করোনার টিকা প্রয়োগে ৮৪ ডাক্তার-নার্সকে প্রশিক্ষণ ডিএসসিসি’র



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন এলাকায় করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন প্রয়োগের লক্ষ্যে ৮৪ জন ডাক্তার ও নার্সকে প্রশিক্ষণ প্রদান করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি)।

সোমবার (২৫ জানুয়ারি) সকাল ১০.০০টা থেকে নগর ভবনের মেয়র হানিফ অডিটোরিয়ামে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন প্রদান সংক্রান্ত প্রশিক্ষণের আয়োজন করে ডিএসসিসি।

প্রশিক্ষণে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা মেডিকেল কলেজ এবং মুগদা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ৩০ জন ডাক্তার ও ৫৪ জন নার্সকে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন প্রয়োগ সংক্রান্ত এই প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ডা. ফজলে শামসুল কবির ও ডা. নিশাত পারভীন প্রশিক্ষণের প্রশিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। দুজনেই স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রশিক্ষিত জাতীয় প্রশিক্ষক (মাস্টার ট্রেইনার) হিসেবে ইতোমধ্যে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। 

প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী বলেন, বৈশ্বিক মহামারীর শুরু থেকেই ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসের নির্দেশনা ও নেতৃত্বে কর্পোরেশন জনগণের পাশে থেকে এই দুর্যোগ মোকাবিলায় কাজ করে চলেছে। লকডাউন বাস্তবায়ন থেকে শুরু করে করোনায় ক্ষতিগ্রস্থ মানুষকে সহযোগিতা এবং সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী সকল বিষয়ে আমাদের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কাজ করে চলেছেন। সকলের আন্তরিক প্রচেষ্টায় করোনা মহামারী মোকাবিলায় আমরা লক্ষণীয় সাফল্য পেয়েছি।

কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন কার্যক্রম সফলভাবে সম্পন্ন করার আশাবাদ ব্যক্ত করে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, আমরা আশাবাদী, এই ভ্যাকসিন কার্যক্রমেও মেয়র মহোদয়ের নেতৃত্বে আমরা সফল হব।

পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগ্রেডিয়ার জেনারেল ডা. শরীফ আহমেদ বলেন, সব ভ্যাকসিনের একটি ছোটখাটো প্বার্শপ্রতিক্রিয়া থাকতে পারে। সবার শরীরে টিকার পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া সমানও হয় না, কারো কারো হতে পারে। এই টিকা নেওয়ার পর কারো যদি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়, সেই বিষয়ে আমাদের পরবর্তী ব্যবস্থাপনা কি হবে - সে বিষয়ে আমরা আজকে প্রশিক্ষণ দিচ্ছি। যে সকল হাসপাতালে এই ভ্যাকসিন কার্যক্রম শুরু হবে সেসব হাসপাতালের চিকিৎসকবৃন্দ, নার্সগণ - এই বিষয়ে প্রশিক্ষিত হবেন এবং টিকা প্রয়োগের পর কোন পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া হয়ে থাকলে, সে বিষয়ে তারা কোন ধরনের ব্যবস্থাপনা গ্রহণ করবেন - সেসব বিষয় নিয়েই আমাদের আজকের এই প্রশিক্ষণ। আপনাদের মাধ্যমে এটা জানাতে চাই যে, আপনারা জনগণকে উদ্বুদ্ধ করুন। জনসাধারণ যাতে পর্যায়ক্রমে এই ভ্যাকসিন নিতে পারেন এবং কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে আমাদের প্রতিরোধ যুদ্ধে যেন আমরা জয়ী হতে পারি।

প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে কোভিড-১৯ ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ উদাহরণ সৃষ্টি করেছে। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মধ্যে কোভিড-১৯ এর সামগ্রিক ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ ২০ নম্বর অবস্থানে আছে। আশা করছি, কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন প্রয়োগেও আমরা নজির স্থাপন করব। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আমরা কাজ করে যাচ্ছি এবং আগামী দিনে এই ভ্যাকসিন কার্যক্রম সুচারুভাবে সফল করার বিষয়েও আমরা আশাবাদী।

এ সময় ভ্যাকসিনের বিরুদ্ধে গুজব প্রতিরোধ করা সকলের দায়িত্ব এবং এ বিষয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের সহযোগিতা কামনা করে ডিএসসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বলেন, ভ্যাকসিন নিয়ে অহেতুক গুজব প্রতিরোধ করার দায়িত্ব আপনাদের, আমাদের, সবার। কারণ, এটা একটা ভ্যাকসিন। মানুষের ভালোর জন্য ভ্যাকসিন প্রয়োগের লক্ষে‌ আমরা দিনব্যাপী এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচি গ্রহণ করেছি। যাতে করে এই কার্যক্রমকে সুষ্টু-সুন্দরভাবে শেষ করতে পারি। এ বিষয়ে আপনাদের সহযোগিতা কামনা করি।

উল্লেখ্য যে, আগামী ২৭ জানুয়ারি করোনা ভ্যাকসিন কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তারপরের দিন অর্থাৎ ২৮ জানুয়ারি  থেকে ঢাকা মহানগরীর পাঁচটি মেডিকেল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে করোনা ভ্যাকসিন প্রয়োগ শুরু হবে। এর মধ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা মেডিকেল কলেজ এবং মুগদা মেডিকেল কলেজ এন্ড হসপিটাল ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের আওতাভুক্ত এলাকা বিধায় সংশ্লিষ্ট মেডিকেল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩০ জন ডাক্তার ও ৫৪ জন নার্সকে এই প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত এই ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হবে। এই ভ্যাকসিন দুটি ডোজে দেওয়া হবে। পয়েন্ট ফাইভ মিলিলিটার একটা ডোজ, তার আট সপ্তাহ পর দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হবে।

   

৪৩ ঘণ্টা পর সুন্দরবনের আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে: ফায়ার সর্ভিস



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বাগেরহাট
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবনে লাগা আগুন ৪৩ ঘণ্টা পর পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।

সোমবার (৬ মে) সকাল সাড়ে ১০টায় সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের পরিচালক (প্রশাসন) ও মেইনটেন্স লেফটেন্যান্ট কর্নেল তাজুল ইসলাম চৌধুরী।

তিনি বলেন, বনের আগুন নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করতে হয়। এটা সাধারণ কোন আগুন নয়। বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে অক্লান্ত পরিশ্রম করে সুন্দরবনের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। এ কাজে সকল সংস্থা সহযোগিতা করেছে। তবে আগুন পুরোপুরি নিভতে আরও দুই থেকে তিন সময় লাগতে পারে, তীক্ষ্ণভাবে চারদিকে নজর রাখা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

কর্নেল তাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, সুন্দরবনে প্রতিবছরই এই সময়ে আগুনের ঘটনা ঘটে। আর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে অনেক প্রতিকূলতার মুখোমুখি হতে হয়। তাই সবাইকে সতর্ক থাকবে হবে। যেহেতু সুন্দরবন আন্তর্জাতিক একটি ঐতিহ্য। তাই এই বনকে রক্ষার দায়িত্ব সবার।

খুলনাঞ্চলের বন সংরক্ষণ মিহির কুমার দো জানান, আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ আনতে সোমবার (৬ মে) ভোর থেকে তৃতীয় দফায় কাজ শুরু করা হয়। এখন কোথাও আগুন এমনকি ধোঁয়াও দেখা যাচ্ছে না। কাজেই আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আছে। তবে যেহেতু বনের আগুন তাই বনবিভাগের পক্ষ থেকে আরও দুই দিন এই এলাকা পর্যবেক্ষণে রাখা হবে।

গত শনিবার (৪ মে) দুপুরে সুন্দরবনের আমরবুনিয়ার লতিফের ছিলা এলাকায় আকস্মিক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এদিকে, আগুন লাগার সঠিক কারণ এখনও জানাতে পারেনি বনবিভাগ। তবে তা উদঘাটনে কাজ করছে বনবিভাগের তদন্ত কমিটি।

;

বড় ভাইয়ের অস্ত্রের আঘাতে ছোট ভাইয়ের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাতক্ষীরা
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

টাকা পয়সা লেনদেনের জের ধরে বড় ভাইয়ের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আজিবার রহমান নামে একজন নিহত হয়েছেন। 

সোমবার (৬ এপ্রিল) খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্তায় মৃত্যু হয় তার ।

তিনি সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বলাডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা । এর আগে শুক্রবার (৩ মে) রাতে সাতক্ষীরার সদর উপজেলার বলাডাঙ্গা গ্রামে দুই ভাইয়ের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।

নিহতের মেঝো ভাই রস্তম আলী জানান, বড় ভাই আফসার আলী ও ছোট ভাই আজিবর রহমান গরুর মাংসের ব্যবসা করত। শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে তাদের ব্যবসার টাকা নিয়ে প্রথমে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে বড় ভাই আফসার আলী ঘর থেকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আজিবর রহমানের শরীরের এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। ওই সময় আহত অবস্থায় প্রথমে ছোটভাই আজিবর রহমানকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তার অবস্থার অবনতি হলে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সোমবার (৬ মে) সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্তায় মৃত্যু হয় তার।

সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহিদুল ইসলাম জানান, নিহতের মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। শুক্রবারে রাতের ঘটনায় আফসার আলীর নামে একটি মামলা হয়েছে। মামলাটি এখন হত্যা মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হবে । মামলার আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলেছে বলে জানান ওই পুলিশ কর্মকর্তা।

;

সুন্দরবনে আগুন: ধোঁয়া দেখলেই পানি দেওয়া হচ্ছে



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম,বাগেরহাট
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

বাগেরহাটের আমরবুনিয়ার লতিফের ছিলা এলাকায় পূর্ব সুন্দরবনে আগুন লাগা স্থানের কোথাও ধোঁয়া দেখা গেলে পানি দেওয়া হচ্ছে। পুনরায় আগুন লাগার বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে।

তৃতীয় দিনের মতো সোমবার (৬ মে) সকাল ৭টা থেকে শুরু হয়েছে এ কাজ। অগ্নিকাণ্ডের এলাকা সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের জিউধারা স্টেশনের আমরবুনিয়া টহল ফাঁড়ির লতিফের ছিলায় পানি ছেটানো শুরু করেছে ফায়ার সার্ভিস ও বন বিভাগ। স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবীদের পাশাপাশি তাদের সহযোগিতা করছে নৌ বাহিনী ও কোস্টগার্ড।

বনের লতিফের ছিলা ও ড্রেনের ছিলার মাঝামাঝি এলাকায় আগুন লাগার বিষয়টি গত শনিবার নজরের আসার পর থেকেই নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে বন বিভাগ, কমিউনিটি প্যাট্রলিং গ্রুপ (সিপিজি), ভিলেজ টাইগার রেসপন্স টিমের (ভিটিআরটি), টাইগার টিমসহ স্থানীয় সেচ্ছাসেবী ও বনজীবীরা। তবে ঘটনাস্থল থেকে পানির উৎস দূরে হওয়াতে এবং দুর্গম পথের কারণে প্রথম দিনে সেখানে পানি ছেটানো সম্ভব হয়নি।


সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জ সহকারী বন সংরক্ষক রানা দেব বলেন, ‘গত রাত ১টা পর্যন্ত বন বিভাগ এককভাবে আগুন নেভাতে পাম্প মেশিন দিয়ে পানি স্প্রে করেছে। এর ফলে এখন আর কোথাও তেমন একটা আগুন দেখা যাচ্ছে না। যেখানে ধোঁয়া দেখা যাচ্ছে সেখানেই পানি দেওয়া হচ্ছে। নিয়ন্ত্রিত আগুন পুরোপুরি নেভাতে সোমবার সকাল ৭টা থেকে বন বিভাগকে সহায়তা করছেন নৌবাহিনী ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা।’

তিনি আরও বলেন, ‘আগামী দুই দিন ধরে এ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে রেখে পানি ছিটানো হবে। তবে আপাতত আর ভয়ের কোনও কারণ নেই। কারণ আগুন যাতে আর ছড়াতে না পারে সেজন্য রবিবার ফায়ার লাইন কেটে সেখানে পানি দিয়ে রাখা হচ্ছে। আর আগুনের অস্তিত্ব তেমন একটা নেই, শুধু কিছু কিছু জায়গায় ধোঁয়া রয়েছে।’

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এস এম তারেক সুলতান বলেন, সোমবার ভোর ৬টা থেকে পানি দেওয়া শুরু হয়েছে। পূর্ণ শক্তি দিয়ে পানি দেওয়ার কাজ চলছে। সে কারনে আগুন আর বাড়তে পারেনি। আশা করছি আজকের মাঝে আমরা এটা ফলাফল পাব।

প্রধান বন সংরক্ষক (সিসিএফ) মো. আমীর হোসাইন চৌধুরী জানান, অগ্নিকাণ্ডে সুন্দরবনের ৫ একর বনভূমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকতে পারে। তদন্ত রিপোর্ট শেষে বিস্তারিত জানাতে পারব।

;

অবৈধভাবে টিভি চ্যানেল প্রদর্শন বন্ধে কার্যক্রম শুরু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

অবৈধভাবে দেশি-বিদেশি টিভি চ্যানেল প্রদর্শন ও লাইসেন্সবিহীন বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালনা বন্ধে কার্যক্রম শুরু করেছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়।

সোমবার (৬ মে) তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. ইফতেখার হোসেন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা যায়। 

গত ২ এপ্রিল তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাতের সভাপতিত্বে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে অনুষ্ঠিত এক সভায় এ সংক্রান্ত দশটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়।

সিদ্ধান্তগুলো হলো-

কেবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক পরিচালনা আইন, ২০০৬ এর অধীনে অনুমোদিত সেবা প্রদানকারীগণই সরকার কর্তৃক অনুমোদিত দেশি ও বিদেশি চ্যানেলসমূহ গ্রাহকের নিকট বিতরণ করতে পারবে।

ক্লিনফিড ছাড়া বিদেশি চ্যানেল কিংবা অননুমোদিত কোনো চ্যানেল ডাউনলিংক, সম্প্রচার, সঞ্চালন বা বিতরণ করা যাবে না।

সেট-টপ বক্স অবৈধভাবে আমদানি ও বাজারজাত করা যাবে না।

টিভি চ্যানেল স্ট্রিমিং এর অ্যাপসসমূহ ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করে প্রচারণা করা কিংবা এ ধরণের অ্যাপস সেট-টপ-বক্সে ইনস্টল করে বিক্রি করা সম্পূর্ণরূপে অবৈধ। এর বিরুদ্ধে বিটিআরসি আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

বাংলাদেশের নিরাপত্তার স্বার্থে, সরকারের রাজস্ব আহরণ বৃদ্ধির স্বার্থে, বিদেশে অর্থ পাচার রোধে এবং দেশের শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও মূল্যবোধ সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে যেকোনো অবৈধ কার্যক্রমের বিরুদ্ধে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এবং ডাক, টেলিযোগযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় প্রচলিত আইন ও বিধি মোতাবেক প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।

কেবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক পরিচালনা আইন, ২০০৬ এর ৩ (১) ধারা অনুযায়ী, কোনো ডিস্ট্রিবিউটর বা সেবাপ্রদানকারী নির্ধারিত আবেদনপত্রের ভিত্তিতে সরকার কর্তৃক অনুমোদিত চ্যানেল ব্যতিত অন্য কোন চ্যানেল বাংলাদেশে ডাউনলিংক, বিপণন, সঞ্চালন বা সম্প্রচার করতে পারবে না।

এছাড়া, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় হতে বিদেশি টিভি চ্যানেলের অনুষ্ঠান ক্লিনফিড সম্প্রচারের বিষয়ে নির্দেশনা প্রদান করেছে বিধায় কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান ক্লিনফিড ব্যতিত বিদেশি টিভি চ্যানেলের অনুষ্ঠান সম্প্রচার বা সঞ্চালন করতে পারবে না।

কেবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক পরিচালনা আইন, ২০০৬ এর ৩(২) ধারা অনুযায়ী, কোন ডিস্ট্রিবিউটর বা সেবাপ্রদানকারী সরকার অনুমোদিত চ্যানেল ব্যতিত নিজস্ব কোন অনুষ্ঠান যথা: ভিডিও, ভিসিডি, ডিভিডি এর মাধ্যমে অথবা অন্য কোন উপায়ে কোন চ্যানেল বাংলাদেশে বিপণন, সঞ্চালন ও সম্প্রচার করতে পারবে না। আইন অমান্য করে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান দেশি বা বিদেশি টিভি চ্যানেলের ফিড বা নিজস্ব কোনো চ্যানেল সম্প্রচার বা সঞ্চালন করতে পারবে না।

কেবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক পরিচালনা আইন, ২০০৬ এর ৪(১) ধারা অনুযায়ী, লাইসেন্সপ্রাপ্ত না হয়ে কোন ব্যক্তি, ডিস্ট্রিবিউটর বা সেবাপ্রদানকারী হিসাবে কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবে না। তাই লাইসেন্সধারী ডিস্ট্রিবিউটর বা সেবাপ্রদানকারীগণ ব্যতিত অন্য কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান টিভি চ্যানেল বা অনুষ্ঠান সঞ্চালন বা সম্প্রচার করতে পারবে না।

অনুমোদিত ডিস্ট্রিবিউটরগণ এই সিদ্ধান্তসমূহ তাদের বিদেশি টিভি চ্যানেল সম্প্রচারকারীদের লিখিতভাবে অবহিত করবে।

আইন/নীতিমালা বহির্ভূত, অবৈধ বা অননুমোদিতভাবে সম্প্রচার কাজে জড়িত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এ সিদ্ধান্তসমূহ বাস্তবায়নে গত বৃহস্পতিবার (২ মে) সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের চিঠি দিয়েছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়।

;