সুন্দরবনগামী ট্যুরিস্ট লঞ্চ ডুবি, পর্যটকরা অক্ষত
সুন্দরবনগামী ট্যুরিস্ট লঞ্চ এমভি ডিসকভার বটিয়াঘাটাস্থ কাতিয়ানংলা এলাকার ডুবোচরে আটকে পশুর নদীতে ডুবে গেছে। লঞ্চডুবিতে কোনো পর্যটকের ক্ষতি হয়নি।
শুক্রবার (০৪ ডিসেম্বর) ভোরে ডুবোচরে আটকে লঞ্চটি ডুবে যায়।
জানা যায়, ফরিদপুরের বোয়ালমারী থেকে আসা ৩৩ জনের একটি ভ্রমণ দল ট্যুরিস্ট লঞ্চ ডিসকভারিতে বৃহস্পতিবার (০৩ ডিসেম্বর) দিনাগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে খুলনার ৪নং ঘাট এলাকা থেকে হিরণ পয়েন্টের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়।
শুক্রবার (৪ ডিসেম্বর) ভোর ৬ টার দিকে বটিয়াঘাটা উপজেলার কাতিয়ানাংলা এলাকায় পশুর নদীর ডুবোচরে আটকে যায় লঞ্চটি। চরে আটকে যাওয়ায় লঞ্চে থাকা পর্যটকরা দ্রুত পার্শ্ববর্তী চরে নেমে পড়েন। নদীতে ভাটা থাকার কারণে ঢালু চরে পানির টানে লঞ্চটি পেছন দিকে নদীতে নেমে যেতে থাকে। এক পর্যায়ে লঞ্চটি লম্বালম্বিভাবে পশুর নদীতে ডুবে যায়। ভ্রমণ দলটির সুন্দরবনের হাড়বাড়িয়া পয়েন্ট, কটকা, কচিখালী, দুবলার চর ও হিরণ পয়েন্টে যাওয়ার কথা ছিল।
ট্যুর এসোসিয়েশন অব সুন্দরবন (টোয়াইস) এর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল হক কচি বলেন, সুন্দরবনের হিরণ পয়েন্টের উদ্দেশ্যে যাত্রা করা ট্যুরিস্ট লঞ্চ এমভি ডিসকভার ডুবোচরে আটকে যায়, পরে লঞ্চটি ডুবে যায়। নদীতে ভাটা থাকা অবস্থায় পলিমাটির চরে লঞ্চটি আটকে গিয়েছিলো বলে জানান তিনি। পরে ভাটার স্রোতে লঞ্চটি ডুবে যায়। সুখবর হলো কোনো ট্যুরিস্টের কোনো ক্ষতি হয়নি, সবাই অক্ষত অবস্থায় আছেন।
অন্য একটি ট্যুরিস্ট লঞ্চে এই ৩৩ পর্যটককে সুন্দরবনে যাবার প্রস্তাব দেয়া হয়েছিলো। তবে সবাই ট্যুরটি বাতিল করতে চেয়েছে। পরে ৩৩ পর্যটককে ফিরিয়ে আনা হয়। এদিকে ট্যুরিস্ট লঞ্চটি উদ্ধারের চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও জানান কচি।