যানজট নিরসনে কঠোর হওয়ার বার্তা মেয়র টিটুর

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ময়মনসিংহ
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

মসিকের শহীদ শাহাবুদ্দীন মিলনায়তনে মতবিনিময় সভা

মসিকের শহীদ শাহাবুদ্দীন মিলনায়তনে মতবিনিময় সভা

ময়মনসিংহ নগরীর যানজট নিরসনে এবার কঠোর হওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন সিটি করপোরেশনের মেয়র ইকরামুল হক টিটু। তিনি বলেন, যানজট নিরসনে আমরা দীর্ঘ সময় ধরেই কাজ করে যাচ্ছি। ইতিমধ্যে বিভিন্ন দফতর ও স্টেকহোল্ডারগণের সাথে একাধিকবার মিটিং করেছি এবং নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। সিটির নাগরিকদের জীবন সহজীকরণে এবং যানজট নিরসনে এখন কিছু কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

বুধবার (২০ জানুয়ারি) দুপুরে মসিকের শহীদ শাহাবুদ্দীন মিলনায়তনে এক মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে মেয়র এসব কথা বলেন। সিটি এলাকার যানজট নিরসনকল্পে বিভিন্ন দফতরের কর্মকর্তাবৃন্দ এবং অটোরিকশা ও রিকশা মালিক ও চালক সংগঠনসমূহের নেতৃবৃন্দের সাথে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

বিজ্ঞাপন

মেয়র টিটু তার বক্তব্যে বলেন, অটোরিকশা এবং রিকশার ক্ষেত্রে আমাদের সমস্যা দুইটি। একটি জাল লাইসেন্স বা লাইসেন্সবিহীন রিকশা বা অটোরিকশা এবং অপরটি রং পরিবর্তন করে রাস্তায় অটোরিকশা নামানো।

মেয়র জানান, জাল বা লাইসেন্স বিহীন কোন যান পাওয়া গেলে কোন ক্ষমা প্রদর্শন করা হবে না। দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। রং পরিবর্তন করে কেউ গাড়ি চালালে সর্বোচ্চ জরিমানার বিধান রেখে শাস্তির ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অতি অল্প সময়ের মধ্যেই মোটা চাকার রিকশা চলাচলও রংয়ের আওতায় আনা হবে। কোন রং দ্বারা বিভক্তি করা হবে তা দ্রুতই সিটি করপোরেশন থেকে জানিয়ে দেওয়া হবে। প্রাথমিকভাবে আগামী ১৫ দিন সচেতন করতে প্রচারণা চালানো হবে। এরপর আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি থেকে পুলিশ-প্রশাসন ও সরকারের অন্যান্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সহযোগে সিটি করপোরেশন কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

বিজ্ঞাপন

এছাড়াও সিটি মেয়র যানজট নিরসনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে একটি কমিটি গঠনের নির্দেশ দেন এবং সিটি সচিব রাজীব সরকারের নেতৃত্বে একটি কমিটির রূপরেখা উপস্থাপন করেন। জানান, দ্রুতই এ কমিটি কার্যকর হবে।

মেয়র টিটু আরও বলেন, আমরা বেড়িবাঁধের পাশে প্রায় আড়াই কিলোমিটার রাস্তা নির্মাণ করেছি। এটি প্রশস্ত করা এখন সময়ের দাবি। এটিও আমরা দ্রুততার সাথে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। তবে এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহযোগিতা কামনা করবো। যানজট নিরসনে পাটগুদাম বাসস্ট্যান্ডের পাশে আমরা পুলিশ বিভাগের অনুরোধে প্রায় ৯০ লাখ টাকা ব্যয়ে একটি বাইপাস সড়ক নির্মাণ করেছি যাতে মানুষের দুর্ভোগ নিরসন করা যায়। রাস্তায় নির্মাণ সামগ্রী রাখা এবং ফুটপাত দখলমুক্ত করার ব্যপারে আমরা কঠোর অবস্থানে রয়েছি। আমাদের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ তা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন।

এছাড়াও ভেতর দিয়ে গণপরিবহন যাতায়াত, সড়ক প্রশস্তকরণ, পাটগুদাম বাস টার্মিনাল স্থানান্তর, ট্রাক টার্মিনাল নির্মাণ ইত্যাদি বিষয়ে তার গৃহিত পদক্ষেপ ও পরিকল্পনা তুলে ধরেন মেয়র ইকরামুল হক টিটু।

এ সভায় সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, সিটি করপোরেশনের সচিব রাজীব সরকার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) শাহজাহান মিয়া, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আরিফুর রহমান, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. রাজীব উল আহসান, সহকারী কমিশনার শাহাদাত হোসেন, বিআরটিএ সহকারী পরিচালক মো. আব্দুল খালেক, ট্রাফিক ইন্সপেক্টর সৈয়দ মাহবুবুর রহমান, সড়ক ও জনপথ বিভাগের এসডিই মো. আজহারুল ইসলাম, মসিকের অন্যান্য কর্মকর্তা এবং অটোবাইক মালিক ও চালক এবং রিকশা মালিক ও চালক সংগঠনসমূহের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।