দেশে নির্বাচন নামের কোন সংস্কৃতি নেই: হারুনুর রশীদ



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশে নির্বাচন নামে কোন সংস্কৃতি নেই বলে মন্তব্য করে বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ বলেছেন, নির্বাচন নামে কোন সংস্কৃতি নাই। নির্বাচন নামে একটি প্রহসন এবং তামাশা হচ্ছে।

সোমবার (০১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনিত ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

হারুনুর রশীদ বলেন, রাষ্ট্রপতি তার ভাষণে বলেছেন সংসদ হচ্ছে আলাপ আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু। প্রধানমন্ত্রী গতকাল বলেছেন বাংলাদেশে কার্যকর বিরোধী দল নাই। বিরোধী দল ব্যর্থ। রাষ্ট্রপতি ভাষণে বলেছেন, জাতীয় নির্বাচন একটি গ্রহণযোগ্য এবং অংশগ্রহণমূলক অবাধ সুষ্ঠু। এই নির্বাচন নিয়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে ব্যাপক বিরোধ রয়েছে। আড়াইশ’র অধিক যারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল আদালতে তাদের মামলা বিদ্যমান। এই সংসদের মেয়াদ শেষ হবে কিন্তু ওই মামলার শুনানি শেষ হবে না।

তিনি বলেন, সত্য বললে মহাজোটের শরীক সবাই অসন্তুষ্ট হবেন। এই নির্বাচনকে নিয়ে রাশেদ খান মেনন কি বলেছিলেন, আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি জনগণ ভোট দিতে পারে নাই। মাইকে আজান দিয়েও ভোট কেন্দ্রে ভোটারদের আনা যাবে না। মির্জা কাদের সবচেয়ে আলোচিত ব্যক্তি। উনি পরিষ্কারভাবে বলেছেন আজকে যদি বৃহত্তর নোয়াখালিতে নির্বাচন হয় দুই তিনটি আসন ছাড়া যারা আজকে সংসদ সদস্য আছেন তারা পালানোর দরজা খুঁজে পাবেন না। একথাগুলো কি অসত্য?

তিনি আরও বলেন, নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার বলেছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন অনিয়মের একটি নির্বাচনের মডেল। মাহবুব তালুকদার নির্বাচন কমিশন তার দায়িত্ব থেকে বলেছেন যে নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হয় নাই। সহিংসতা এবং নির্বাচন এক সাথে চলতে পারে না।

হারুনুর রশীদ বলেন, যশোরের একজন এমপির সাথে ওসির কথোপকথন ভাইরাল হয়েছে। সে সরাসরি ওসিকে বলছে তুমি থানায় বোমা নিক্ষেপ কর এবং তার বিরুদ্ধে মামলা কর। আমি বিস্মিত হই চট্টগ্রামে মেজর সিনহা হত্যার পর যে তদন্ত রিপোর্ট দাখিল হয়েছে। র‌্যাব যে তদন্ত রিপোর্ট দাখিল করেছে এটি উদ্বেগজনক।

তিনি বলেন, এই সংসদের একজন সদস্য হাজী সেলিমের পুত্র ইরফান সেলিমের বাড়ি ঘেরাও করে ওকি টকি, মাদক ও অস্ত্র উদ্ধার করা হল তার ফাইনাল তদন্ত রিপোর্ট দাখিল করা হচ্ছে। তাহলে র‌্যাবের ডিজি বলেছেন আমরা যে রিপোর্ট দাখিল করেছি সেটা সত্য। আর পুলিশ দিচ্ছেন ফাইনাল রিপোর্ট এগুলো আইনের শাসনের সম্পূর্ণ পরিপন্থী। মাদক নির্মূলের নামে শত শত নিরপরাধ মানুষকে ফাঁসানো হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, বিদেশে কত লাখ টাকা পাচার হচ্ছে সেই বিষয়গুলো আলোচনার মধ্য নাই। নতুন শিশু জন্মগ্রহণ করলে ৩০ হাজার টাকার অধিক মাথায় ঋণের বোঝা নিয়ে জন্মগ্রহণ করছে। লাখ লাখ টাকা বিদেশ থেকে ঋণ নিয়ে আসছেন মেগা প্রকল্প বানাচ্ছেন আর জাতীয় উন্নয়নের নামে জাতীয় লুটপাট হচ্ছে।

বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্য বলেন, স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা ধ্বংস। স্থানীয় সরকার ব্যবস্থায় সরকার যাদের মনোনয়ন দিচ্ছে তারাই সেখানে নির্বাচিত হচ্ছে। দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত হচ্ছে। নির্বাচন নামে কোন সংস্কৃতি নাই। নির্বাচন নামে একটি প্রহসন এবং তামাশা হচ্ছে।

বিএনপি এই নেতা বলেন, নষ্ট রাজনীতি নষ্ট মানুষ তৈরি করে। দুর্বৃত্তায়ন দুর্নীতিবাজ রাজনীতি তৈরি করে। রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়নের কারণে জাতীয় মূল সংকট সেটি আজকে আড়াল হয়ে যাচ্ছে। এর কারণে সরকার দায় এড়াতে পারে না। প্রধানমন্ত্রী নিজেই বলেছেন চোর ধরে চোর হয়ে যাচ্ছি বাস্তব কথা বলেছেন। সত্যকে কখনো মিথ্যা দিয়ে ডাকা যাবে না। অনিয়ম দুর্নীতির নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জনপ্রতিনিধ দুর্নীতির মধ্য দিয়ে সরকার গঠন করেছেন এর মধ্য দিয়ে দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন এবং দুর্নীতিমুক্ত জনপ্রতিনিধি তৈরি করতে পারবেন না।

তিনি বলেন, সংসদে বিরোধী দল আছে? বিরোধী দল বলতে গেলে রাশেদ খান মেনন, হাসানুল হক ইনু তারা বলছেন ফরমায়েশি বিরোধী দল দিয়ে জাতীয় সংসদ কার্যকর করতে পারবেন না। আজকে যখন আমরা কথা বলি কথার কাউন্টার দেয় বিরোধী দলের চেয়ারে বসে। স্থানীয় সরকার নির্বাচন হচ্ছে সেখানে বিরোধী দলের কোন প্রার্থী আছে? বাইরে তো একাকার। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে অন্যান্য জায়গায় মহাজোটের শরীকরা এক সাথে ভোট করছে। সত্যিকার অর্থে ১৯৮৮ সালেও জেনারেল এরশাদ সংসদে একটি গৃহপালিত বিরোধী দল তৈরি করেছিল। ২০১৮ সালে মধ্য রাতে ভোট করে যাদের বিরোধী দলের চেয়ারে বসালেন একই সাথে নৌকা প্রতীক নিয়ে ভোট করলেন তারা এখন বিরোধী দলের চেয়ারে, এটা হয়? কিভাবে সংসদ কার্যকর হবে।

তিনি আরও বলেন, দুর্নীতির মাত্রা কোথায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে? ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও বর্তমান মেয়র একজন অপরের বিরুদ্ধে চুনোপুটি অভিযোগ নিয়ে আসছে। দুদক কি এগুলো ব্যাপারে পদক্ষেপ গ্রহণ করবে না।

স্পিকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, সংসদ সত্যিকার অর্থে বিরোধী দলের কণ্ঠ স্তব্ধ করে না দিয়ে এখানে কাজ করার সুযোগ দেন, তাহলে আমাদের সুযোগ দিতে হবে। কথা বলার সুযোগ দিতে হবে। জিয়াউর রহমানকে বলবেন রাজাকার ‍মুক্তিযোদ্ধা নয়, যতই চেষ্টা করেন জিয়াউর রহমানকে আল্লাহ যে সম্মান এবং মর্যাদা দিয়েছেন তাকে চেষ্টা করেও স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় বিমানবন্দর থেকে নাম মুছে দিয়েও অসম্মানিত করতে পারবেন না। বঙ্গবন্ধুর যে সম্মান ও মর্যাদা দান করেছে আমি বা অন্য কেউ চেষ্টা করেও তা বন্ধ করতে পারবো না।

   

ভালুকায় ছেলের হাতে বাবা খুন



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ময়মনসিংহ
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ময়মনসিংহের ভালুকায় ছেলের হাতে মজিবুর রহমান পান্না (৫৫) নামে এক শিক্ষক খুন হয়েছে। এ ঘটনা ছেলে মারুফ আহমেদ রাব্বীকে (১৮) আটক করছে ভালুকা মডেল থানা পুলিশ।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) রাতে উপজেলার পূর্ব ভালুকা কোনাপাড়া এলাকায় এ ঘটনায় ঘটে। 

নিহত মজিবুর রহমান পান্না ওই এলাকার মৃত সালামত সরকারের ছেলে এবং সে একই এলাকার মিরকা হাসিনা বানু উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র সহকারী শিক্ষক।

ভালুকা মডেল থানা ইনচার্জ (ওসি) শাহ কামাল আকন্দ ঘটনাটির সত্যতা নিশ্চিত করেন।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানায়, নিহত মজিবুর রহমান পান্না পরিবারকে না জানিয়ে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। কিন্তু পারিবারিক অশান্তি কারণে কিছুদিন পূর্বে তালাক দেন। এর পর থেকেই পরিবারে কলহ বাঁধে। এ ঘটনায় প্রথম স্ত্রীর ছেলে কলেজ পড়ুয়া মারুফ আহমেদ রাব্বির সাথে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে হাতে থাকা কলম দিয়ে এলোপাথাড়ি আঘাত করে, এতে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে স্থানীয়রা আহত অবস্থায় ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক মজিবুর রহমান পান্নাকে মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে ভালুকা মডেল থানার পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে এবং ঘাতক ছেলে রাব্বীকে আটক করেন।

ভালুকা মডেল থানার ইনচার্জ (ওসি) শাহ কামাল আকন্দ জানান, নিহতের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে এবং এ ঘটনার পর ছেলে রাব্বিকে আটক করা হয়েছে। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে ।

;

তাপদাহে পুড়ছে দেশ, সিলেটে মুষলধারে বৃষ্টি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিলেট
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সারাদেশে যখন তীব্র তাপদাহ চলছে তখন সিলেটে বারবার দেখা যাচ্ছে ব্যতিক্রম চিত্র। টানা কয়েকদিন গরমের কারণে হাঁসফাঁস করছিল লোকজন। এর মধ্যে মুষলধারে বৃষ্টিতে ভিজলো সিলেট।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) দিবাগত রাত ১১টা থেকে সিলেটে শুরু হয় মুষলধারে বৃষ্টিপাত। রাত সোয়া ১টায় পর্যন্ত বৃষ্টি অব্যাহত ছিল। বৃষ্টির সাথে ছিল ঝড়ো হাওয়া। এতে কমে গরমের অস্বস্তি ভাব।

সিলেট নগরীর শেখঘাট এলাকার গৃহবধূ ঝর্ণা আক্তার বলেন, সারাদিন অনেক গরম ছিল।বাচ্চাদের নিয়ে অনেক কষ্টে দিন পার করতে হয়েছে। রাতের বৃষ্টি হওয়া শীতল হাওয়া লাগছে।

গোলাপগঞ্জের সাকিব আল-মামুন বলেন, ছুটির দিন হওয়াতে অনেকেই বাইরে ঘুরতে বের হন।কিন্তু প্রচুর গরম হওয়ার কারণে অনেকেই অস্বস্তি বোধ করতে দেখা যায়।আমাদের এখানে দেশের অন্যান্য স্থান থেকে গরম অনেক কম।

এর আগে গত ২১ এপ্রিলও সারাদেশে তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যে সিলেটে স্বস্তির বৃষ্টি দেখা মিলে।

এদিকে আবহাওয়া সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সারাদেশে একই তাপমাত্রা থাকলেও বিপরীত চিত্র সিলেটে। সিলেটের তাপমাত্রা দেশের অন্যান্য অঞ্চল থেকে একটু সহনশীল। যার কারণে নাগরিক জীবনে কোনো অস্বস্তিকর প্রভাব পড়েনি। মেঘালয়ের পাদদেশে অবস্থান ও বৃষ্টি প্রবণ এলাকা হওয়ায় সিলেটে এখনো তাপমাত্রা কম রয়েছে।

সিলেট আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা শাহ মোহাম্মদ সজিব হোসেন বলেন, ‘কালবৈশাখি মৌসুমে আবহাওয়া এমনই থাকবে। কখনো বৃষ্টি হবে, কখনো ঝড় হবে আবার কখনো তীব্র তাপপ্রবাহ হবে। বৃষ্টি হবে যে সেটার পূর্বাভাস আগেই ছিল। তবে ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে সিলেটে দেশের অন্যান্য জায়গার চেয়ে গরম অনেক কম অনুভূত হচ্ছে।’ 

;

অস্থির রাখাইনের উত্তাপ বাংলাদেশ সীমান্তে: ঢাকায় সিবিআইএফের আন্তর্জাতিক সংলাপ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কক্সবাজার
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মিয়ানমারের রাখাইনে চলমান গৃহযুদ্ধের উত্তাপ ছড়িয়েছে বাংলাদেশের সীমান্ত এলাকায়। এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের নিরাপত্তা সংকট ও প্রতিবেশী রাষ্ট্রে অস্থিতিশীলতার প্রভাব নিয়ে ঢাকায় বিভিন্ন দেশের বিশ্লেষকদের অংশগ্রহণে আয়োজন করা হচ্ছে আন্তর্জাতিক সংলাপ।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) সকালে কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ফোরাম (সিবিআইএফ) এর উদ্যোগে বাংলাদেশ সেন্টার ফর ইন্দো-প্যাসিফিক অ্যাফেয়ার্স’ (বিসিআইপিএ) এর সহযোগিতায় রাজধানীর ইএমকে সেন্টারে অনুষ্ঠিত হবে এই আয়োজন।

"সম্প্রীতির সেতু নির্মাণ: গৃহযুদ্ধ পরবর্তী আরাকান/রাখাইনে সামাজিক সংহতি, শান্তি এবং স্থিতিশীলতার জন্য সামগ্রিক কৌশল" শিরোনামে অনুষ্ঠাতব্য এই সংলাপে মডারেটর ও আলোচক হিসেবে বাংলাদেশ, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, নেদারল্যান্ডস, জাপান ও মিয়ানমারের অভিজ্ঞ এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিশেষজ্ঞ ব্যক্তিবর্গ অংশ নিচ্ছেন।

আলোচনায় বাংলাদেশ থেকে রয়েছেন, আর্মড ফোর্সেস ডিভিশনের সাবেক প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মাহফুজুর রহমান, সাবেক রাষ্ট্রদূত ও প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞ মেজর জেনারেল (অব.) শাহিদুল হক, সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাখাওয়াত হোসেন, বিসিআইপিএ এর নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক শাহাব ইনাম খান, গবেষক ও লেখক আলতাফ পারভেজ সহ অনেকে।

মিয়ানমার থেকে ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্ট- এনইউজির ফেডারেল ইউনিয়ন বিষয়কমন্ত্রী

লিয়াং মং সাখং, মানবাধিকার বিষয়ক উপমন্ত্রী অং ক্য ম, পররাষ্ট্র বিষয়ক উপমন্ত্রী মু জৌ উ, এনইউজি প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ের মুখপাত্র জ ক্য, সাবেক সংসদ সদস্য ইউ সুয়ে মং, আরাকান রোহিঙ্গা ন্যাশনাল এল্যায়েন্স এর চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম প্রমুখ বক্তা হিসেবে থাকছেন।

এছাড়াও জাতিসংঘ, বিভিন্ন দেশের দূতাবাস থেকে আসা প্রতিনিধি, আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের প্রতিনিধিসহ অনেকেই বক্তব্য রাখবেন আলোচনায়।

সংলাপে বাংলাদেশ সীমান্তের পরিস্থিতি নিয়ে অভিজ্ঞতা তুলে ধরবেন কক্সবাজারের স্থানীয়রা বলে জানান সিবিআইএফ এর যুগ্ম আহ্বায়ক সুজন শর্মা।

সিবিআইএফ এর যুগ্ম আহ্বায়ক মোহিব্বুল মোক্তাদীর তানিম বলেন, "কক্সবাজারের বিভিন্ন সম্প্রদায়কে অন্তর্ভুক্ত করে বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের নিমিত্তে ও টেকসই এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক ভবিষ্যতের জন্য কাজ করে থাকে সিবিআইএফ, যার অংশ হিসেবে আন্তর্জাতিক এই সংলাপের আয়োজন।"

এর আগে গত বছরের ডিসেম্বরে আনুষ্ঠানিক আত্মপ্রকাশের পর "নেভিগেটিং দ্য রিপল অ্যাফেক্ট : এক্সামিনিং দ্য ইম্প্যাক্ট অব দ্য রোহিঙ্গা ক্রাইসিস অন হোস্ট কমিউনিটি অ্যান্ড চার্টিং পাথস টু ডিউরেবল সলিউশনস" শিরোনামে ওয়েবিনারের আয়োজন করে কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ফোরাম। 

;

ফেনীতে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে কিশোর গ্যাংয়ের ৬ সদস্য অস্ত্রসহ আটক



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ফেনী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ফেনীতে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে কিশোর গ্যাংয়ের প্রধানসহ ৬ সদস্যকে দেশীয় অস্ত্রসহ আটক করেছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)। কিশোর গ্যাংটি ‘এসডব্লিউএজি ৪৭’ নামে পরিচিত।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় র‍্যাব। এর আগে বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দিবাগত রাতে শহরের রামপুর এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।

আটককৃতরা হলো- ফেনী সদর উপজেলার সুন্দরপুর এলাকার মাইনুদ্দিনের ছেলে মো. সৈকত (১৭), বারাই গনি এলাকার মৃত আবুল হোসেনের ছেলে মো. বাবু (১৯), সোনাগাজী উপজেলার বাদাদিয়া এলাকার মাইনুদ্দিন মানিকের ছেলে মো. মাহি (২২), গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার জরম নদী এলাকার মো. রফিকুল ইসলামের ছেলে মো. মানিক (১৮),পাঁচগাছিয়া এলাকার রাজিবের ছেলে মো. আরমান (১৯) এবং মিয়াজী রোডস্থ মৃত স্বপনের ছেলে মো. আসিফ (১৮)।

র‍্যাব সূত্র জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শহরের রামপুর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে র‍্যাব। রামপুর পাকা রাস্তার ওপর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন এ কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা। সেখান থেকে দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় ধাওয়া করে তাদের আটক করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে স্টিলের চাকু ও ফোল্ডিং চাকু উদ্ধার করা হয়।

ফেনীস্থ র‍্যাব-৭ এর কোম্পানি অধিনায়ক মোহাম্মদ সাদেকুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘদিন ধরে তারা শহরে বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিল। র‍্যাব গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাদের ডাকাতির প্রস্তুতিকালে আটক করে। পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়ার জন্য আটককৃত আসামিদের ফেনী মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

ফেনী মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহিদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, আসামিদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

 

;