ভোট কারচুপি করার যাদুর মেশিন হচ্ছে ইভিএম



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

খুলনা: আইনের সুশাসন, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও তফসিলের আগে সংসদ ভেঙে দিয়ে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের দাবিতে তৃতীয় রাজনৈতিক শক্তি গড়ে তোলার লক্ষ্যে জনমত গঠনে ‘যুক্তফ্রন্ট’ খুলনায় প্রথম জনসভা করেছে।

মঙ্গলবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে নগরীর শহীদ হাদিস পার্কে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি এ জনসভার আয়োজন করে। জাতীয় সংগীতের মধ্যদিয়ে জনসভার আনুষ্ঠানিকতা শুরু করা হয়। এছাড়া মঞ্চে গণসংগীত পরিবেশন করা হয়। অনুষ্ঠিত এ জনসভায় যুক্তফ্রন্টের কেন্দ্রীয় নেতারা বক্তব্য দেন।

জনসভায় জেলা জেএসডির সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা অ্যাড. আ ফ ম মহসীন এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন সংবিধান প্রণেতা ও গণ ফোরামের সভাপতি ড. কামাল।

জনসভায় প্রধান বক্তা ছিলেন- জেএসডির সভাপতি আ. স. ম. আব্দুর রব। বিশেষ অতিথি ছিলেন- ডাকসুর সাবেক ভিপি ও নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি জাফর উল্লাহ চৌধুরী ও জেএসডির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক রতন।

এছাড়া বক্তব্য দেন- গণফোরামের কার্যকরী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী, জেএসডির কেন্দ্রীয় সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক আতাউর করিম ফারুক, বিকল্পধারার কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার ওমর ফারুক, সোনার বাংলা পার্টির সভাপতি শেখ আব্দুর নূর, নাগরিত ঐক্যের কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী শহীদুল্লাহ কায়সার, জেএসডির সহ-সভাপতি দবির উদ্দিন জোয়ার্দ্দার, কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক তৌহিদ হোসেন, মাগুরা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এমএ আউয়াল, জেএসডির সহ-সভাপতি আব্দুস সালাম, জেলা সাধারণ সম্পাদক কাওসার আলী সানা, স্থানীয় জেএসডি নেতা আব্দুল লতিফ, জিল্লুর রহমান, সুশাংশু সরকার ও অধ্যক্ষ শেখ আব্দুর খালেক প্রমুখ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন বলেন, ‘হাজার কোটি টাকা ব্যাংক লুটের কোনো তদন্ত করেনি সরকার। এ জন্য আপনারা আসামি হতে পারেন।’

চার হাজার কোটি টাকাকে অর্থমন্ত্রী সামান্য বলায় তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন,‘এই অর্থের মালিক আপনি নন, জনগণ। দেশের সকল স্তরে দুর্নীতি ও লুট হয়েছে। সরকারি দলের নেতারা এর সঙ্গে জড়িত। তাদের বিচার হয়নি।’

প্রধান বক্তা জেএসডির সভাপতি আ. স. ম. আব্দুর রব বলেন,‘জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার সরকার জবাবদিহিতা করতে বাধ্য থাকবে। আগামী নির্বাচনে ভোট দিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত করুন।’

তিনি বলেন,‘সরকার প্রধানের পদত্যাগ, মন্ত্রীসভা বাতিল, সংসদ ভেঙে দিয়ে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন দিন। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিন। নির্বাচনকালীন সরকারের কেউ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে না। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির মতো নির্বাচন আর হতে দেওয়া হবে না। ইভিএম হচ্ছে ভোট কারচুপি করার একটি যাদুর মেশিন। ইভিএম এর চিন্তা বাতিল করতে হবে।’

জনসভায় ডাকসুর সাবেক ভিপি ও নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন,‘যেকোনো মূল্যে সরকারের ভোট চুরি ঠেকাতে হবে। জনগণ এবার ভোট দিতে চায়। মানুষ তার অধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে নেমেছে। গণমানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে মানুষ রাজপথে নামবে।’

ইভিএম প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এটি ভোট কারচুপির একটি কৌশলমাত্র। প্রায় চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হতে দেয়া যাবে না।’

তিনি আরও বলেন,‘কিশোরদের কোটা ও নিরাপদ সড়কের আন্দোলনের ন্যায় ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য গণআন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। লাখো জনতার গণআন্দোলনের মধ্যে সরকার দাবি মানতে বাধ্য হবে। দেশের সবচেয়ে বড় সংকট চলছে।’

মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন,‘জুলুম বন্ধ করতে হবে। মানুষের অধিকার আদায়ের সংগ্রাম চালাতে হবে। নিজের ভোট নিজে দিতে হবে। গুনে গেঁথে হিসাব করে বুঝে নিতে হবে। বৃহত্তর ঐক্যের মাধ্যমে জুলুমবাজ, দখলদার, ভোটচুরি ঠেকাতে হবে। লড়াই করতে চাই, লড়াই করেই বিজয় ছিনিয়ে আনতে হবে।’

উল্লেখ, ২০১৭ সালের ৪ ডিসেম্বর রাতে ‘যুক্তফ্রন্ট’ নামে নতুন জোট ঘোষণা করা হয়েছিল। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের লক্ষ্যে খুলনায় এই প্রথম জনসভা করল ‘যুক্তফ্রন্ট’।

 

   

কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারে হাজতির মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চিকিৎসাধীন অবস্থায় গাজীপুরের কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারের এক হাজতি মারা গেছেন। মারা যাওয়া হাজতি নীলফামারীর ডোমার থানার মটুকপুর গ্রামের রুমেল হোসেনের মেয়ে আমিনা বেগম (৪০)। কারাগারে তার হাজতি নং- ৩৯৪/২৪।

শনিবার (১৮ মে) দুপুর আড়াইটার দিকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

কারাগার সূত্রে জানা গেছে, মহিলা কারাগারে বন্দি আমিনা বেগমের হঠাৎ বুকে ব্যথা হয়। পরে তাৎক্ষণিক কারাগার থেকে তাকে গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে দুপুর আড়াইটার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেল সুপার শাহজাহান মিয়া বলেন, বুকে ব্যথা উঠলে আমিনাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার পরিবারকে খবর দেওয়া হয়েছে। কারাবিধি মেনে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

;

শিশু জায়েদ হাসানের দায়িত্ব নিচ্ছেন না মামা, দেওয়া হচ্ছে দত্তক



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ময়মনসিংহ
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ময়মনসিংহের ভালুকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে দুর্ঘটনায় নিহত মা ও বেঁচে যাওয়া দেড় বছরের শিশু জায়েদ হাসান ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসা এখন পুরাপুরি সুস্থ। উচ্চ আদালত শিশুটিকে তার মামার জিম্মায় দেওয়ার নির্দেশ দিলেও জায়েদের সুন্দর ভবিষ্যত ও নিজের পরিবারের অবস্থার কথা চিন্তা করে দায়িত্ব নিচ্ছেনা মামা রবিন মিয়া। এ কারণেই দেওয়া হবে দত্তক।

আগামীকাল রবিবার(১৯ মে) শিশু কল্যাণ বোর্ডের সভার আগ পর্যন্ত দত্তক দেওয়ার জন্য আবেদন গ্রহণ করা হবে ও সব আবেদন বোর্ড সভায় পেশ করা হবে এবং আবেদনগুলো যাচাই-বাছাই করে একটি পরিবারের কাছে শিশুটিকে হস্তান্তর করা হবে।

শিশু জায়েদের মামা রবিন মিয়া বলেন আমি পেশায় একজন পিকআপ চালক। মা, বাবা পরিবার ও তিন সন্তান নিয়ে অনেক কষ্ট করে দিন চলে। তাই আমি চাই না আমার কাছে এসে ভাগিনার সুন্দর জীবনটা নষ্ট না হয়। আমি চাই সে একজন ভালো মানুষের ঘরে গিয়ে মানুষের মত মানুষ হোক আমি শান্তি পাবো। সেজন্যই শিশু কল্যাণ বোর্ডের কাছে একটি অনাপত্তি পত্র দিয়েছি।

ময়মনসিংহ জেলা সমাজসেবা বিভাগের উপপরিচালক ও শিশু কল্যাণ বোর্ডের সদস্য সচিব আব্দুল মজিদ বলেন জায়েদের মামা চান ভাগ্নের সুন্দর ভবিষ্যত। এজন্য শিশু কল্যাণ বোর্ডের প্রতি আস্থা রেখে একটি অনাপত্তিপত্র দিয়েছে। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি পরিবার জায়েদকে পেতে আবেদন করছে। তাদের মধ্যে থেকে যাচাই-বাছাই করে আগামীকালের বোর্ড সভা সিদ্ধান্ত হবে জায়েদকে কোন পরিবারে দেওয়া হবে ।

উল্লেখ্য, গত ১০ মে রাত তিনটার দিকে ভালুকা উপজেলার স্বয়ার মাস্টারবাড়ি এলাকায় শিশু জায়েদ ও তার মা জায়েদা সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়। স্থানীয়রা উদ্ধার করে ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে জরুরী বিভাগের চিকিৎসক ভোররাতেই সরকারি অ্যাম্বুলেন্সে করে ময়মনসিংহ মেডিকেল হাসপাতালে প্রেরণ করেন। শিশুটিকে ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে ও শিশুর মা'কে হাসপাতালের ১০ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করানো হয়। পরদিন সকালে শিশুটির মা মারা যায়। তবে,আহত শিশুটি হাসপাতালের ২৬ নম্বর ওয়ার্ডেই চিকিৎসাধীন থাকে।

;

যশোরে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, যশোর
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরিবারকে নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করায় যশোর সদর উপজেলা যুব মহিলা লীগের আহবায়ক ও যশোর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী ফাতেমা আনোয়ারকে সংগঠন থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।

শনিবার (১৮ মে) বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের সভাপতি ডেইজি সারোয়ার ও সাধারণ সম্পাদক শারমিন সুলতানা লিলি স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

জানাযায়, গত বৃহস্পতিবার ১৬ মে প্রেসক্লাব যশোরে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জামাতাও বিএনপি করেন। তার এমন একটি বক্তব্যের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। যে বক্তব্য দেওয়ায় প্রতিবাদ জানিয়েছিলো যশোর জেলা আওয়ামী লীগ। একইসঙ্গে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কাছে দলীয় পদ থেকে বাতিল ও সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য লিখিত সুপারিশ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

শুক্রবার রাতে যশোর জেলা আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক ওহিদুল ইসলাম তরফদারের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।

যশোর জেলা আওয়ামী লীগের উপ দপ্তর সম্পাদক ওহিদুল ইসলাম তরফদারের পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, যশোর সদর উপজেলা যুব মহিলা লীগের আহবায়ক ও আসন্ন সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী ফাতেমা আনোয়ার বৃহস্পতিবার সাংবাদিক সম্মেলন করেন। এই সাংবাদিক সম্মেলনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

তার বক্তব্যের বিষয়টি যশোর জেলা আওয়ামী লীগের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম মিলন এবং সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদার এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। সেই সঙ্গে তাকে যুব মহিলা লীগের আহবায়ক পদ ও প্রাথমিক সদস্যপদ বাতিলসহ কেন্দ্রের কাছে সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জোর সুপারিশও করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ফাতেমা আনোয়ারের স্বামী আনিসুর রহমান লিটন ওরফে ফিঙ্গে লিটন পুলিশের মোস্ট ওয়ান্টেডভুক্ত আসামি। তিনি খুন-গুম, মাদক, সোনা, অস্ত্র চোরাচালানসহ একাধিক অপরাধ কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। তিনি দীর্ঘ দিন ধরে দেশের বাইরে পলাতক অবস্থায় আছেন। দেশের শীর্ষ সন্ত্রাসীদের তালিকায় তার নাম রয়েছে। তিনি ইন্টারপোলেরও ওয়ান্টেড আসামি।

এই বিষয়ে ফাতেমা আনোয়ার সাংবাদিকদের বলেন, একজন রাষ্ট্রনায়ককে নিয়ে কেউ কথা বা মন্তব্য করবে এটা রাষ্ট্রের নাগরিকের অধিকার। আমার বিরুদ্ধে জেলা আওয়ামী লীগ দলীয়ভাবে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এটা আমাকে অবিচার করছে বলে মনে করছি।

;

স্বেচ্ছাসেবক লীগের মিছিল শেষে কথা কাটাকাটির জেরে তরুণ খুন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে মানিকমিয়া এভিনিউর সংসদ ভবন এলাকায় কথা কাটাকাটির জেরে ছুরিকাঘাতে এক তরুণকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। নিহতের নাম মেহেদী হাসান (১৮)।

জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে শোভা যাত্রার আয়োজন করে ক্ষমতাশীন দল আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠন স্বেচ্ছাসেবক লীগ। শোভাযাত্রায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মো. চয়নের ভাগ্নে সদ্য এসএসসি পাশ করা ছাত্র মেহেদী অংশ নেন। শোভাযাত্রা শেষে বাড়ি ফেরার পথে মিছিলে কথা কাটাকাটি হয় অন্য এক গ্রুপের সঙ্গে। কথা কাটাকাটির জেরে সবার সামনেই সুইচ গিয়ার চাকু দিয়ে হামলা চালায় অপর পক্ষ। সেই চাকুর আঘাতে প্রাণ যায় মেহেদীর।

শনিবার (১৮ মে) সন্ধ্যায় রাজধানীর শেরে বাংলা নগর এলাকায় সংসদ ভবন এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। নিহত মেহেদী ছোলমাইদ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এবার এসএসসি পাস করেছেন।

নিহতের মামা চয়ন বলেন, মিছিল শেষ করে আমরা এলাকায় যাওয়ার জন্য রওনা দিয়েছিলাম। আমাদের জন্য বাস রেডি ছিল। বাসে ওঠার সময় রাস্তা পারাপার নিয়ে আমার এক বন্ধুর সঙ্গে কয়েকটি ছেলের কথা কাটাকাটি হয়। তখন হুট করে ওই ছেলেগুলো সুইচ গিয়ার বের করে আঘাত করা শুরু করে। তখন আমার ভাগ্নে তাদের থামাতে যায় এবং কথা কাটাকাটি হয়। তখন ওরা মেহেদীকে চাকু দিয়ে উপর্যুপরি আঘাত করে।

তিনি বলেন, যারা চাকু দিয়ে মেরেছে তাদের আমি চিনতে পারিনি। সবার সামনে এভাবে মেরে ফেললো আমার ভাগ্নে কে। আমরা পারিবারিকভাবে আওয়ামী লীগ করি। মেহেদীর মা আওয়ামী লীগ নেত্রী। আমার ভাগ্নের এমন হত্যার বিচার চাই।

এ বিষয়ে শেরে বাংলা নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আহাদ আলী বলেন, ঘটনা শুনেছি। এখনো কেউ অভিযোগ করেনি। এই বিষয়ে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

;