেকে ১৭ বছর বয়সী ১৩০ কোটি শিশুর বাড়িতে ইন্টারনেট সংযোগ নেই। একই অবস্থা ১৫-২৪ বছর বয়সী তরুণদেরও। তরুণ জনগোষ্ঠীর ৬৩ শতাংশের (৭৫ কোটি ৯০ লাখ) ঘরে ইন্টারনেট সংযোগ নেই।

৮৫টির বেশি দেশের তথ্য নিয়ে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে।

ইউনিসেফ-আইটিইউয়ের নতুন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দরিদ্র পরিবার, গ্রামাঞ্চল ও স্বল্প আয়ের পরিবারের শিশু ও তরুণ জনগোষ্ঠী সমবয়সী বা সহপাঠীদের চেয়ে আরও পিছিয়ে পড়ছে। সহপাঠীদের সঙ্গে আবার একই কাতারে পৌঁছানোর সুযোগও তাদের খুব কম।

নিম্ন আয়ের দেশগুলোতে স্কুলবয়সী প্রতি ২০ জন শিশুর মধ্যে ১ জনের কম শিশুর বাড়িতে ইন্টারনেট সংযোগ রয়েছে। উচ্চ আয়ের দেশগুলোতে প্রতি ১০ জন শিশুর ৯ জনের বাড়িতেই ইন্টারনেট সংযোগ রয়েছে।

টেলিভিশনে শিক্ষা বিষয়ক একটি চ্যানেল দেখে পড়াশোনা করছে ১২ বছরের এলিজাবেথ। কিবেরা, কেনিয়া টেলিভিশনে শিক্ষা বিষয়ক একটি চ্যানেল দেখে পড়াশোনা করছে ১২ বছরের এলিজাবেথ। কিবেরা, কেনিয়া ছবি: ইউনিসেফ

ইন্টারনেট ব্যবহারে দেশ ও অঞ্চলজুড়ে ভৌগোলিক বৈষম্যও রয়েছে। বাড়িতে ইন্টারনেট না থাকা ৩ থেকে ১৭ বছরের স্কুলবয়সী শিশুর সংখ্যা দক্ষিণ এশিয়ায় ৮৮ শতাংশ (৪৪ কোটি ৯০ লাখ), পূর্ব এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ৩২ শতাংশ (১৮ কোটি ৩০ লাখ), পশ্চিম ও মধ্য আফ্রিকায় ৯৫ শতাংশ (১৯ কোটি ৪০ লাখ), পূর্ব ও দক্ষিণাঞ্চলীয় আফ্রিকায় ৮৮ শতাংশ (১৯ কোটি ১০ লাখ), মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকায় ৭৫ শতাংশ (৮ কোটি ৯০ লাখ), লাতিন আমেরিকা ও ক্যারিবীয় অঞ্চলে ৪৯ শতাংশ (৭ কোটি ৪০ লাখ) এবং পূর্ব ইউরোপ ও মধ্য এশিয়ায় ৪২ শতাংশ (৩ কোটি ৬০ লাখ)। সাব-সাহারা আফ্রিকা ও দক্ষিণ এশিয়ার স্কুলবয়সী শিশুরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত। সেখানে প্রতি ১০ জন শিশুর মধ্যে প্রায় ৯ জনই ইন্টারনেট সুবিধার বাইরে।

ইউনিসেফ-আইটিইউয়ের প্রতিবেদনে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলা হয়েছে, ক্রয়ক্ষমতার বৈষম্য, সন্তানদের অনলাইনে নিরাপদ রাখতে মা–বাবার যথাযথ প্রস্তুতি না থাকা ও মেয়েদের ক্ষেত্রে ইন্টারনেট ব্যবহারের অনুমতি না থাকা এবং নিম্নপর্যায়ের ডিজিটাল দক্ষতার কারণে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে।

এদিকে ২০১৯ সালে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) ও ইউনিসেফ পরিচালিত মাল্টি ইন্ডিকেটর ক্লাস্টার সার্ভের তথ্য সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তুলে ধরে জানানো হয়, বাংলাদেশের ৬২ শতাংশ পরিবারের বাড়িতে ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ নেই।

বাংলাদেশে সবচেয়ে দরিদ্র ২০ শতাংশ পরিবারের মাত্র ৮ দশমিক ৭ শতাংশের বাড়িতে ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে। সবচেয়ে ধনী ২০ শতাংশ পরিবারের ক্ষেত্রে এ হার ৭৫ দশমিক ৩ শতাংশ।

দূরশিক্ষণের আরেকটি প্রধান মাধ্যম টেলিভিশনের বেলায় বলা হচ্ছে, জাতীয়ভাবে ৫১ শতাংশ পরিবারে টেলিভিশন রয়েছে। সবচেয়ে দরিদ্র ২০ শতাংশ পরিবারের মধ্যে মাত্র ৪ দশমিক ৮ শতাংশ পরিবারে টেলিভিশন রয়েছে। সবচেয়ে ধনী ২০ শতাংশ পরিবারের মধ্যে এ হার ৯০ দশমিক ২ শতাংশ।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশে ইউনিসেফের প্রতিনিধি টোমো হোযুমি বলেছেন, দূরশিক্ষণের এই মাধ্যমগুলো ব্যবহারের সুযোগ না পাওয়া শিশুরা ডিজিটাল বিভাজন ও বৈষম্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। মহামারি চলাকালে তারা শিক্ষা গ্রহণের কম সুযোগ পেয়েছে। এটা তাদের শিক্ষাজীবন ও ভবিষ্যৎকে এলোমেলো করে দিয়েছে।

তিনি আরও বলেন, এ বিভাজন আগে থেকে বিদ্যমান বৈষম্যকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। এটি দারিদ্র্য ও বৈষম্যের দুষ্টু চক্রকে এক প্রজন্ম থেকে আরেক প্রজন্মে দীর্ঘস্থায়ী রূপ দিতে পারে, যেখানে শিশুরা পরিণত হচ্ছে এর বাহকে।

জাতিসংঘের শিশু তহবিল ইউনিসেফের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বব্যাপী প্রায় দেড় শ কোটি শিশুর অনলাইনে ক্লাস করার সুযোগ নেই। প্রত্যন্ত অঞ্চল যেখানে ইন্টারনেট সেবা পৌঁছায়নি, সেখানকার শিশুরা ক্লাস করার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে।

প্রসঙ্গত, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ার পর কয়েক মাস ধরে বন্ধ স্কুল-কলেজসহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। শিশুদের পড়াশোনার ধারাবাহিতায় ছেদ না পড়তে দেওয়ার ধারণা থেকে বিকল্প হিসেবে অনলাইনে পড়াশোনা চালু করেছে অনেক দেশ। তবে সেই সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে কোটি কোটি শিশু। বিশেষ করে তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোর অবস্থা বেশি নাজুক।

   

কেন্দ্রে ব্যালট দিয়ে ফেরার পথে ইউএনও'র গাড়ি-বাস মুখোমুখি সংঘর্ষ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম,ময়মনসিংহ
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

ময়মনসিংহের ফুলপুরে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কেন্দ্রে ব্যালট দিয়ে ফেরার পথে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার গাড়ি ও বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফুল ইসলাম প্রিন্স গুরুতর আহত হয়েছেন।

বুধবার (৮ মে) সকাল ৬টার দিকে ময়মনসিংহ -শেরপুর সড়কের ফুলপুরের হরিরামপুর নামক এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।

ফুলপুর থানার ইনচার্জ ওসি মাহাবুবুর রহমান ঘটনাটির সত্যতা নিশ্চিত করেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দেহরক্ষী আল-আমিন বলেন, নির্বাচনী ব্যালট কেন্দ্রে দিয়ে উপজেলায় ফেরার পথে বিপরীত দিক থেকে আসা শেরপুরগামী ঝিনাইগাতি এক্সপ্রেস পরিবহনের একটি বাসের সঙ্গে ইউএনও স্যারের গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে স্যার গুরুতর আহত হয়েছেন। স্যারকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। চালক পালিয়ে গেলে ও তার সহযোগীকে আটক করা হয়েছে।

ফুলপুর থানার ইনচার্জ (ওসি) মাহাবুবুর রহমান বলেন, ফুলপুরের হরিরামপুর নামক এলাকায় ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা গাড়ির সঙ্গে শেরপুরগামী ঝিনাইগাতি এক্সপ্রেস পরিবহনের একটি বাসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ইউএনওর গাড়ি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। বাসটি জব্দ করা হয়েছে।

;

সুন্দরীদের প্রেমের ফাঁদ; সুযোগ বুঝে নগ্ন ভিডিও ধারণ-ব্ল্যাকমেইল



মো.কামরুজ্জামান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, সাভার (ঢাকা)
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

মিষ্টি কথা ও সুন্দর চেহারার আড়ালে প্রেমের ফাঁদ পেতে সুযোগ বুঝে নগ্ন ভিডিও করে ব্ল্যাকমেইল করাই তাদের মূল পেশা। এই অপরাধীদের চক্রে কেউ সাজে পুলিশ, কেউ সাংবাদিক। লোক লজ্জার ভয়ে প্রায়ই ঘটনা এড়িয়ে যান ভুক্তভোগীরা। আশুলিয়ায় বিভিন্ন অভিযানে এমন একাধিক চক্র আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেফতার হলেও কমছে না তাদের দৌরাত্ম।

গত ২০ এপ্রিল। পূর্ব পরিচয়ের সূত্র ধরে এমনই এক চক্র আশুলিয়ার জিরানী এলাকায় সড়ক থেকে মোটরসাইকেলে এক যুবককে তুলে নিয়ে যায় পাশ্ববর্তী জঙ্গলে। স্ত্রীর সাথে অনৈতিক সম্পর্কের আখ্যা দিয়ে ব্ল্যাকমেইল করে টাকা হাতিয়ে নেয়। প্রতিবাদ করে মারধর করে ক্ষতবিক্ষত করা হয় ভুক্তভোগীর পুরো শরীর। বিষয়টি বিশ্বাসযোগ্য করে তুলতে যুবকের মুঠোফোন কেড়ে নিয়ে অপরাধীর স্ত্রীর মুঠোফোনে নানা মেসেজ পাঠায় চক্রের সদস্যরাই। টাকার বিনিময়ে ৬ ঘণ্টা পর উদ্ধার হন ভুক্তভোগী ইমন। পরে পুলিশের অভিযানে গ্রেফতার হয় এই চক্রের সদস্য ফাহিম ও সাথী আক্তার দম্পতি।


ভুক্তভোগী ইমন হোসেন বার্তা ২৪.কমকে বলেন, হঠাৎ করে একটা মোটরসাইকেল আসে আমাকে অস্ত্র ঠেকিয়ে জোরজবরদস্তি করে জিরানী থেকে তুলে নিয়ে আসে। ওখান থেকে শ্রীপুর এলাকায় ল্যাব ওয়ান হসপিটাল এর পিছনে জঙ্গলের ভিতরে নিয়ে যেয়ে আমাকে জিম্মি করে রাখেন। আমার কাছ থেকে মোবাইলটা নিয়ে উনারা এই প্ল্যান করেছে। আমাকে নিয়ে যায় ফাহিম ওর স্ত্রীর সাথে অস্ত্র ঠেকিয়ে আমার কাছে থেকে জবানবন্দী নিয়ে রেকর্ড করে রাখেন। পরে তাদের ২০ হাজার টাকা দেওয়ার পরে আমাকে মুক্তি দেওয়া হয়। আমি চলে আসার পরে আমাকে ফোন করে জানানো হয় এটা নিয়ে পরবর্তীতে যদি কোন ধরনের আলোচনা হয় বা কেউ যদি জানে তাহলে যে কোন সময় আমাকে মেরে ফেলা হবে।

জনবহুল এই অঞ্চলে প্রায়ই ঘটে এমন প্রতারণার ঘটনা। প্রেমের ফাঁদে পা দিয়ে গত ২ মে চাপাইনবাবগঞ্জ থেকে এসে আশুলিয়ার জামগড়ায় রিয়া মনি নামে নারীর ব্লাকমেইলের শিকার হন যুবক সানাউল মাহমুদ। ঘরে আটকে রেখে অসামাজিক কাজের আখ্যা দিয়ে হাতিয়ে নেয়া হয় প্রায় ৬০ হাজার টাকা। অভিযোগ পেয়ে এই চক্রের ৩ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এর আগে ফেব্রুয়ারি মাসে পোশাক শ্রমিক এক তরুণকে একই কায়দায় আটকে রেখে টাকা হাতিয়ে নেয় অপর একটি চক্র।


ভুক্তভোগী সানাউল মাহমুদ বার্তা ২৪.কমকে বলেন, দশ দিন আগে ফেসবুকে একটি মেয়ের সাথে বন্ধুত্ব হয়। চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে বাইপাইলে ভাইয়ের কাছে গেলে তারপর তার সাথে দেখা করি। দেখা হওয়ার পরে তার বাসায় নিয়ে যায় আমাকে। বাসায় আমাকে আটকে রেখে ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে আমার কাছ থেকে নগদ ৩৫ হাজার ৬০০ টাকা ও বিকাশ থেকে ২৯ হাজার ৩৫০ টাকা হাতিয়ে নেয় ।

ভুক্তভোগীর স্বজন মো. জুলহাস বার্তা ২৪.কমকে বলেন, তারা অনেক ধরনের প্রতারণা করে। যেমন পকেটে ইয়াবা ঢুকিয়ে দেয়। নেশা যোগ্য জিনিস অনেক কিছু ঢুকিয়ে দিয়ে তারা বলে পুলিশকে জানাই এ ধরনের প্রতারণা করেন তারা।

এই সব প্রতারকদের মিষ্টি কথায় না ভুলে আরো সচেতন হওয়ার পরামর্শ আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর। আশুলিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন্স) নির্মল কুমার দাস বার্তা ২৪.কমকে বলেন, কারো সাথে কোন সম্পর্কে জড়ানোর আগে আগে তার পরিচয় জানতে হবে। তার সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হবে। অন্যথায় আমাদের বড় ধরনের যে কোনো সমস্যা হতে পারে। এছাড়া অভিযোগ পেলে আমরা তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করি। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি চক্রকে আমরা আইনের আওতায় এনেছি। কিন্তু নিজে সতর্ক থাকলে এ ধরণের প্রতারকদের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব।

 

;

আজ হজ কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর আশকোনা হজ ক্যাম্পে আনুষ্ঠানিকভাবে হজ কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ বুধবার (৮ মে) বেলা ১১টায় হিজরি ১৪৪৫ সালের হজ কার্যক্রমের উদ্বোধন ঘোষণা করবেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, অনুষ্ঠানে হজযাত্রীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়ও করবেন প্রধানমন্ত্রী।

আগামী বৃহস্পতিবার থেকে বাংলাদেশি হজযাত্রীদের নিয়ে হজ ফ্লাইট চালু হওয়ার কথা রয়েছে। হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ওইদিন প্রথম হজ ফ্লাইট বিজি-৩৩০১ বিমানটি ৪১৯ জন যাত্রী নিয়ে সকাল ৭টা ২০ মিনিটে সৌদি আরবের জেদ্দার উদ্দেশ্যে যাত্রা করবে। একই দিন দুপুর ১টায় সৌদি আরবের ফ্লাইনাস এয়ারলাইন্সের একটি বিমান বাংলাদেশি হজযাত্রীদের নিয়ে জেদ্দার উদ্দেশ্যে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছেড়ে যাওয়ার কথা রয়েছে।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১৬ জুন পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হতে পারে। ২০২৪ সালের হজে বাংলাদেশ থেকে ৮৩ হাজারের বেশি হাজী হজ পালন করবেন।

;

নরসিংদীতে নির্বাচনে হলফনামায় জাল সনদ দাখিলের অভিযোগ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম,নরসিংদী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে হলফনামায় শিক্ষাগত যোগ্যতার জাল সনদ সংযুক্ত করার অভিযোগ উঠেছে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জোসনা বেগম নামের এক প্রার্থীর বিরুদ্ধে।

বিষয়টি নিয়ে গত মঙ্গলবার (৭ মে) সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মো: মোশারফ হোসেন এবং জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ রবিউল আলম বরাবর পৃথক দুটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী তাহমিনা মানিক।

জানা যায়, ১৯৯৬ সালে রায়পুরা কলেজ থেকে মানবিক বিভাগের ৩৩৮ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেওয়ার কথা থাকলে ৪ জন পরীক্ষায় অনুপস্থিত থাকায় ৩৩৪ জন পরীক্ষার্থী এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়। ওই সালে কলেজ রেজিস্টারে পরীক্ষার্থীদের যেসব তথ্য রয়েছে, সেখানে জোসনা বেগম নামের কোনো শিক্ষার্থীর নাম নেই। সনদপত্রটি অন্যদের সাথেও কোনো মিল নেই। এ ছাড়া সনদে পরীক্ষার রোল নম্বরও কলেজের রোল নম্বরের সাথে কোনো মিল নেই। রেজিস্টারে অন্তর্ভুক্ত পরীক্ষার্থীদের সনদ ক্রমিক নম্বর এবং রেজিস্ট্রেশন নম্বরের সাথে কোনো সামঞ্জষ্য পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে নারাজ অভিযুক্ত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জোসনা বেগম।

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো: মোশারফ হোসেন জানান, ৫ মে প্রাথমিক যাচাই-বাছাইয়ে জোসনা বেগমের মনোনয়ন বৈধ করা হয়েছে। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী তাঁর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন। প্রার্থী বৈধ করার পর অভিযোগ গ্রহণযোগ্য নয়। এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক বরাবর আপিল করারও পরামর্শ দেন তিনি।

;