পীরগাছায় জনপ্রিয় হচ্ছে বিষমুক্ত সবজি চাষ

  • উপজেলা করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, পীরগাছা (রংপুর)
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

জনপ্রিয় হচ্ছে বিষমুক্ত সবজি চাষ। ছবি: বার্তা২৪.কম

জনপ্রিয় হচ্ছে বিষমুক্ত সবজি চাষ। ছবি: বার্তা২৪.কম

রংপুরের পীরগাছায় বিষমুক্ত সবজি চাষ পদ্ধতি জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। এই পদ্ধতি ব্যবহার করে উৎপাদিত সবজির চাহিদা বেড়েছে। ফলে দাম ভাল পাওয়ায় কৃষকরা লাভবান হচ্ছেন।

উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্র জানায়, রাসায়নিক সার, বালাইনাশক ও আগাছানাশক বাদ দিয়ে সবুজ সার, কম্পোস্ট, জৈবিক বালাই দমন এবং যান্ত্রিক চাষাবাদ ব্যবহার করে শাকসবজি চাষই বিষমুক্ত জৈব সবজি উৎপাদন পদ্ধতি। এ পদ্ধতিতে প্রাকৃতিকভাবে ফসল উৎপাদনকে অগ্রাধিকার দেয়া হয়। কোনো রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার না হওয়ায় ফসল দূষিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না। ফলে বিষমুক্ত নিরাপদ শাকসবজি উৎপাদন নিশ্চিত হয়।

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার (৫ জানুয়ারি) উপজেলার তাম্বুলপুর ও ছাওলা ইউনিয়নে তিস্তার চরাঞ্চল ঘুরে দেখা যায়, কৃষকরা বিষমুক্ত সবজি উৎপাদনে জমিতে নেট ব্যবহার করছেন। এ পদ্ধতিতে উৎপাদিত ফসলের প্রচুর চাহিদা তৈরি হয়েছে। তাই কৃষকরা এ পদ্ধতিতে সবজি উৎপাদন করে বাজারজাত করছেন। বিষমুক্ত পদ্ধতিতে উৎপাদিত দেশি বেগুন, করলা, ফুলকপি ও পাতাকপি এখন বাজারেও পাওয়া যাচ্ছে।

কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বর্তমানে প্রতিটি ফসলে পোকার হাত থেকে বাঁচাততে কীটনাশক দিতে হয়। এতে সবজিও বিষযুক্ত হয়ে পড়ে। তাই কৃষকরা বিষমুক্ত সবজি আবাদে বিকল্প পদ্ধতি গ্রহণ করেছে। তারা পোকার হাত থেকে রক্ষা পেতে পুরো সবজি ক্ষেত নেট জাল দিয়ে ঘিরে রাখছে। এই পদ্ধতিতে চাষকৃত জমিতে কীটনাশক দিতে হয় না। আবার পোকা-মাকড় ও পশু-পাখির অত্যাচার থেকে বাঁচা যায়।

বিজ্ঞাপন

চর তাম্বুলপুর গ্রামের সবজি চাষি আব্দুর রহমান বলেন, ‘কিছুদিন আগেও কীটনাশক ছাড়া কোন সবজিই উৎপাদন সম্ভব ছিল না। যখন জানতে পারি ওই সবজির মাধ্যমে আমরাও বিষ খাচ্ছি। তখন থেকেই বিষমুক্ত সবজি উৎপাদন শুরু করছি।’

শিবদেব চরের কৃষক আব্দুর রহিম বলেন, এখন মানুষ স্বাস্থ্য সচেতন। তাই কীটনাশক দিয়ে উৎপাদিত সবজি কিনতে চায় না। তাই বিষমুক্ত সবজির চাহিদা বেড়েছে। দামও ভাল পাওয়া যাচ্ছে।

পীরগাছা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শামিমুর রহমান বলেন, ‘উপজেলায় দিনদিন বিষমুক্ত সবজি চাষ বেড়েছে। বিষমুক্ত সবজি চাষে উপজেলা কৃষি বিভাগ থেকে কৃষকদের উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে।’