পরিত্যক্ত কলা গাছ দিয়ে তৈরি হচ্ছে সুতা
রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দির নারুয়া ইউনিয়নের শোলাবাড়িয়া গ্রামের এস কে আবু সাঈদ সাবু, উচ্চ শিক্ষিত। তবে বেকার যুবক। তার বেকার জীবনকে কাজে লাগিয়ে পরিত্যক্ত কলা গাছ দিয়ে উন্নতমানের সুতা তৈরি করে রীতিমত তাক লাগিয়ে দিয়েছেন তিনি। আর সাবু এখন সফল একজন উদ্যোক্তা।
সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে সুতা তৈরির পাশাপাশি কলাগাছের ডাস্ট দিয়ে কাগজ, মশার কয়েল, জৈব সার, মাছের খাবার এমনকি রস দিয়ে তারপিন ও অ্যাসিড সোডা উৎপাদন করা সম্ভব বলেও জানান তরুণ এই উদ্যোক্তা।
নিজে স্বাবলম্বী হওয়ার পাশাপাশি বেকারত্ব দূরীকরণের লক্ষ্যে নিজের বাড়ির আঙিনাতেই ‘আফসাম ব্যানেনা ফাইবারস ট্রেডিং’ নামে একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছেন। সেই প্রকল্প থেকেই পরিত্যক্ত কলা গাছ দিয়ে তৈরি করছে সুতা।
উদ্যেক্তা এস কে আবু সাঈদ সাবু বার্তা২৪.কমকে বলেন, সরকারি বাঙলা কলেজ থেকে মাস্টার্স পাশ করার পর সরকারি কোন চাকরিতে না পেয়ে অবশেষে ব্যানানা ফাইবার উৎপাদনের উদ্যোগ গ্রহণ করি।
ভারতের থেকে একটি ধারণা নিয়ে ২০২০ সালের জুলাইয়ের দিকে পরিকল্পনা গ্রহণ করে তা ডিসেম্বরের শেষের দিকে বাস্তবায়ন শুরু করি। বর্তমানে এই প্রজেক্ট থেকে সুতা উৎপাদন করা হচ্ছে। এরই মধ্যে উৎপাদিত সুতা বিভিন্ন কোম্পানিকে দেখানো হয়েছে।
একটি কোম্পানির সাথে চুক্তি হয়েছে। তারা কলা গাছের তৈরি সুতা প্রতি মণ ৬০০০-৮০০০ টাকা দাম নির্ধারণ করেছে।
তিনি আরো জানান, এক কেজি সুতা তৈরি করতে মাঝারি ধরনের ৮-১০টি কলা গাছ লাগে। বিভিন্ন বাগান থেকে পরিত্যক্ত কলা গাছ সংগ্রহ করে এনে সুতা তৈরির কাজে সেটা ব্যবহার করছি।
স্থানীয়রা বার্তা২৪.কমকে জানান, এটি দেশের অর্থনৈতিকখাতে ব্যাপক প্রসার ঘটানোর পাশাপাশি বেকারত্ব দূরীকরণের ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারবে। সরকারের উচিত এটিকে কুঠির শিল্প হিসাবে গড়ে তোলা।
সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে বালিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী অফিসার আম্বিয়া সুলতানা বার্তা২৪.কমকে বলেন, কলা গাছ দিয়ে সূতা তৈরি করা একটি অভিনব পদ্ধতি। প্রকল্পটি পরিদর্শন করে বিভিন্ন সরকারি আর্থিক সহযোগিতা মাধ্যমে এটিকে কুঠির শিল্প হিসাবে সম্প্রসারণ করার চেষ্টা করা হবে।