পাপুলের এমপি পদ এখন স্পিকারের হাতে



শাহজাহান মোল্লা, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
কুয়েতে গ্রেফতার লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মাদ শহিদুল ইসলাম পাপুল

কুয়েতে গ্রেফতার লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মাদ শহিদুল ইসলাম পাপুল

  • Font increase
  • Font Decrease

কুয়েতে গ্রেফতার লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মাদ শহিদুল ইসলাম পাপুলকে ঘুষ দেওয়ার অভিযোগে চার বছরের কারাদণ্ড এবং ১০ লাখ কুয়েতি দিনার (২৮ কোটি টাকা) জরিমানা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৮ জানুয়ারি) রাতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে এতথ্য জানা গেছে। এখন পাপুলের সংসদ সদস্য পদ থাকার সিদ্ধান্তটা স্পিকারের হাতে!

একাদশ জাতীয় সংসদের এই সদস্য কুয়েতে গ্রেফতার হওয়ার পর বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠেছিল একজন আইন প্রণেতা যখন মানব পাচারের মতো অপরাধ করে তখন তার সংসদ সদস্য পদ থাকে কী করে?

কোন সংসদ সদস্যের সাজা হলে এমপি পদের যোগ্যতা নিয়ে আইনি ব্যাখা জানতে চাইলে জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট মো. ফজলে রাব্বী মিয়া বার্তা২৪.কম-কে বলেন, “একজন সংসদ সদস্য যদি কোন মামলায় দুই বছর বা তদুর্ধ্ব সময় সাজাপ্রাপ্ত হন এবং সেই সাজা যদি নৈতিকস্খল হয়। আর সেই বিষয়টা সরকার বা কোন কর্তৃপক্ষ সংসদকে যদি অবহিত করেন যে আপনার ওই আসনের অমুক এমপি এই মামলায় এই ধারায় এতো বছরের কারাদণ্ড হয়েছে এবং সেটাকে আমরা নৈতিকস্খল বলে বিবেচনা করি তখন সংসদ সেই বিষয়ে চিন্তাভাবনা করে কাগজপত্র দেখে তাকে তখন ‘ডিজমেম্বর’ (সংসদ সদস্য পদ থেকে বহিষ্কার) করতে পারে। তার আগে দেখভাল করার কোন সুযোগ সংসদের নেই।

অন্যদিকে কার্যপ্রাণালী বিধির ১৭২ বিধি অনুযায়ী “কোন সদস্য ফৌজদারি অভিযোগে বা অপরাধে গ্রেফতার হইলে কিংবা কোন আদালত কর্তৃক কারাদণ্ডে দণ্ডিত হইলে বা কোন নির্বাহী আদেশক্রমে আটক হইলে ক্ষেত্রমত গ্রেফতারকারী বা দণ্ডদানকারী বা আটককারী কর্তৃপক্ষ বা জজ বা ম্যাজিস্ট্রেট বা নির্বাহী কর্তৃপক্ষ তৃতীয় তফসিলে প্রদত্ত যথাযথ ফরমে অনুরূপ গ্রেফতার, দণ্ডাজ্ঞা বা আটকের কারণ বর্ণনাপূর্বক অবিলম্বে অনুরূপ ঘটনা স্পিকারকে জানাইবেন।”

এরপর কার্যপ্রণালী বিধির ১৭২ বিধি মোতাবেক পত্র পাইবার পর কার্যপ্রণালী বিধির ১৭৬ বিধি অনুযায়ী স্পিকার যথাশীঘ্র সংসদ অধিবেশনে থাকিলে সংসদে তাহা পাঠ করিবেন, কিংবা সংসদ অধিবেশন না চলিলে সদস্যদিগের অবগতির জন্য তাহা প্রচার করার নির্দেশ দিবেন।”

তবে শর্ত থাকে যে, “কোন সদস্যের জামিনে বা আপিলে খালাস হওয়ার সংবাদ যদি মূল গ্রেফতার সংসদকে জ্ঞাপনের পূর্বে পাওয়া যায়, তাহা হইলে অনুরূপ গ্রেফতার বা পরবর্তী মুক্তি বা খালাসের সংবাদ স্পিকার সংসদকে না জানাইলেও চলিবে।”

সংসদ সদস্য কাজী শহীদ ইসলাম পাপুল কুয়েতে গ্রেফতার হওয়ার বিষয়টি অফিসিয়ালি স্পিকারকে অবহিত হলে তখন হয়তো তখন তিনি সংসদের অধিবেশন অবহিত করতে পারেন।

এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বার্তা২৪.কম-কে বলেন,“ স্পিকারের নিকট বিষয়টা যে কোন ভাবেই আসতে পারে। এমনকি স্পিকার তো গণমাধ্যমের রিপোর্টটা আমলে নিতে পারেন। তাছাড়া যে কোন নাগরিকও দরখাস্ত দিতে পারে, নির্বাচন কমিশনও দিতে পারে, যে কোন ভাবেই হোক স্পিকারের নলেজে আসলেই হলো। এটা এমন কথা নাই যে স্পিকারকে সুনির্দিষ্ট কোন অথরিটি জানাতে হবে। আইনের স্প্রিট তো তা না, আইনে স্প্রিট হলো সাজাপ্রাপ্ত হলে তখন তার সংসদ সদস্য খারিজ হবে এবং স্পিকার সেটা করবে। অতএব যে কোন ভাবেই স্পিকার অবগত হলেই হবে। স্পিকারের যখনই জানবেন তখনই ব্যবস্থা নিতে পারে।”

তবে এক্ষেত্রে একটু সুযোগও রয়েছে বলে জানালেন এই আইনজীবী। তিনি বলেন, “একটা বিষয় আছে যখন বলা হবে কোর্টে রায় হয়েছে, কোর্টের রায় তো স্পিকারের সন্তষ্টি হতে চাইবে, সেই জায়গায় একটু তাকে কনভিন্স হওয়ার জন্য সময় নিতে হবে। শুধু বলেই দিলেই হবে না যে রায় হয়েছে রায়টাও স্পিকারকে জানতে হবে। সাজাটা স্পিকার দেখতে চাইবে। সেখানেও অনেক সুযোগ আছে স্পিকার চাইলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে জানতেই পারেন সেক্ষেত্রে কোন সময় লাগবে না। আর যদি সুযোগ দিতে চায় তাহলে ২,৪, ৬ মাস অপেক্ষাও করতে হতে পারে, রায় আসবে, কে পাঠাবে এগুলো তাদের সুযোগ সুবিধা আছে।” আইনি ব্যাখা দিয়ে আরো বলেন, স্পিকার নিজেও সংবাদমাধ্যমে জেনে আমলে নিতে পারেন। স্পিকারের নলেজে আসলেই হলো।

আপিল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে কি না জানতে চাইলে বলেন, “যে কোন সাজাই চূড়ান্ত হয় আপিলের পরে। এইক্ষেত্রে সাজা এবং জরিমানা হয়েছে। যদি জরিমানা স্থগিত হয় আপিলে সেক্ষেত্রে কিন্তু অযোগ্য হবেন। শুধু জরিমানা স্থগিত হলে হবে না সাজাও স্থগিত হতে হবে। আর সাজা যদি স্থগিত হয় তাহলে তাকে আর সাজাপ্রাপ্ত বলা যাবে না। আপিলটা চূড়ান্ত না হওয়া পর্যন্ত তাকে ‍চূড়ান্তভাবে সাজা বলা যাবে না। ওই জায়গায় সাজাটা যদি স্থগিত হয়ে যায় তাহলে সংসদ পদের অযোগ্যতা আর বিবেচনা হবে না। সেক্ষেত্রে আপিল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।”

এদিকে এমপি পাপুল সম্পর্কে সংসদে প্রশ্ন ওঠায় ২০২০ সালের ৮ জুলাই সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী সংসদে বলেছিলেন,“ সে কিন্তু স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য। সে কিন্তু নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য নমিনেশন চেয়েছিল আমি দেইনি। সে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য। নির্বাচনে ওই সিট জাতীয় পার্টিকে দিয়েছিলাম। জাতীয় পার্টির নোমান নমিনেশন পেয়েছিল সে নির্বাচন করেনি ওই লোক জিতে আসে। সে (পাপুল) কুয়েতের নাগরিক কিনা, সেটা কিন্ত কুয়েতের সাথে কথা বলছি, দেখবে। আর যদি এটা হয় তাহলে তার ওই সিট হয়তো খালি করে দিতে হবে। যেটা আইনে আছে সেটাই হবে।”

প্রসঙ্গত, গত মানবপাচার ও অর্থপাচারে জড়িত থাকার অভিযোগে গত ৭ জুন কুয়েত ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিনপার্টমেন্ট সিআইডি এমপি পাপুলকে আটক করে। তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ প্রসঙ্গে কুয়েতের কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, কাজী শহীদ ইসলামের বিরুদ্ধে মানবপাচার, অতিরিক্ত ভিসা নবায়ন ফি আদায়, কুয়েতের সরকারি কর্মকর্তাদের ঘুষ দেওয়াসহ বিভিন্ন অভিযোগ তদন্ত করছে কুয়েত ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট- সিআইডি। তার বিরুদ্ধে ১১ জন বাংলাদেশি সাক্ষীও দিয়েছেন।

এছাড়া পাপুলের বেশ কয়েকটি ব্যাংকের চেকবই জব্দ করেছে সিআইডি। একই সঙ্গে কুয়েতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা তার বিরুদ্ধে মামলা করেন।

   

উপজেলা নির্বাচনে ছেলে, মেয়ে ও স্ত্রীই ‘স্বজন’: প্রধানমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

উপজেলা নির্বাচনে ‘স্বজন’ সংজ্ঞায় আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘পারিবারিক ফর্মূলা কী- নিজের ছেলে, মেয়ে ও স্ত্রী! এর বাইরে তো পরিবার হয় না! আমরা চাচ্ছি, ইলেকশনটা (নির্বাচন) যেন প্রভাবমুক্ত হয়! মানুষ যেন স্বাধীনভাবে ভোটটা দিতে পারেন’!

বৃহস্পতিবার (২ মে) বেলা সাড়ে ১১টায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে থাইল্যান্ড সফর পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এ সব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগের পরিবারের অনেকে তো দীর্ঘদিন ধরে একটা জায়গায় আগে থেকেই নির্বাচন করেন। যিনি এমপি হয়েছেন, তার বহু আগে থেকেই হয়ত ইউনিয়ন বা উপজেলা চেয়ারম্যান তার স্ত্রী। তবে এটা ঠিক, এক জায়গায় বউকে দিলো, আরেক জায়গায় ছেলেকে দিলো, সেটা ঠিক না! কর্মীদেরও মূল্যায়ন করা উচিত। সবকিছু নিজেরাই নিয়ে নেবো, আমার নেতাকর্মীদের জন্য কিছু রাখবো না, সেটা তো হয় না!

তিনি বলেন, সবাই দাঁড়াচ্ছে। দাঁড়িয়েছে। ইলেকশন করছে, এটার অর্থ হলো- নির্বাচনটা অর্থবহ করা।

কয়েকটি দলের নির্বাচন বর্জনের প্রসঙ্গে টেনে শেখ হাসিনা বলেন, অনেকগুলি রাজনৈতিক দল নির্বাচন বর্জন করছে। বর্জন করে কেন! কারণ, নির্বাচন করার মতো সক্ষমতায় তারা নেই। ‘পার্লামেন্ট ইলেকশন’ করতে হলে জনগণকে তো দেখাতে হবে, পরবর্তী নেতা বা প্রধানমন্ত্রী কে হবেন! আপনার কাছে যদি উপযুক্ত নেতা না থাকে, তখন তো ছুতো খুঁজতে হয়। ইলেকশন করলাম না, বাস্তবতা তো সেটাই! আমাদের দেশে তো সেটাই হচ্ছে! সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে যদি জনগণকে দেখান, জনগণ তো নেবে না। রাজনীতি করতে হলে তো ঝুঁকি নিতেই হয়!

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ’৭৫-এর পরে আমাকে দেশে আসতে দেবে না। রেহানাকে তো পাসপোর্টটাও দেয়নি! যুদ্ধাপরাধী যাদের বিচার শুরু করেছিলেন জাতির পিতা, যারা সাজাপ্রাপ্ত আসামি, তাদের ছেড়ে দিয়ে রাজনীতি করার সুযোগ দিয়েছিল, তারাই মন্ত্রী, উপদেষ্টা, ক্ষমতায়। খুনিরা ক্ষমতায়! ওই অবস্থায় তো আমি দেশে ফিরে এসেছি। আমার জীবন ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। বার বার আঘাত এসেছে কিন্তু আমি বেঁচে গেছি। এটাই অনেকের কষ্ট। এতবার মারবার চেষ্টার পরও বেঁচে গেলাম কেন!

আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছে বলেই ‘উন্নয়ন’ হয়েছে, এ মন্তব্য করে তিনি আরো বলেন, বিশ্বে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবার বা কথা বলার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে বাঙালিদের। আগে তো নাম শুনলেই বলতো ‘গরিব’, ‘ভিক্ষুকের জাত’, সেই দুর্নামটা ঘোচাতে পেরেছি কি না, সেটাই বড় কথা!

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আরো অনেক দেশেই নির্বাচন হচ্ছে। আমরা দেখবো, সেখানকার মানুষ কী রকম ভোট দেয়। আমরা সেটাও দেখবো। আমাদের প্রচেষ্টা হচ্ছে, প্রক্রিয়াটাকে আরো গণমুখী ও স্বচ্ছ করা!

আমরা এই প্রথম আইন করে নির্বাচন কমিশন গঠন করেছি। আর্থিকভাবে এটি প্রধানমন্ত্রী দপ্তরনির্ভর ছিল। সেখান থেকেও মুক্ত করে স্বায়ত্তশাসিত করে দিয়েছি। আলাদা বাজেট করে দিয়েছি।

;

নীলফামারীতে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় বৃদ্ধার মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
নীলফামারীতে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় বৃদ্ধার মৃত্যু

নীলফামারীতে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় বৃদ্ধার মৃত্যু

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় ফুস বালা (৮০) নামে এক বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় ঘাতককে আটক করতে না পারলেও মোটরসাইকেলটি জব্দ করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (২ মে) সকালে উপজেলার ব্রাক অফিসের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত বৃদ্ধা কেশবা জুগিপাড়ার মৃত শুরেন চন্দ্র রায়ের স্ত্রী।


প্রদক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, নিহত বৃদ্ধা সকালে গাছের ডাল কুড়ানোর সময়ে রাস্তা পার হচ্ছিলেন। এসময়ে দ্রুত গতিতে আসা মোটরসাইকেলটি ধাক্কা দিলে বৃদ্ধা ছিটকে পড়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।


কিশোরগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পলাশ চন্দ্র মন্ডল বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় মোটরসাইকেলটি জব্দ করা হয়েছে। এবিষয়ে আইনি কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।

;

চলতি মাসেই শুরু হচ্ছে খুলনা-মোংলা রুটে ট্রেন চলাচল



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বাগেরহাট
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গত বছরের নভেম্বরে উদ্বোধন হলেও স্থায়ী জনবল নিয়োগসহ নানা জটিলতায় খুলনা-মোংলা রুটে ট্রেন চালু করা যায়নি। কবে নাগাদ রেল চালু হবে সেটি নিয়েও ধোয়াশা কাটছিল না। ফলে খুলনা-মোংলা রুটে রেল চালুতে জট দেখা দেয়। তবে সমস্যার জটিলতা অবসান এবং আপাতত অস্থায়ী জনবল দিয়ে এ মাসেই খুলনা-মোংলা রুটে বাণিজ্যিকভাবে রেল চালুর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

এজন্য মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) বিকেলে খুলনা থেকে মোংলা রেলপথের চূড়ান্ত পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়। খুলনা-মোংলা রেললাইন প্রকল্পের পরিচালক মো. আরিফুজ্জামান ও রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলের (পাকশী) বিভাগীয় প্রকৌশলী-১ বীর বল মন্ডল বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) চূড়ান্ত পরীক্ষা সম্পন্নের সময় উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ রেলওেয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অবকাঠামো) ও প্রকল্প পরিচালক মো. আরিফুজ্জামান, মহা-ব্যবস্থাপক (পশ্চিম) অসীম কুমার তালুকদার, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) এ এম সালাহ উদ্দীন, প্রধান যান্ত্রিক প্রজেক্ট (পশ্চিম) মুহাম্মদ কুতরত- ই- খুদা, প্রধান বৈদ্যুতিক প্রকৌশলী (পশ্চিম) মুহাম্মদ শফিকুর রহমান, প্রধান সংকেত ও টেলিযোগাযোগ প্রকৌশলী টেলিকম (পশ্চিম) সৈয়দ মো. শহিদুজ্জামান, পশ্চিমাঞ্চলের (পাকশী) বিভাগীয় প্রকৌশলী-১ বীর বল মন্ডল ও নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুল ইসলাম।

রেল লাইনের প্রকল্প পরিচালক মো. আরিফুজ্জামান বলেন, রেল লাইনে বিভিন্ন ধাপের ফিনিশিংয়ের কাজ বাকি ছিল, সেটি সম্পন্ন করা হয়েছে। চূড়ান্ত পরীক্ষা-নিরীক্ষাও শেষ। বাণিজ্যিকভাবে রেল চালুর জন্য খুলনা-মোংলা রুট পুরোপুরি উপযোগী করে দেওয়া হয়েছে। তবে স্থায়ী জনবল নিয়োগের বিষয়টি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে আটকে থাকায় অস্থায়ী জনবল দিয়ে আপতত রেল চালানোর জন্য রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলের (পাকশী) কাছে সবকিছু বুঝিয়ে দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।


এ বিষয়ে খুলনা-মোংলা রেলপথ প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, ফিনিশিংয়ের কাজ শেষ করে মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) চূড়ান্ত পরীক্ষা করা হয়েছে। লাইন চালুতে দরকার প্রয়োজনীয় জনবল। এই রুটে আটটি স্টেশন ও লাইন ক্লিয়ারিংয়ে ৫৭৬ জন জনবলের অর্গানোগ্রাম করা হয়েছে। সেটিও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে রয়েছে। তবে আপাতত অস্থায়ী জনবল নিয়োগ দিয়ে রেল চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

নির্দিষ্ট তারিখ উল্লেখ না করে এমাসের যেকোন দিন রেল চালুর বিষয়টি মাথায় রেখে স্টেশনের আসবাবপত্র, রেলস্টেশন ও রেলক্রসিংগুলোতে অস্থায়ী জনবল নিযুক্ত, রুটে চলাচলকারী রেলের সময়সূচি, ভাড়া ও শিডিউল চূড়ান্ত করা হচ্ছে। এসব প্রক্রিয়া শেষ করে খুলনা-মোংলা রুটে এ মাসেই বাণিজ্যিকভাবে রেল চলানো হবে বলে জানিয়েছেন রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলের (পাকশী) বিভাগীয় প্রকৌশলী-১ (ভারপ্রাপ্ত) বীর বল মন্ডল।

প্রকল্প কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১০ সালের ২১ ডিসেম্বর জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রকল্পটির অনুমোদন হয়। জমি অধিগ্রহণ, রেললাইন, রেলসেতু নির্মাণসহ পুরো প্রকল্পের ব্যয় তখন ধরা হয়েছিল এক হাজার ৭২১ কোটি টাকা। এরপর ২০১৫ সালে সংশোধিত উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবে (ডিপিপি) ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ৩ হাজার ৮০১ কোটি ৬১ লাখ টাকা। এরপর ২০২১ সালে ফের সময় ও ব্যয় বাড়ে। তখন ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ৪ হাজার ২৬০ কোটি ৮৮ লাখ ৫৯ হাজার টাকা। সর্বশেষ ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় বাড়ানো হয়। সেই মেয়াদ ২০২৪ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত করা হয়।

অন্যদিকে, প্রকল্পের কাজ রূপসা নদীর ওপর ৫ দশমিক ১৩ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে রেলসেতু, ফুলতলা থেকে মোংলা পর্যন্ত ৬৪ কিলোমিটার পথ হলেও স্টেশনগুলোর ডাবল লাইন হিসাব করে ৯১ কিলোমিটার রেলপথ, নয়টি প্ল্যাটফর্ম এবং ১০৭টি ছোট সেতু ও ৯টি আন্ডারপাস নির্মাণ কাজ সমাপ্ত হয়েছে। সেই সঙ্গে সিগনালিং ও টেলিকমিউনিকেশনের কাজও শেষ করা হয়।

জানা গেছে, ২০২৩ সালের ১লা নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যৌথভাবে ভার্চুয়ালি খুলনা-মোংলা রেললাইন প্রকল্প উদ্বোধন করেন। এর আগে ৩০ অক্টোবর ফুলতলা থেকে মোংলা পর্যন্ত পরীক্ষামূলকভাবে রেল চালানো হয়।

এদিকে, রেল চলাচল শুরু হলে এ অঞ্চলের মানুষের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন পূরণ এবং ব্যবসায়ীরা মোংলা বন্দর দিয়ে দ্রুত ও কম খরচে মালামাল নিতে পারবে। মোংলার সঙ্গে রেলপথে যাতায়াত সুবিধার পাশাপাশি আরও গতিশীল হবে মোংলা বন্দর। ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারিত হবে। সুন্দরবন কেন্দ্রীক পর্যটন বিকাশে আরো সহায়ক হবে এ রুট।

;

সিটি করপোরেশনের সিল নিজেই মারতেন মিল্টন: ডিবি প্রধান



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেছেন, সিটি করপোরেশনের সনদ ছাড়াই রাতের আধাঁরে মরদেহ দাফন করতেন ‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার’ আশ্রমের চেয়ারম্যান মিল্টন সমাদ্দার। এমন কি তিনি নিজেই মৃত সনদে সিটি করপোরেশনের সিল মারতেন। এই বিষয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

বৃহস্পতিবার (২ মে) দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়েজিত এক সংবাদি সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, আপনারা জানেন মিল্টন সমাদ্দারকে আমরা গতকাল রাতে গ্রেফতার করেছি। ইতোমধ্যে তিনটি মামলা হয়েছে। তার মধ্যে রাতের আধাঁরে সিটি করপোরেশনের সনদ ছাড়াই মৃতদেহ দাফন করার অভিযোগে একটি মামলা হয়েছে। এই মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করে আদালতে পাঠিয়েছি। রিমান্ডে আসার পর তার যে অপকর্মগুলো আছে সে বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

দায়ের হওয়া মামলার বিষয়ে ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, রাতের আধাঁরে মিল্টন সমাদ্দার মরদেহ দাফন করতেন। সিটি করপোরেশনের সিল নিজেই মারতেন। সেই কাগজগুলো আমরা উদ্ধার করেছি। মরদেহ দাফন করার ক্ষেত্রে সিটি করপোরেশনের সনদ সে নিতো না। সে নিজেই লিখে, সাইন করত। সিলসহ কাগজ উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া আরও দুজন ভুক্তভোগী তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করতে থানায় আছেন। দ্রুতই সেগুলো নথিভুক্ত হবে।

মিল্টনের স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে কি না জানতে চাইলে হারুন বলেন, মিল্টনকে রিমান্ডে আনার পরে তার স্ত্রীকেও ডাকবো। তবে কোনো ভুক্তভোগী যদি মামলা করেন তাহলে তার স্ত্রীকেও আমরা গ্রেফতার করবো।

;