মাগুরায় শপথের আগেই পৌর কাউন্সিলর ছবেতারা বেগমের মৃত্যু

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, মাগুরা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

মাগুরা পৌরসভার সংরক্ষিত জননন্দিত নারী কাউন্সিলর ছবেতারা বেগম

মাগুরা পৌরসভার সংরক্ষিত জননন্দিত নারী কাউন্সিলর ছবেতারা বেগম

মাগুরা পৌরসভার সংরক্ষিত জননন্দিত নারী কাউন্সিলর ছবেতারা বেগম (৬৫) মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি...... রাজেউন)।

তিনি মাগুরা জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ছিলেন। পাশাপাশি লোক সংগীতের স্থানীয় শিল্পী হিসাবে তাঁর সুখ্যাতি ছিল।

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার (২ ফেব্রুয়ারি) ভোর সাড়ে ৬ টায় মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণজনিত কারণে ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। ছবেতারা বেগম গত ১৬ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত পৌর নির্বাচনে চতুর্থবারের মতো কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছিলেন। যার শপথ এখনো অনুষ্ঠিত হয় নি।

ছবেতারার মেয়ে সৈয়দ লুবনা জাহান মুন্নি জানান, দীর্ঘদিন ধরে হৃদরোগসহ নানা অসুখে ভুগছিলেন তিনি। সোমবার হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ঢাকায় সামরিক হাসপাতালে নেয়া হয়। মঙ্গলবার ভোরে সেখানেই তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। গত ১৬ জানুয়ারীর পৌরসভা নির্বাচনে তিনি ১,২,৩ এই ৩ ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত ১ নম্বর সংরক্ষিত ওয়ার্ডের নারী কাউন্সিলর পদে ১২ হাজার ১৮১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। কাউন্সিলর পদে এটি ছিল সর্বোচ্চ ভোট। ছবেতারা বেগমের জানাজা বুধবার সকাল ১১টায় তার নিজগ্রাম রায়গ্রাম ঈদগাহ চত্বরে অনুষ্ঠিত হবে। তিনি ৫ সন্তানের জননী ছিলেন।

বিজ্ঞাপন

ছবেতারার মৃত্যুতে গভীর শোক জানিয়েছেন মাগুরা-১ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব এ্যাডভোকেট সাইফুজ্জামান শিখর, জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুল ফাত্তাহ, সাধারণ সম্পাদক মাগুরা জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পংকজ কুমার কুন্ডু, পৌরসভার মেয়র খুরশিদ হায়দার টুটুল, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আবু নাসির বাবলুসহ মাগুরা আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

প্রসঙ্গত, মাগুরার গোটা পৌর এলাকায় অত্যন্ত সদালাপি, বিনয়ী ও সৎ মানুষ হিসাবে পরিচিত ছিলেন তিনি। এছাড়া সামাজিক নারী নেত্রী হিসাবে সর্বত্র তার ছিল সমান কদর।

তার বিষয়ে মাগুরা পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের ভোটার মিয়া ওয়াহিদ কামাল বাবলু বলেন,‘তাকে নারী হিসাবে নয়, একজন সফল সংগ্রামী মানুষ হিসাবে বার বার ভোট দিয়েছি আমরা। একজন সাধারণ গৃহিনী থেকে মানুষের জন্যে একনিষ্ঠভাবে কাজ করে তিনি ব্যাপক জনপ্রিয় ছিলেন। মানুষের সাথে তার এই সহজ সম্পর্কই তার ব্যাপক ভোট প্রাপ্তির মূল কারণ ছিল। যেটা একজন জনপ্রতিনিধির প্রধান বৈশিষ্ট্য হওয়া উচিত’।