পরিকল্পিতভাবে একদিন আগেই প্রবেশপত্র দিয়ে নিয়োগ পরীক্ষা!
রংপুরের পীরগাছার একটি মাদরাসায় নিরাপত্তা প্রহরী ও আয়া পদে নিয়োগ পরীক্ষার একদিন আগে প্রবেশপত্র দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় পরীক্ষা বাতিলের দাবিতে সংশ্লিষ্ট দফতরে লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা।
মঙ্গলবার (২৬ জানুয়ারি) বিকাল ৩টায় রংপুর জেলা শিক্ষা অফিসে এ নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
অভিযোগে জানা যায়, উপজেলার পশ্চিমদেবু দাখিল মাদরাসার সৃষ্ট নিরাপত্তা প্রহরী ও আয়া পদে নিয়োগের জন্য সম্প্রতি পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। বিজ্ঞপ্তি দেখে সামিউল ইসলাম নিরাপত্তা প্রহরী ও শেফালী বেগম আয়া পদে আবেদন করেন।
পশ্চিমদেবু দাখিল মাদরাসার সুপার ও সভাপতি ইতিপূর্বে কৌশলে চাকরি দেওয়ার কথা বলে সামিউলের বাবার কাছ থেকে ৪ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন। তারা চূড়ান্ত নিয়োগের জন্য আবারও সামিউলের বাবার নিকট ৫ লাখ টাকা দাবি করেন। কিন্তু তিনি টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
এরই এক পর্যায়ে গত রোববার (২৪ জানুয়ারি) রাতে ১০টার দিকে নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য প্রবেশপত্র দেওয়া হয়। অথচ নিয়োগ পরীক্ষা মঙ্গলবার (২৬ জানুয়ারি) বিকাল ৩টায় উল্লেখ করা হয়। একদিন আগে প্রবেশপত্র দেওয়ায় কর্মের সন্ধানে ঢাকায় থাকা নিরাপত্তা প্রহরী পদে আবেদনকারী সামিউল ইসলাম পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারেননি।
এদিকে নিরাপত্তা প্রহরী পদে জসিম উদ্দিন ও আয়া পদে হালিমা বেগমকে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে আগেই চূড়ান্ত করা হয়েছে বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।
সামিউলের বাবা জহুরুল হক জানান, সভাপতি ও সুপার আমার ছেলেকে নিয়োগ দেওয়ার কথা বলে ৪ লাখ টাকা নেন। নতুন করে আরও টাকা চেয়েছিলেন। টাকা দিতে না পারায় আমার ছেলে ঢাকায় থাকার সুযোগ নিয়ে একদিন আগে প্রবেশপত্র দিয়েছে।
শেফালী বেগমের স্বামী আতাউল রহমান বলেন, সভাপতি তার ভাতিজা বউকে আয়া পদে নিয়োগ দেওয়ার জন্যই আমার স্ত্রীকে একদিন আগে প্রবেশপত্র দেন।
পশ্চিমদেবু দাখিল মাদরাসার সুপার মুসলিম উদ্দিন বলেন, পরীক্ষার্থীদের কয়দিন আগে প্রবেশপত্র দিতে হবে তা আমার জানা নেই। ওই মাদরাসার সভাপতি আবুল কালাম আজাদ খোকা টাকা নেওয়ার কথা অস্বীকার করে বলেন, পরীক্ষায় যে প্রার্থী পাস করবে তাকেই নিয়োগ দেওয়া হবে।
রংপুর জেলা শিক্ষা অফিসার রুখসানা বেগম বলেন, বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্থানীয় কমিটি টাকা-পয়সা নিয়ে নিয়োগ দিলেও আমাদের কিছু করার থাকে না।