৭০ হাজার বইয়ের পাঠক মাত্র ২শ



সিদ্দিকুর রহমান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
৭০ হাজার বইয়ের পাঠক মাত্র ২শ। ছবি: বার্তা২৪.কম

৭০ হাজার বইয়ের পাঠক মাত্র ২শ। ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বরিশাল: একটা সময় ছিল শিক্ষার্থীরা ক্লাসের পাশাপাশি গ্রন্থাগারে (লাইব্রেরি) বুঁদ হয়ে পড়ে থাকত। আগে নিত্য নতুন বিষয় জানা, দেশি-বিদেশি লেখকদের বই পড়ার জন্য কতো না আগ্রহ ছিল। কিন্তু সময়ের বিবর্তনে আজ সেটা অনেকাংশে কমে গেছে।

আধুনিক প্রযুক্তির ক্রমবিকাশের ফলে গ্রন্থাগার থেকে অনেকটা দূরে সরে যাচ্ছে শিক্ষার্থীরা। তবে এর বিপরীতেও আছে অনেকে। যারা কিনা এখনো একাডেমিক ক্লাসের পাশাপাশি দিনের অনেকটা সময় গ্রন্থাগারে পড়াশোনা নিয়ে ব্যস্ত থাকে। তবে এদের সংখ্যা খুবই কম।

বরিশাল বিভাগীয় সরকারি গণগ্রন্থাগার ঘুরে জানা গেছে, সেখানে প্রায় ৭০ হাজারের অধিক বই থাকা সত্ত্বেও তিনকক্ষ মিলিয়ে এর প্রতিদিনের পাঠক সংখ্যা সর্বোচ্চ দুইশ। মাঝে মাঝে এর কমও হয়।

এছাড়াও এর নিবন্ধিত সদস্য সংখ্যা রয়েছে অর্ধশতাধিকেরও কম। এর ফলে বিভাগীয় এই গণগ্রন্থাগারে কর্মরত কর্মচারীদের দিনের অনেকটা সময় এক প্রকার ঝিমিয়ে পার করতে হচ্ছে।

সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, চারতলা বিশিষ্ট এই গণগ্রন্থাগার ভবনটির বাইরের অংশে শ্যাওলা পড়ার কারণে প্রথমে গেট থেকে ভেতরে ঢুকতেই পাঠকদের মন ম্লান করে দেয়। আর পাঠকের সংখ্যা কম থাকায় অনেকটা নিস্তব্ধ অবস্থায় থাকে ভবনটি। ফলে এক প্রকার ভয়ও কাজ করে পাঠকদের মনে।

এদিকে প্রথমেই গণগ্রন্থাগারে শিশুদের জন্য রাখা পাঠকক্ষে গিয়ে দেখা গেল একজন কর্মচারী ছাড়া পুরো কক্ষটিই ফাঁকা পড়ে আছে। তবে কক্ষের স্বাক্ষর-বইতে প্রায় ৪৫ জন শিশু শিক্ষার্থীর স্বাক্ষর রয়েছে। যারা কিনা ওই দিন গণগ্রন্থাগারে বই পড়তে এসেছিল।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Sep/21/1537528259272.jpg

একই চিত্র চতুর্থ তলার বিজ্ঞান ও রেফারেন্স পাঠ কক্ষেও। এখানে মাত্র দুইজনকে কক্ষের দুই কর্নারে বসে পত্রিকা পড়তে দেখা গেছে। কিন্তু খাতায় দেখা গেল ৫০ জনের স্বাক্ষর। তবে এই দুটি কক্ষের থেকে সাধারণ কক্ষে প্রায় ২০ জন শিক্ষার্থীকে বই পড়া অবস্থায় দেখা গেছে। আর এই কক্ষের স্বাক্ষর বইতে সকাল থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত ৭৫ জন পাঠকের স্বাক্ষর রয়েছে।

গণগ্রন্থাগারের একাধিক কর্মচারী বার্তা২৪.কমকে জানান, বরিশাল বিভাগীয় সরকারি গণগ্রন্থাগারের শুরুর দিকে শিক্ষার্থীদের ভিড় লেগেই থাকত। কিন্তু এখন তিন ভাগের দুই ভাগ চেয়ারই ফাঁকা পড়ে থাকে। তাছাড়া এখন যারা আসছে তারাও নিয়মিত না। তবে বিভাগীয় এই গ্রন্থাগারে জবস কর্নার খোলায় ইদানিং পাঠকের সংখ্যা কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে।

এ সময় তারা আরও জানান, প্রচার–প্রচারণার অভাবেই আজ বিভাগীয় সরকারি গণগ্রন্থাগারের এই দশা। এছাড়া তথ্য প্রযুক্তির বিষয়টিও রয়েছে। এখন আর কেউ গ্রন্থাগারে আসতে চায়না। সবাই নিজ প্রয়োজন অনুযায়ী ইন্টারনেট থেকে তথ্য সংগ্রহ করছে।

সরকারি ব্রজমোহন কলেজের শিক্ষার্থী আবদুল ওয়াদুদ বার্তা২৪.কমকে জানান, বই পড়তে ধৈর্যের প্রয়োজন রয়েছে। এর ফলে অনেকেই এই গ্রন্থাগার মুখী হচ্ছে না।

তিনি আরও জানান, হিসাববিজ্ঞানের ছাত্র হলেও বাংলা সাহিত্যের বিভিন্ন বই পড়তে তার ভালো লাগে। তাই প্রতিদিন ক্লাস শেষে এখানে বই পড়তে আসেন। এ সময় প্রচারণার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের গ্রন্থাগার মুখী করার জন্য কর্তৃপক্ষকে জোরালো পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য আহ্বান জানান ওয়াদুদ।

এদিকে এই গণগ্রন্থাগারে বেশ কয়েকটি পদ শূন্য রয়েছে। রয়েছে আরও বেশকিছু সমস্যা।

বরিশাল বিভাগীয় সরকারি গণগ্রন্থাগারের প্রিন্সিপাল লাইব্রেরিয়ান ও কাম-উপপরিচালক মিছবাহ উদ্দিন বার্তা২৪.কমকে জানান, এই গণগ্রন্থাগারে জনবলের সংকট রয়েছে। তবে দৈনিক পাঠকের সংখ্যা তিনশ থেকে চারশ বলে দাবি করেন তিনি।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Sep/21/1537528320199.jpg

আর জনবল সমস্যা সমাধানে সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোকে চিঠি দিলেও তারা কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না বলে জানান বিভাগীয় গণগ্রন্থাগারের এই কর্মকর্তা।

উল্লেখ, ২০০৬ সালে নির্মিত এই ৪ তলা ভবনটিতে ২ হাজার ৩৪০ বর্গফুট জায়গা জুড়ে ৬৪ হাজার ৪০০ বইয়ের সমাহার নিয়ে যাত্রা শুরু করে বিভাগীয় সরকারি গণগ্রন্থাগার। আজ বই সংগ্রহের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭০ হাজার ৯৭৩টি। বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা বিষয় ছাড়াও কম্পিউটার, ইংরেজি, মুক্তিযুদ্ধ, অর্থনীতি, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, ইতিহাসসহ বিভিন্ন বিষয়ের উপর বই রয়েছে। বড়দের পাশাপাশি রয়েছে শিশুদের জন্যও বই।

এছাড়াও গ্রন্থাগারে বিশেষত বঙ্গবন্ধু কর্নার ও জবস কর্নার নামে দুটি কর্নার রয়েছে। যেখানে বঙ্গবন্ধু ও চাকরি সম্পর্কিত একাধিক বই রয়েছে।

এদিকে গণগ্রন্থাগারে প্রতিদিন ১৯টি জাতীয় পত্রিকা এবং ৬টি আঞ্চলিক পত্রিকা পাঠকদের পড়ার জন্য রাখা হয়। তাছাড়া সপ্তাহে শনিবার থেকে বুধবার পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৬টা পর্যন্ত এই বিভাগীয় সরকারি গণগ্রন্থাগার খোলা থাকে।

   

বগুড়ায় ১৪০ জাল নোটসহ কারবারি গ্রেফতার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম,বগুড়া
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বগুড়ার কাহালু থেকে জাল নোট কারবারি চক্রের এক সদস্যকে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এ সময় তার হেফাজতে থাকা ৭০ হাজার টাকা মূল্যের ১৪০ টি ৫০০ টাকার জাল নোট উদ্ধার করা হয়েছে।

শুক্রবার (১৭ মে) বগুড়া জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ইনচার্জ মোস্তাফিজ হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

গ্রেফতার রফিকুল ইসলাম নওগাঁ জেলার রানীনগর উপজেলার খাসর পারইল গ্রামের বাসিন্দা।  

বৃহস্পতিবার রাত ১০ টার দিকে কাহালু উপজেলার কাজীপাড়া বাজার থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

ডিবি পুলিশের ইনচার্জ জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ডিবি পুলিশের একটি দল কাহালুর কাজীপাড়া বাজার এলাকা থেকে রফিকুল ইসলামকে আটক করে। পরে তার দেহ তল্লাশি করে ১৪০ টি ৫০০ টাকার জাল নোট উদ্ধার করা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রফিকুল পুলিশকে জানায়  কোরবানির গরুর হাটে জাল নোট চালানো উদ্দেশ্যে তিনি বগুড়ায় আসেন। তার নামে জাল নোট এবং চেক জালিয়াতির অভিযোগে নওগাঁ সদর, রানীনগর, বগুড়ার আদমদিঘী ও দুপচাঁচিয়া ৫ টি মামলা রয়েছে বলে ডিবি পুলিশ জানায়।

রফিকুল ইসলামের নামে ডিবি পুলিশের এসআই মজিবর রহমান বাদী হয়ে কাহালু থানায় মামলা করেছেন।

;

বাসাবোতে নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে ৩ শ্রমিকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর সবুজবাগ থানার বাসাবো এলাকায় নির্মাণাধীন ১০ তলা ভবন থেকে নিচে পড়ে গিয়ে তিন শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাস্থলে দুই শ্রমিকের মৃত্যুর পর মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন আরও এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়।

নিহত শ্রমিকরা হলেন- আলতাবুর, অন্তর ও মফিজুল। সর্বশেষ মুক্তা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান মফিজুল।

শুক্রবার (১৭ মে) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করে সবুজবাগ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) প্রলয় কুমার সাহা।

তিনি বলেন, বাসাবো একটি নির্মাণাধীন ১০ তলা পবন থেকে পড়ে আলতাবুর ও অন্তর সকালে মারা যান। এ ঘটনায় শ্রমিক মফিজুল গুরুতর আহত হলে তাকে মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। এখানে তিনি দুপুর ২ টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। নিহত মফিজুলের মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। আলতাবুর ও অন্তরের মরদেহ আগেই দাতা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

এর আগে শুক্রবার (১৭ মে) সকাল ১০টা দিকে বাসাবোর ৭ নম্বর মায়াকানন মসজিদের পেছনে ১০ তলা ভবনের উপর থেকে পড়ে দুই শ্রমিকের মৃত্যু হয়। নিহতদের মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

;

খাগড়াছড়িতে ঈশ্বরী বালা হত্যাকাণ্ডের আসামি গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, খাগড়াছড়ি
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

খাগড়াছড়িতে ঈশ্বরী বালা ত্রিপুরার হত্যাকাণ্ডের অজ্ঞাত থাকা আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (১৭ মে) দুপুরে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার মুক্তা ধর বলেন, নিহত ঈশ্বরী বালা ত্রিপুরার গলা ও কানে পরিধেয় স্বর্ণের চেইন ও কানের দুল ছিনিয়ে নেয়ার পর বিষয়টি জানাজানি হওয়ার ভয়ে তাকে খুন করে পূর্ব পরিচিত বিবেকানন্দ ত্রিপুরা। প্রথমে কিল-ঘুষি মারার পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয় তাকে। এরপর মরদেহ গুম করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, বুধবার (১৫ মে) মরদেহ উদ্ধারের পর অজ্ঞাত আসামি করে একটি হত্যা মামলা করা হয়। মামলা গ্রহণের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আসামিকে পানছড়ি উপজেলার লোগাং এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। আসামি ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময়ে ধরা পড়ে।

খাগড়াছড়ি সদর থানার ওসি তানভীর হাসান সংবাদ সম্মেলনে বলেন,  প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার দায় স্বীকার করে আসামি এবং স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে স্বর্ণালংকারও উদ্ধার করা হয়েছে। আসামি আর্থিক দায়গ্রস্ত থাকায় স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নেয় বলে পুলিশকে জানায়। কিন্তু ঈশ্বরী ত্রিপুরা বিষয়টি জানিয়ে দিবেন বলায় ভয়ে তাকে হত্যা করে। 

উল্লেখ্য, গত শনিবার রাতে পাশের বাড়ি থেকে মোবাইল চার্জ দিয়ে ফেরার পথে নিখোঁজ হন ঈশ্বরী ত্রিপুরা। নিখোঁজের ৫ দিন পর জেলা সদরের ভাইবোনছড়া ইউনিয়নের কলাবন নামক এলাকা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। 

;

রংপুরে সিলগালা সিগারেট ফ্যাক্টরিতে চোরের উৎপাত, অতিষ্ঠ কর্তৃপক্ষ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
রংপুরে সিলগালা সিগারেট ফ্যাক্টরিতে চোরের উৎপাত, অতিষ্ঠ কর্তৃপক্ষ

রংপুরে সিলগালা সিগারেট ফ্যাক্টরিতে চোরের উৎপাত, অতিষ্ঠ কর্তৃপক্ষ

  • Font increase
  • Font Decrease

রংপুর নগরীর রবার্টসনগঞ্জ এলাকায় অবস্থিত সিলগালা করা গোল্ডস্টার সিগারেট ফ্যাক্টরির যন্ত্রাংশ চুরি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এ ঘটনায় চিহ্নিত ২জনকে আসামিসহ অজ্ঞাত আরো ৫/৬ জনকে সহযোগী করে রংপুর মেট্রোপলিটন কোতয়ালী থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন প্রতিষ্ঠানটির ম্যানেজার মিথুন রায়।

এজাহার ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আলমনগর কলোনী এলাকার বাসিন্দা অসি মিয়া ও ৩ নং ইস্পাহানী ক্যাম্প এলাকার হোসেন আলী অজ্ঞাতনামা আরও ৫/৬ মিলে গত ১৫ই মে গভীর রাতে ফ্যাক্টরির পিছনের দেয়াল টপকে ১৯টি মেশিনারিজ যন্ত্রাংশ চুরি করে যাওয়ার পথে ওই এলাকার বাসিন্দা হালিম, জামিল ও হানিফ মিয়া তাদের আটক করে। এতে ওই চোরেরা উল্টো ক্ষিপ্ত হয়ে অতর্কিত ভাবে তাদেরকেই মারধর করে ৮ টি যন্ত্রাংশ ফেলে বাকি ১১টি দামি যন্ত্রাংশ নিয়ে চলে যায়। ওই ফেলে যাওয়া চুরির মালামাল নৈশপ্রহরী জব্দ করে ফ্যাক্টরীতে রাখে। পরবর্তীতে ওই চোরেরা দলবদ্ধ হয়ে ফেলে রেখে যাওয়া চুরির মালামাল ছিনিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য অতর্কিত ভাবে ফ্যাক্টরীর ভিতরে ঢুকে নৈশপ্রহরী ইউনুস আলী ও তার স্ত্রী হাসনা হেনা বেগমকে মারধর করে এবং খুন জখম করার হুমকি ধামকি দিয়ে চলে যায়।

এ বিষয়ে নৈশপ্রহরী ইউনুস আলী বলেন, তারা প্রায় রাতেই আমাকে উদ্দেশ্য করে ঢিল ছুড়ে, আমার পরিবারের সদস্যদের অকারনে গালিগালাজ করে। ঘটনার দিন চুরি করা মালামাল ছিনিয়ে নিতে এসে তারা বেধরক ভাবে আমাকেসহ আমার স্ত্রীকে মারডাং করে এবং যে ভাবে হুমকি দিয়ে গেছে তাতে আমি ও আমার পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।

এ ঘটনায় অত্র প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার মিথুন রায় বলেন,এই প্রতিষ্ঠানটি সিলগালা হওয়ার পর থেকে চোরদের উৎপাতে অরক্ষিত হয়ে উঠেছে ফ্যাক্টরীটি। প্রায় প্রতিদিনই নতুন নতুন কৌশলে তারা চুরি করে যন্ত্রাংশ। এভাবে খুব ভোগান্তিতে আছি আমরা।

এর আগেও তারা কয়েকবার চুরি করতে এসেছিল। একারনে প্রতিবাদ করতে গেলে তাদের কাছে হতে হয় লাঞ্চিত। সম্প্রতি চুরি ও সন্ত্রাসী তান্ডবের ঘটনায় আমি বাদী হয়ে রংপুর মেট্রোপলিটন কোতয়ালী থানায় একটি এজাহার দায়ের করেছি।

এবিষয়ে আরপি এমপি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোন্তাসের বিল্লাহ এজাহার পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখছি।

;