প্রকল্পের টাকা চেয়ারম্যানের পকেটে, রাস্তা মেরামতে এলাকাবাসী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর
প্রকল্পের টাকা চেয়ারম্যানের পকেটে, রাস্তা মেরামতে এলাকাবাসী

প্রকল্পের টাকা চেয়ারম্যানের পকেটে, রাস্তা মেরামতে এলাকাবাসী

  • Font increase
  • Font Decrease

রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার বালুয়া মাসিমপুর ইউনিয়নের হাছিয়া নামাপাড়া গ্রামে ভেঙে যাওয়া কাঁচা রাস্তা ও সেতুর মুখ স্বেচ্ছাশ্রমে মেরামত করেছেন এলাকাবাসী। আর সেই রাস্তাকে কাজের বিনিময়ে খাদ্য (কাবিখা) প্রকল্প দেখিয়ে বরাদ্দ নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে এক লাখ ৩০ হাজার টাকা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে উত্তোলন করেছেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান।

এলাকাবাসী অভিযোগ করেছেন, ৬ গ্রামের প্রায় ৪ হাজার মানুষের চলাচলের সুবিধার্থে তারা সবাই মিলে রাস্তাটি মেরামত করছেন। প্রকল্পের বরাদ্দ সম্পর্কে তারা কিছুই জানতেন না।

মঙ্গলবার (২ ফেব্রুয়ারি) স্থানীয় সূত্র ও তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, ২০২০-২১ অর্থবছরের গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার (কাবিখা) কর্মসূচির আওতায় ওই রাস্তাটি সংস্কারের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয় ২ লাখ ৫৯ হাজার টাকা। দেড় মাস আগে প্রকল্পের বরাদ্দের প্রথম দুই কিস্তির এক লাখ ৩০ হাজার টাকা উত্তোলন করে নিলেও চেয়ারম্যান কাজই শুরু করেননি৷

৬ গ্রামের প্রায় ৪ হাজার মানুষের চলাচলের সুবিধার্থে তারা সবাই মিলে রাস্তাটি মেরামত করছেন

এলাকাবাসী জানায়, গত বন্যায় ওই গ্রামের একমাত্র চলাচলের কাঁচা রাস্তাটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। রাস্তা-সংলগ্ন সেতুর দুই পাশের মুখও ভেঙে যায়। এ কারণে দীর্ঘদিন ধরে ভোগান্তি পোহাচ্ছিলেন ৬ গ্রামের প্রায় ৪ হাজার মানুষ। রাস্তা ও সেতুর মুখ মেরামতের জন্য স্থানীয়রা একাধিকবার ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ময়নুল হকের সঙ্গে যোগাযোগ করলেও সাড়া মেলেনি। পরে স্থানীয় ব্যবসায়ী হাবিবুর রহমান জুয়েলের উদ্যোগে ভেঙে যাওয়া রাস্তা ও সেতুর দুই মুখ মেরামত করেন এলাকাবাসী।

ওই গ্রামের নজরুল ইসলাম বলেন, চলাচলের সুবিধার্থে আমরা গ্রামবাসী মিলে কাজটি করেছি। এখন শুনছি, চেয়ারম্যান ওই রাস্তাটি সংস্কারের জন্য দুই লাখ ৫৯ হাজার টাকা বরাদ্দ পেয়েছেন। টাকা উত্তোলন করলেও কোনো কাজ করেননি।

এ ব্যাপারে বালুয়া মাসিমপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ময়নুল হক বলেন, ওই রাস্তাটি মেরামতে শুধু শ্রমিক দিয়ে হবে না। এর জন্য ভেকু (এক্সক্যাভেটর) লাগবে। ভেকু না পাওয়ায় কাজটি করতে দেরি হয়েছে।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোশফিকুর রহমান ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন, রাস্তাটি সংস্কার করার জন্য ইতিমধ্যেই ২ লাখ ৬০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে প্রথম ও দ্বিতীয় কিস্তির ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা উত্তোলন করেছেন চেয়ারম্যান। এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মামুন ভূঁইয়া বলেন, তদন্ত করে আত্মসাতের প্রমাণ পাওয়া গেলে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

   

চুয়াডাঙ্গা আম সংগ্রহ শুরু, আজ থেকেই বাজারজাত



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চুয়াডাঙ্গা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চুয়াডাঙ্গায় আনুষ্ঠানিকভাবে চলতি মৌসুমের আম সংগ্রহ শুরু হয়েছে। আঁটি, গুটি ও বোম্বাই আম সংগ্রহের মধ্যদিয়ে শুরু হলো আম বাজারজাতকরণ।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) সকাল ১০টায় চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার মহিলা কলেজ পাড়ায় মহলদার আম্রকাননে আম পেড়ে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা।

এসময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা বলেন, দেশের মধ্যে চুয়াডাঙ্গা একটি আম সমৃদ্ধ জেলা। এ জেলার উৎপাদিত আমের স্বাদ ও সুখ্যাতি রয়েছে দেশজুড়ে। আমের সেই খ্যাতি ধরে রাখতে ম্যাঙ্গো ক্যালেন্ডার প্রস্তুত করা হয়েছে। ক্যালেন্ডার অনুযায়ী জাতভেদে আম সংগ্রহ শুরু হলো। এছাড়া আমে যাতে কেউ কোনো ধরনের ক্ষতিকর দ্রব্য কিংবা ফরমালিন মেশাতে না পারে, সে ব্যাপারে সজাগ রয়েছে প্রশাসন। নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে নিরাপদ আম ভোক্তা পর্যায়ে পৌঁছে দিতে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।

ম্যাঙ্গো ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, আজ ১৬ মে আঁটি গুটি ও বোম্বাই আম পাড়া শুরু হয়েছে। এরপর আগামী ২৪ মে থেকে হিমসাগর, ৩০ মে ল্যাংড়া, ৭ জুন আম্রপালি (বারি আম-৩), ১৫ জুন থেকে ফজলি ও ১লা জুলাই থেকে আশ্বিনা বারি-৪ জাতের আম সংগ্রহ শুরু হবে।

এসময় উপস্থিত কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর চুয়াডাঙ্গার উপ-পরিচালক বিভাস চন্দ্র সাহা জানান, চুয়াডাঙ্গার চারটি উপজেলা চুয়াডাঙ্গা সদর, আলমডাঙ্গা, এ মৌসুমে দামুড়হুদা ও জীবননগর মিলিয়ে ৩০ হাজার মেট্রিক টন আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ বছর জেলায় ২ হাজার ৩০৪ হেক্টর জমিতে আমের আবাদ হয়েছে। আশা করা হচ্ছে, এ বছর দেড়শ কোটি টাকার আম কেনা-বেচা হবে।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন- চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা কৃষি অফিসার আফরিন বিনতে আজিজ, দামুড়হুদা উপজেলা কৃষি অফিসার শারমিন আক্তারসহ এলাকার আমচাষীরা।

;

রংপুরে চাঁদাবাজ চক্রের ৭ সদস্য আটক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর
রংপুরে চাঁদাবাজ চক্রের ৭ সদস্য আটক

রংপুরে চাঁদাবাজ চক্রের ৭ সদস্য আটক

  • Font increase
  • Font Decrease

রংপুরের গঙ্গাচড়া থানাধীন রংপুর-নীলফামারী মহাসড়কের খলেয়া এলাকা থেকে চাঁদাবাজ চক্রের নেতা মো. চাঁন মিয়াসহ ৭ চাঁদাবাজকে আটক করেছে র‌্যাব-১৩। এ সময় একটি ট্রাকও জব্দ করা হয়েছে।

বুধবার (১৫ মে) রাতে তাদের আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বৃহস্পতিবার (১৬ মে) তাদের জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

র‌্যাব-১৩ এর উপ-পরিচালক (মিডিয়া) মাহমুদ বশির আহমেদ জানান, রংপুর জেলার গঙ্গাচড়া থানা এলাকায় রংপুর-নীলফামারী মহাসড়কের দক্ষিণ খলেয়া এলাকায় মো. চাঁন মিয়ার (৫৬) নেতৃত্বে তার সহযোগীরা দীর্ঘদিন যাবত বিভিন্ন পণ্যবাহী ট্রাক, মিনিট্রাক, কাভার্ড ভ্যান, বাস, মিনিবাস, মাইক্রো, অটো, সিএনজি থেকে চাঁদা আদায় করে আসছে।

বুধবার রাতে রংপুরগামী একটি পণ্যবাহী ট্রাক থামিয়ে এ চক্রের সদস্যরা চাঁদা আদায় করছিল। এ সময় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।

আটককৃতরা হলেন- দক্ষিণ খলেয়া বাজার এলাকার মৃত আবুল হোসেনের ছেলে চাঁদাবাজ চক্রের মূল হোতা মো. চাঁন মিয়া (৫৬), রংপুর সদর থানার লালচাঁদপুর হিন্দু পাড়ার অনিল চন্দ্রের ছেলে অমল চন্দ্র রায় (৪০), গঙ্গাসাগর থানার ওসি পাড়ার মৃত রফিকুল ইসলামের ছেলে মো. আলাউদ্দিন (১৮), একই থানা নয়াটারি এলাকার আমিনুর রহমানের ছেলে মো. ফারুখ মিয়া (১৯), রংপুর সদর থানার গোকুল নাওয়াপাড়া তশির উদ্দিনের ছেলে মো. জাহাঙ্গীর আলম (৫৬) ও একই থানার গোকুল কাজিপাড়া সুলতান আলীর ছেলে মো. মহসিন আলী (৪০) এবং উত্তরখলে গংগাছড়া থানার মমতাজ আলীর ছেলে মো. মজিদুল ইসলাম (৪২)।

এই ঘটনায় র‌্যাব বাদী হয়ে রংপুর জেলার গঙ্গাচড়া থানায় পেনাল কোড ১৮৬০ এর ৩৮৫/৩৮৬/১১৪/৩৪ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়। পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আসামিদের রংপুরের গঙ্গাচড়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান র‌্যাব-১৩ এর উপ-পরিচালক (মিডিয়া) মাহমুদ বশির আহমেদ।

;

বছর না পেরুতেই ফেনী হাসপাতালে বন্ধের পথে 'বৈকালিক স্বাস্থ্যসেবা'



মোস্তাফিজ মুরাদ, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ফেনী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্য সেবা পৌঁছে দিতে সরকারের উদ্যোগে দেশব্যাপী সরকারি হাসপাতালগুলোতে চালু করা হয়েছিল ‘‘বৈকালিক স্বাস্থ্যসেবা’’। তারই অংশ হিসেবে গেল বছরে এপ্রিলে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে চালু হয় ‘বৈকালিক স্বাস্থ্যসেবা’ কার্যক্রম। তবে যথাযথ প্রচার-প্রচারণার অভাবে শুরু থেকেই আলোর মুখ দেখেনি ফেনী জেনারেল হাসপাতালের এ সেবা কার্যক্রমটি।

তবে এবার চিকিৎসকদের পরামর্শ ফি নিয়ে কর্তৃপক্ষের গড়িমসি, চিকিৎসক সংকট ও নানা অব্যবস্থাপনার কারণে মুখ থুবড়ে পড়েছে ‘বৈকালিক স্বাস্থ্যসেবা’। গত ৫ দিন ধরে বন্ধ রয়েছে সেবা কার্যক্রম। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন সেবা নিতে আসা রোগীরা। গেল বছরের এপ্রিল মাসে চালু হওয়া এ সেবা কার্যক্রমটি এক বছর না পেরুতেই বন্ধের পথে রয়েছে।

নিয়মানুযায়ী সরকারি ছুটির দিন ব্যতীত প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ‘বৈকালিক স্বাস্থ্যসেবা’ কেন্দ্রে চিকিৎসা দেওয়ার কথা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের। এতে একজন সিনিয়র কনসালটেন্টের পরামর্শ ফি ৪০০ টাকা, জুনিয়র কনসালটেন্টের ৩০০ টাকা, এমবিবিএস-বিডিএসের ফি ২০০ টাকা নির্ধারণ করে দেয় সরকার। এ সেবা কার্যক্রমে সরকার নির্ধারিত পরামর্শ ফি থেকে একটি অংশ সম্মানী হিসেবে চিকিৎসকরা পাওয়ার কথা থাকলেও গত ৬ মাস ধরে চিকিৎসকরা ওই টাকা পাচ্ছেন না। এতে ‘বৈকালিক স্বাস্থ্যসেবা’ নিয়ে চিকিৎসকদের মাঝে দেখা দিয়েছে অনীহা। গত পাঁচদিন ধরে বন্ধ রয়েছে হাসপাতালের ‘বৈকালিক স্বাস্থ্যসেবা’।


হাসপাতালে ভর্তি রোগীর পাশাপাশি বৈকালিক সেবায় উপকৃত হতো সাধারণ মানুষ। স্বল্প টাকায় বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দেখানোর সুযোগ সৃষ্টি হয়েছিল। তবে এ কার্যক্রম বন্ধ থাকাতে ভোগান্তিতে সেবা নিতে আসা রোগীরা।

মকবুল আহমেদ নামে এক রোগীর স্বজন বলেন, আমাদের মতো নিম্নমধ্যবিত্ত মানুষজন এতো টাকা খরচ করে বাইরের প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানে চিকিৎসা নিতে পারি না। জেলার একমাত্র সরকারি হাসপাতাল হওয়ায় সকালে অনেক রোগীর চাপ থাকে। সময় শেষ হয়ে যাওয়ায় অনেক রোগীকে ডাক্তার দেখতে পারেন না। ‘বৈকালিক স্বাস্থ্যসেবা’ চালু থাকাকালীন এসব রোগীরা সেখানে চিকিৎসা নিতে পারতো। এমন কার্যক্রম বন্ধ হওয়া কোনোভাবেই কাম্য নয়।

মঞ্জুরুল ইসলাম নামে আরেকজন বলেন, কর্তৃপক্ষের গুরুত্ব থাকলে এ সেবা কার্যক্রম বন্ধ হয় না। ‘বৈকালিক স্বাস্থ্যসেবা’ চালু হওয়ার পর বাইরের ক্লিনিক-ডায়াগনস্টিকগুলোর আয় কমে গেছে। গরিবরা উপকার পেলেও সমাজের কিছু সুবিধাভোগী তাদের স্বার্থ হাসিল করতে পারছিল না। এটি বন্ধের পেছনে ভিন্ন কারণও থাকতে পারে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হাসপাতালের শিশু বিভাগের এক চিকিৎসক বলেন, সকাল থেকে হাসপাতালের বহির্বিভাগে ও ওয়ার্ডে ভর্তি রোগী দেখতে হয়। সরকারি হাসপাতাল হওয়ায় বহির্বিভাগে সবসময় রোগীর অনেক চাপ থাকে। বিকেলে প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানে রোগী দেখলে যে টাকা পাওয়া যায় তার অনেক কম টাকা পাওয়া যায় ‘বৈকালিক স্বাস্থ্যসেবা’য়। কিন্তু ছয়মাস ধরে সেই টাকাও পাচ্ছি না। এটি যেহেতু চাকরির অংশ নয়, টাকা না পেলে কেন আমরা বাড়তি কাজ করব।

ফেনী জেনারেল হাসপাতালের জুনিয়র কনসালটেন্ট (অর্থো.সার্জারি) জামাল উদ্দিন বলেন, প্রথম কয়েকমাস পরামর্শ ফি থেকে টাকা পেলেও বেশ কয়েক মাস টাকা দেওয়া হচ্ছে না। টাকা না পাওয়ায় চিকিৎসকরাও মনের বিরুদ্ধে চেম্বার করেন। পারিশ্রমিক ছাড়া কেউই পরিশ্রম করতে চাইবে না।

হাসপাতালের চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডা. ব্রজ গোপাল পাল বলেন, ‘বৈকালিক স্বাস্থ্যসেবা’য় আমাকে মাসে একদিন চেম্বার করতে হয়। সরকার নির্ধারিত ফি থেকে একটি অংশ সম্মানী হিসেবে চিকিৎসকরা পেয়ে থাকেন। গত ৩-৪ মাস ওই টাকা পাইনি। টাকা কেন দেওয়া হচ্ছে না সেটিও আমাদের অজানা। এ বিষয়ে তত্ত্বাবধায়ক বা আরএমও ভালো বলতে পারবেন।

এ ব্যাপারে হাসপাতালের আবাসিক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. মো. আসিফ ইকবাল বলেন, হাসপাতালে চিকিৎসক সংকট রয়েছে। এরমধ্যে সাম্প্রতিক সময়ে ৬-৭ জন চিকিৎসক বদলি হয়েছে। যার কারণে ‘বৈকালিক স্বাস্থ্যসেবা’ বন্ধ রাখা হয়েছে। নতুন করে চিকিৎসক পদায়ন না হলে ‘বৈকালিক স্বাস্থ্যসেবা’ বন্ধ থাকবে।

ফেনী জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আবুল খায়ের মিয়াজি বলেন, ‘বৈকালিক স্বাস্থ্যসেবা’ বন্ধ কথাটি পুরোপুরি ঠিক নয়। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনের কারণে এটি আপাতত বন্ধ বা ধীরগতিতে চলছে। যে নির্দেশনার ভিত্তিতে এতদিন সেবা কার্যক্রম চলেছে সেটি পরিবর্তনের প্রস্তাব রয়েছে। এইজন্য সেবা কার্যক্রম কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে।

চিকিৎসকদের পরামর্শ ফি’র ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রথমে যে প্রজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছিল আমরা সেই অনুযায়ী চিকিৎসকদের টাকা দিয়েছি। ওই আদেশের বিরুদ্ধে এখন আবার আমাদের নিষেধ করা হয়েছে। তাই বন্ধ রাখা হয়েছে। এ ছাড়া কে কত টাকা পাবে সেটি অর্থ মন্ত্রণালয়ের ছাড়পত্রের মাধ্যমে নতুন আরেকটি প্রজ্ঞাপন হবে। সে অনুযায়ী টাকা দেওয়া হবে। এখন সব টাকাই সংরক্ষিত আছে। আদেশ পেলে সবাইকে টাকা দেওয়া হবে।

;

‘শেখ হাসিনার প্রত্যাবর্তনে উন্নয়ন-আধুনিকতায় বদলে গেছে দেশ’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

শেখ হাসিনার প্রত্যাবর্তনে উন্নয়ন, অর্জন ও আধুনিকতায় বদলে গেছে বাংলাদেশ বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) তেজগাঁওয়ের রহমতে আলম ইসলাম মিশন এতিমখানায় সুবিধাবঞ্চিতদের মাঝে সুষম খাবার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

শুক্রবার (১৭ মে) আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে দলটির ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক উপ-কমিটি।

তিনি বলেন, ১৫ বছর ধরে আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের ক্ষমতার রাজনীতিতে অধিষ্ঠিত আছেন। এই ১৫ বছর আগে আর পরে বাংলাদেশের আজকে কি পার্থক্য দেখতে পান? ওই বাংলাদেশের সঙ্গে এই বাংলাদেশের কোনো মিল নেই। ১৫ বছর আগের আর আজকের ঢাকা শহর দিন রাত পার্থক্য। বর্তমান বাংলাদেশ উন্নয়নে, অর্জনে ও আধুনিকতায় বদলে গেছে। গ্রাম হয়েছে শহর। সেই বাংলাদেশের রূপান্তরের রূপকার এক কথায় শেখ হাসিনা।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু সপরিবারে হত্যার পর গণতন্ত্র, স্বাধীনতার আদর্শ, ঐতিহাসিক ৭ মার্চ রণধ্বনি সবই নির্বাসনে চলে গিয়েছিল। শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন আমাদের গণতন্ত্র, স্বাধীনতার আদর্শ, মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধের, মুক্তিযুদ্ধের রণ ধ্বনির স্বদেশ প্রত্যাবর্তন। তিনি এসেছিলেন বলেই গণতন্ত্র শৃঙ্খল মুক্ত হয়েছে, ৭ মার্চ স্বাধীনতার ডাক ঐতিহাসিক দিনটি পালন করি।

প্রধানমন্ত্রী স্বদেশে এসেছিলেন বলেই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার হয়েছে। তিনি ফিরে এসেছিলেন বলেই গণতন্ত্র শৃঙ্খল মুক্ত হয়েছে। বাংলাদেশের নির্বাচন ব্যবস্থা সংসদে আইন প্রণয়নের মাধ্যমে স্বাধীন নির্বাচন ব্যবস্থা ও সুষ্ঠু পরিবেশ আমরা করতে পেরেছি। স্বপ্নের মেট্রোরেল হয়েছে। নিজের টাকায় পদ্মা সেতু করতে পেরেছি।

আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম প্রমুখ।

;