সমুদ্র সৈকত পরিষ্কারে ১০ বছর পূর্ণ করল কোকা-কোলা ও কেওক্রাডং



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
১০ বছর পূর্ণ করল কোকা-কোলা ও কেওক্রাডং।

১০ বছর পূর্ণ করল কোকা-কোলা ও কেওক্রাডং।

  • Font increase
  • Font Decrease

কোকা-কোলা বাংলাদেশ এবং ‘ওশান কনজারভেন্সি’র দেশীয় সমন্বয়ক কেওক্রাডং বাংলাদেশ অত্যন্ত সফলভাবে দেশের একমাত্র কোরাল দ্বীপ সেন্ট মার্টিনসে ১০ম বারের মতো আয়োজিত আন্তর্জাতিক সমুদ্র সৈকত পরিচ্ছন্নতা অভিযান ও গণ-সচেতনতা কার্যক্রম সম্পন্ন করেছে।

২০৩০ সালের মধ্যে কোকা-কোলার ‘বর্জ্য মুক্ত বিশ্ব’ প্রতিষ্ঠার বৈশ্বিক প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবে, ২০১১ সাল থেকে বাংলাদেশে পরিচালিত হয়ে আসা এই স্বেচ্ছাসেবী উদ্যোগটিকে সহযোগিতা করে আসছে কোকা-কোলা। সমুদ্রের পরিবেশ রক্ষায় ওশান কনজানভেন্সির সাথে অংশীদারিত্বের মাধ্যমে যারা দীর্ঘদিন যাবৎ কাজ করে আসছে, দি কোকা-কোলা কোম্পানি তাদের মধ্যে অন্যতম। ১৯৯৫ সাল থেকে শুরু হওয়া এই যৌথ অংশীদারিত্বের মাধ্যমে সমুদ্র ও জলপথকে পরিচ্ছন্ন এবং দূষণমুক্ত রাখতে বিশ্বব্যাপী কাজ করছে কোকা-কোলা।

চলমান করোনা মহামারি সত্ত্বেও নানান শ্রেণি-পেশার অন্তত ৫২০ জন স্বেচ্ছাসেবী এবছরের পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমে অংশ নেন এবং সমবেতভাবে তারা প্রায় ৮৭০ কিলোগ্রাম সামুদ্রিক আবর্জনা সংগ্রহ করেন। কেওক্রাডং ও কোকা-কোলা বাংলাদেশের যৌথ প্রচেষ্টায় গত ১০ বছরে সেন্ট মার্টিন কোরাল দ্বীপ থেকে প্রায় ১২ হাজার কেজি সামুদ্রিক আবর্জনা পরিষ্কার করা হয়েছে, যাতে অংশ নিয়েছেন সারা দেশের ৪ হাজার ৫০০ জনেরও বেশি স্বেচ্ছাসেবী।

করোনা মহামারির কারণে এবারের পরিচ্ছন্নতা অভিযানে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করা হয়। অভিযানের আগেই অংশগ্রহণকারীদের সবাইকে করোনা টেস্ট করা হয়। এছাড়া ইভেন্ট চলাকালে ফেসমাস্ক, হ্যান্ড গ্লাভস, স্যানিটাইজারসহ প্রয়োজনীয় অন্যান্য স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রীর যথাযথ ব্যবহার এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার বিষয়টি কঠোরভাবে নিশ্চিত করা হয়। সারাদেশ থেকে আগত শিক্ষার্থী, শিক্ষক, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি সহ নানান পেশাজীবীরা পরিচ্ছন্নতা ও সচেতনতা তৈরির এই কার্যক্রমে অংশ নেন।

যৌথ এই প্রচেষ্টা সম্পর্কে ‘ওশান কনজারভেন্সি’র এদেশীয় সমন্বয়ক মুনতাসির মামুন বলেন, “কোকা-কোলার সাথে নিজেদের অংশীদারিত্বকে গুরুত্বের সাথে মূল্যায়ন করে কেওক্রাডং ও ইন্টারন্যাশনাল কোস্টাল ক্লিনআপ। আমরা আমাদের নিবেদিতপ্রাণ সমন্বয়কদের নেটওয়ার্ক নিয়ে গর্বিত, যারা ১০ বছর ধরে সেন্ট মার্টিনস দ্বীপে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন।’’

এই অংশীদারিত্বের মাধ্যমে সারা দেশের সর্বস্তরের মানুষকে সমুদ্র দূষণের কারণ এবং সামুদ্রিক আবর্জনার ক্ষতিকারক প্রভাব সম্পর্কে সচেতন করা হয়। পাশাপাশি আলোচনার সূত্রপাত ঘটিয়ে সমুদ্র ও নৌপথের প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষায় প্রত্যেক নাগরিকের ভূমিকা সম্পর্কেও সবাইকে সচেতন করা হয়। ৩

৫তম ‘ইন্টারন্যাশনাল কোস্টাল ক্লিনআপ’ কার্যক্রমের সাথে সামঞ্জস্য রেখে বাংলাদেশের সেন্ট মার্টিনস দ্বীপে দিনব্যাপী এই পরিচ্ছন্নতা ও সচেতনতা কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়েছে। ”পিক ইট আপ, ক্লিন ইট আপ, সি চেঞ্জ”- স্লোগানকে সামনে রেখে সেন্ট মার্টিনস কোরাল দ্বীপে আয়োজিত সমুদ্র সৈকত পরিষ্কারের এবারের আসরটি টানা ১০ বছর ধরে পালিত হবার মাইলফলক স্পর্শ করেছে।

এ প্রসঙ্গে কোকা-কোলা বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) অজয় বাতিজা বলেন, “সমুদ্র সৈকতকে প্লাস্টিকের আবর্জনামুক্ত রাখতে কেওক্রাডংয়ের নিরন্তর প্রচেষ্টাকে আমরা সাধুবাদ জানাই। সমুদ্র তীর থেকে অবাঞ্ছিত আবর্জনা অপসারণ কেবল এখানকার পরিবেশেরই উপকার করছে না, পাশাপাশি সারা দেশের অন্যান্য মানুষদেরকেও এ কাজে উদ্বুদ্ধ করবে বলে আশা করি।’’

তিনি আরও বলেন, “সমুদ্র পরিচ্ছন্ন রাখার কার্যক্রমে এই অংশগ্রহণ মূলত: আমাদের ‘বর্জ্য মুক্ত বিশ্ব’ তৈরির প্রচেষ্টারই অংশ।’’

কার্যক্রমটি সম্পর্কে বলতে গিয়ে সেন্ট মার্টিনস ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব নূর আহম্মদ বলেন, “স্থানীয় বাসিন্দা ও পর্যটকদের মধ্যে সচেতনতা গড়ে তোলার মাধ্যমে আমাদের এই দ্বীপের জীব-বৈচিত্র্য ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য রক্ষায় এই পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমটি অত্যন্ত কার্যকর ভূমিকা পালন করছে। এই ধরণের চমৎকার ও কার্যকরী একটি আয়োজন করায় আমরা কেওক্রাডং ও কোকা-কোলার কাছে কৃতজ্ঞ।“

দিনব্যাপী এই কার্যক্রমের অংশ হিসেবে স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের সহায়তায় একটি মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। সেন্ট মার্টিনসের প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষার পাশাপাশি সমুদ্রকে কিভাবে আরও কার্যকরভাবে দূষণমুক্ত এবং সমুদ্র তীরকে আরও পরিচ্ছন্ন রাখা যায়, সে বিষয়ে আলোচনা করাই ছিলো এই আয়োজনের মূল লক্ষ্য। স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানসহ অন্যান্য ইউপি সদস্য ও স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা উক্ত মতবিনিময় সভায় অংশ নেন।

‘ইন্টারন্যাশনাল কোস্টাল ক্লিনআপ’ বিশ্বের সবচেয়ে বড় স্বেচ্ছাসেবী প্রয়াস। উদ্যোগটি সারা বিশ্বের হাজার হাজার স্বেচ্ছাসেবীকে সমুদ্র সৈকত, জলাধার ও জলপথ থেকে লাখ লাখ পাউন্ডের সামুদ্রিক আবর্জনা পরিষ্কার করতে উদ্বুদ্ধ করেছে। তাদের প্রধান লক্ষ্য- অপচনশীল আবর্জনা সংগ্রহ করা, যেগুলোর মধ্যে রয়েছে- সিগারেটের ফিল্টার, চিপসের প্যাকেটের মতো অপচনশীল মোড়ক ইত্যাদি। সেন্ট মার্টিনস ইভেন্ট চলাকালে বিভিন্ন ধরনের আবর্জনা সংগ্রহ করার পর একটি নির্দিষ্ট স্থানে সেগুলো জড়ো করেন স্বেচ্ছাসেবীরা। এরপর সেগুলো নির্দিষ্ট ক্যাটাগরির ভিত্তিতে আলাদা করা হয়। এই কার্যক্রমে সংগৃহীত আবজর্নাসমূহের যাবতীয় তথ্য-উপাত্ত্ব ওশান কনজারভেন্সির বৈশ্বিক ‘ওশান ট্র্যাশ ডাটাবেসে’ আপলোড করা হয়ে থাকে।

ফেলে দেয়া আর্বজনা-ই সমুদ্র দূষণের প্রধানতম কারণ। তাই স্থানীয় বাসিন্দা, শিক্ষার্থী, পর্যটকসহ সর্ব সাধারণের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করার মাধ্যমে এই দূষণ প্রতিরোধ করা সম্ভব। আর সে জন্যই এই কার্যক্রমে তাদেরকে অর্ন্তভূক্ত করা হয়। এছাড়া অন্যান্য যেসব স্বেচ্ছাসেবী এই পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমে অংশ নিয়েছেন, তারাও তাদের পরিচিতজনদেরকে সমুদ্র দূষণের বিষয়ে সচেতন করবেন বলে প্রত্যাশা আয়োজকদের।

   

সিলেটে যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিলেট
সিলেটে যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু

সিলেটে যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু

  • Font increase
  • Font Decrease

সিলেটের স্থানীয় দৈনিক উত্তরপূর্ব পত্রিকার কম্পিউটার অপারেটর অমিত দাস শিবুর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৬ এপ্রিল) মধ্যরাতে নগরীর হাজারিবাগ এলাকার পেছনের মাঠে তার মরদেহ পড়েছিল। খবর পেয়ে সিলেট মেট্রোপলিটনের (এসএমপির) বিমানবন্দর থানা পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ পুলিশ কমিশনার (ডিসি উত্তর) আজবাহার আলী শেখ।

নিহত অমিত দাস শিবু গৌর চাঁদ দাসের ছেলে। তার গ্রামের বাড়ি সুনামগঞ্জে। তিনি নগরীর বাগবাড়ি নরসিং টিলা এলাকায় সপরিবারে বসবাস করতেন।

জানা যায়, অমিত দাস শিবু প্রতিদিনের মতো আজ রাতেও উত্তরপূর্ব পত্রিকা অফিসে কাজ করে বাসায় ফিরছিলেন। রাত পৌনে ২টার দিকে স্থানীয় লোকজন মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশকে জানায়।

এব্যাপারে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ পুলিশ কমিশনার (ডিসি উত্তর) আজবাহার আলী শেখ বলেন, আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসি। তার মরদেহের পাশে মোটরসাইকেলটি চাবি লাগানো অবস্থায় রাখা ছিল। তবে মোবাইল ফোন পাওয়া যায়নি। কিন্তু মোবাইলের শেষ লোকেশন ঘটনাস্থলেই দেখাচ্ছে। তার দেহে কোনো আঘাতের চিহ্ন মিলেনি। এরপরও ঘটনাটিকে রহস্যজনক ধরে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ।

;

গ্যাস-বিদ্যুৎ-সারের দাম বাড়ানোর সুপারিশ আইএমএফ’র



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটের ভারসাম্য ঠিক রাখতে ও ভর্তুকি সহনীয় পর্যায়ে রেখে সার, বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম সমন্বয়ের (বাড়ানো) সুপারিশ করেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) প্রতিনিধিদল।

অর্থবিভাগের বাজেট অনুবিভাগের সঙ্গে এক বৈঠকে বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) এ সুপারিশ করেছে ঋণ কর্মসূচির আওতায় শর্ত বাস্তবায়ন পর্যবেক্ষণে আসা আইএমএফ’র প্রতিনিধিদল।

প্রতিনিধিদলটি ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপিদের বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে তাও জানতে চেয়েছে। এছাড়া লক্ষ্যভিত্তিক খেলাপিঋণ কমানো বিশেষ করে সরকারি মালিকানার ব্যাংকগুলোর খেলাপিঋণ কমিয়ে আনা এবং প্রক্রিয়াধীন থাকা ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান সংক্রান্ত আইনগুলোর দ্রুত বাস্তবায়নের তাগিদ দিয়েছে।

অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, অর্থবিভাগের বাজেট অনুবিভাগের সঙ্গে ভর্তুকি নিয়ে বৈঠক করে মিশনের একটি অংশ, ভর্তুকি কমিয়ে আনেত পেট্রোলিয়াম পণ্যের জন্য একটি পর্যায়ক্রমিক সূত্র-ভিত্তিক মূল্য সমন্বয় ব্যবস্থা গ্রহণ করায় সরকারকে স্বাগত জানায়।

তবে সার্বিক বাজেট ব্যবস্থাপনার উন্নয়নে অন্যান্য খাতে ভর্তুকি কমিয়ে আনার জন্য বিদ্যুৎ, গ্যাস ও সারের দাম বাড়ানোর সুপারিশ করেছে। এ প্রসঙ্গে অর্থ বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, খাদ্য নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রেখে আপাতত কৃষিতে পর্যাপ্ত ভর্তুকি দিয়ে যাবে সরকার। তবে বিদ্যুৎ ও গ্যাসে ভর্তুকি কমাতে পর্যায়ক্রমে এসবের দাম বাড়ানো হবে।

আইএমএফের ডেভেলপমেন্ট মাইক্রোইকোমিক্স ডিভিশনের প্রধান ক্রিস পাপাগেওর্জিউ–এর নেতৃত্বে প্রতিনিধিদলটি অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সঙ্গে বৈঠক করে এসব পর্যবেক্ষণ তুলে ধরে।

বৈঠকে সরকারের পক্ষে নেতৃত্ব দেন আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব শেখ মোহাম্মদ সলীম উল্লাহ। এ সময় আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের কর্মকর্তারাসহ সোনালী ব্যাংকের এমডি মো. আফজাল করিমসহ জনতা, অগ্রণী ও রূপালী ব্যাংকের এমডিরাও উপস্থিত ছিলেন।

;

রাতের আঁধারে শিক্ষার্থীদের ক্লাস, অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ৬



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গাজীপুর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

গাজীপুরের কালিয়াকৈরে আফাজ উদ্দিন মেমোরিয়াল স্কুল ও কলেজ নামে বেসরকারি একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে রাতের আঁধারে ক্লাস করাতে গিয়ে ছয় শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছে। বিষয়টি গোপন রেখে অসুস্থ ওই শিক্ষার্থীদের কালিয়াকৈর সদরের রুমাইসা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পরে তাদের পরিবারের সদস্যরা খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে আসেন।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার টান কালিয়াকৈর এলাকার আফাজ উদ্দিন মেমোরিয়াল স্কুল ও কলেজের একটি ক্লাস কক্ষে এ ঘটনা ঘটে।

তবে তাৎক্ষণিকভাবে অসুস্থ শিক্ষার্থীদের নাম পরিচয় জানা যায়নি।

স্থানীয় ও শিক্ষার্থীদের পরিবার সূত্র জানায়, সারাদেশে তীব্র তাপদাহের কারণে স্কুল কলেজ বন্ধ থাকলেও বৃহস্পতিবার রাতে এইচএসসি পরিক্ষার্থীদের রাতের আঁধারে ক্লাস করানো হচ্ছিল। এসময় তীব্র গরমে ৬ শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে তাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নিজস্ব মাইক্রোবাসে করে হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে কয়েকজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন ছুটে এসে তাদের চিকিৎসা দিয়ে বাড়ি নিয়ে যায়।

অন্যদিকে কিছু শিক্ষার্থীর অবস্থা বেশি খারাপ থাকায় তাদের পার্শ্ববর্তী জেলা টাঙ্গাইলের মির্জাপুর কুমুদিনী সরকারি কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয় বলে জানা যায়।

এ বিষয়ে জানতে আফাজ উদ্দিন মেমোরিয়াল স্কুল ও কলেজের পরিচালক মো. সোহাগ রহমানের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে কল করলে তাকে পাওয়া যায়নি।

তবে ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নৈশপ্রহরী নাম প্রকাশ না করে বলেন, ভেতরে ক্লাস চলছিল। কিছুক্ষণ পর গরমে অনেকেই ক্লান্ত হয়ে যায়। পরে তাদের হাসপাতালে নেওয়া হয়।

;

চুয়াডাঙ্গায় সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল চালক নিহত



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চুয়াডাঙ্গা
চুয়াডাঙ্গায় সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল চালক নিহত

চুয়াডাঙ্গায় সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল চালক নিহত

  • Font increase
  • Font Decrease

চুয়াডাঙ্গায় লাটাহাম্বারের সঙ্গে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে টুটুল হোসেন (১৮) নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন অপর দুই আরোহী মিলন হোসেন (২৫) ও জাব্বারুল (১৭)।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) রাত ১০টার দিকে চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার হাটবোয়ালিয়া সড়কের খোরদ কবরস্থানের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

খবর পেয়ে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশে নিহত টুটুলের মরদেহ উদ্ধার করে ও আহত দুজনকে চিকিৎসার জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে পাঠায়।

নিহত টুটুল আলমডাঙ্গার ভাংবাড়িয়া ইউনিয়নের মহেশপুর গ্রামের ইলিয়াস হোসেনের ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার বিকেলে টাইলস কিনে চুয়াডাঙ্গা শহর থেকে মহেশপুর গ্রামে ফিরছিলেন টুটুলের পিতা ইলিয়াস। পথে ভালাইপুর বাজারের অদূরে টাইলসবাহী গাড়িটি বিকল হয়ে পড়লে ইলিয়াস ছেলে টুটুলকে ফোন দিয়ে ডাকেন। টুটুল মোটরসাইকেলযোগে বাড়ি থেকে মিলন ও জাব্বারুলকে নিয়ে ভালাইপুরের উদ্দেশে বের হন। পথে হাটবোয়ালিয়া সড়কের খোরদ কবরস্থানের সামনে পৌঁছালে সামনে থেকে আসা একটি লাটাহাম্বারের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই টুটুলের মৃত্যু হয়।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. হাসানুজ্জামান বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় মিলন হোসেন ও জাব্বারুল নামের দুই যুবক জরুরি বিভাগে আসে। আহতদের মধ্যে মিলনের আঘাত গুরুতর হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। এবং জাব্বারুলকে ভর্তি রাখা হয়েছে।

আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ গণি মিয়া বলেন, ঘটনাস্থলেই টুটুলের মৃত্যু হয়। পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ না থাকায় লাশ ময়নাতদন্ত ছাড়াই হস্তান্তর করা হয়েছে।

;