`ভাস্কর্য-বিতর্কের বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী নিজেই দেখছেন’
বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য নিয়ে বিতর্কের বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই দেখছেন বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেছেন, পৃথিবীর দেশে দেশে ভাস্কর্য রয়েছে। যারা ভাস্কর্যের বিরোধিতা করছেন তারা কি জানেন না, সৌদি আরবসহ বিশ্বের সব মুসলিম দেশে ভাস্কর্য রয়েছে। সেখানে যদি ভাস্কর্য ইসলাম বিরোধী না হয় তাহলে বাংলাদেশে কেন হবে? সব ব্যাপারে মাথা গরম করা ঠিক না। প্রধানমন্ত্রী জানেন পরিস্থিতি কীভাবে মোকাবিলা করতে হয়। এজন্য ভাস্কর্যের বিষয়টা তিনি দেখছেন।
শনিবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে গণতন্ত্রের মানসপুত্র হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর ৫৭তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় জাতীয় তিন নেতার মাজারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী সারা জীবন গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করেছেন, গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে চেয়েছেন। আজকে গণতন্ত্র শৃঙ্খলমুক্ত হলেও একটি অশুভ শক্তির অপচেষ্টার কারণে এখনও প্রাতিষ্ঠানিক রূপল্ভ করেনি। হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর মৃত্যুবার্ষিকীর এই দিনে আমাদের প্রতিজ্ঞা হবে গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়া। গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার জন্য অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্র চর্চা প্রয়োজন, যেটি আওয়ামী লীগ ছাড়া কেউ করে না।
কাদের বলেন, গণতন্ত্র শৃঙ্খলমুক্ত হলেও একটি অশুভ শক্তির অপচেষ্টা কারনে গণতন্ত্র এখনও প্রাতিষ্ঠানিক রুপ পায় নি। একটি মহল মুখে গণতন্ত্রের কথা বললেও তাদের আচরণে কখনো মনে হয়নি তারা গণতন্ত্রে বিশ্বাসী। মুখে গণতন্ত্রের কথা বললেও তারা আসলে গণতন্ত্রের শত্রু।
বিএনপিকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ‘যাদের নিজেদের ঘরে গণতন্ত্র নেই, তারা দেশের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবে, এটা আশা করা যায় না।’
এ সময়ে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়–য়া, কৃষি ও সমাবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন ও রিয়াজুল কবির কাওছার, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।