পেঁয়াজের দাম কম, হতাশ চাষিরা

  • সোহেল মিয়া, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজবাড়ী
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

পেঁয়াজ বিক্রি করতে এসে প্রতি মণে লোকসান হচ্ছে প্রায় ৫০০ টাকা

পেঁয়াজ বিক্রি করতে এসে প্রতি মণে লোকসান হচ্ছে প্রায় ৫০০ টাকা

রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার জঙ্গল ইউনিয়নের অভয়নগর গ্রামের কৃষক ভূপেন্দ্রনাথ মন্ডল। লাভের আশায় এবার বেশি করে পেঁয়াজের আবাদ করেছেন। এক মণ মুড়িকাটা উৎপাদন করতে তার খরচ হয়েছে ১৩০০ থেকে ১৫০০ টাকা। এখন পেঁয়াজ বিক্রি করতে এসে প্রতি মণে লোকসান হচ্ছে প্রায় ৫০০ টাকা।

ভূপেন্দ্রনাথ মন্ডলের মতো নতুন মুড়িকাটা পেঁয়াজের প্রত্যাশিত দাম পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ রাজবাড়ীর প্রান্তিক পেঁয়াজ চাষিদের। উৎপাদন খরচের চেয়ে বর্তমান বাজার মূল্য অনেক কম বলেও তারা জানান।

বিজ্ঞাপন

রাজবাড়ীর পাঁচটি উপজেলার বাজারগুলোতে এখন মুড়িকাটা নতুন পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে। মুড়িকাটা পেঁয়াজের পরই বাজারে উঠবে নতুন হালি পেঁয়াজ। আর এই মুড়িকাটা পেঁয়াজ এখন ৮০০-১০০০ টাকা দরে মণ বিক্রি হচ্ছে।

সরেজমিন বালিয়াকান্দির জঙ্গল ইউনিয়নের সমাধীনগর বাজারে গিয়ে দেখা যায়, ভোর থেকেই কৃষকেরা তাদের উৎপাদিত মুড়িকাটা পেঁয়াজ বাজারে নিয়ে এসেছেন। কিন্তু বাজারদর কম থাকায় তারা বেশ হতাশ। অভিযোগ- এবার পেঁয়াজ চাষ করতে যে খরচ হয়েছে তা প্রতি বছরের তুলনায় অনেক বেশি।

বিজ্ঞাপন
রাজবাড়ীর পাঁচটি উপজেলার বাজারগুলোতে এখন মুড়িকাটা নতুন পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে

এবার পেঁয়াজের দানা ও জনের যে দাম তাতে এক মণ মুড়িকাটা পেঁয়াজ উৎপাদানের খরচ হয়েছে প্রায় ১৩০০-১৫০০ টাকা পর্যন্ত। আর বাজারে এখন বিক্রি হচ্ছে মাত্র ৮০০-১০০০ টাকা পর্যন্ত।

তারা আরো বলেন, যেখানে লাভবান হওয়ার কথা সেখানে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। মণ প্রতি ৪-৫ শ টাকা কম দামেই আমাদেরকে নিরূপায় হয়ে পেঁয়াজ বিক্রি করতে হচ্ছে।

অন্যদিকে পেঁয়াজের আড়তদাররা বলছেন, পেঁয়াজের আমদানি বন্ধ না করলে কৃষকেরা ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হবেন। তেমনি ব্যবসায়ীরাও বিভিন্ন সিন্ডিকেটের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

জঙ্গল ইউনিয়নের অভয়নগর গ্রামের যুধিষ্টির মন্ডল, অমল চন্দ্র মন্ডল বার্তা২৪.কমকে বলেন, বর্তমান মুড়িকাটা পেঁয়াজের যে দাম রয়েছে এরকম থাকলে আমাদের অনেক ক্ষতি হবে। কারণ পেঁয়াজের দানা, জন, সারের যে দাম তাতে এক মণ পেঁয়াজের মূল্য কমপক্ষে ১৭০০-২০০০ টাকা হওয়া উচিত। তাহলে কৃষক বাঁচবে।

সমাধীনগর বাজারের পেঁয়াজের আড়তদার ফারুক হোসেন বার্তা২৪.কমকে বলেন, বিদেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ করতে না পারলে পেঁয়াজের দাম আরো কমে যেতে পারে। সরকারের উচিত পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ করা এবং দেশীয় পেঁয়াজের দাম নির্ধারণ করে দেওয়া। তাহলেই কৃষককেরা লাভবান হবেন।