‘বিদ্যুৎকে প্রাইভেট পণ্য মনে করার সময় এখনও আসেনি’



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক ই ইলাহী চৌধুরী

বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক ই ইলাহী চৌধুরী

  • Font increase
  • Font Decrease

বিদ্যুৎকে প্রাইভেট পণ্য মনে করার সময় এখনও আসেনি। জ্বালানির দাম বাড়লেই বিদ্যুতের দাম বাড়ানো প্রধানমন্ত্রী সমর্থন করেন না। যে কারণে অল্প অল্প করে দাম বাড়ানো হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক ই ইলাহী চৌধুরী।

শনিবার (১৯ ডিসেম্বর) ফোরাম ফর এনার্জি রিপোর্টার্স বাংলাদেশ (এফইআরবি) আয়োজিত ‘বিজয়ের ৫০ বছর ও বিদ্যুৎ খাতের অগ্রযাত্রা’ শীর্ষক ভার্চুয়াল সেমিনারে তিনি এ মন্তব্য করেন।

তৌফিক ই ইলাহী চৌধুরী বলেন, বিদ্যুতের সিস্টেম লস অনেক বেশি থাকায় ১৯৯৬ সালে দাতারা বলে দিল তোমাদের টাকা দেওয়া হবে না। তখন আমরা আইপিপিতে গেলাম। খুলনা, হরিপুরে বার্জে করে পাওয়ার প্লান্ট এনে স্থাপন করা হলো। এরপর ক্যাপটিভ পাওয়ার পলিসি করা হলো। যদি ক্যাপটিভ তার উদ্বৃত্ত বিক্রি করতে চায় তার ব্যবস্থা করা হলো। এভাবে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়ে পরিস্থিতি পরিবর্তন করা হয়। তখন কিন্তু সরকারের মধ্যেও দ্বিধাদ্বন্দ্ব ছিল। প্রধানমন্ত্রী তখন সাহসী সিদ্ধান্ত দিয়েছেন।

২০০৯ সালে দেখলাম বিশ্বব্যাংকের ফরমুলায় করা পাবলিক প্রকিউরমেন্ট আইনে দ্রুত কাজ করা সম্ভব না। ফিলিপাইন তখন একটি নির্বাহী আদেশে কাজ করছিল। তখন আমরা বিশেষ আইন করলাম, অনেক সমালোচনা সহ্য করতে হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর দূরদৃষ্টি অনেক, বিরোধীদল কিংবা মিডিয়াকে খুশি করা না, সাধারণ মানুষকে কিভাবে এগিয়ে নেওয়া যায়। আমেরিকায় অর্জন হলে প্রেসিডেন্টের কথা আসে। বাংলাদেশে প্রথম আসে নেতৃত্বের কথা। ভবিষ্যতে এনার্জি এফিশিয়েন্সির দিকে যেতে হবে। কিভাবে ভবন এনার্জি সাশ্রয়ী করা যায় সেদিকে যেতে হবে।

লিকুইড ফুয়েল থেকে কিছুটা বের হয়ে আসবো। ইন্ট্রিগেটেড সিস্টেমের দিকে যাচ্ছি, এখানে কিছুটা ঝুঁকিও রয়েছে। যেমন রাশিয়া বসে ইউক্রেনের পাওয়ার সিস্টেম ড্যামেজ করে দিয়েছে। আমরা যদি অনুকরণ করি তাহলে পিছিয়ে থাকবো, আর যদি নিজেরা উদ্ভাবনী মেধা প্রয়োগ করি তাহলে এগিয়ে থাকবো।

বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, জামায়াত-বিএনপি বাংলাদেশকে ৫০ বছর পেছনে ঠেলে দিয়েছে। কিভাবে দেশের উন্নয়ন করবে তার কোনো প্লান ছিল না। তাদের সময়ে বিদ্যুৎ এনার্জির জন্য মানুষকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। এই অবস্থা থেকে ঘুরে দাঁড়ানো বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। সেই চ্যালেঞ্জ সরকার মোকাবিলা করেছে। ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত ফের ক্ষমতায় এসে বিগত সরকারের উন্নয়ন প্রকল্প ও পরিকল্পনাসহ বন্ধ করে দেয়।

২০০৯ সালে সারা দেশে আলোকিত করার কথা বলা হলো ইশতেহারে। তখন টাকশালে টাকা নেই, তেল কেনার পয়সা নেই। ওই সময় যারা নেতৃত্ব দিয়েছেন, কঠিন চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে। একটি আইন এই জায়গাটিকে পরিবর্তনে বিশাল ভূমিকা রেখেছে। সাহস করে যে পরিবর্তন করা যায়, তখন সেই সাহসটি দেখিয়েছেন। অনেকে সমালোচনা করেন বিশেষ আইন নিয়ে। এই বিশেষ আইন করার সুফল আজকে পাচ্ছি।

অনেকে লিকুইড ফুয়েল, রেন্টাল নিয়ে কথা বলেন। তাদের ধারণাই নেই, এগুলো না হলে আজকের ভালো অবস্থায় আসা সম্ভব হতো না। পৃথিবীতে এই ধরনের কেসস্ট্যাডি খুবই বিরল। আমার কাছে মাঝে মাঝে আশ্চর্যজনক মনে হয়। ২০১৪ সালে যখন আমাকে প্রতিমন্ত্রী করা হয়, তখন অনেকে তদবির করতেন বিদ্যুতের জন্য, সত্যি বলতে কি আমি কিছুটা হলেও নার্ভাস ছিলাম। একদিন প্রধানমন্ত্রী ডেকে পরামর্শ দিলেন।

মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিদ্যুৎ বিভাগের উন্নয়ন ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান পাওয়ার সেল’র মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসেন। তিনি বলেন, পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড ১৯৭৭ সালে হয়েছে বলে অনেকে মিস কোর্ড করে। বঙ্গবন্ধু ১৯৭২ সালে প্রকৌশলীদের সমাবেশে এই সংস্থার বিষয়ে বক্তব্য দেন। তার ধারাবাহিকতায় পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড স্থাপিত হয়।

তিনি বলেন, আমরা শুধু বিদ্যুতের উৎপাদন বাড়াইনি, আমরা এখন সিস্টেম লস সিঙ্গেল ডিজিটে এনেছি। বিদ্যুৎ খাতে একটি দক্ষ টিম কাজ করছে। যার ফলে আজকে ৩ কোটি ৮৯ লাখ গ্রাহকে সংযোগ দেওয়া সম্ভব হয়েছে। ২০০৯ সালে ছিল মাত্র ১ কোটি ৮ লাখ সংযোগ। ২০০৯ সালে ২৭টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র ৪৯৪২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ছিল, এখন ১৪০টি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন ক্ষমতা ২৩ হাজার ৭৭৭ মেগাওয়াট। প্রধানমন্ত্রী সর্বত্র একই মূল্যে বিদ্যুৎ বিতরণ করার নির্দেশ দিয়েছেন, এটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ।

বিপপার সভাপতি ইমরান করিম বলেন, ১০/১২ বছর আগে যেমন বিদ্যুৎ খাত দেখেছি। আজকের সঙ্গে কোনো তুলনাই চলে না। ২০০৯ সালে এটি চিন্তাও করা যায়নি। প্রাইভেট সেক্টরকে এই খাতে যুক্ত করার সিদ্ধান্ত ছিল যুগপোযোগী। আরেকটি ভালো বিষয় ছিল ফুয়েল মিক্স। ওই সময়ে অনেক এজেন্সি এটিকে ভালোভাবে নেয়নি। কিন্তু তাদের শঙ্কা অসার প্রমাণিত হয়েছে।

সিআরআই পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, ২০০১ সাল পর্যন্ত আইপিপিতে বাংলাদেশ মডেল হিসেবে পরিচিত হয়েছিল। বিদ্যুৎ খাতের ধারাবাহিকতা ছিল না, ছন্দপতন হয়েছে। আবার নতুন করে শুরু ‍করতে হয়েছে। কিছু ভুলভ্রান্তি হয়েছে। সঞ্চালন ও বিতরণে বড় বিনিয়োগ করতে না পারলে মানসম্মত বিদ্যুৎ নিশ্চিত করা কঠিন। বিদ্যুতের দাম দ্রুত বেড়েছে। এইভাবে বিদ্যুতের দাম বাড়লে ভালো হবে না।

এফইআরবি চেয়ারম্যান অরুণ কর্মকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ইডি শামীম জাহাঙ্গীর।

   

পাটগ্রাম সীমান্তে ভারতীয় নাগরিক আটক



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লালমনিরহাট
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পাটগ্রাম উপজেলায় অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম করায় শফিউদ্দিনকে (৫০) নামে এক ভারতীয় নাগরিককে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

সোমবার (০৬ মে) রাতে তাকে আটক করা হয়।

মঙ্গলবার (০৭ মে) দুপুরে পাটগ্রাম থানায় দায়িত্বরত সহকারী উপপুলিশ পরিদর্শক (এএসআই) শহিদুল ইসলাম আটকের বিষয়টি বার্তা২৪.কম-কে নিশ্চিত করেছেন।

বিজিবি জানায়, পাটগ্রাম সীমান্তের ৮৭১ নম্বর প্রধান পিলারের ৬ নম্বর উপপিলার সীমান্তের কাছ দিয়ে প্রায় ৫০ গজ অভ্যন্তরে বাংলাদেশে প্রবেশ করেন শফিউদ্দিন। এ সময় ৬১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের (তিস্তা-২) কালিরহাট ক্যাম্পের টহল দলের সদস্যরা তাকে আটক করে।

শফিউদ্দিন ভারতের কোচবিহার জেলার মেখলিগঞ্জ থানার ১৬৫ ওসুল পুকুরী গ্রামের মৃত জহির উদ্দিনের ছেলে। আজ সকালে বিজিবি শফিউদ্দিনকে ১৯৫২ সনের প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ আইনের ৪ ধারায় একটি মামলা দিয়ে পাটগ্রাম থানা পুলিশের নিকট হস্তান্তর করেন।

পাটগ্রাম থানার দায়িত্বরত সহকারী উপপুলিশ পরিদর্শক (এএসআই) শহিদুল ইসলাম বার্তা২৪.কম-কে জানান, ভারতীয় নাগরিক শফিউদ্দিনকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

;

কুষ্টিয়ায় বেঙ্গল টোব্যাকো গোডাউনে অভিযান: রাজস্ব ফাঁকির অভিযোগ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

অনুমোদন না থাকা এবং বিপুল পরিমাণের শুল্ক ফাঁকি দিয়ে অবৈধভাবে ব্যবসা পরিচালনা করছে এমন অভিযোগে কুষ্টিয়ার শহরতলীর জুগিয়ায় বেঙ্গল টোব্যাকোতে অভিযান পরিচালনা করেছে কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট। অভিযানে কুষ্টিয়া জেলা পুলিশ, কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট বিভাগ কুষ্টিয়া অঞ্চলের রাজস্ব কর্মকর্তারা এবং গোয়েন্দা পুলিশ কর্মকর্তারা অভিযানে অংশ নেন।

রোববার (৫ মে) বিকেলের দিকে কুষ্টিয়া শহরতলীর জুগিয়া কদমতলার আতিয়ার বেঙ্গল টোব্যাকো নামের ওই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অভিযান পরিচলনা করা হয়।

প্রায় ঘণ্টাব্যাপী এই অভিযান শেষে প্রতিষ্ঠানটির কর্মকাণ্ড স্থগিত রাখার আদেশ দেওয়া হয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা সূত্রে জানা যায়, বেঙ্গল টোব্যাকোতে অবৈধভাবে কাঁচা তামাক (র টোব্যাকো) ও প্রসেস টোব্যাকো স্টোর করা হয়। পরে এসব তামাক অবৈধভাবে ভাবে যারা সিগারেট তৈরি করে তাদের কাছে বিক্রি করে। এই বিক্রির প্রক্রিয়া পুরোটাই ভ্যাট ফাঁকি দিয়ে। এছাড়াও এসব তামাক বিভিন্ন অবৈধ সিগারেট প্রস্তুতকারক এর কাছে সরবরাহ করা হয়।

তিনি আরও জানান, আজকের অভিযানে প্রায় ২০ লাখ কেজি অপরিশোধিত তামাক ও ৩৫০ কার্টুন (৭০ হাজার কেজি) প্রসেস তামাক পাওয়া গেছে। যার বাজার মূল্য আনুমানিক ৪২ কোটি টাকা (৪০ কোটি টাকা মূল্যের অপরিশোধিতো তামাক ও ২ কোটি টাকা মূল্যের প্রসেসড তামাক)। যার ভ্যাট ফাঁকির পরিমাণ ৯ কোটি টাকার উপরে।

ভ্যাট আইন অনুযায়ী অপরিশোধিত তামাকের ক্ষেত্রে ৭% অগ্রিম আয়কর ও ৭.৫% ভ্যাট এবং প্রসেস টোব্যাকোর ক্ষেত্রে ১৫% ভ্যাট ও ৪% অগ্রিম আয়কর পরিশোধ করতে হয়।
কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট সুত্রে জানা যায় যে এই ঘটনার প্রেক্ষিতে বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

অভিযানের বিষয়ে বেঙ্গল টোব্যাকোর সত্তাধিকারি আতিয়ার রাহমান জানান, এই তামাক ভারগো টোব্যাকো ও তারা টোব্যাকোকে সরবরাহ করা হবে। তামাকের বেবসা ছাড়াও এদের সি এন জি পাম্প, পাইপ তৈরি ও বেঙ্গল মোটরস নামক ট্রান্সপোর্ট বেবসা আছে।

এদিকে গতবছর ১৯ মে একই প্রতিষ্ঠানে এমন অভিযানের ঘটনা ঘটে।

;

ঘুরতে নেওয়ার কথা বলে তরুণীকে চলন্ত অটোরিকশায় ধর্ষণ, গ্রেফতার ২



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম নগরীর ইপিজেডে ঘুরতে নেওয়ার কথা বলে পোশাক শ্রমিক এক তরুণীকে চলন্ত অটোরিকশায় ধর্ষণের ঘটনায় প্রেমিকসহ দুইজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এসময় ওই অটোরিকশাটিও উদ্ধার করা হয়।

সোমবার (৬ মে) রাতে নগরের ডবলমুরিং ও হালিশহরের বড়পোল বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতার দুইজন হলেন ভোলা জেলার মো. আক্তার (৩০) ও কুমিল্লা জেলার বাসিন্দা মো. সাগর (১৯)। আক্তার অটোরিকশাচালক এবং সাগর পেশায় অটোরিকশা গ্যারেজের মিস্ত্রি।

পুলিশ জানায়, ধর্ষণের শিকার ওই পোশাক শ্রমিক তরুণীর বাসা ডবলমুরি এলাকার মিস্ত্রিপাড়ায়। আসামি সাগরের বাসাও একই এলাকায় হওয়ায় তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত ৩ মে (শুক্রবার) সন্ধ্যায় পোশাককর্মী তরুণী কারখানা থেকে বের হওয়ার পর ঘুরতে নেওয়ার কথা বলে সাগর তাকে অটোরিকশায় তুলে নেয়। অটোরিকশা চালাচ্ছিল আক্তার।

ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফজলুল কাদের পাটোয়ারী বলেন, ওই তরুণীর ভাষ্যমতে- সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে নগরীর ইপিজেড থানার আকমল আলী পকেট গেইট এলাকায় নির্জন রাস্তায় অটোরিকশার ভেতর সাগর ও আক্তার তাকে ধর্ষণ করে। রাত সাড়ে ১১টার দিকে ওই অটোরিকশায় তাকে মিস্ত্রিপাড়ার বাসায় নামিয়ে দেয়। পরদিন ওই তরুণী থানায় এসে এ বিষয়ে অভিযোগ করলে আমরা দুজনের অবস্থান শনাক্ত করে তাদেরকে গ্রেফতার অভিযান শুরু করি।

তিনি আরও বলেন, অভিযান শুরু করার পরই আসামিরা আমাদের তৎপরতা বুঝতে পেরে অটোরিকশা ডবলমুরিং এলাকার মিস্ত্রীপাড়া লাল মসজিদের পাশে রেখে পালিয়ে যায়। আমরা প্রথমে অটোরিকশাটি উদ্ধার করি। এরপর আসামি সাগরকে ডবলমুরিং এলাকা থেকে রোববার রাতে গ্রেফতার করা হয়। এদিকে অটোরিকশা চালক মো. আক্তার ইপিজেড থানার বন্দরটিলা এলাকায় পালিয়ে আছে জানতে পেরে আমরা সেখানে অভিযান চালাই। কিন্তু সে বুঝতে পেরে নিজ জেলা ভোলায় পালিয়ে যাওয়ার জন্য হালিশহর থানার বড়পোল বাসস্ট্যান্ড এলাকায় চলে যায়। সেখান থেকে তাকে সোমবার রাতে আমরা গ্রেফতার করা হয়েছে।

;

স্বস্তির বৃষ্টিতে খুলনায় কৃষকের মাথায় হাত!



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, খুলনা
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

চলতি বোরো মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার খুলনায় বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রায় ১ হাজার হেক্টর বেশি জমিতে বোরো চাষাবাদ হয় এ জেলায়।

এখন মৌসুম বোরো ধান ঘরে তোলার। এমন সময় দেশের উপর দিয়ে মাস জুড়ে চলে তাপপ্রবাহ। অতিরিক্ত গরমে ধান কাটা থেকে বিরত থাকেন এ জেলার কৃষকেরা। ঠিক সেই মুহূর্তে সোমবার (৬ মে) সন্ধ্যায় খুলনার উপর দিয়ে বয়ে যায় দমকা হাওয়াসহ বজ্রবৃষ্টি। আর এ বৃষ্টিতে কৃষকের কপালে ভাঁজ পড়েছে। অধিকাংশ ধান শীষ থেকে ঝরে পড়েছে। গাছও নুয়ে পড়েছে। আবার কোথাও বৃষ্টির পানিতে ডুবে গেছে।

খুলনা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, এ বছর খুলনার ৯টি উপজেলায় ৬৪ হাজার ১০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। সেখানে চাষ হয়েছে ৬৪ হাজার ৮শ ৬০ হেক্টর জমিতে। মাঠে ফলন ভালো হওয়ায় কৃষকের মুখে লেগেছিল তৃপ্তির হাসি। কিন্তু সেই হাসি বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। ধান কাটা ও ঘরে তোলার মৌসুমের শেষের দিকে বৃষ্টিতে জেলার বেশ কিছু এলাকার কৃষকেরা বেকায়দায় পড়ে গেছেন। বৃষ্টিতে ধান গাছ নুয়ে পড়েছে। বৃষ্টির কারণে শীষ থেকে ঝরে গেছে ধান। দমকা হাওয়ায় ধানগাছ এলেমেলো হয়ে নুয়ে পড়েছে। আর বৃষ্টির পানি জমে থাকায় মাটির সঙ্গে মিশে গেছে পাকা ধান। কৃষকেরা বলছেন, অতিরিক্ত গরমের কারণে শ্রমিক সংকট ছিল। ফলে সময়মতো ধান কাটতে পারেননি। এর খেসারত এখন দিতে হচ্ছে তাদের।

জেলার পাইকগাছা সোনাদানা এলাকার কৃষক মো. আফজাল হোসেন জানান, গরমের জন্য ধান কাটায় শ্রমিক সংকট ছিল। সেজন্য আমরা পরিবারের সবাই মিলে শুক্র, শনিবারে ধান কাটবো বলে চিন্তা করলাম। কিন্তু হঠাৎ বৃষ্টি আমাদের সেই প্ল্যান (পরিকল্পনা) নষ্ট করে দিয়েছে। শুধু তাই নয়, সব ধান ঘরে তুলতে পারবো কি না জানি না!

ডুমুরিয়া উপজেলার কৃষক মো. আমজাদ আলী মোড়ল জানান, ৫০ শতক জমির মধ্যে ২০ শতকের মতো জমির ধান কাটা হয়েছে। সেই ধান মাঠে রয়েছে। বাকি ধান এখনো কাটা হয়নি। এরই মধ্যে বৃষ্টি। প্রায় সব ধান ঝরে গেছে। এখন কিছু করার নেই।

খুলনা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক কাজী মো. জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, খুলনা জেলায় ৬৪ হাজার ১০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। সেখানে চাষাবাদ হয়েছে ৬৪ হাজার ৮শ ৬০ হেক্টর জমিতে। কৃষকের চাহিদার তুলনায় এবার ফলনও বেশ ভালো হয়েছিল। বেশির ভাগ কৃষকেরা ধান ঘরে তুলেছেন। কিন্তু ১০ শতাংশের কৃষকের ধান এখনো মাঠে রয়েছে। ফলে তারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। তবে ক্ষতির পরিমাণ এখন পর্যন্ত নির্ধারণ করা সম্ভব হয়নি।

খুলনা আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ মো. আমিরুল আজাদ জানান, সোমবার সন্ধ্যা থেকে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত খুলনায় ৭৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আগামী ১১ মে পর্যন্ত প্রতিদিন এ জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

 

;