সড়ক নিরাপদ রাখতে নিজেরাই অনিরাপদ!



শাহরিয়ার হাসান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশ- সৈয়দ মেহেদী হাসান।

দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশ- সৈয়দ মেহেদী হাসান।

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রাকৃতিক বা মানবসৃষ্ট যেকোনো দুর্যোগে সড়কে দায়িত্ব পালন করতে হয় ট্রাফিক পুলিশদের। যারা সড়ক নিরাপদ করতে সব সময় কাজ করে চলেছেন, সড়কে তাদের জীবন কতটুকু নিরাপদ? মূলত নিজেদের জীবন ঝুঁকিতে রেখে জনগণের সেবা করে যাচ্ছেন তারা। এমনকি সড়ক দুর্ঘটনায় মারাও যান অনেকে।

ট্রাফিক পুলিশ বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, গত ৩ বছরে শুধু রাজধানীর সড়কে দায়িত্বপালনকালে দুর্ঘটনার শিকার হন ৩২ জন ট্রাফিক পুলিশ সদস্য। যাদের মধ্যে নিহত হয়েছেন ৫ জন, গুরুতর আহত হয়েছেন ২৫ জন ও সামান্য আহত হয়েছেন ২ জন।

খোঁজ নিয়ে গেছে, যারা গুরুতর আহত হয়েছেন তাদের অনেকে এখনও কাজে ফিরতে পারেননি। যারা ফিরেছেন তারা অনেক কষ্ট সহ্য করে দায়িত্ব পালন করছেন। ২০১৭ সালের ৩ নভেম্বর সড়কে কর্তব্যরত অবস্থায় দুর্ঘটনার শিকার হন ট্রাফিক পশ্চিম বিভাগের কনস্টেবল মো. ফিরোজ। দুর্ঘটনায় ডান পায়ের হাঁটু ও গোড়ালী ভেঙে যায় তার। ৭ মাস চিকিৎসার পর সম্প্রতি তিনি আবার কাজে যোগ দিয়েছেন।

নিজের অসুস্থতার বিষয়ে ফিরোজ বার্তা২৪.কম’কে বলেন, ‘ভেঙে যাওয়া পায়ে রড ব্যবহার করা হয়েছে। ফলে এখন আগের মতো রাস্তায় টানা ৮ ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতে পারি না। কয়েকদিন আগে দায়িত্বপালনকালে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলাম। তাই এখন জাতীয় সংসদের ডিউটি পেয়েছি। এখন এমনিতে ভালো আছি কিন্তু সারাজীবনের জন্য খোঁড়া হয়ে গেছি।’

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Sep/25/1537845658053.jpg

২০১৭ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি কর্তব্যরত অবস্থায় দুর্ঘটনার শিকার হন ট্রাফিক বিভাগ, দক্ষিণের নারী পুলিশ সার্জেন্ট ময়না আক্তার। সে সময় তিনি গর্ভবতী ছিলেন। দুর্ঘটনায় তার ডান হাত ভেঙে যায়। কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে দীর্ঘদিন চিকিৎসা নিয়ে সম্প্রতি তিনিও কাজে যোগ দিয়েছেন।

ময়না আক্তার বার্তা২৪.কম’কে বলেন, ‘আমি কাজে যোগ দিয়েছি বেশ কয়েক মাস হলো, নিয়মিত কাজও করছি। তবে আমার বাচ্চাটাকে এখনও ভালোভাবে কোলে নিতে পারি না। কারণ হাতে একটুও প্রেশার বা বাড়তি চাপ সহ্য করতে পারি না।’

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগের এডমিন ও রিসার্চ উইংয়ের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার গোপাল চন্দ্র পাল বার্তা২৪.কম’কে বলেন, ‘ট্রাফিক পুলিশের ডিউটির কোনো সিডিউল নেই। নামে মাত্র ৮ ঘণ্টা বলা হলেও  অনেক সময় ১০/১২ ঘণ্টা ডিউটি করতে হয়। এছাড়া দায়িত্বপালনকালে সড়কে ট্রাফিকদের খুবই মনযোগী থাকতে হয়। না হলে সাধারণ মানুষ বা ট্রাফিক নিজেই দুর্ঘটনায় পড়তে পারেন।’

তিনি আরো বলেন, ‘এতো কিছুর পরও সাধারণ মানুষ ট্রাফিক পুলিশকে পছন্দ করে না। জনগণ আইন তো মানেই না, কিছু বলতে গেলে হুমকি-ধামকি দেয়। দায়িত্ব পালনকালে জীবনের ঝুঁকি থাকলেও তাদের বাড়তি কোনো ঝুঁকি ভাতা দেওয়া হয় না। তারা যে কতটা দুর্বিষহ জীবন-যাপন করেন, সেটা পুলিশ ব্যারাকে না গেলে কেউ বুঝতে পারবেন না।’

অন্যদিকে রাজধানীর পান্থপথে ট্রাফিক সিগন্যালে সরেজমিনে দেখা গেছে, সকাল থেকে দায়িত্ব পালন করছেন ট্রাফিক কনস্টেবল মজিবর। দুপুরে ব্যস্ততার ফাঁকে বার্তা২৪.কম’র এই প্রতিবেদকের সঙ্গে তার কথা হয়। ৪২ বছর বয়সী মজিবর বলেন, ‘দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে রীতিমতো হাঁপিয়ে উঠেছে জীবন। নানা রোগ-বালাই আর শারীরিক যন্ত্রণা কুড়ে কুড়ে খাচ্ছে। শারীরিক বা মানসিক কোনোভাবেই ভালো নেই আমি।’

তিনি অক্ষেপ করে বলেন, ‘সকালে ডিউটিতে আসার পর একটু ফ্রেশ হওয়ারও সুযোগ পাওয়া যায় না। একটু বসে বিশ্রাম নেওয়ারও কোনো ব্যবস্থা নেই এখানে। এই ভাবেই বেঁচে আছি আমরা।’

এ বিষয়ে মহানগর ট্রাফিক পুলিশের প্রধান ও অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মীর রেজাউল ইসলাম বার্তা২৪.কম’কে বলেন, ‘পথচারীরা হরহামেশাই ট্রাফিক আইন ভঙ্গ করেন। কেউ একবারও ভাবেন না সবার ভালোর জন্যই ট্রাফিক সদস্যরা রোদ-বৃষ্টি-ঝড়ের মধ্যেও দায়িত্ব পালন করেন। তাদের কাজে সহযোগিতা তো দূরের কথা, উল্টো কাজে বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় অনেকে। আইন ভাঙলে মামলা দিতে গেলে নানামুখী তদবির শুরু করেন সবাই। নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সড়কে নিরাপত্তা দেন ট্রাফিক পুলিশ। তাদের সম্মান করা উচিৎ সবার।

   

জুনে ভারী বৃষ্টি ও স্বল্পমেয়াদি বন্যার শঙ্কা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বন্যার শঙ্কা

বন্যার শঙ্কা

  • Font increase
  • Font Decrease

চলতি জুন মাসে দেশজুড়ে ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে বলে আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। এ কারণে দেশের উত্তরাঞ্চল, উত্তর-পূর্বাঞ্চল এবং দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় কতিপয় স্থানে স্বল্পমেয়াদি বন্যা দেখা দিতে পারে বলে শঙ্কা জানিয়েছে সংস্থাটি।

রোববার (২ জুন) আবহাওয়া অধিদফতরের দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাস দিতে গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটি এই পূর্বাভাস দিয়েছে।

এছাড়া সামগ্রিকভাবে দেশে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত হতে পারে। তবে এ মাসে এক-দুইটি লঘুচাপ হতে পারে। যার মধ্যে একটি মৌসুমি নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। পাশাপাশি এ মাসে দেশে চার থেকে ছয় দিন হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বজ্রঝড় হতে পারে।

পূর্বাভাসে জানানো হয়, চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহের প্রথমার্ধে সারাদেশে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু (বর্ষাকাল) বিস্তার লাভ করতে পারে এবং এক থেকে দুটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে, যার মধ্যে একটি মৌসুমি নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। আবার এক থেকে দুটি বিচ্ছিন্নভাবে মৃদু (৩৬-৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস) থেকে মাঝারি (৩৮-৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস) ধরনের তাপপ্রবাহও বয়ে যেতে পারে। মাসজুড়ে দিন ও রাতের তাপমাত্রা স্বাভাবিক অপেক্ষা কিছুটা বেশি থাকতে পারে।

মে মাসজুড়ে দেশে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে। স্বাভাবিক অপেক্ষা ৩৫ দশমিক ৯ শতাংশ কম বৃষ্টিপাত হয়েছে ময়মনসিংহ বিভাগে। সবচেয়ে কম বৃষ্টি হয়েছে রাজশাহীতে ৯ দিন। ঢাকায় স্বাভাবিকের চেয়ে ৮ দশমিক ৬ শতাংশ বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে। চলতি মাসেও সিলেট, চট্টগ্রাম ও ঢাকাসহ বিভিন্ন বিভাগে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হতে পারে।

;

২শ মৎস্যজীবীর আয়ের উৎস কাফ্রিখাল বিল ফিরে পেতে মানববন্ধন



বর্ণালী জামান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, রংপুর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রংপুরের মিঠাপুকুরে ২'শ মৎস্যজীবীর জীবন-জীবিকার আয়ের উৎস কাফ্রিখাল বিল ফিরে পেতে ইজারা চেয়ে মানববন্ধন করেছে বৈধ মৎস্যচাষীরা।

রবিবার (২ জুন) বিকেলে মিঠাপুকুর কাফ্রিখাল বিলের পাড়ে এ মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় ভুক্তভোগী মৎস্যজীবীদের পক্ষে সমিতির সম্পাদক ইলিয়াস মিয়া বক্তব্যে বলেন, দীর্ঘ ৭০/৭৫ বছর ধরে এই বিলে মাছ চাষ করে আসছি আমরা। সম্প্রতি কয়েক মাস পূর্বে ভূমি মন্ত্রণালয় কর্তৃক একটি প্রভাবশালী মহল এই বিল ইজারা নেয় যা আমরা প্রকৃত মৎস্যজীবীরা জানিনা। বরং রংপুর জেলা প্রশাসক কর্তৃক প্রক্রিয়াগত ভাবে বিল ইজারা দেয়ার দরপত্র আহ্বান করে। আমরা সেই নিয়ম অনুযায়ী দরপত্র কিনে সরকারি কোষাগারে ৮ লক্ষ টাকা জমা করি। এবং ওই দরপত্রে সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে বিবেচিত হয় আমাদের কাফ্রিখাল বিল সমাজ ভিত্তিক মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি। অথচ জেলা প্রশাসক আমাদেরকে ইজারা না দিয়ে কথিত একটি সংগঠনকে এই বিল ইজারা দেয়া হয়।

যে সংগঠনের লোকজন প্রকৃত মৎস্যজীবী নয়। একটি বহিরাগত প্রভাবশালী মহলের ইন্ধনে প্রকৃত মৎস্যজীবিদের ইজারা না দিয়ে তথাকথিত মৎস্যজীবীদের ইজারা দেয়। এর জন্য তীব্র প্রতিবাদ জানান মানববন্ধন অংশ নেয়া মৎস্যজীবীরা।

এসময় মানববন্ধনে অন্যান্য মৎস্যজীবীরা বলেন, অনতিবিলম্বে ভুমি মন্ত্রণালয়ের দেয়া ইজারা বাতিল করে পুনরায় কাফ্রিখাল বিল সমাজ ভিত্তিক মৎস্যজীবী সমবায় সমিতিকে নতুন করে ইজারা দেয়ার জন্য রংপুর জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা।

;

গাইবান্ধায় ডাম্প ট্রাকের ধাক্কায় ব্যবসায়ীর মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গাইবান্ধা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গাইবান্ধা সদর উপজেলায় মাটি ভর্তি ডাম্প ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে এক গম ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়েছে। এ সময় গুরুতর আহত হয়েছেন অটোরিকশার চালক লুৎফর রহমান।

রোববার (২ জুন) বিকেলে উপজেলার বল্লমঝাড় ইউনিয়নের গাইবান্ধা-সাদুল্লাপুর সড়কের খোলাবাড়ী বাজার এলাকায় এ দুর্ঘটনা মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে।

৫২ বছর বয়সী নিহত গম ব্যবসায়ীর নাম গোলাম মাওলা। তিনি সাদুল্লাপুর উপজেলার দামোদরপুর ইউনিয়নের জামুডাঙ্গা (সোনারপাড়া) গ্রামের মৃত আকবর আলী প্রধানের ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রোববার বিকেলে নিহত গম ব্যবসায়ী গাইবান্ধা শহর থেকে গম ক্রয় করে বস্তাভর্তি গম নিয়ে ছাদ খোলা একটি অটোরিকশা যোগে সাদুল্লাপুরের বাড়ি ফিরছিলেন। অটোরিকশাটির বস্তার ওপর বসা ছিলেন ব্যবসায়ী গোলাম মওলা। ফেরার পথে তাদের অটোরিকশাটি গাইবান্ধা-সাদুল্লাপুর সড়কের খোলাবাড়ী বাজার এলাকায় পৌঁছালে মাটি ভর্তি বেপরোয়া গতির একটি ডাম্প ট্রাক অটোরিকশাটিকে পিছন থেকে ধাক্কা দেয়। এতে গম ভর্তি অটোরিকশাটি উল্টে যায়। এসময়

ব্যবসায়ী গোলাম মওলা অটোরিকশা থেকে ছিটকে রাস্তার ওপর পড়ে এবং ওই ডাম্প ট্রাকটির পিছনের চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হয়। অপরদিকে, অটোরিকশা চালক রাস্তার বিপরীত পাশে পড়ে গুরত্বর আহত হন। পরে স্থানীয়রা আহত চালককে উদ্ধার করে গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করে। তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে গাইবান্ধা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) সেরাজুল ইসলাম মুঠোফোনে বার্তা২৪.কমকে বলেন, "ঘটনার পর চালক পালিয়ে গেছে। ঘাতক ট্রাকটিকে আটক করে থানায় নেওয়া হয়েছে। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

;

মেহেরপুরে পুকুরে ডুবে স্কুলছাত্রের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, মেহেরপুর
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

মেহেরপুর শহরের একটি পুকুরে গোসল করতে নেমে তৌফিক হোসেন (১২) নামে এক স্কুলছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। তৌফিক হোসেন মেহেরপুর টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র এবং শহরের নতুনপাড়ার তোজাম্মেল হোসেনের ছেলে।

রোববার সকাল ১১টার দিকে এ ঘটনাটি ঘটে।

এ বিষয়ে তৌফিকের বন্ধু রিফাত আলী জানায়, সে নিজে, তৌফিক, মিতুল, অয়ন ও তানিম স্কুলে যাওয়ার জন্য সকালবেলা বাড়ি থেকে বের হয়। স্কুলে না গিয়ে তারা শহরের মেহেরপুর সরকারি উচ্চ বালক বিদ্যালয় মাঠে ফুটবল খেলা দেখতে শুরু করে। সকাল ১০টার পর সেখান থেকে তারা শহরের গড়পুকুরে যায়।

একপর্যায়ে তারা সবাই পুকুরের সিঁড়ির নিচে অল্প পানিতে গোসল করতে নামে। গোসলের সময় হঠাৎ করে পা ফসকে গভীর পানিতে তলিয়ে যেতে থাকে তৌফিক ও রিফাত। রিফাতকে অন্য বন্ধুরা উদ্ধার করতে সক্ষম হলেও তৌফিককে কোনোভাবেই উপরে তুলতে পারেনি।

তাদের চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে এসে পানিতে ঝাঁপ দিয়ে তৌফিকে উদ্ধারের চেষ্টা চালায়। ফায়ার সার্ভিস কর্মীদেরও খবর দেওয়া হয়।
টানা এক ঘণ্টার চেষ্টার পর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা তৌফিককে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। এরপর তাকে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণা করেন।

এ বিষয়ে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কনী মিয়া জানান, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে। অভিযোগ পেলে মরদেহের ময়নাতদন্ত করা হবে। আর পরিবারের কোনো অভিযোগ না থাকলে ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ দাফনের অনুমতি দেওয়া হবে।

;