তিন দশকেও আধুনিক হয়নি ঝালকাঠির বাস টার্মিনাল



জহির রায়হান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বরিশাল
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঝালকাঠি থেকে ফিরে: গত তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে কোনও আধুনিকতার ছোঁয়া লাগেনি ঝালকাঠির জেলা বাস টার্মিনালে। গত ৩৩ বছর ধরে বাসটার্মিনালটি চলছে সেই আগের নিয়মেই।

জানা গেছে, ১৯৮৮ সালে এক একর জমির উপর স্থাপন করা হয় ঝালকাঠি জেলা বাস টার্মিনাল। সেখান থেকে প্রতিদিন গড়ে অভ্যন্তরীণ ৮টি রুটে বাস চলাচল করে। এছাড়াও দেশের বিভিন্ন জেলার সাথে সরাসরি ও ভায়া হয়ে শতাধিক যাত্রীবাহী বাস ছাড়ে এই টার্মিনাল থেকেই। এতে কয়েক হাজার যাত্রীকে চলাফেরা করতে হয় এই টার্মিনাল হয়ে।

সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ, এই আন্তঃজেলা বাস ও মিনিবাস টার্মিনালে জায়গা সংকট রয়েছে। নেই কোনও সীমানা প্রাচীর, যাত্রী ছাউনি, উন্নতমানের পাবলিক টয়লেট আর বিশ্রামাগার । ডাস্টবিন  ও পয়নিঃস্কাশনের ব্যবস্থা নেই বাসটার্মিনাল এলাকায়। টার্মিনাল জুড়ে রয়েছে উচুঁ-নিচুঁ গর্ত আর খানাখন্দ। এতে বর্ষাকালে জলাবদ্ধতা আর শীত বা শুষ্ক মৌসুমের ধুলা-বালিতে নাকাল যাত্রী, চালক ও হেলপারসহ এলাকাবাসী।

বাস মালিক সমিতি সূত্রে জানা গেছে, ঝালকাঠি জেলা শহরের প্রবেশদ্বার কৃষ্ণকাঠি এলাকায় ১৯৮৮ সালের ২৫ এপ্রিল তৎকালীন জেলা প্রশাসক মো. আলতাফ হোসেন ঝালকাঠি জেলা বাস টার্মিনাল স্থাপনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।  এরপর থেকে সেখান থেকে বরিশাল, ভান্ডারিয়া, খুলনা, পিরোজপুর, মটবাড়িয়া, পাথরঘাটাসহ মোট আটটি রুটে বাস চলাচল করে। এছাড়াও ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, বরগুনাসহ দূরপাল্লার বাসও চলাচল করছে ঝালকাঠির এই বাস টার্মিনাল হয়ে।

অভিযোগ আছে, বাস টার্মিনালটি হাইওয়ে থেকে দূরে হওয়ায় দূরপাল্লা পরিবহন সেখানে যায় না। ফলে এসব বাসগুলো কৃষ্ণকাঠি পেট্রোল পাম্প মোড় এলাকার সড়কের উপর থেকেই যাত্রী ওঠানামা করেন। এতে প্রায়ই ঘটছে ছোট-খাটো দুর্ঘটনা। 

ঝালকাঠি বাসটার্মিনালে নোংরা অবস্থায় টয়লেট
ঝালকাঠি বাসটার্মিনালে নোংরা অবস্থায় টয়লেট

সরেজমিনে দেখা গেছে, বাস টার্মিনাল এলাকায় একটি পাবলিক টয়লেট থাকলেও ভাঙ্গাচুরা,দূর্গন্ধ অবস্থায় অনুপযোগী হয়ে পড়ে আছে। তবুও পাবলিক টয়লেট ব্যবহারের জনপ্রতি ৫ ও ৭ টাকা করে আদায় করছে ইজারা নেয়া এক নারী ।

আরও দেখা গেছে, জরাজীর্ণ আর জোড়াতালি দেয়া কাউন্টারে চলছে টিকিট বিক্রির কাজ। ডাস্টবিন না থাকায় স্থানীয় দোকান ও যাত্রীদের ফেলা বর্জ্য এবং মলমূত্রের দুর্গন্ধে নাক চেপে চলাফেরা করতে হচ্ছে। এতে পরিবেশও দূষিত হচ্ছে।

এছাড়াও বাস টার্মিনালে পাকা সীমানা প্রাচীর বা কাঁটাতারের কোনও ভেড়া না থাকায় প্রায়ই বাসের ডিজেল, গিয়ার অয়েল, টায়ার, অতিরিক্ত টায়ারের রিং, সিসি ক্যামেরাসহ অনেক যন্ত্রাংশ চুরির ঘটনা ঘটছে। যার খেসারত দিতে হচ্ছে শ্রমিকদের।

শাহিনুর মরিয়ম নামে এক যাত্রী জানান, ঝালকাঠি বাস টার্মিনালে আসলেই তার মনে হয় কোনও পরিত্যক্ত জায়গায় এসেছেন। নোংরা, ময়লা-আবর্জনা আর ধুলা-বালির মধ্য দিয়েই নিয়মিত বরিশালে যাতায়াত করতে হয় তাকে। অবস্থার পরিবর্তন ও যাত্রীদের দুর্ভোগ কমাতে কেউ এগিয়ে আসেন না বলেও তার অভিযোগ।

ঝালকাঠি বাসটার্মিনালে যত্রতত্র ফেলানো আবর্জনার স্তুপ
ঝালকাঠি বাসটার্মিনালে যত্রতত্র ফেলানো আবর্জনার স্তুপ

হৃদয় নামে স্থানীয় এক যুবক জানান, মালিক সমিতি ও পৌরসভার রেশারেশির কারণে বাস টার্মিনাল পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন করা হয় না। পৌরসভা বলে মালিক সমিতি লোক রেখে পরিস্কার করাবে। আবার মালিক সমিতি বলে পৌরসভার মধ্যে যখন বাস টার্মিনাল তখন পরিস্কার ব্যবস্থাও  পৌরসভার।

ঝালকাঠি বাস টার্মিনালে থাকা রুপা পরিবহনের চালক মো. শাহিন জানান, এই বাস টার্মিনালে সমস্যার শেষ নেই। বাস নিয়ে এসে এখানে বিশ্রামেরও সুযোগ হয় না চালকদের। তাছাড়া সীমানা দেয়াল বা বেড়া না থাকায় বাসের যন্ত্রাংশ চুরি হয়। ফলে চুরি এড়াতে রাতে বাসের মধ্যেই থাকতে হয়।

তিনি আরও জানান, বর্ষাকালে টার্মিনালে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়। ফলে বাসের চাকা পড়লে উঠাইতেও অনেক কষ্ট হয়। তাই নিরাপদে বাস রাখা, চালক, হেলপারদের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থাসহ বাস টার্মিনালটি আধুনিক করার দাবি সংশ্লিষ্টদের সবার।

এক টিকিট কাউন্টার কর্মী মো. জাহিদুল ইসলাম জানান, নোংরা পরিবেশ, পাশে ফেলানো ময়লা আর্বজনার দুর্গন্ধ ও ভাঙা কাউন্টারেই তাদের টিকিট বিক্রি করতে হয়। শুধু শুনা যায় টার্মিনালটি সংস্কার করা কিন্তু কোনও কোনও কাজ দৃশ্যমান হয় না বলেও জানান তিনি।

ঝালকাঠি বাসটার্মিনাল
ঝালকাঠি বাসটার্মিনাল

ঝালকাঠি জেলা বাস ও মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মিলন মাহমুদ বাচ্চু বার্তা২৪.কম’কে বলেন, ‘সারাদেশের ছোট-বড় প্রায় সব বাস টার্মিনালই আধুনিক। সেসব টার্মিনাগুলোতে কমবেশি সব সুবিধা ভোগ করেন বাস মালিক, চালক, হেলপার ও যাত্রীরা। কিন্তু ঝালকাঠি জেলা বাস টার্মিনালে উল্টো চিত্র। দীর্ঘদিন  সংস্কারের অভাবে জরাজীর্ণ ও অনুন্নত অবস্থায় পড়ে আছে টার্মিনালটি।’

তিনি আরও বলেন, ‘বাস টার্মিনারে পেছন দিকে সুগন্ধা নদীর ভাঙন শুরু হয়েছে। ফলে শিগগিরই টার্মিনালটি নদী গর্ভে বিলীন হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। তাই টার্মিনালটি হাইওয়ের পাশে সরিয়ে নিয়ে আধুনিক বাস টার্মিনাল স্থাপনের দাবি সংশ্লিষ্টদের।’

ঝালকাঠি পৌর মেয়র লিয়াকত আলী তালুকদার বার্তা২৪.কম’কে বলেন, ‘বাস মালিক, চালক, হেলপার ও যাত্রীদের কথা মাথায় রেখেই ঝালকাঠীতে আধুনিক বাস টার্মিনাল স্থাপনের জন্য পৌরসভা থেকে একটি প্রকল্প জমা দেওয়া হয়েছে। প্রকল্পটি পাস করতে সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোতে বারবার তাগাদা দেয়া হচ্ছে৷ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা গেলে যাত্রীদের দুর্ভোগ কমবে বলে আশা করছি।’

 

   

কালীগঞ্জে হিট স্ট্রোকে অটোচালকের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, লালমনিরহাট
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কালীগঞ্জে হিট স্ট্রোকে রাশেদুল ইসলাম (৫৪) নামে এক অটোচালকের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে কালিগঞ্জ উপজেলার উপজেলার মদাতী ইউনিয়নের চামটার হাট বাজারে তার মৃত্যু হয়। 

মৃত রাশেদুল ইসলাম লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার ডাউয়াবাড়ী ইউনিয়নের খোর্দ্দ বিছনদই গ্রামের মৃত বদর উদ্দিনের ছেলে। তিনি আগে পেপার বিক্রেতা ছিলেন। 

স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার সকালে অটোরিক্সা নিয়ে ভোটমারী গোলাম মৃর্তজা ক্লিনিকের মাইকিং করতে করতে চামটার হাট বাজারে যান। সেখানে একটি হোটেলে খাবার খেয়ে বের হওয়ার সময় অসুস্থা হয়ে পড়েন। পরে অসুস্থ হওয়ার পর স্থানীয়রা উদ্ধার করার সময় ঘটনাস্থলে তিনি মারা যান। 

ডাউয়াবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভেকেট মশিউর রহমান বার্তা ২৪ কমকে জানান, প্রচণ্ড গরমের কারণে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। পরে সেখানে তিনি হিট স্ট্রোক করে মারা যান।



;

প্রতিবন্ধীদের মূল ধারায় আনার জন্য সরকারের প্রচেষ্টা আছে: দীপু মনি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনি বলেছেন, সকল প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের মূল ধারায় আনার জন্য একটা বড় প্রচেষ্টা রয়েছে। সেই প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে নীতিমালা তৈরি করা ও আইন তৈরি করা হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) বিকালে শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালায় প্রথম আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী শিল্প উৎসব ঢাকা-২৪ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

তিনি বলেন, যারা প্রতিবন্ধীতায় আক্রান্ত তারা শারীরিক মানসিক নানা ধরনের শিকার হলেও বুদ্ধি ও মননশীলতায় স্বাভাবিক মানু্ষদের মত যে তাই নয়, বরং সৃজনশীলতায় অনেক ক্ষেত্রে বেশিও। তিনি বলেন, আমরা সবসময় কথা বলি বৈষম্য হীনতার সেই স্বপ্নের কথা, সেই সমাজ তৈর করার কথা বলি। আমরা যখন জাতির পিতার কথা বলি তখনো বলি তার বৈষম্যহীনতার জন্য সংগ্রাম করেছিলেন সে কথা।

আমরা অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের নীতি অনুসরণ করছি উল্লেখ করে সমাজকল্যাণ মন্ত্রী বলেন, আইসিটি, অর্থনীতি থেকে শুরু করে সকল পর্যায়ে আমরা অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের নীতি অনুসরণ করছি। আমাদের অনেক কিছু আছে আবার অনেক কিছু নেই সেটাও সত্যি। তবে যেটা সবচেয়ে বেশি যেটা দরকার রাজনৈতিক সদিচ্ছা সেটা আছে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে। সেটা অনেক জায়গায় থাকে না। আমার সর্বস্তরে সচেতনতা তৈরি করাটা এখন প্রয়োজন। আমাদের সরকারি ভবন, কর্মস্থল, পাবলিক স্পেস সব পর্যায়ে আমরা যেন অভিগমনতা নিশ্চিত করতে পারি এটা করা আমাদের জন্য জরুরি।

দীপু মনি বলেন, আমরা চাই বিভিন্নভাবে প্রতিবন্ধকতার শিকার যে শিশুরা রয়েছে তারা যেন সাধারণ সবার সাথে শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে সে ব্যবস্থা তৈরি করা। আর যাদের পক্ষে একেবারেই সম্ভব নয় তাদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করার চেষ্টা করবো। সবার মতই তাদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশের জন্য ক্রীড়া চর্চা, সাংস্কৃতিক চর্চা ব্যবস্থা করা। এটা সবার মতই তাদের জন্যও অপরিহার্য। 

;

মানিকগঞ্জে সেলফি তুলতে গিয়ে আগুনে পুড়ে নারীর মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, মানিকগঞ্জ
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

মানিকগঞ্জে বাসন্তী দেবীর কপালে সিদুর দেওয়ার সময় সেলফি তুলতে গিয়ে শাড়িতে আগুন লেগে দগ্ধ হয় মলি রানী (৪৬) নামের এক নারী। এক সপ্তাহ চিকিৎসাধীন থাকার পর মারা যান তিনি।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান মলি রানী। মানিকগঞ্জ জেলা শহরের গঙ্গাধর পট্টি এলাকার অশোক্নসাহার স্ত্রী মলি রানী।

নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, বাসন্তী পূজার দশমীর দিন গত ১৮ এপ্রিল শহরের কালীবাড়ী মন্দিরে বাসন্তী দেবীর কপালে সিদুর দেয়ার সময় দেবীর সাথে সেলফি তুলছিলেন মলি। এ সময় পাশে থাকা প্রদীপের আগুন শাড়িতে লেগে দেহের ৩০ ভাগেরও বেশি পুড়ে যায়।

পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটে ভর্তি করা হয়। প্রায় ১ সপ্তাহ চিকিৎসা শেষে শুক্রবার সকাল ১০টায় চিকিৎসাধীন মারা যান তিনি।

বাংলাদেশ পূজা উদযাপন কমিটির মানিকগঞ্জ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক অনির্বাণ পাল বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বাসন্তি পূজার সময় অগ্নিদগ্ধ হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তি ছিলো মলি। এরপর সেখানেই চিকিৎসাদীন তার মৃত্যু হয়।

;

মানিকগঞ্জে ছাদ থেকে পড়ে মাদরাসা ছাত্রীর মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, মানিকগঞ্জ
মানিকগঞ্জে ছাদ থেকে পড়ে মাদরাসা ছাত্রীর মৃত্যু

মানিকগঞ্জে ছাদ থেকে পড়ে মাদরাসা ছাত্রীর মৃত্যু

  • Font increase
  • Font Decrease

মানিকগঞ্জে ছাদে খেলার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মাটিতে পড়ে মাহিয়া আক্তার (১৭) নামের এক ছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সকালে সদর উপজেলার বাসস্ট্যান্ডের আয়েশা সিদ্দিকা মহিলা মাদ্রাসায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত মাহিয়া আক্তার মানিকগঞ্জের সিংগাইরের বড় কালিয়াকৈর এলাকার আল মামুনের মেয়ে। সে আয়েশা সিদ্দিকা মহিলা মাদরাসার হেফজ বিভাগের ছাত্রী ছিল।

মাদরাসার শিক্ষিকা শারমিন আক্তার জানান, সকালে ক্লাসের ফাঁকে মাদরাসার ছাদে খেলাধুলা করার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মাদরাসার ভবনের চার তলা থেকে নিচে পড়ে যায় মাহিয়া। পরে তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে তার অবস্থার অবনতি হলে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ঢাকা মেডিকেল কলেজে রেফার্ড করা হয়। পরে ঢাকায় নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

মানিকগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাবিল হোসেন জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এঘটনায় কেউ থানায় অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

;