যশোরের বাঁধাকপি যাচ্ছে সিঙ্গাপুরে

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, যশোর
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

যশোরে উৎপাদিত বিষমুক্ত বাঁধাকপি এখন সিঙ্গাপুরে রপ্তানি হচ্ছে। প্রথম দফায় ৭০ টন বাঁধাকপি রপ্তানি করা হচ্ছে দেশটিতে। ছবি: বার্তা২৪.কম

যশোরে উৎপাদিত বিষমুক্ত বাঁধাকপি এখন সিঙ্গাপুরে রপ্তানি হচ্ছে। প্রথম দফায় ৭০ টন বাঁধাকপি রপ্তানি করা হচ্ছে দেশটিতে। ছবি: বার্তা২৪.কম

যশোরে উৎপাদিত বিষমুক্ত বাঁধাকপি এখন সিঙ্গাপুরে রপ্তানি হচ্ছে। প্রথম দফায় ৭০ টন বাঁধাকপি রপ্তানি করা হচ্ছে দেশটিতে। এর মধ্যে জানুয়ারি মাসেই সদর উপজেলার শাহবাজপুর গ্রামের মাঠ থেকে প্রথম চালানে গেছে ২০ হাজার কেজি বাঁধাকপি। সিঙ্গাপুর ছাড়াও চলতি মৌসুমে এক লাখ দশ হাজার ডলার মূল্যের পাঁচশ টন বাঁধাকপি বিভিন্ন দেশে রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। কৃষি বিভাগ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সদর উপজেলার বড় হৈবৎপুর গ্রামের কৃষক শামসুল ইসলাম জানান, তিনি এ বছর সাত বিঘা জমিতে বাঁধাকপি আবাদ করেছেন। রপ্তানির জন্য ইতোমধ্যে তিন হাজার পিস বাঁধাকপি বিক্রি করেছেন। ফলে ভালো দাম পাওয়া যাওয়ায় তার বেশ মুনাফাও হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

বিদেশের বাজারে যশোরের সবজি রপ্তানি শুরু হয় ২০১৭ সালে। ওই বছর মালয়েশিয়ায় রপ্তানি হয় ২২৫ টন বাঁধাকপি। আর ২০২১ সালে যশোর থেকে ইতোমধ্যে ৬১ টন বাঁধাকপি রপ্তানি হয়েছে। তবে এ বছর মোট সবজী রপ্তানির পরিমান প্রায় ৫৯১ টন। যার বর্তমান বাজার মূল্য ৯৫ লাখ ৮ হাজার ৩০৯ টাকা।

জানা গেছে, সিঙ্গাপুর ছাড়াও যশোরের সবজি দুবাই, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার, ওমান, ইউরোপের যুক্তরাজ্য, ইতালি, ফ্রান্সে রপ্তানি করা হয়। তবে করোনার প্রভাবে গত বছর সবজি রপ্তানি কিছুটা কমে গেলেও আবার তা স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে।

বিজ্ঞাপন

কৃষি বিভাগের যশোর অফিসের হিসাব অনুযায়ী, দেশের মোট চাহিদার ৬৫ ভাগ সবজির জোগান আসে যশোর থেকে। প্রতি বছর এ জেলা থেকে ছয় লাখ টন সবজি উৎপাদিত হয়। এ বছর ১৭ হাজার হেক্টর জমিতে সবজি চাষ হয়েছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর যশোরের উপ-পরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, ‘সবজি চাষ লাভজনক করতে  কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় যশোর অঞ্চলে কাজ করছে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা জাগরণী চক্র ফাউন্ডেশন ও সলিডারিডাড নেটওয়ার্ক এশিয়া। সংস্থা দুটির তত্ত্বাবধানে সফল প্রকল্পের মাধ্যমে কৃষক, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও রপ্তানিকারকদের মধ্যে সংযোগ স্থাপনে কাজ করা হচ্ছে।’

সফল প্রকল্পের পরিচালক তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ‘কৃষকের সাথে রপ্তানিকারকদের সরাসরি সংযোগ স্থাপন হওয়ায় মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য কমেছে। বাজারে পণ্য তোলার পরে হাটমালিককে খাজনা দিতে হচ্ছে না। এতে সরাসরি কৃষক ও রপ্তানিকারক লাভবান হচ্ছেন। এ ছাড়া এ প্রকল্পের মাধ্যমে পাঁচ শতাধিক চাষিকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।’